সপ্তম শ্রেণি, বিজ্ঞান, ষষ্ঠ অধ্যায় (পদার্থের গঠন) || Class Seven, Science, Chapter 6
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন:
১। অ্যাটম কী?
উত্তর: পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণার নাম অ্যাটম যার অর্থ হলো অবিভাজ্য।
২। খাবার লবণের রাসায়নিক সংকেত লিখ।
উত্তর: খাবার লবণের রাসায়নিক সংকেত হলো NaCl.
৩। অণু কী ?
উত্তর: মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যা ঐ পদার্থের বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ণ রাখে তাকে অণু বলে।
৪। মরিচা কী?
উত্তর: লোহা বায়ুর জলীয়বাষ্পের সাথে বিক্রিয়া করে লালচে বাদামি বর্ণের যে আর্দ্র আয়রন অক্সাইডের আস্তরণ তৈরি করে তাকে মরিচা বলে।
৫। ক্যালসিয়াম অক্সাইডের সংকেত লিখ।
উত্তর: ক্যালসিয়াম অক্সাইডের সংকেত হলো: CaO.
৬ ৷ প্রতীক কাকে বলে?
উত্তর: কোনো মৌলের সংক্ষিপ্ত রূপকে প্রতীক বলে। অর্থাৎ মৌলের ইংরেজি বা ল্যাটিন নামের সংক্ষিপ্ত প্রকাশই প্রতীক।
৭। সোডিয়াম কার্বনেটের সংকেত লিখ।
উত্তর: সোডিয়াম কার্বনেটের সংকেত হলো Na2CO.
৮। সোডিয়ামের ল্যাটিন নাম কী?
উত্তর: সোডিয়ামের ল্যাটিন নাম হলো ন্যাট্রিয়াম (Natrium)।
৯। কোন মৌলের প্রোটন সংখ্যা ৮ ?
উত্তর: অক্সিজেন (O) মৌলের প্রোটন সংখ্যা ৮।
১০। মরিচার সংকেত লিখ।
উত্তর: মরিচার সংকেত হলো : FegO, 3H2O.
১১। মৌলিক অণু কী?
উত্তর: একই মৌলের একাধিক পরমাণু বন্ধন দ্বারা যুক্ত হয়ে অণু গঠন করলে, সেই অনুকে মৌলিক অণু বলে।
১২। যৌগিক অণু কী?
উত্তর: দুই বা ততোধিক ভিন্নধর্মী মৌলিক পরমাণু একত্রে যুক্ত হয়ে যে অণু গঠন করে তাকে যৌগিক অণু বলে।
১৩। যৌগিক পদার্থ কাকে বলে?
উত্তর: যে পদার্থকে বিশ্লেষণ করলে দুই বা ততোধিক সম্পূর্ণ ভিন্ন ধর্মবিশিষ্ট মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায় তাকে যৌগিক পদার্থ বলে।
১৪। আধুনিক পরমাণুবাদের জনক বলা হয় কাকে?
উত্তর: জন ডাল্টনকে।
১৫। সংকেত কাকে বলে?
উত্তর: কোনো মৌল বা যৌগের অণুর সংক্ষিপ্তরূপকেই সংকেত বলে।
১৬। নিউট্রন ও প্রোটন পরমাণুর কোথায় অবস্থান করে?
উত্তর: নিউট্রন ও প্রোটন পরমাণুর কেন্দ্রে অবস্থান করে।
১৭। হিলিয়াম পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা কত?
উত্তর: হিলিয়াম পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা দুই।
১৮। চুনাপাথরের রাসায়নিক নাম লিখ।
উত্তর: চুনাপাথরের রাসায়নিক নাম হলো ক্যালসিয়াম কার্বনেট।
১৯। চুনাপাথরের রাসায়নিক সংকেত লিখ।
উত্তর: চুনাপাথরের রাসায়নিক সংকেত হলো CaCO.
২১। ক্যালসিয়াম সালফাইটের সংকেত লেখ।
উত্তর: ক্যালসিয়াম সালফাইটের সংকেত হলো Caso.
২২। পটাশিয়াম নাইট্রাইট এর সংকেত লিখ।
উত্তর: পটাশিয়াম নাইট্রাইট এর সংকেত হলো KNO2.
২৩। সোডিয়াম কার্বনেটের সংকেত লিখ।
উত্তর: সোডিয়াম কার্বনেটের সংকেত হলো Na2CO3.
২৪। অ্যালুমিনিয়াম ফসফেটের সংকেত লিখ।
উত্তর: অ্যালুমিনিয়াম ফসফেটের সংকেত হলো AIPO.
২৫। নাইট্রোজেনের সংকেত লিখ।
উত্তর: নাইট্রোজেনের সংকেত হলো N2.
২৬। পরমাণুর কেন্দ্রে কী কী বিদ্যমান?
উত্তর: পরমাণুর কেন্দ্রে প্রোটন ও নিউট্রন বিদ্যমান।
২৭। পরমাণুর নিউক্লিয়াসের চারদিকে কী ঘূর্ণায়মান থাকে?
উত্তর: পরমাণুর নিউক্লিয়াসের চারদিকে ইলেকট্রন ঘূর্ণায়মান থাকে।
২৮। বেরিলিয়ামের প্রতীক কী?
উত্তর: বেরিলিয়ামের প্রতীক Bel.
২৯। লোহার ল্যাটিন নাম লিখ।
উত্তর: লোহার ল্যাটিন নাম হলো Ferrum.
৩০। পটাশিয়ামের ল্যাটিন নাম লিখ।
উত্তর: পটাশিয়ামের ল্যাটিন নাম হলো Kalium.
৩১। সোডিয়ামের ল্যাটিন নাম লিখ।
উত্তর: সোডিয়ামের ল্যাটিন নাম হলো Natrium.
৩২। সার্বজনীন দ্রাবক কাকে বলে?
উত্তর: যে দ্রাবক অধিংকাশ দ্রবকে দ্রবণে দ্রবীভূত করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে তাকে সার্বজনীন দ্রাবক বলে। এখন পর্যন্ত পানিই একমাত্র দ্রাবক যা অধিকাংশ দ্রবকে দ্রবণে দ্রবীভূত করতে পারে। তাই পানিকে সার্বজনীন দ্রাবক বলা হয়।
৩৩। গ্লুকোজের সংকেত লিখ।
উত্তর: গ্লুকোজের সংকেত হলো C6H12O6.
৩৪। ফিটিকিরি সংকেত লিখ।
উত্তর: ফিটিকিরি সংকেত হলো K2SO4.Al2 (SO4) 324H2O.
৩৫। ভিনিগারের রাসায়নিক নাম কী?
উত্তর: ভিনিগারের রাসায়নিক নাম হলো এসিটিক এসিড।
৩৬। খাবার সোডার সংকেত লিখ।
উত্তর: খাবার সোডার সংকেত হলো NaHCO.
৩৭। খাবার লবণের রাসায়নিক নাম কী ?
উত্তর: খাবার লবণের রাসায়নিক নাম সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl)।
৩৮। ১ টি জৈব দ্রাবকের নাম লিখ।
উত্তর: ১ টি জৈব দ্রাবকের উদাহরণ হলো স্পিরিট।
৩৯। চকের রাসায়নিক সংকেত কী ?
উত্তর: চকের রাসায়নিক সংকেত হলো CaCO.
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১। বায়ুকে মিশ্র পদার্থ বলা হয় কেন?
উত্তর: যে পদার্থে একের অধিক মৌলিক ও যৌগিক পদার্থ বিদ্যমান থাকে তাকে মিশ্র পদার্থ বলে। বায়ুতে নাইট্রোজেন , অক্সিজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড ও জলীয় বাষ্পসহ বিভিন্ন মৌলিক ও যৌগিক পদার্থ থাকে। বায়ু হতে এসব মৌলিক ও যৌগিক পদার্থকে সহজে পৃথক করা যায় । এজন্য বায়ুকে মিশ্র পদার্থ বলা হয়।
উত্তর: যে পদার্থে একের অধিক মৌলিক ও যৌগিক পদার্থ বিদ্যমান থাকে তাকে মিশ্র পদার্থ বলে। বায়ুতে নাইট্রোজেন , অক্সিজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড ও জলীয় বাষ্পসহ বিভিন্ন মৌলিক ও যৌগিক পদার্থ থাকে। বায়ু হতে এসব মৌলিক ও যৌগিক পদার্থকে সহজে পৃথক করা যায় । এজন্য বায়ুকে মিশ্র পদার্থ বলা হয়।
২। অণু ও পরমাণুর মধ্যে পার্থক্য লিখ।
উত্তর: অণু ও পরমাণুর মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ:
উত্তর: অণু ও পরমাণুর মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ:
সংঙ্গা: যৌগিক পদার্থের বৈশিষ্ট্য রক্ষাকারী ক্ষুদ্রতম কণা হলো অণু। অপরদিকে, মৌলিক পদার্থের বৈশিষ্ট্য রক্ষাকারী ক্ষুদ্রতম কণা হলো পরমাণু।
বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ: পরমাণু সরাসরি রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। আর, অণু সরাসরি রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে না।
স্বাধীনতা: অণু স্বাধীনভাবে থাকতে পারে। অম্যদিকে, পরমাণু স্বাধীন অবস্থায় থাকতে পারে না।
৩। NH3 কেন যৌগিক পদার্থ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: আমরা জানি, দুই বা ততোধিক মৌলিক পদার্থ মিলে যৌগিক পদার্থ উৎপন্ন করে। NH3 (অ্যামোনিয়া) পদার্থটি দুটি মৌলিক পদার্থ নাইট্রোজেন (N) ও হাইড্রোজেন (H) মিলে গঠিত । অর্থাৎ অ্যামোনিয়াকে বিশ্লেষণ করলেও দুটি মৌল নাইট্রোজেন ও হাইড্রোজেন পাওয়া যায়। সুতরাং NH3 (অ্যামোনিয়া) একটি যৌগিক পদার্থ।
উত্তর: আমরা জানি, দুই বা ততোধিক মৌলিক পদার্থ মিলে যৌগিক পদার্থ উৎপন্ন করে। NH3 (অ্যামোনিয়া) পদার্থটি দুটি মৌলিক পদার্থ নাইট্রোজেন (N) ও হাইড্রোজেন (H) মিলে গঠিত । অর্থাৎ অ্যামোনিয়াকে বিশ্লেষণ করলেও দুটি মৌল নাইট্রোজেন ও হাইড্রোজেন পাওয়া যায়। সুতরাং NH3 (অ্যামোনিয়া) একটি যৌগিক পদার্থ।
৪। H এবং H2 এর মধ্যে পার্থক্য লেখ।
উত্তর: নিচে H ও H2 এর মধ্যে পার্থক্য দেওয়া হলো-
প্রতীক ও সংকেত: H দ্বারা প্রতীক বুঝায়। আর, H2 দ্বারা হাইড্রোজেনের সংকেত বুঝায়।
পরমাণু ও অণু: H প্রতীক একটি পরমাণু নির্দেশ করে। অপরদিকে, H2 সংকেত একটি অণু নির্দেশ করে।
বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ: H রাসায়নিক বিক্রিয়ায় সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারে। অন্যদিকে, H2 সরাসরি রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে না ।
৫. কয়লা কেন মৌলিক পদার্থ? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: কয়লা হচ্ছে কার্বনের একটি রূপ। আর কার্বন একটি মৌলিক পদার্থ। যেহেতু কয়লা শুধু কার্বন দিয়ে তৈরি এবং কয়লাকে ভাঙলে বা বিশ্লেষণ করলে কার্বন ব্যতীত অন্য কোনো পদার্থ পাওয়া যায় না, তাই কয়লা একটি মৌলিক পদার্থ।
৬. পদার্থের ভিন্নতার কারণ কী?
উত্তর: পদার্থের ভিন্নতার কারণ হলো এদের গঠন। একেকটি পদার্থের গঠন একেক রকম বলেই তারা দেখতে ভিন্ন রকম এবং তাদের ধর্মও ভিন্ন রকম হয়।
৭. অক্সিজেন পরমাণুর গঠনটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : অক্সিজেন (O) পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা ৮। তাই এর ইলেকট্রন সংখ্যাও ৮ এবং নিউট্রন সংখ্যাও ৮। O পরমাণুটির কেন্দ্রে ৮ টি প্রোটন ও ৮ টি নিউট্রন থাকে আর বাইরে ৮ টি ইলেকট্রন ঘূর্ণায়মান থাকে।
৮. Na2SO4 সংকেতটির ২ টি তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর ।
উত্তর : Na2SO4 এর ২ টি তাৎপর্য হলো-
উত্তর : Na2SO4 এর ২ টি তাৎপর্য হলো-
i. Na2SO4 যৌগটি দ্বারা সোডিয়াম সালফেট নামক একটি লবণকে বুঝায়।
ii. Na2SO4 যৌগটিতে ২ টি সোডিয়াম (Na) পরমাণু , ১ টি সালফার (S) পরমাণু ও ৪ টি অক্সিজেন (O) পরমাণু রয়েছে।
ii. Na2SO4 যৌগটিতে ২ টি সোডিয়াম (Na) পরমাণু , ১ টি সালফার (S) পরমাণু ও ৪ টি অক্সিজেন (O) পরমাণু রয়েছে।
৯. O এবং O2 , এর মধ্যে ২ টি পার্থক্য কী?
উত্তর: O এবং O2 , এর মধ্যে ২ টি পার্থক্য নিচে দেখানো হলো-
পরমাণু ও অণু: O হচ্ছে অক্সিজেনের একটি পরমাণু। আর, 0₂ অক্সিজেনের একটি অণু যা দুটি পরমাণুর সমন্বয়ে গঠিত ।
বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ: O সরাসরি রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে। অপরদিকে, O2 সরাসরি রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে না।
১০. পরমাণুতে সমান সংখ্যক ইলেকট্রন ও প্রোটন থাকে কেন?
উত্তর: পরমাণু আধান নিরপেক্ষ। আমরা জানি, পরমাণুতে ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন থাকে। ইলেকট্রন ঋণাত্মক এবং প্রোটন ধনাত্মক আধান সম্পন্ন। অন্যদিকে নিউট্রন আধান নিরপেক্ষ। একটি পরমাণু তখনই আধান নিরপেক্ষ হবে যখন এতে সমান সংখ্যক ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আধান থাকবে। এজন্যই পরমাণুতে সমান সংখ্যক ইলেকট্রন ও প্রোটন থাকে।