ষষ্ঠ শ্রেণি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, পঞ্চম অধ্যায় (ইন্টারনেট পরিচিতি) || Class Six, ICT, Chapter 5 (Internet Contact)
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
১। সুইচ কী?
উত্তর: কাছাকাছি অবস্থিত একাধিক কম্পিউটারের মধ্যে নেটওয়ার্ক করার জন্য যে নেটওয়ার্ক ডিভাইস ব্যবহার করা হয় তাকে সুইচ বলে।
উত্তর: কাছাকাছি অবস্থিত একাধিক কম্পিউটারের মধ্যে নেটওয়ার্ক করার জন্য যে নেটওয়ার্ক ডিভাইস ব্যবহার করা হয় তাকে সুইচ বলে।
২। ইন্টারনেট ব্রাউজার কী?
উত্তর: ইন্টারনেটে ওয়েবসাইট দেখার জন্য যে বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় তাকে ইন্টারনেট ব্রাউজার বলে।
৩। গুগল আর্থ কী কাজে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: ইন্টারনেটে একটি এলাকার নিখুত ম্যাপ দেখার জন্য গুগল আর্থ ব্যবহৃত হয়।
৪। প্রথম ইন্টারনেট কত সালে কয়টি কম্পিউটার নিয়ে হয়েছিল?
উত্তর: ১৯৬৯ সালে চারটি কম্পিউটার নিয়ে।
৫। নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক কী?
উত্তর: কতকগুলো নেটওয়ার্ক একত্রে জুড়ে গঠিত হয় নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক।
৬। সুইচ ও রাউটারের মধ্যে পার্থক্য কী লেখ।
উত্তর: সুইচ হচ্ছে একাধিক কমিপউটারের মধ্যে নেটওয়ার্ক করতে ব্যবহার করা হয়। আর রাউটার হচ্ছে একাধিক নেটওয়ার্ক সিস্টেমের মধ্যে আবার নেটওয়ার্ক করতে ব্যবহার করা হয়।
৭। সার্চ ইঞ্জিন কী?
উত্তর: ইন্টারনেটে কোনো তথ্য খোঁজার জন্য যে বিশেষ এক ধরনের অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের সাহায্য নিতে হয় সেই সফটওয়্যারগুলোর নামই হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন।
বর্ণনামূলক প্রশ্ন:
১. ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ওয়েব ব্রাউজারের গুরুত্ব বর্ণনা কর।
উত্তর: ইন্টারনেট হলো তথ্যের বিশাল এক ভান্ডার এবং নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক। এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজের তথ্য অন্যের কাছে তুলে ধরার জন্য তৈরি ব্যবস্থাটি হলো ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইটে ঘুরে বেড়ানোর জন্য যে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় সেটা হলো ওয়েব ব্রাউজার। ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ঘুরে বেড়ানোকে ব্রাউজিং বলে। ব্রাউজারের মাধ্যমে ইন্টারনেটের পুরো জগৎকে উপভোগ করা যায়। ব্রাউজিং সফটওয়্যার ছাড়া ইন্টারনেটে ব্রাউজ করা যায় না। ব্রাউজারের মাধ্যমেই ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন তথ্য জানা যায়। তাই ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ওয়েব ব্রাউজারের গুরুত্ব অপরিসীম।
২. ওয়েবসাইট কী? ওয়েবসাইট সম্পর্কে লেখ।
উত্তর: ওয়েবসাইট বলতে এমন একটি ব্যবস্থাকে বুঝায় যেখানে ইন্টারনেটে নিজের তথ্য অন্যের সামনে তুলে ধরা হয়। কেউ যদি কারো কাছ থেকে তথ্য নিতে চায়, তাহলে তার ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখানে সব তথ্য সাজানো থাকে। যারা ওয়েবসাইট তৈরি করে তারা চেষ্টা করে যেন প্রয়োজনীয় সব তথ্য সেই ওয়েবসাইট থেকে সহজে নেয়া যায়। নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থাকে। প্রত্যেক ওয়েবসাইটের একটা সহজ নাম থাকে। যেটা দিয়ে ওয়েবসাইটটি সহজে খুঁজে বের করা যায়।
৩. নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের ঠিকানা জানা না থাকলে কোন পদ্ধতির মাধ্যমে তা খুঁজে পাওয়া যায় এবং কিভাবে?
উত্তর: বিভিন্ন তথ্যসমূহ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেটে উপস্থাপন করা হয়। আর ওয়েবসাইট সহজে খুঁজে পেতে বিশেষ ধরনের অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। আর তা হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন। আমরা যদি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের ঠিকানাটা না জানি তবে সার্চ ইঞ্জিনে কাঙ্ক্ষিত তথ্যের বিষয়বস্তু লিখে সার্চ দিয়ে এই বিষয়বস্তু সম্পর্কিত বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ঠিকানা পাবো। সেখান থেকে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত ওয়েবসাইটটি বেছে নেব।
৪. সার্চ ইঞ্জিন কী? এর কাজ বর্ণনা কর।
উত্তর: ইন্টারনেটে কোনো তথ্য খোঁজার জন্য যে বিশেষ এক ধরনের অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের সাহায্য নিতে হয় সেই সফটওয়্যারগুলোর নামই হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন। সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ দিয়ে আমরা বিভিন্ন তথ্য জানতে পারি। যদি আমরা কোনো ওয়েবসাইটের নাম নাও জানি তবুও সার্চ ইঞ্জিনের সাহায্যে আমরা সেই ওয়েবসাইট খুঁজে বের করতে পারি। সার্চ ইঞ্জিনের প্রধান কাজ মূলত কোনো কিছু খুঁজে বের করা।
৫. ওয়েবব্রাউজার বলতে কী বোঝ? কয়েকটি জনপ্রিয় ওয়েবব্রাউজারের নাম লেখো।
উত্তর: ওয়েব ব্রাউজার হলো একটি বিশেষ অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার। এটি ইন্টারনেটে ওয়েবসাইট দেখার জন্য দরকার হয়। ইন্টারনেটকে যদি একটি কাল্পনিক জগতের সাথে তুলনা করি, ওয়েবসাইটগুলো তবে সেই কাল্পনিক জগতের তথ্য ভাণ্ডারের ঠিকানা। ইংরেজিতে যাকে বলে ব্রাউজিং। তাই ওয়েবসাইট দেখার জন্যে ঐ বিশেষ অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওয়েব ব্রাউজার’। এ সময়ের জনপ্রিয় কিছু ওয়েব ব্রাউজার হচ্ছে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, মজিলা ফায়ারফক্স, গুগল ক্রোম, অপেরা, সাফারি ইত্যাদি।
৬. কোনো তথ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে খুঁজে পেতে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারের সুবিধা উল্লেখ কর।
উত্তর: ইন্টারনেট হলো লক্ষ কোটি কম্পিউটারের নেটওয়ার্ক। এখানে আছে লক্ষ কোটি কম্পিউটার এবং হাজার হাজার ওয়েসবসাইট। ইন্টারনেটে নিজে নিজে তথ্য খুঁজতে গেলে আমরা অনেক সময় ক্লান্ত হয়ে যাব। এ কারণে যখন আমাদের কোনো তথ্য খোঁজার দরকার হয় তখন আমরা সার্চ ইঞ্জিনের সাহায্য নেই। সার্চ ইঞ্জিন আমাদের কাঙ্ক্ষিত তথ্য বহনকারী ওয়েবসাইটগুলোর তালিকা আমাদের সামনে উপস্থাপন করে। ফলে আমরা সহজে ইন্টারনেট তথ্য খুঁজে পেতে পারি।
৭. সার্চ ইঞ্জিনের ব্যবহার পদ্ধতি উল্লেখ কর।
উত্তর: সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করা খুবই সহজ। প্রথমেই ব্রাউজার ওপেন করে সেটার অ্যাড্রেসবারে যে সার্চ ইঞ্জিনটি ব্যবহার করা হবে তার ঠিকানাটি লিখতে হয়। এরপর Enter চাপ দিলে সার্চ ইঞ্জিনটি চলে আসে। সব সার্চ ইঞ্জিনেই যেটা খোঁজা হবে সেটা লেখার জন্য একটা জায়গা থাকে। সেখানে কাঙ্ক্ষিত বিষয়বস্তুর নামটি লিখতে হবে। তারপর Enter চাপ দিলেই যে যে ওয়েবসাইটে সেই কাঙ্ক্ষিক বিষয়টি থাকতে পারে তার একটা বিশাল তালিকা চলে আসবে। এরপর ঐ তালিকার ওয়েবসাইটগুলোতে ব্রাউজ করে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারব।
৮। শিক্ষার ব্যাপারে ইন্টারনেটকে কীভাবে কাজে লাগানো যায় তার একটি তালিকা তৈরি কর।
উত্তর: শিক্ষার বিভিন্ন ব্যাপারে ইন্টারনেট ব্যবহার করার একটি তালিকা এখানে উল্লেখ করা হল-
ক. ইন্টারনেট থেকে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য নামিয়ে আনা যায়।
খ. টেক্সট বই ডাউনলোড করে পড়া যায়।
গ. সরাসরি ইন্টারনেটেই অনেক বিষয় পড়া যায়।
ঘ. ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষা উপকরণ সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া যেতে পারে।
ঙ. ইন্টারনেটে বসে পরীক্ষা দেওয়া যায়।
খ. টেক্সট বই ডাউনলোড করে পড়া যায়।
গ. সরাসরি ইন্টারনেটেই অনেক বিষয় পড়া যায়।
ঘ. ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষা উপকরণ সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া যেতে পারে।
ঙ. ইন্টারনেটে বসে পরীক্ষা দেওয়া যায়।
৯। স্বাস্থ্যের ব্যাপারে ইন্টারনেটকে কীভাবে কাজে লাগানো যায় তার একটি তালিকা তৈরি কর।
উত্তর: স্বাস্থ্যের ব্যাপারে ইন্টারনেট আমাদের অনেক কাজে আসতে পারে। নিচে লেখা হলো-
ক. ইন্টারনেটের মাধ্যমে দূরবর্তী স্থানে ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যবহার করে রোগী দেখা যায়, যাকে টেলিমেডিসিন বলে।
খ. নতুন কোন রোগ শোক এর প্রকোপ দেখা দিলে দ্রুত ইন্টারনেটের মাধ্যমে তা সবাইকে সচিত্র প্রতিবেদন হিসাবে জানিয়ে দেওয়া যায়।
গ. ইন্টারনেটে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে তথ্য গ্রহণ করা যায়। এভাবে আমরা ইন্টারনেটকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগাতে পারি।
খ. নতুন কোন রোগ শোক এর প্রকোপ দেখা দিলে দ্রুত ইন্টারনেটের মাধ্যমে তা সবাইকে সচিত্র প্রতিবেদন হিসাবে জানিয়ে দেওয়া যায়।
গ. ইন্টারনেটে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে তথ্য গ্রহণ করা যায়। এভাবে আমরা ইন্টারনেটকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগাতে পারি।
১০। খেলাধুলার ব্যাপারে ইন্টারনেটকে কীভাবে কাজে লাগানো যায় তার একটি তালিকা তৈরি কর।
উত্তর: ইন্টারনেটে খেলাধুলার সকল তথ্য থাকে। নিচে ইন্টারনেটকে কিভাবে কাজে লাগানো যায় তার একটি তালিকা দেওয়া হলো-
উত্তর: ইন্টারনেটে খেলাধুলার সকল তথ্য থাকে। নিচে ইন্টারনেটকে কিভাবে কাজে লাগানো যায় তার একটি তালিকা দেওয়া হলো-
ক. ইন্টারনেটে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে খেলাধুলার উপর বিভিন্ন সংবাদ পাওয়া যায়।
খ. বিভিন্ন ক্ষেত্রে লাইভ খেলা বা খেলার আপডেট ইন্টারনেট থেকে পাওয়া যায়।
গ. বিভিন্ন খেলা সম্পর্কে জানার জন্য বা খেলার বিভিন্ন নিয়মকানুন ইত্যাদি জানার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করে খোঁজাখুঁজি করা যায়।
১১। বিনোদনের ব্যাপারে ইন্টারনেট কিভাবে কাজে লাগানো যায় তার একটি তালিকা তৈরি কর।
উত্তর: বিনোদনে ইন্টারনেটের ব্যবহার নিচে তালিকা আকারে দেয়া হলো-
ক. বিনোদনের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সবথেকে বড় মাধ্যম। ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিনোদনের অনেক তথ্য পাওয়া যায়।
খ. বর্তমানে বিনোদনের ক্ষেত্রে সকল তথ্য সবার আগে ইন্টারনেটে প্রকাশিত হয়।
গ. বর্তমানে ইন্টারনেটে বিভিন্ন গান, চলচ্চিত্র ইত্যাদি রাখা থাকে। ইন্টারনেট থেকে তাদের ডাউনলোড করা যায়।
ঘ. ইন্টারনেট টিভি নামে অতি সম্প্রতি যে সুবিধাটি এসেছে তার মাধ্যমে ইন্টারনেটে টেলিভিশনের মতো টিভি দেখা যায়।
ঙ. এছাড়া ইন্টারনেট বর্তমান বিশ্বে সবথেকে বড় সংবাদ মাধ্যম। যারা দেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে থাকেন তারা ইন্টারনেটে বসে দেশের পত্রিকা পড়তে পারেন।
১২। তোমাদের স্কুলের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে তাতে কি কি ধরনের তথ্য থাকতে হবে?
উত্তর: একটি স্কুলের ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে ওয়েবসাইটে যেসকল তথ্য থাকতে হবে তার একটি তালিকা এখানে দেওয়া হল-
ক. স্কুলের একটি সুন্দর ছবি ওয়েবসাইটটির প্রথম পৃষ্ঠায় দিলে ভালো হয়। স্কুলের ঠিকানা ও যোগাযোগের নম্বর থাকতে হবে।
খ. বিভিন্ন পরীক্ষায় স্কুলের রেজাল্ট থাকতে হবে। যারা পরীক্ষায় ভালো করেছে তাদের ছবি থাকতে পারে।
গ. স্কুলের শিক্ষক - শিক্ষিকা মণ্ডলীর তথ্য ও ছবি থাকতে পারে। ঘ. স্কুলের বিভিন্ন বিষয়ে যেমন ভর্তি পরীক্ষার ফরম, ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি, অন্যান্য পরীক্ষার সময়সূচি ইত্যাদি থাকতে পারে।
ঙ. স্কুলের অতিরিক্ত বিভিন্ন কার্যক্রম যাকে কো - কারিকুলাম এক্টিভিটিস বলে। যেমন— স্পোর্টস্ , বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ইত্যাদির উপর চিত্র ও তথ্য থাকতে পারে।
