ষষ্ঠ শ্রেণি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, প্রথম অধ্যায় (প্রাত্যহিক জীবনে তথ্য ও প্রযুক্তি) || Class Six, ICT, Chapter 1
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
১। গ্লোবাল ভিলেজ কী?
উত্তর: গ্লোবাল ভিলেজ হচ্ছে এমন একটি শব্দ যেটি দ্বারা পুরো পৃথিবীটাকেই একটি গ্রামের সাথে তুলনা করা হয়েছে। একটি গ্রামে যেরকম একজন মানুষ আরেকজনের সাথে যখন খুশি যোগাযোগ করতে পারে ঠিক সেরকম গ্লোবাল ভিলেজে পুরো পৃথিবীটাই যেন একটি গ্রাম , সবাই সবার সাথে যোগাযোগ করতে পারে।
উত্তর: গ্লোবাল ভিলেজ হচ্ছে এমন একটি শব্দ যেটি দ্বারা পুরো পৃথিবীটাকেই একটি গ্রামের সাথে তুলনা করা হয়েছে। একটি গ্রামে যেরকম একজন মানুষ আরেকজনের সাথে যখন খুশি যোগাযোগ করতে পারে ঠিক সেরকম গ্লোবাল ভিলেজে পুরো পৃথিবীটাই যেন একটি গ্রাম , সবাই সবার সাথে যোগাযোগ করতে পারে।
২। ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স কী?
উত্তর: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে বাস্তবে রূপদান করার জন্য যেসব যন্ত্রপাতি বা ডিভাইস ব্যবহার করা হয় তাদেরকে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স বলা হয়।
৩। টেলিমেডিসিন কী?
উত্তর: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাহায্যে দূরবর্তী স্থানে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেয়ার একটি মাধ্যম হল টেলিমেডিসিন।
৪। জিনোম কী?
উত্তর: উদ্ভিদ ও প্রাণী , প্রতিটি জীবের শরীর ক্ষুদ্রতম যে আনবিক পর্যায় থেকে গড়ে ওঠে তাকে জিন বলে। এই জিন নিয়ে যে গবেষণা তাকেই জিনোম গবেষণা বলা হয়।
৫। ATM কী?
উত্তর: ATM-এর পূর্ণরূপ Automated Teller Machine যা ব্যাংকিং সার্ভিসে ব্যবহৃত এক ধরনের মেশিন । এর মাধ্যমে ব্যাংক কার্ড দিয়ে দিন রাত চব্বিশ ঘণ্টার যেকোনো সময় টাকা তোলা যায়।
৬. ই-কমার্স কী?
উত্তর: সাধারণত দোকানপাটে যেরকম বেচাকেনা হয়-ইন্টারনেট ব্যবহার করে সেরকম বেচাকেনা করাকে ই-কমার্স বলে।
৭. ইনফরমেশন সুপার হাইওয়ে কী?
উত্তর: বাস, ট্রাক ইত্যাদি চালানোর জন্য যে রকম রাস্তা বা হাইওয়ে তৈরি করতে হয় ঠিক সে রকম পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে তথ্য দেওয়া নেওয়া করার জন্য যে রাস্তা বা হাইওয়ে তৈরি করা হয় তাকে ইনফরমেশন সুপার হাইওয়ে বলে।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
১. প্রসেসরের উপর ফ্যান লাগানোর প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: প্রসেসর প্রতি মুহূর্তে লক্ষ কোটি হিসাব-নিকাশ করে বলে প্রসেসরের মধ্যে দিয়ে অনেক বিদ্যুৎ প্রাবহিত হয়। ফলে প্রসেসর এত গরম হয়ে ওঠে যে তাকে আলাদাভাবে ফ্যান দিয়ে ঠাণ্ডা না করলে সেটা জ্বলে পুড়ে যেতে পারে। তাই প্রসেসরের উপরে ফ্যান লাগানো থাকে।
২. প্রসেসরকে কম্পিউটারের ব্রেইন বলা হয় কেন?
উত্তর: কম্পিউটারের কেন্দ্রীয় বা মূল অংশ হলো প্রসেসর। কখন কী করতে হবে, কীভাবে করতে হবে, কোন কাজটি আগে বা পরে করতে হবে ইত্যাদি নির্দেশ প্রসেসর কম্পিউটারকে দিয়ে থাকে। কম্পিউটারের প্রসেসর মেমোরি থেকে তথ্য দেওয়া-নেওয়া করে এবং সেগুলো প্রক্রিয়া করে। এটি প্রতি মুহূর্তে অসংখ্য হিসাব-নিকাশ করে থাকে। প্রসেসর হচ্ছে কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি কম্পিউটারের পরিচালক হিসেবে কাজ করে থাকে। তাই প্রসেসরকে কম্পিউটারের ব্রেইন বলা হয়।
৩. মাদারবোর্ড সম্পর্কে লেখ।
উত্তর: আমরা যদি একটা কম্পিউটারকে খুলে ফেলি তাহলে সাধারণত একটা বোর্ডকে দেখতে পাব যেখানে অসংখ্য ইলেকট্রনিক্স খুঁটিনাটি লাগানো আছে। এই বোর্ডটার নাম মাদারবোর্ড এবং এটি কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোর মধ্যে অন্যতম। মা যেভাবে সবাইকে বুকে আগলে রাখে, এই বোর্ডটাও কম্পিউটারের সবকিছু সেভাবে বুকে আগলে রাখে। তাই এর নাম দেওয়া হয়েছে মাদারবোর্ড। মাদারবোর্ডের সবগুলো ডিভাইসের মাঝে একটা বেশ বড় ডিভাইস থাকে। সেটি হচ্ছে প্রসেসর। প্রসেসর ছাড়াও র্যাম, বিভিন্ন ডিস্ক ড্রাইভ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কার্ড মাদারবোর্ডের সাথে যুক্ত থাকে।
৪. ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে?
উত্তর: যে ডিভাইসগুলো দিয়ে কম্পিউটারে ইনপুট দেওয়া হয় তাদেরকে ইনপুট ডিভাইস বলে। যেমন : কী-বোর্ড, মাউস, স্ক্যানার ইত্যাদি। আর যে সমস্ত ডিভাইসগুলো কম্পিউটারের কাজ শেষ হলে তার ফলাফল প্রদর্শন করে তাদেরকে আউটপুট ডিভাইস বলে। যেমন: মনিটর, প্রিন্টার ইত্যাদি।
৫. গ্লোবাল ভিলেজ বলতে কী বোঝ?
উত্তর: একটা গ্রামে যে রকম একজন মানুষ আরেকজনের সাথে যখন খুশি যোগাযোগ করতে পারে, ঠিক সে রকম তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষের ফলে পুরো পৃথিবীটাই যেন একটা গ্রামে পরিণত হয়েছে। সবাই সবার সাথে যখন খুশি যোগাযোগ করতে পারছে। আর এটা বোঝাবার জন্যেই নতুন একটি শব্দের জন্ম হয়েছে আর তা হলো গ্লোবাল ভিলেজ বা বৈশ্বিক গ্রাম। সত্যিকার অর্থেই আমরা এখন বৈশ্বিক গ্রাম বা গ্লোবাল ভিলেজে বসবাস করছি। কারণ তথ্য ও যোগাযোগে প্রযুক্তি সব মানুষকে বাস্তবে না হলেও ‘কার্যত’ (Virtually) কাছাকাছি নিয়ে এসেছে।
৬. “বাস্তবে পাশাপাশি না থাকলেও কার্যত আমরা সবাই পাশাপাশি”— কথাটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ভার্চুয়ালী পাশাপাশি বলতে আমরা বুঝি সার্বক্ষণিক একজন অন্যজনের সাথে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্সের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারা। তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষের কল্যাণে পৃথিবী যেন আমাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। সমগ্র পৃথিবীটা এখন আমাদের কাছে একটি গ্রামের মতো পরিণত হয়েছে। একটি গ্রামে একজন মানুষ যে রকম অন্যজনের সাথে যখন খুশি যোগাযোগ করতে পারে, ঠিক সেরকম তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে ভার্চুয়ালী জগতের মাধ্যমে পৃথিবীটাও আমাদের কাছে একটি গ্রামের মতো হয়ে উঠেছে। এখন চোখের পলকে মানুষ এক দেশ থেকে আরেক দেশে চিঠি পাঠাতে পারে। চিঠির সাথে ছবি, কথা, ভিডিও সবকিছু পাঠানো সম্ভব। ফলে যোগাযোগ অনেক সহজ হয়েছে। আর এই গ্রামে বাস্তবে পাশাপাশি না হলেও ‘কার্যত’ এখন আমরা সবাই পাশাপাশি।
৭. বর্তমান যুগকে ডিজিটাল যুগ বলা হয় কেন?
উত্তর: বর্তমানে প্রযুক্তি সকল মানুষের হাতে পৌছে গেছে। সর্বস্তরের মানুষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে উপকৃত হচ্ছে। আমাদের দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমেই বেড়ে চলছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি, অপটিক্যাল ফাইবার, ইন্টারনেট ইত্যাদি যোগাযোগ ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়েছে বহুদূর। এতে করে যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সকল ক্ষেত্রে কাজের গতি যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিক তেমনি সকল ক্ষেত্রের কাজগুলো এখন আগের তুলনায় অনেক সহজ হয়ে গেছে। বিশেষ করে এখন শিক্ষা ব্যবস্থায় তথ্য প্রযুক্তির প্রভাব লক্ষ করার মতো। এছাড়া ব্যবসা বাণিজ্য, ব্যাংক-বিমা, সরকারি ও আধা সরকারি সব অফিসেই তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। সারা পৃথিবীটাই মানুষের হাতের মুঠোয় চলে আসতে শুরু করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির জন্য। এসব কারণে বর্তমান যুগকে বলা হচ্ছে ডিজিটাল যুগ।
উত্তর: তথ্যের ক্ষুদ্রতম যে অংশ সরাসরি প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহৃত হয় এবং যার নিজস্ব অর্থ ব্যবহারকারীর কোন কাজে আসে না, তাকেই উপাত্ত বলে। যেমন, একজনকে যদি শুধু উপাত্ত দিয়ে আর কিছু বলে দেওয়া না হয় তাহলে সেই উপাত্তগুলোর কোন অর্থ নেই।
৯. জ্ঞান কী?
উত্তর: উপাত্তের সাথে ঘটনা বা প্রেক্ষাপট বা পরিস্থিতি মিলে তথ্য বা Information হয়ে যায়। তথ্য আমরা ব্যবহার করতে পারি। তথ্যকে বিশ্লেষণ করা হলে সেখান থেকে জ্ঞান বের হয়ে আসে।
১০. ই-বুক কী ?
উত্তর: ই-বুক একটি ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র, যেখানে কয়েক হাজার পর্যন্ত বই রাখা যায়। পাঠ্যপুস্তক থেকে শুরু করে সকল ধরনের বই। বইয়ের পাতা উল্টিয়ে আমরা যেমন বই পড়ি ই-বুকেও তেমনি বই পড়া যায়।
১১. কম্পিউটার গেম খেলার পক্ষে যুক্তি লিখ।
উত্তর: কম্পিউটার গেম খেলার পক্ষে যুক্তি নিচে দেয়া হলো অল্প জায়গায় বসে খেলা যায়:
১. ছেলে মেয়েরা খেলার প্রতি আকর্ষণ বোধ করে।
২. শিক্ষনীয় গেম খেলে ভালো কিছু শেখা যায়।
৩.দীর্ঘ সময় খেলা যায়।
৪. দ্রুত ক্লান্তি বোধ করে না।
৫. আঘাত পাওয়া বা দুর্ঘটনার কিছু থাকে না।
২. শিক্ষনীয় গেম খেলে ভালো কিছু শেখা যায়।
৩.দীর্ঘ সময় খেলা যায়।
৪. দ্রুত ক্লান্তি বোধ করে না।
৫. আঘাত পাওয়া বা দুর্ঘটনার কিছু থাকে না।
১২. কম্পিউটার গেম খেলার বিপক্ষে যুক্তি লিখ।
উত্তর: কম্পিউটারে গেম খেলার বিপক্ষে যুক্তি নিচে দেয়া হলো : অতিরিক্ত মাত্রায় গেম খেললে নিচের ক্ষতিগুলো হতে পারে -
১. চোখের ক্ষতি হতে পারে।
২. শারীরিক ক্ষতি হতে পারে।
৩. মানসিক ক্ষতি হতে পারে।
৪. লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগ কমে যেতে পারে।
৫. ভালো গেমের মতো অনেক খারাপ গেমও আছে যেগুলো ছেলেমেয়েদের ক্ষতি করে।
২. শারীরিক ক্ষতি হতে পারে।
৩. মানসিক ক্ষতি হতে পারে।
৪. লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগ কমে যেতে পারে।
৫. ভালো গেমের মতো অনেক খারাপ গেমও আছে যেগুলো ছেলেমেয়েদের ক্ষতি করে।
