সপ্তম শ্রেণি, বিজ্ঞান, সপ্তম অধ্যায় (শক্তির ব্যবহার) || Class Seven, Science, Chapter 7 (Use of energy)
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন:
১। কাজ কী?
উত্তর: কোনো বস্তুর ওপর বল প্রয়োগ করে বস্তুটিকে বলের দিকে স্থান পরিবর্তনের প্রক্রিয়াই কাজ।
২। বায়োগ্যাস কী?
উত্তর: গরু, ছাগল, ঘোড়া ও মহিষের বিষ্ঠার সাথে কিছু কিছু পড়া গাছ - পালা ও লতা - পাতা মিশিয়ে পচিয়ে যে গ্যাস উৎপন্ন করে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় তাই বায়োগ্যাস।
৩। ক্ষমতা কী?
উত্তর: কাজ করার হারকে ক্ষমতা বলে।
৪। শক্তি কী?
উত্তর: কাজ করার সামর্থ্যই হলো শক্তি।
৫। শক্তির সংরক্ষণশীলতা কী?
উত্তর: শক্তি অবিনশ্বর, অর্থাৎ শক্তিকে সৃষ্টি বা ধ্বংস করা যায় না। শক্তি কেবল এক রূপ থেকে অন্য রূপে রূপান্তরিত হয়। রূপান্তরের পূর্বে ও পরে মোট শক্তির পরিমাণ সমান থাকে। এটাই হলো শক্তির নিত্যতা বা সংরক্ষণশীলতা।
৬। ক্ষমতার একক কী?
উত্তর: ক্ষমতার একক Joule/second বা watt.
৭। বিজ্ঞানের ভাষায় কাজ কী?
উত্তর: বিজ্ঞানের ভাষায় কাজ হলো বল ও বস্তু কর্তৃক বলের দিকে অতিক্রান্ত দূরত্বের গুণফল।
৮। ক্ষমতা নির্ণয়ের সূত্রটি লিখ।
উত্তর: ক্ষমতা নির্ণয়ের সূত্রটি হলো— ক্ষমতা = মোট কাজ ÷ সময়।
৯। শক্তির রূপ কয়টি?
উত্তর: শক্তির রূপ আটটি।
১০। কাজের সাথে সম্পর্কিত বিষয় দুটি কী?
উত্তর: কাজের সাথে সম্পর্কিত বিষয় দুটি হলো বল ও সরণ।
১১। সৌর শক্তি কী?
উত্তর: সূর্য থেকে যে শক্তি পাওয়া যায় তাই সৌর শক্তি।
১২। শক্তির রূপান্তর কী?
উত্তর: শক্তিকে এক রূপ থেকে অন্য রূপে পরিবর্তন করাকেই শক্তির রূপান্তর বলা হয়।
১৩। উইন্ডমিল কী?
উত্তর: পৃথিবীর বহু অঞ্চলের মানুষ বাতাসকে কাজে লাগিয়ে কুয়া থেকে পানি তোলা, কৃষিসেচ, যব অথবা গম ভাঙ্গানো, আখ মাড়াই, ধান কাটা, খড় কাটা কিংবা চেরাইয়ের কাজে বড় বড় চক্রাকার এক ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করতো যা বর্তমানে উইন্ডমিল নামে পরিচিত।
১৪। গ্লোবাল ওয়ার্মিং কাকে বলে?
উত্তর: অনবায়নযোগ্য জ্বালানির দহনে কার্বন ডাইঅক্সাইড বাতাসে ছড়ায় ফলে পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। একে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বলে।
১৫। জীবাশ্ম জ্বালানি কী?
উত্তর: কয়লা, খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি শক্তির অতি পরিচিত উৎস এগুলোকই জীবাশ্ম জ্বালানি বলা হয়।
১৬। অনবায়নযোগ্য শক্তি কাকে বলে?
উত্তর: যে শক্তিকে একবার ব্যবহার করলে পুনরায় ব্যবহারের উপযোগিতা হারায় তাে যোগ্য শক্তি বলে।
১৭। কাজের একক কী?
উত্তর: কাজের একক হলো জুল।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১। সৌরশক্তিকে নবায়নযোগ্য শক্তি বলা হয় কেন?
উত্তর: নবায়নযোগ্য কথাটির অর্থ হচ্ছে যা কিছু নবায়ন করা যায়। নবায়নযোগ্য শক্তি বলতে এমন ধরনের শক্তি বুঝায়, যা নিঃশেষ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বরং বারবার ব্যবহার উপযোগী করে তোলা যায়। সৌরশক্তি এক ধরনের নবায়নযোগ্য শক্তি কারণ এ শক্তির নিঃশেষ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
উত্তর: নবায়নযোগ্য কথাটির অর্থ হচ্ছে যা কিছু নবায়ন করা যায়। নবায়নযোগ্য শক্তি বলতে এমন ধরনের শক্তি বুঝায়, যা নিঃশেষ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বরং বারবার ব্যবহার উপযোগী করে তোলা যায়। সৌরশক্তি এক ধরনের নবায়নযোগ্য শক্তি কারণ এ শক্তির নিঃশেষ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
২। ‘এক ব্যক্তি একটি বিশাল ভবনকে ধাক্কা দিচ্ছে'- এতে কোনো কাজ হবে কিনা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: আমরা জানি , কাজ = বল x সরণ। এখন কোনো ব্যক্তি একটি বিশাল ভবনকে ধাক্কা দিলে ভবনের উপর বল প্রয়োগ হয়। কিন্তু এতে ভবনের কোনো সরণ ঘটে না। সরণ না ঘটায় এক্ষেত্রে কোনো কাজ হবে না।
উত্তর: আমরা জানি , কাজ = বল x সরণ। এখন কোনো ব্যক্তি একটি বিশাল ভবনকে ধাক্কা দিলে ভবনের উপর বল প্রয়োগ হয়। কিন্তু এতে ভবনের কোনো সরণ ঘটে না। সরণ না ঘটায় এক্ষেত্রে কোনো কাজ হবে না।
৩। কাজ ও ক্ষমতার মধ্যে অমিল বা পার্থক্য লিখ।
উত্তর: নিচে কাজ ও ক্ষমতার মধ্যে পার্থক্য হলো-
সংঙ্গা: কাজ হলো বল ও বস্তুর সরণের গুণফল। অপরদিকে, ক্ষমতা হলো প্রতি সেকেন্ডে সম্পন্ন কাজ অর্থাৎ কাজের হার।
একক: কাজের একক জুল। আর, ক্ষমতার একক জুল / সেকেন্ড বা ওয়াট।
৪। বায়োগ্যাস উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: প্রাকৃতিক গ্যাসের পরিমাণ সীমিত এবং একে একস্থান থেকে অন্যস্থানে সরবরাহ করতে প্রচুর খরচ হয়। অপরদিকে বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরি করা খুবই সহজসাধ্য ব্যাপার। বায়োগ্যাসের উপাদানগুলোও খুবই সহজলভ্য। এ গ্যাস প্রাকৃতিক গ্যাসের তুলনায় পরিবেশ বান্ধব। তাই ভবিষ্যৎ সংকট মোকাবেলায় বায়োগ্যাসের উৎপাদন খুবই জরুরি বিষয়।
উত্তর: প্রাকৃতিক গ্যাসের পরিমাণ সীমিত এবং একে একস্থান থেকে অন্যস্থানে সরবরাহ করতে প্রচুর খরচ হয়। অপরদিকে বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরি করা খুবই সহজসাধ্য ব্যাপার। বায়োগ্যাসের উপাদানগুলোও খুবই সহজলভ্য। এ গ্যাস প্রাকৃতিক গ্যাসের তুলনায় পরিবেশ বান্ধব। তাই ভবিষ্যৎ সংকট মোকাবেলায় বায়োগ্যাসের উৎপাদন খুবই জরুরি বিষয়।
৫। রাসায়নিক শক্তি বলতে কী বুঝ?
উত্তর: খাদ্যে বা জ্বালানিতে যে শক্তি জমা থাকে তাকে রাসায়নিক শক্তি বলে। আমাদের দেহ খাদ্য থেকেই এ শক্তি পায়। কাঠ, কয়লা, গ্যাস, পেট্রোল প্রত্যেকেরই রাসায়নিক শক্তি আছে।
৬। শক্তির অপচয় বলতে কী বুঝ?
উত্তর: শক্তি এক রূপ থেকে অন্য রূপে রূপান্তরিত হওয়ার সময় এর সামান্য কিছু অংশ এমনভাবে রূপান্তরিত হয়, যা কোনো কাজে আসে না। শক্তির এ অকার্যকর রূপান্তরকে শক্তির অপচয় বলে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যখন বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলে তখন বিদ্যুৎ শক্তি আলোক শক্তিতে রূপান্তরিত হয় যা আমাদের কাজে লাগে। পাশাপাশি বৈদ্যুতিক শক্তির কিছু অংশ তাপ শক্তি রূপান্তরিত হয়, যা বৈদ্যুতিক বাতিকে গরম করে। কিন্তু তা আমাদের কোনো কাজে আসে না। এটিই শক্তির অপচয়।