সপ্তম শ্রেণি, বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় (শ্বসন) || Class Seven, Science Chapter 4 (Respiration)
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন:
১। প্লুরা কী?
উত্তর : ফুসফুসের চারদিকে একটি পাতলা , স্বচ্ছ , দ্বিস্তরবিশিষ্ট আবরণ থাকে , এটিই প্লুরা।
২। ভোকাল কর্ড কী?
উত্তর: স্বরযন্ত্রে স্বর সৃষ্টিকারী স্বররজ্জুই হলো ডোকাল কর্ড।
৩। স্বরযন্ত্র কী?
উত্তর: গলবিল ও শ্বাসনালীর সংযোগস্থলকে স্বরযন্ত্র বলে। স্বরযন্ত্রে স্বর সৃষ্টিকারী ভোকালকর্ড থাকে।
৪। বহিঃশ্বসন কী?
উত্তর: যে প্রক্রিয়ায় ফুসফুসের মধ্যে গ্যাসীয় আদান - প্রদান ঘটে তাকে বহিঃশ্বসন বলে।
৫। যক্ষ্মা প্রতিষেধক টিকার নাম কী?
উত্তর: যক্ষ্মা প্রতিষেধক টিকার নাম হলো বি.সি.জি।
৬। ফুসফুস আবৃতকারী পর্দার নাম কী?
উত্তর: ফুসফুস আবৃতকারী পর্দার নাম প্লুরা।
৭। দহন প্রক্রিয়া কী?
উত্তর: অক্সিজেন দ্বারা খাদ্য জারিত হয়ে শক্তি নির্গত হওয়াই দহন প্রক্রিয়া।
৮। শ্বসন প্রক্রিয়া কত প্রকার?
উত্তর: শ্বসন প্রক্রিয়াকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- বহিঃশ্বসন ও অন্তঃশ্বসন।
৯। স্টোমাটা কী?
উত্তর: স্টোমাটা হলো পাতায় অবস্থিত এক প্রকার ছিদ্র পথ।
১০। ফুসফুস কী?
উত্তর: বক্ষগহ্বরের ভেতর স্পঞ্জের মতো নরম ও কোমল অংশকে ফুসফুস বলে।
১১। স্বরযন্ত্র কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: গলবিল ও শ্বাসনালীর সংযোগস্থলে স্বরযন্ত্র অবস্থিত।
১২। শ্বাসক্রিয়া কী?
উত্তর: অবিরত অক্সিজেন নেওয়া এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড পরিত্যাগ করাই হলো শ্বাসক্রিয়া।
১৩। যক্ষ্মা কী ?
উত্তর: যক্ষ্মা একটি অতি পরিচিত সংক্রামক রোগ।
১৪। রক্ষী কোষ কী ?
উত্তর: পত্ররন্ধ্রের যে কোষগুলো সাহায্য করে তাকে রক্ষীকোষ বলে। পত্ররন্দ্রকে খোলা বা বন্ধ রাখতে সাহায্য করে।
১৫। বায়ুথলি কী দ্বারা গঠিত ?.
উত্তর: বায়ুথলি পাতলা এ্যাপিথেলিয়াল কোষ দ্বারা গঠিত।
১৬। ফুসফুস কোথায় অবস্থিত ?
উত্তর: বক্ষ গহ্বরের ভেতর দুটি ফুসফুস হৃৎপিণ্ডের দুই পাশে অবস্থিত।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১। জীবের জন্য শ্বসন প্রয়োজনীয় কেন ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: জীবের জন্য শ্বসনের প্রয়োজনীয়তা নিম্নরূপ-
উত্তর: জীবের জন্য শ্বসনের প্রয়োজনীয়তা নিম্নরূপ-
১. জীবের দেহে শক্তি সরবরাহ করতে,
২ : খাদ্য প্রস্তুত করতে,
৩. বায়ুমণ্ডলে O2 ও CO2 এর ভারসাম্য রক্ষায়,
৪. গ্যাসের বিনিময়ে,
৫. পানির সাম্যতা বজায় রাখতে,
৬. শক্তি উৎপাদনে।
২ : খাদ্য প্রস্তুত করতে,
৩. বায়ুমণ্ডলে O2 ও CO2 এর ভারসাম্য রক্ষায়,
৪. গ্যাসের বিনিময়ে,
৫. পানির সাম্যতা বজায় রাখতে,
৬. শক্তি উৎপাদনে।
২। প্লুরা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: ফুসফুসের চারদিকে একটি পাতলা, স্বচ্ছ, দুই ভাঁজবিশিষ্ট ঝিল্পিকে পুরা বলে। দুই ভাঁজের মধ্যে এক প্রকার পিচ্ছিল পদার্থ থাকে। ফলে শ্বাসপ্রশ্বাস কাজে , ফুসফুস ও বক্ষগাত্রের সাথে কোনো ঘর্ষণ লাগে না।
৩। মধ্যচ্ছদা কীভাবে কাজ করে?
উত্তর: যে মাংসপেশি বক্ষগহ্বর ও উদরগহ্বরকে পৃথক করে রেখেছে তাকে মধ্যচ্ছদা বলে। এটা দেখতে অনেকটা প্রসারিত ছাতার মতো। মধ্যচ্ছদা সংকুচিত হলে নিচের দিকে নামে। তখন বক্ষগহ্বরের আয়তন বাড়ে। আবার এটা যখন প্রসারিত হয় তখন উপরের দিকে উঠে এবং বক্ষগহ্বর সংকুচিত হয়। এভাবে মধ্যচ্ছদা সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমে প্রশ্বাস ও নিঃশ্বাস কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।
৪। নিউমোনিয়া একটি মারাত্মক রোগ-ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: নিউমোনিয়া একটি ফুসফুসের রোগ। বিশেষ করে শিশুদের জন্য এটি একটি মারাত্মক রোগ। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে রোগীর কাশি ও শ্বাসকষ্ট হয়। শ্বাস নেওয়ার সময় নাকের ছিদ্র বড় হয়। বেশি জ্বর হয়। বাশির সময় রোগী বুকে ব্যথা অনুভব করে। নিউমোনিয়া রোগে প্রতিবছর অনেক শিশু মারা যায়। তাই এটি একটি মারাত্মক রোগ।
৫। মানব শ্বসনতন্ত্রের অঙ্গগুলোর নাম লেখ।
উত্তর: মানব শ্বসনতন্ত্র নিম্নলিখিত অঙ্গগুলো নিয়ে গঠিত-
১. নাসারন্ধ্র ও নাসাপথ,
২. নাসা গলবিল,
৩. স্বরযন্ত্র,
৪. শ্বাসনালী বা ট্রাকিয়া,
৫. ক্লোম শাখা বা ব্রঙ্কাস,
৬. অনুক্লোম শাখা বা ব্রঙ্কিওল এবং
৭. বায়ুথলি বা অ্যালভিওলাস।
২. নাসা গলবিল,
৩. স্বরযন্ত্র,
৪. শ্বাসনালী বা ট্রাকিয়া,
৫. ক্লোম শাখা বা ব্রঙ্কাস,
৬. অনুক্লোম শাখা বা ব্রঙ্কিওল এবং
৭. বায়ুথলি বা অ্যালভিওলাস।
৬। শ্বসনের মুখ্য উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: অক্সিজেন দ্বারা খাদ্যস্থ স্থৈতিক শক্তি যা সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সৌরশক্তি থেকে সঞ্চিত হয় তাকে গতিশক্তি ও তাপশক্তিতে রূপান্তরিত করাই শ্বসনের মুখ্য উদ্দেশ্য। গতিশক্তি ও তাপশক্তির দ্বারা জীব খাদ্য গ্রহণ, চলন, রেচন, বৃদ্ধি, জনন প্রভৃতি শারীর বৃত্তীয় কাজ সম্পন্ন করে থাকে।
৭। নিঃশ্বাস বলতে কী বোঝ?
উত্তর: প্রশ্বাসের পরপরই নিঃশ্বাস পর্যায় শুরু হয়। এ পর্যায়ে মধ্যচ্ছদা ও পিঞ্জরাস্থির পেশিগুলো শিথিল ও প্রসারিত হয় এবং ফুসফুস আয়তনে ছোট ও সংকুচিত হয়। ফলে বায়ুথলির ভিতরের বায়ু, কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস ফুসফুস থেকে ব্রঙ্কাস ও ট্রাকিয়ার মাধ্যমে পরিবাহিত হয়ে নাসারন্ধ্র দিয়ে বাইরে নির্গত হয়।
৮। মধ্যচ্ছদা কীভাবে কাজ করে?
উত্তর: যে মাংসপেশি বক্ষগহ্বর ও উদরগহ্বরকে পৃথক করে রেখেছে তাকে মধ্যচ্ছদা বলে। এটা দেখতে অনেকটা প্রসারিত ছাতার মতো। “মধ্যচ্ছদা সংকুচিত হলে নিচের দিকে নামে। তখন বক্ষগহ্বরের আয়তন বাড়ে। আবার এটা যখন প্রসারিত হয় তখন উপরের দিকে উঠে এবং বক্ষগহ্বর সংকুচিত হয়। এভাবে মধ্যচ্ছদা সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমে প্রশ্বাস ও নিঃশ্বাস কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।
৯। অন্তঃশ্বসন কোথায় ঘটে?
উত্তর: কোষের মাইটোকন্ড্রিয়ার ভেতর কতকগুলো এনজাইমের নিয়ন্ত্রণাধীন খাদ্যের সাথে অক্সিজেনের বিক্রিয়া ঘটে। এভাবে অন্তঃশ্বসনের ক্রিয়া ঘটে। তাই বলা যায় অন্তঃস্খনন কোষের মাইটোকন্ড্রিয়াতে ঘটে।
১০। ব্রঙ্কাইটিস হলে ধূমপান বন্ধ করতে হবে কেন?
উত্তর: শ্বাসনালীর সংক্রমণকে ব্রঙ্কাইটিস বলে। এর প্রধান কারণ ধূমপান তাই ব্রঙ্কাইটিস হলে ধূমপান বন্ধ করতে হবে।
১১। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগী অসুস্থ হয়ে পড়ে কেন ?
উত্তর: নিউমোনিয়া একটি ফুসফুসের রোগ। অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় নিউমোনিয়া রোগ হতে পারে। এ রোগে কাশি ও শ্বাসকষ্ট হয়। শ্বাস নেওয়ার সময় নাকের ছিদ্র বড় হয়। বেশি জ্বর হয় কাশির সময় রোগী ব্যথা অনুভব করে। এসব কারণে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগী অসুস্থ হয়ে পড়ে।
১২ । বহিঃশ্বসন প্রক্রিয়াটি কিভাবে ঘটে?
উত্তর: ফুসফুসের বায়ুথলি থেকে অক্সিজেন কৈশিক নালীর রক্তে প্রবেশ করে এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড রক্ত থেকে বায়ুথলিতে আসে। ফুসফুসের এ গ্যাসীয় আদান - প্রদানকে বহিঃশ্বসন বলে।
১৩। ব্রংকাইটিস রোগের লক্ষণগুলো লিখ।
উত্তর: ব্রংকাইটিস রোগের লক্ষণগুলো হলো-
১. কাশি ও শ্বাস কষ্ট হয়।
২. জ্বর হয় , রোগী ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে থাকে।
২. জ্বর হয় , রোগী ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে থাকে।
৩. কাশির সাথে কফ থাকে।
১৪। শ্বসনতন্ত্রের প্রবাহ চিত্র আঁক ।
উত্তর: শ্বসনতন্ত্রের প্রবাহচিত্র নিম্নে দেখানো হলো-
নাসারন্ধ্র → নাসাপথ → নাসা গলবিল → ট্রাকিয়া → ব্রঙ্কাস →ব্রঙ্কিওল → অ্যালভিওলি বা বায়ুথলি।