সপ্তম শ্রেণি, বিজ্ঞান তৃতীয় অধ্যায় (উদ্ভিদের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য) || Class Seven, Science Chapter 3 (External features of plants)

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন: 
১। অফসেট কী?
উত্তর: টোপাপানা, কচুরিপানা নামক জলজ উদ্ভিদের পর্বমধ্যগুলো ছোট ও মোটা হওয়ার কারণে কাণ্ডকে খর্বাকৃতি দেখায়। এদের অফসেট বলে।

২। ফাইলোডে কী? 
উত্তর:
ফণিমনসা জাতীয় উদ্ভিদের কাণ্ডই ফাইলোক্লেড। এ ধরনের কাণ্ড পাতার মতো চ্যাপ্টা ও সবুজ।

৩। বুলবিল কাকে বলে?  
উত্তর:
কোনো কোনো আরোহী উদ্ভিদের কাক্ষিক মুকুল শাখায় পরিণত না হয়ে প্রচুর খাদ্য সঞ্চয় করে গোলাকার মাংসপিণ্ডের আকার ধারণ করে , একে বুলবিল বলে।

৪। শঙ্কপত্র কী?
উত্তর:
কখনও ভূ-নিম্নস্থ কাণ্ডের পাতা পাতলা আঁশের ন্যায় আকার ধারণ করে । এ ধরনের পাতাই শঙ্কপত্র।

৫। ধাবক কী? 
উত্তর:
উদ্ভিদের কাণ্ডের নিচের পর্বের কাক্ষিক মুকুল থেকে যে শায়িত শাখা জন্মায় তাই ধাবক। যেমন – থানকুনি।

৬। আকর্ষী কাকে বলে? 
উত্তর:
উদ্ভিদের সম্পূর্ণ পাতা, পাতার শীর্ষভাগ অথবা পত্রক অনেক সময় প্যাচানো স্প্রিং এর মতো রূপ ধারণ করে তাকে আকর্ষী বলে।

৭। পরাশ্রয়ী বায়বীয় মূল কী? 
উত্তর:
যেসকল উদ্ভিদের মূল বাতাস থেকে জলীয়বাষ্প গ্রহণ করে তাদেরকে বায়বীয় মূল বলে। যেমন— রান্না।

৮। কন্দাকৃতি মূল কী? 
উত্তর:
যে মূল খাদ্য সঞ্চয়ের ফলে কখনও কখনও মোটা হয় এবং এদের নির্দিষ্ট আকার-আকৃতি নেই , তাকে কন্দাকৃতি মূল বলে।

৯। অস্থানিক মূল কাকে বলে? 
উত্তর: যে মূল বিশেষ বিশেষ কার্য সাধনের জন্য পরিবর্তিত বা রূপান্তরিত হয় তাকে অস্থানিক মূল বলে।

১০। জনন মূল কী? 
উত্তর:
কোনো কোনো উদ্ভিদের মূল প্রজননে অংশগ্রহণ করে এদেরকে জনন মূল বলে।

১১। রাইজোম কী? 
উত্তর: যেসব কাণ্ড মাটির নিচে খাদ্য সঞ্চয় করে খাড়াভাবে অবস্থান করে , এদের সুস্পষ্ট পর্ব ও পর্বমধ্য থাকে তাকে রাইজোম বলে।


অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১। বুলবিল ও পতঙ্গ ফাঁদ বলতে কী বুঝায়? 
উত্তর:
কোনো কোনো আরোহী উদ্ভিদের কাঙ্ক্ষিক মুকুল শাখায় পরিণত না হয়ে প্রচুর খাদ্য সঞ্চয় করে গোলাকার মাংসপিণ্ডের আকার ধারণ করে, একে বুলবিল বলে।

২। শঙ্কপত্রের কাজ লিখ। 
উত্তর: ভূ-নিম্নস্থ কাণ্ডের পাতা যখন পাতলা আঁশের ন্যায় আকার ধারণ করে তখন একে শঙ্কপত্র বলে। শঙ্কপত্র খাদ্য সঞ্চয় করে এবং কাক্ষিক মুকুলকে রক্ষা করে। যেমন- পিঁয়াজের রসাল শঙ্কপত্র।

৩। রূপান্তরিত কান্ড বলতে কী বুঝ?
উত্তর: কাণ্ড সাধারণত মাটির উপরে অবস্থান করে এবং পাতা, ফুল ও ফল ধারণ করে। কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে সাধারণ কাজ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পন্ন করার জন্য কাণ্ডের আকৃতিগত ও অবস্থাগত পরিবর্তন ঘটে। এ ধরনের পরিবর্তনকে রূপান্তরিত কাণ্ড বলে।

৪। কলসী উদ্ভিদকে পতঙ্গ ফাঁদ বলা হয় কেন? 
উত্তর: কলসী উদ্ভিদ এক ধরনের লতানো গাছ ও ঝাঁঝি নামক জলজ উদ্ভিদের পাতা রূপান্তরিত হয়ে কলসী বা থলের ন্যায় রূপ ধারণ করে। এর মধ্যে পোকামাকড় ঢুকলে কলসীর ঢাকনাটি বন্ধ হয়ে যায় , পরে গাছ তার দেহ থেকে রস শুষে নেয়। এ কারণেই কলসী উদ্ভিদকে পতঙ্গ ফাঁদ বলা হয়।

৫। কচু উদ্ভিদকে স্টোলন বলা হয় কেন? 
উত্তর: কচু উদ্ভিদের গোড়া থেকে লম্বা শাখা বের হয়। এ শাখার শুধুমাত্র পর্বগুলো অস্থানিক মূলের সাহায্যে মাটি ধরে রাখে এবং বাকি শাখাটি বক্রভাবে অবস্থান করে। কক্ষে সৃষ্ট মুকুল থেকে পরে নতুন উদ্ভিদ জন্মায়। এজন্য কচু উদ্ভিদকে স্টোলন বলা হয়।

৬। পরজীবী উদ্ভিদ কেন আশ্রয়দাতা উদ্ভিদ থেকে খাদ্যরস শোষণ করে? 
উত্তর: পরজীবী উদ্ভিদে ক্লোরোফিল থাকে না তাই খাদ্যের জন্য আশ্রয়দাতা উদ্ভিদের দেহে বিশেষ ধরনের মূল প্রবেশ করিয়ে খাদ্যরস পোষণ করে থাকে।

৭। স্ফীত কন্দ গোলাকার রূপ ধারণ করে কেন? 
উত্তর: স্ফীত কন্দে পর্ব, পর্বমধ্য, শঙ্কপত্র ও কাক্ষিক মুকুল থাকে। শঙ্কপত্রের কক্ষে গর্তের মতো অংশকে 'চোখ' বলে। অনুকূল ঋতুতে ‘চোখ’ হতে কাক্ষিক মুকুল বৃদ্ধি পেয়ে নতুন উদ্ভিদের সৃষ্টি করে এবং খাদ্য সঞ্চয়ের জন্য এরা স্ফীত হয়ে গোলাকার রূপ ধারণ করে।

৮। পাতা কেন রূপান্তরিত হয়? 
উত্তর: পাতা বিশেষ কাজ সমাধা করার জন্য রূপান্তরিত হয়। যেমন-
১. গাছ বা কোনো কিছু আঁকড়ে ধরার জন্য 
২. খাদ্য সঞ্চয়ের জন্য 
৩. প্রজননের জন্য, 
৪. কাক্ষিক মুকুলকে রক্ষার জন্য ইত্যাদি।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url