সপ্তম শ্রেণি, বিজ্ঞান, ত্রয়োদশ অধ্যায় (প্রাকৃতিক পরিবেশ ও দূষণ) || Class Seven, Science, Chapter 13 (Natural environment and pollution)
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন:
১। CFC কী?
উত্তর: CFC হলো ক্লোরোফ্লোরো কার্বন যা ওজোনস্তর ক্ষতিগ্রস্তের জন্য দায়ী গ্যাস।
২। দূষক কী?
উত্তর: কিছু ক্ষতিকারক উপাদান প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ব্যবহারের ফলে আমাদের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এদেরকে দূষক বলা হয়।
৩। দূষণ কী?
উত্তর: পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে পরিবর্তনের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যখন মানুষসহ অন্যান্য জীবের জন্য প্রতিকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয় তখন তাই দূষণ।
৪। মাটি দূষণের অন্যতম কারণ কী ?
উত্তর: মাটি দূষণের অন্যতম কারণ হচ্ছে মাটিতে বর্জ্যের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া।
৫। দূষিত পানি পান করলে কী কী রোগ হয়?
উত্তর: দূষিত পানি পান করলে আমাশয় , ডায়রিয়া, কলেরা, জন্ডিস, টাইফয়েড ইত্যাদি রোগ হয়।
৬। ওজোন স্তর ক্ষতিগ্রস্তের জন্য দায়ী কে?
উত্তর: ওজোনস্তর ক্ষতিগ্রস্তের জন্য দায়ী ক্লোরোফ্লোরো কার্বন অর্থাৎ CFC গ্যাস।
৭। এরোসল থেকে নির্গত গ্যাসের নাম কী ?
উত্তর: এরোসল থেকে নির্গত গ্যাসের নাম হলো ক্লোরোফ্লোরো কার্বন বা CFC.
৮। মাটি দূষণ কী?
উত্তর: মাটির স্বাভাবিক অবস্থার পরিবর্তনকেই মাটি দূষণ বলে।
৯। পানিবাহিত একটি রোগের নাম লিখ।
উত্তর: পানিবাহিত একটি রোগের নাম হলো আমাশয়।
১০। মাটি দূষণের ফলে কী ঘটে?
উত্তর: মাটি দূষণের ফলে জমির উর্বরতা হ্রাস পায়।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১। এসিড বৃষ্টি ক্ষতিকর কেন?
উত্তর: এসিড বৃষ্টি ক্ষতিকর কারণ নাইট্রোজেন ও সালফারের অক্সাইডসহ বিভিন্ন অক্সাইড বৃষ্টির পানির সাথে মিশে পানিকে এসিডযুক্ত করে। যা শুধু মানুষেরই ক্ষতি করে না, জলজ প্রাণীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে বনভূমিও ধ্বংস হয়।
উত্তর: এসিড বৃষ্টি ক্ষতিকর কারণ নাইট্রোজেন ও সালফারের অক্সাইডসহ বিভিন্ন অক্সাইড বৃষ্টির পানির সাথে মিশে পানিকে এসিডযুক্ত করে। যা শুধু মানুষেরই ক্ষতি করে না, জলজ প্রাণীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে বনভূমিও ধ্বংস হয়।
২। প্লাস্টিক মাটির জন্য ক্ষতিকর কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: মাটি দূষণের জন্য দায়ী বিভিন্ন কঠিন ও রাসায়নিক বর্জ্য। এর মধ্যে প্লাস্টিক উল্লেখযোগ্য। প্লাস্টিককে যেখানে সেখানে ফেলার কারণে পরিবেশ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাটিতে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক সহজে পচে মাটির সাথে মিশে যায় না । ফলে মাটি তার উর্বরতা হারায়। অতএব প্লাস্টিক মাটির জন্য ক্ষতিকর।
৩। পরিবেশ দূষিত হওয়ার কারণ কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: পরিবেশ বিভিন্ন কারণে জীবনধারণের জন্য ক্ষতিকর ও বসবাসের অনুপোযোগী হয় এরূপ পরিবেশকে পরিবেশ দূষণ বলে । বাংলাদেশ একটি অতি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এদেশের জনসংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধির একটি ক্ষতিকর দিক হলো পরিবেশ দূষণ।
৪। পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে কেন?
উত্তর: বায়ু দূষণের ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বায়ুতে কার্বন ডাইঅক্সাইড বৃদ্ধির ফলে তা গ্রিন হাউজ হিসেবে কাজ করছে। সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে পতিত হয়ে তা বিকিরিত হতে পারছে না বলে দিন দিন পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়ছে।
৫। মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কেন?
উত্তর: মাটিতে আমরা বিভিন্ন ধরনের আবর্জনা ও বর্জ্য পদার্থ ফেলি। যেমন— কাচ, পলিথিন, প্লাস্টিক ইত্যাদি। এগুলো মাটিতে পচে না। যা উদ্ভিদের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এছাড়া মাটিকে আমরা বিভিন্নভাবে দূষিত করছি। এসবের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ‘আবর্জনাসহ কৃষিকাজে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার, কীটনাশকের ব্যবহার, শিল্পকারখানার বর্জ্য ইত্যাদি। যার ফলে মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
৬। পানি দূষণের প্রভাব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: পানি দূষণের নানামুখী ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। যেমন— দূষিত পানি পান করলে আমাশয়, ডায়রিয়া, কলেরা, জন্ডিস, টাইফয়েড ইত্যাদি রোগ হয়। এছাড়াও পানি দূষিত হলে সে পানিতে মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণী বাঁচতে পারে না। ফলে পানির পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়।
৭। ওজোন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কেন?
উত্তর: ক্লোরোফ্লোরো কার্বন বা CFC গ্যাস ওজোন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার জন্য দায়ী। মানুষ দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনের তাগিদে এরোসল, রেফ্রিজারেটর ব্যবহার করছে। এ এরোসল ও রেফ্রিজারেটর থেকে প্রতিনিয়ত CFC গ্যাস নির্গত হচ্ছে। এ নির্গত হওয়া CFC গ্যাস ওজোন স্তরকে ধ্বংস করছে। ফলে ওজোনস্তর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
৮। ইটের ভাটার পাশের গাছপালার পাতা শুকিয়ে যায় কেন?
উত্তর: ইটের ভাটায় যখন ইট তৈরি করা হয় তখন সেখানে কালো ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। সেই কালো ধোঁয়া এবং বাষ্প বায়ু দূষণ ঘটিয়ে এর আশপাশের গাছপালার পাতা শুকিয়ে পরিবেশ দূষিত করে।