সপ্তম শ্রেণি, বিজ্ঞান, দ্বাদশ অধ্যায় (সৌরজগৎ ও আমাদের পৃথিবী ) || Class Seven, Science, Chapter 12
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন:
১। সৌরজগৎ কাকে বলে?
উত্তর: সূর্য এবং একে কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান সকল জ্যোতিষ্ক ও ফাঁকা জায়গা নিয়ে যে জগৎ গঠিত হয় তাকে সৌরজগৎ বলে।
২। আহ্নিক গতি কাকে বলে?
উত্তর: পৃথিবী নিজ অক্ষের উপর কেন্দ্র করে ২৪ ঘণ্টায় একবার পশ্চিম থেকে পূর্বে আবর্তন করাই আহ্নিক গতি।
৩। আমরা চাঁদকে আলোকিত দেখি কেন?
উত্তর: চাঁদের নিজস্ব আলো না থাকলেও সূর্য থেকে আলো প্রতিফলিত করে তা ছড়িয়ে দেয়। তাই চাঁদকে আলোকিত দেখি।
৪। সূর্যের সবচেয়ে কাছের গ্রহ কোনটি?
উত্তর: বুধ।
৫। কোপারনিকাস কে ছিলেন?
উত্তর: কোপারনিকাস একজন জ্যোতির্বিদ ছিলেন।
৬। সৌরবছর কাকে বলে?
উত্তর: পৃথিবী সূর্যকে কেন্দ্র করে প্রায় ৩৬৫ দিন ৬ ঘণ্টা সময়ে একবার ঘুরে আসে। এই সময়কে এক সৌরবছর বলে।
৭। সূর্য পৃথিবী থেকে কত কিলোমিটার দূরে অবস্থিত?
উত্তর: প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার।
৮। পৃথিবীর কয়টি গতি আছে?
উত্তর: পৃথিবীর দুটি গতি আছে।
৯। গ্রহাণু কী?
উত্তর: গ্রহাণু হলো গ্রহের চেয়ে আকারে বেশ ছোট, কঠিন শিলাময় বা ধাতব বস্তু।
১০। বুধ কতদিনে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে?
উত্তর: বুধ ৮৮ দিনে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে।
১১। শুক্র কতদিনে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে?
উত্তর: শুক্র ২২৫ দিনে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে।
১২। পৃথিবী কত দিনে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে?
উত্তর: পৃথিবী ৩৬৫ দিন ৬ ঘণ্টায় সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে।
১৩। পৃথিবী কত সময়ে নিজ অক্ষে একবার আবর্তন করে?
উত্তর: পৃথিবী নিজ অক্ষকে কেন্দ্র করে ২৪ ঘণ্টায় একবার পশ্চিম থেকে পূর্বে আবর্তন করে।
১৪। এক সৌরবছর কী?
উত্তর: পৃথিবী সূর্যকে কেন্দ্র করে প্রায় ৩৬৫ দিন ৬ ঘণ্টা সময়ে একবার ঘুরে আসে। এই সময়কে এক সৌরবছর বলে।
১৫। সূর্যকেন্দ্রিক মডেলের প্রস্তাব করেন কে?
উত্তর: সূর্যকেন্দ্রিক মডেলের প্রস্তাব করেন জ্যোতির্বিদ কোপারনিকাস।
১৬। সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব কত?
উত্তর: সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার।
১৭। সৌরজগতের সর্বশেষ গ্রহের নাম কী?
উত্তর: সৌরজগতের সর্বশেষ গ্রহের নাম নেপচুন । প্রশ্ন
১৮। কোন গ্রহকে সন্ধ্যাতারা এবং শুকতারা রূপে দেখা যায়?
উত্তর: শুক্র গ্রহকে সন্ধ্যায় পশ্চিম আকাশে সন্ধ্যাতারা এবং ভোরবেলায় শুকতারা রূপে দেখা যায়।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১। গ্রহ ও নক্ষত্রের মধ্যে পার্থক্য লিখ।
উত্তর: গ্রহ ও নক্ষত্রের মধ্যে পার্থক্য নিচে দেখানো হলো-
উত্তর: গ্রহ ও নক্ষত্রের মধ্যে পার্থক্য নিচে দেখানো হলো-
আলো: গ্রহের নিজস্ব কোনো আলো নেই। আর, নক্ষত্রের নিজস্ব আলো আছে।
কেন্দ্র: গ্রহ নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরে। অন্যদিকে, নক্ষত্র গ্রহকে কেন্দ্র করে ঘুরে না।
২। ধূমকেতু সূর্যের কাছাকাছি আসলে কী হবে?
উত্তর: ধূমকেতুসমূহ আমাদের সৌরজগতের অংশ। এরা কঠিন (গ্যাস, বরফ, ধূলিকণা) পদার্থ দিয়ে তৈরি। তবে তাপ পেলে কিছু অংশ সহজেই গ্যাসে পরিণত হতে পারে। ধূমকেতু সূর্যের কাছাকাছি আসলে সূর্যের তাপে গ্যাসীয় ও কঠিন পদার্থ নির্গত হয়ে আকাশে ছড়িয়ে যাবে। তখন এটি ঝাঁটার মতো দর্শনীয় লেজে পরিণত হবে।
৩। আমরা পৃথিবী থেকে দূরে ছিটকে বা পড়ে যাই না কেন?
উত্তর: পৃথিবীর সত্যিকার আকৃতি কমলালেবুর মতো হলেও একে গোলাকার বিবেচনা করা হয়। এই গোলাকার অংশের পৃষ্ঠে আমরা অবস্থান করছি। পৃথিবী অনেক বেশি দ্রুত ঘুরছে। তারপরও আমরা ছিটকে পড়ি না। এর কারণ পৃথিবীর অভিকর্ষ বল। পৃথিবী তার পৃষ্ঠের সব কিছুকে পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে টেনে ধরে এ বলের সাহায্যে। এর ফলে পৃথিবী পৃষ্ঠে অবস্থানকারী কোনো কিছুই পৃষ্ঠ থেকে ছিটকে পড়ে না।
৪। মঙ্গল গ্রহকে লাল গ্রহ বলা হয় কেন?
উত্তর: মঙ্গলের দূরত্ব সূর্য থেকে তৃতীয় অবস্থানে। এর পৃষ্ঠ ধূলিময় এবং এর খুবই পাতলা বায়ুমণ্ডল রয়েছে। এর পৃষ্ঠ লাল রঙের। এ কারণেই মঙ্গল গ্রহকে লাল গ্রহ বলা হয়।
৫। ২১ ডিসেম্বর তারিখে বাংলাদেশে শীত ঋতু বিরাজ করে কেন?
উত্তর: ২১ ডিসেম্বর তারিখে পৃথিবী দক্ষিণ গোলার্ধের দিকে হেলে থাকে। সে সময় বাংলাদেশ সূর্য থেকে দূরে অবস্থান করে। তখন বাংলাদেশে দিন ছোট ও রাত বড় হয়। এই দিনে সূর্য দক্ষিণ দিকে হেলে কিরণ দেয় বলে বাংলাদেশে তির্যকভাবে কম সময় উত্তাপ পড়ে। এজন্য ২১ ডিসেম্বর তারিখে বাংলাদেশে শীত ঋতু বিরাজ করে।
৬ । বার্ষিক গতির ফল কী কী?
উত্তর: বার্ষিক গতির ফল নিম্নরূপ-
১. দিনরাত্রির হ্রাসবৃদ্ধি ঘটে।
২. ঋতুর পরিবর্তন ঘটে।
৩. তাপের তারতম্য ঘটে।
৪. সূর্য ঠিক পূর্ব দিকে উদিত হয় না।
২. ঋতুর পরিবর্তন ঘটে।
৩. তাপের তারতম্য ঘটে।
৪. সূর্য ঠিক পূর্ব দিকে উদিত হয় না।
বছরে দুদিন ব্যতীত অন্যান্য সময়ে এটি পূর্ব - উত্তরে বা পূর্ব - দক্ষিণে উদিত হয়।
৭ । সূর্যকে আমরা জ্বলন্ত গ্যাসপিণ্ড বলি কেন?
উত্তর: আমাদের সৌরজগতের কেন্দ্রে রয়েছে সূর্য। সূর্য অন্যান্য নক্ষত্রের মতো জ্বলন্ত একটি গ্যাসপিণ্ড। এই গ্যাসপিণ্ডে রয়েছে হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস। হাইড্রোজেন গ্যাসের পরমাণু পরস্পরের সাথে সংযুক্ত হয়ে হিলিয়াম পরমাণুতে পরিণত হয়। তাই বলা যায় সূর্য একটি জ্বলন্ত গ্যাসপিণ্ড।
৮। পৃথিবী থেকে সূর্যকে আমরা এতো ছোট দেখি কেন?
উত্তর: সূর্য মাঝারি আকারের একটি নক্ষত্র। এটি পৃথিবীর তুলনায় লক্ষ লক্ষ গুণ বড়। সূর্য পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তাই পৃথিবী থেকে আমরা সূর্যকে এত ছোট দেখি।
৯। ২১ মার্চ এবং ২৩ সেপ্টেম্বরে দিন - রাত্রি সমান হয় কেন?
উত্তর: পৃথিবী সূর্যের চারদিকে কিছুটা হেলে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। পৃথিবী বছরের বিভিন্ন সময়ে তার হেলানো অবস্থার পরিবর্তন করে। ২১ মার্চ এবং ২৩ সেপ্টেম্বর তারিখে পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরু সূর্য থেকে সমান দূরত্বে থাকে। এজন্য ২১ মার্চ এবং ২৩ সেপ্টেম্বর তারিখে দিন - রাত্রি সমান হয়।