সপ্তম শ্রেণি, বাওবি চতুর্থ অধ্যায় (বাংলাদেশের অর্থনীতি) || Class Seven, BGS Chapter 4 (Economy of Bangladesh)
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন:
১। বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান খাত কী?
উত্তর: কৃষি।
২। অনানুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক কাজ কী?
উত্তর: অনির্ধারিত মজুরি ও সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রণহীন অর্থনৈতিক মূল্যবান কাজ হলো অনানুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক কাজ।
উত্তর: অনির্ধারিত মজুরি ও সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রণহীন অর্থনৈতিক মূল্যবান কাজ হলো অনানুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক কাজ।
৩। বাংলাদেশের শহরগুলোতে বেশির ভাগ মানুষ কেমন প্রকৃতির?
উত্তর: ভাসমান , অস্থায়ী অথবা স্বল্প আয়ের।
উত্তর: ভাসমান , অস্থায়ী অথবা স্বল্প আয়ের।
৪। দেড় কোটি টাকার কম মূলধনের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নাম কী?
উত্তর: ক্ষুদ্র শিল্পপ্রতিষ্ঠান।
উত্তর: ক্ষুদ্র শিল্পপ্রতিষ্ঠান।
৫। পৃথিবী এখন কী কারণে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে?
উত্তর: উন্নত প্রযুক্তির কারণে পৃথিবী এখন দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
উত্তর: উন্নত প্রযুক্তির কারণে পৃথিবী এখন দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
৬। আমাদের দেশে স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ধরনের কী গড়ে উঠতে থাকে?
উত্তর: শিল্পপ্রতিষ্ঠান।
উত্তর: শিল্পপ্রতিষ্ঠান।
৭। জাতীয় জীবনে কোনটির ব্যবহার এখন প্রধান হয়ে উঠেছে?
উত্তর: শিল্পের ব্যবহার।
উত্তর: শিল্পের ব্যবহার।
৮। বাংলাদেশের বৃহৎ রপ্তানি পণ্য বাজার রয়েছে কোন দেশে?
উত্তর: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।
উত্তর: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১। অর্থনৈতিক খাত বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: যেকোনো দেশের অর্থনীতিতে সংঘটিত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সমষ্টিগত অবদানই দেশের অর্থনীতির ভিত্তি গড়ে তোলে। অর্থনীতিতে এসব ভিত্তিকে অর্থনৈতিক খাত বলে। এ খাত দুই ধরনের। আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক। বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান খাত কৃষি।
উত্তর: যেকোনো দেশের অর্থনীতিতে সংঘটিত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সমষ্টিগত অবদানই দেশের অর্থনীতির ভিত্তি গড়ে তোলে। অর্থনীতিতে এসব ভিত্তিকে অর্থনৈতিক খাত বলে। এ খাত দুই ধরনের। আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক। বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান খাত কৃষি।
২। বাংলাদেশের সব খাতকে কেন সমানভাবে সমৃদ্ধ করতে হবে?
উত্তর: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গ্রাম ও শহরের শ্রমজীবী মানুষের ভূমিকা মিলেমিশে আছে। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। কৃষি, শিল্প, ব্যবসায় - বাণিজ্যসহ বিভিন্ন খাতে অর্থনৈতিক কার্যাবলি দেশের গতিশীল করে থাকে। জাতীয় অর্থনীতিকে সবল ও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষির উৎপাদন যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, নতুন নতুন খাত ও সম্ভাবনা নিয়ে শিল্প শক্তিশালী হচ্ছে। ব্যবসায় - বাণিজ্য, বিভিন্ন সেবাখাতও নতুনভাবে আবির্ভূত হচ্ছে। প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিশ্বে টিকে থাকতে হলে সব খাতেই বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সমানভাবে সমৃদ্ধ করতে হবে।
৩। অনানুষ্ঠানিক কাজ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: অর্থনৈতিক মূল্য রয়েছে এমন যেকোনো কাজ, সেবা বা বিনিময়কে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বলা হয়। এক্ষেত্রে যেসব অর্থনৈতিক কার্যক্রমের মজুরি নির্ধারিত নেই, করের আওতায় আনা কঠিন, সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রণও করা যায়। না সংক্ষেপে অনানুষ্ঠানিক কাজ বলতে সেগুলোকেই বোঝায়। যেমন- নিজের জমি, দোকান ও প্রতিষ্ঠানে কাজ করা, গৃহস্থালি কাজ, হকারি, আত্মকর্মসংস্থান, দিনমজুরি, কামার, কুমার, জেলে, নাপিত তাদের কার্যাবলি ইত্যাদি।
৪। পণ্য আমদানি - রপ্তানিকে কেন প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বলা হয়?
উত্তর: যেসব প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী আমরা চাহিদামতো উৎপাদন করতে পারি না তা বাণিজ্যনীতি অনুযায়ী বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। অন্যদিকে যেসব পণ্যসামগ্রী আমরা নিজেরা পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদন করতে পারি তা একইভাবে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকি বৈদেশিক বাণিজ্যের অংশ হিসেবে যেকোনো স্বাধীন দেশের সঙ্গে পণ্যের আমদানি ও রপ্তানি একটি প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক। পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশও বিভিন্ন দেশ ও চুক্তির মাধ্যমে সংস্থার সঙ্গে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে ।
৫. বৈদেশিক বাণিজ্য বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: পৃথিবীর কোনো দেশই তার প্রয়োজনীয় সব দ্রব্য উৎপাদন করতে পারে না। দুটি বা ততোধিক সার্বভৌম দেশের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী যে বাণিজ্য পরিচালিত হয় তাকে বৈদেশিক বাণিজ্য বলে। যেমন— বাংলাদেশের পাট, চট ও তৈরি পোশাক অন্য দেশে রপ্তানি করে; পক্ষান্তরে শিল্পজাত দ্রব্য আমদানি করে।
৬. বৃহৎ শিল্প বলতে কী বোঝায় ? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রচুর মূলধন, দক্ষ শ্রমিক ও কারিগর, প্রকৌশলী, বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞ ব্যবস্থাপকের প্রয়োজন হয় এ ধরনের শিল্পকে বৃহৎ শিল্প বলা হয়। দেশের চাহিদা মিটিয়েও বৃহৎ শিল্পের উৎপাদিত সামগ্রীর একটা অংশ বিদেশে রপ্তানি করা হয়। পাট, বস্ত্র, চিনি, সিমেন্ট, সার, রেল, ইঞ্জিনিয়ারিং, বিদ্যুৎ প্রভৃতি বৃহৎ শিল্প। জাতীয় অর্থনীতিতে এ শিল্পগুলো অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড হিসেসে কাজ করে।
৭. কুটির শিল্প বলতে কী বোঝ?
উত্তর: দেশীয় রীতি অনুযায়ী বসতবাড়িতে যে শিল্প গড়ে ওঠে তাই কুটির শিল্প নামে পরিচিত। বহু বছর ধরে এদেশের মানুষরা তাদের স্থানীয় চাহিদা মেটানোর জন্য এসব কুটির শিল্প গড়ে তুলেছে। তাঁতবস্ত্র, মাটির জিনিসপত্র, বাঁশ, বেত, শাড়ি প্রভৃতি কুটির শিল্পের উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী।
৮. অর্থনৈতিক কার্যক্রম বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: অর্থনৈতিক মূল্য রয়েছে এমন যেকোনো কাজ, সেবা বা বিনিময়কে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বলা হয়। আমাদের কৃষিকাজ থেকে শুরু করে শিল্প, ব্যবসায় বাণিজ্য, চাকরি ইত্যাদি সবই অর্থনৈতিক কার্যক্রম।
৯. কীভাবে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ করা যায়?
উত্তর: বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ করা যায়। কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প প্রতিষ্ঠার ফলে কৃষিপণ্যগুলোকে দীর্ঘ সময় সংরক্ষণের ব্যবস্থা হয়েছে। এক সময় মানুষ কিছু কিছু কৃষিপণ্য রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণের জন্য প্রক্রিয়াজাতকরণ করত। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে কেমিক্যাল দিয়ে এগুলো সংরক্ষণ করেছে। বর্তমানে এগুলো সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন কোল্ডস্টোরেজ গড়ে উঠেছে। মূলত এই প্রক্রিয়াগুলোর মাধ্যমেই কৃষিপণ্যগুলো প্রক্রিয়াজাতকরণ করা যায়।
১০. বাংলাদেশের আমদানিকৃত পণ্যসামগ্রীর বিবরণ দাও।
উত্তর: বাংলাদেশ নিজ দেশের চাহিদা পূরণের জন্য অন্য দেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে থাকে। বাংলাদেশ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে চাল, গম, ডাল, তৈলবীজ, তুলা, অপরিশোধিত পেট্রোল ও পেট্রোলিয়ামজাত দ্রব্য, ভোজ্যতেল, সার, কৃষি ও শিল্প যন্ত্রপাতি, সুতা প্রভৃতি আমদানি করে থাকে। যেসব দেশ থেকে বাংলাদেশ পণ্য আমদানি করে তার মধ্যে রয়েছে চীন, ভারত, জাপান, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি। সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতেই আমদানি বাণিজ্য চলে।
১১. বাংলাদেশের রপ্তানিকৃত পণ্যসামগ্রীর বর্ণনা দাও।
উত্তর: বাংলাদেশ দেশের চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদিত সামগ্রীর একটা অংশ বিদেশে রপ্তানি করে থাকে। বাংলাদেশ যেসব পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে থাকে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো চা, চামড়া ও চামড়াজাত দ্রব্য, তৈরি পোশাক, হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য খাদ্য, হস্তশিল্পজাত দ্রব্য , সবজি প্রভৃতি। বাংলাদেশ সাধারণত যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, ইতালি, নেদারল্যান্ড, কানাডা, জাপান প্রভৃতি দেশে পণ্য রপ্তানি করে থাকে।
১২. “ বাংলাদেশ একটি শিল্প সম্ভাবনাময় দেশ”- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বাংলাদেশের রয়েছে বিশাল জনসম্পদ। এখানে অপেক্ষাকৃত কম মজুরিতে দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিক পাওয়া যায়। ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও এদেশে শিল্প স্থাপন ও বিনিয়োগ করতে অগ্রহী হন। অতএব, বাংলাদেশ একটি শিল্প সম্ভাবনাময় দেশ।