পরিবেশের উপর বায়ুমন্ডলের প্রভাব || Paribeser upar bayumanḍaler provab
বায়ুমণ্ডল
অ্যাটমোসফেয়ার বা বায়ুমণ্ডল শব্দটি দুটি গ্রিক শব্দ 'অ্যাটমোস (amos) এবং 'স্ফেইরা (sphaira)' থেকে উৎপন্ন হয়েছে। অ্যাটমোস (almos)' শব্দের অর্থ বাষ্প (vapour) এবং স্ফেইয়া (sphaira)' শব্দের অর্থ স্ফেয়ার (sphere) বা মন্ডল। সুতরাং অ্যাটামোস্ফেয়ার হলো বাষ্প মন্ডল বা বায়ুমণ্ডল।
ভূ-পৃষ্ঠ থেকে উর্ধ্বে যে গ্যাসীয় আবরণ পৃথিবীকে পরিবেষ্টন করে থাকে তাকে বায়ুমন্ডল (atmosphere) বলে। অর্থাৎ পৃথিবী পরিবেষ্টিত গ্যাসের মোড়ককে বায়ুমন্ডল (atmosphere) বলে অর্থাৎ পৃথিবী একটি গ্যাসের আবরণ দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে যাকে বায়ুমন্ডল (atmosphere) বলে অর্থাৎ ভূ - পৃষ্ঠের উপর প্রায় ১৬০০ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত যে অদৃশ্য গ্যাসীয় আবরণ পৃথিবীকে ঘিরে রেখেছে তাকেই বায়ুমন্ডল (Atmosphere) বলে। মহাকর্ষ বলের আকর্ষণে এই গ্যাসীয় আবরণ ভূপৃষ্ঠের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে থাকে। বায়ুমণ্ডলের উপস্থিত বিভিন্ন গ্যাসীয় পদার্থের মিশ্রণকে বায়ু বলে।
বায়ুমণ্ডলের বৈশিষ্ট্যসমূহ
বায়ুমন্ডলের বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্নরূপঃ
১। বায়ুমন্ডলের ভর ও চাপ আছে। এই চাপ প্রতি ৬ বর্গ সেন্টিমিটারে ৭ কিলোগ্রাম।
২। বায়ু সম্প্রসারণশীল এবং সংকোচনশীল।
৩। বায়ুমণ্ডল মহাজাগতিক রশ্মি শোষণ করে । ফলে এ রশ্মির ক্ষতিকারক প্রভাবে পৃথিবীয় জীব ও উদ্ভিদের ক্ষতি হয়।
৪। বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর তাপমাত্রা সমতা রক্ষা করে। বায়ুমন্ডল সূর্যের অবলোহিত রশ্মি শোষণ করে এবং পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত তাপ শোষণ করে। ফলে পৃথিবীপৃষ্ঠের তাপমাত্রার বিশেষ পরিবর্তন হয় না।
১। বায়ুমন্ডলের ভর ও চাপ আছে। এই চাপ প্রতি ৬ বর্গ সেন্টিমিটারে ৭ কিলোগ্রাম।
২। বায়ু সম্প্রসারণশীল এবং সংকোচনশীল।
৩। বায়ুমণ্ডল মহাজাগতিক রশ্মি শোষণ করে । ফলে এ রশ্মির ক্ষতিকারক প্রভাবে পৃথিবীয় জীব ও উদ্ভিদের ক্ষতি হয়।
৪। বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর তাপমাত্রা সমতা রক্ষা করে। বায়ুমন্ডল সূর্যের অবলোহিত রশ্মি শোষণ করে এবং পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত তাপ শোষণ করে। ফলে পৃথিবীপৃষ্ঠের তাপমাত্রার বিশেষ পরিবর্তন হয় না।
পরিবেশের উপর বায়ুমন্ডলের প্রভাব
১। বায়ুমণ্ডল ছাড়া প্রাণের অস্তিত্ত্ব সম্ভব নয়।
২। বায়ুমণ্ডল পানি , বাতাস প্রভৃতি পুনর্ভব শক্তি বা নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস।
৩। বায়ুমণ্ডলে প্রাণীজগতকে বায়ুমন্ডল অক্সিজেন দান করে।
৪। উদ্ভিদজগতকে বায়ুমন্ডল কার্বন ডাইঅক্সাইড দান করে।
৫। বায়ুমণ্ডল অবলোহিত ও অতিবেগুনী রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে জীবজগতকে রক্ষা করে।
৬। প্রাণীজগতের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় প্রয়োজন মেটাতে বায়ুমন্ডল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৭। বায়ুমন্ডলের উপস্থিতি ছাড়া পানি চক্র অস্তিত্বহীন।
৮। বায়ুমন্ডল পৃথিবীর তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করে।
৯. অক্সিজেন গ্যাস শ্বাসকার্যে সাহায্য করে এবং প্রাণীদেহে শক্তি ও উত্তাপ যোগায়।
১০। অক্সিজেন দহনকার্যে সহায়তা করে।
১১। কার্বন ডাইঅক্সাইড তাপশোষণ করে।
১২। নাইট্রোজেন প্রোটিন জাতীয় খাদ্য শোষণ করে।
১৩। জলীয় বাষ্প বৃষ্টিপাত, মেঘ, তৃষার ও কুয়াশা ইত্যাদি সৃষ্টি করে।
১৪। ধূলিকণা বায়ুমন্ডলের তাপশোষণে সাহায্য করে । তবে অতিরিক্ত ধূলিকণার জন্য ভূ-পৃষ্ঠের কাছাকাছি তাপ বৃদ্ধি করে।
১৫। ধূলিকণা ঘনীভবনে সহায়তা করে।
১৬৷ ওজোন অতিবেগুনী রশ্মি শোষণ করে।
১৭। বায়ুমন্ডল উল্কার আঘাত থেকে ভূ-পৃষ্ঠকে রক্ষা করে।
১৮। বাতাসের শক্তি উপযুক্ত পরিবেশে মানুষের শ্রম লাঘব করে। বায়ুশক্তির সাহায্যে দানাশস্য দেখাই, পানিসেচ, বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ বিভিন্ন কাজ করা যায়।
৩। বায়ুমণ্ডলে প্রাণীজগতকে বায়ুমন্ডল অক্সিজেন দান করে।
৪। উদ্ভিদজগতকে বায়ুমন্ডল কার্বন ডাইঅক্সাইড দান করে।
৫। বায়ুমণ্ডল অবলোহিত ও অতিবেগুনী রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে জীবজগতকে রক্ষা করে।
৬। প্রাণীজগতের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় প্রয়োজন মেটাতে বায়ুমন্ডল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৭। বায়ুমন্ডলের উপস্থিতি ছাড়া পানি চক্র অস্তিত্বহীন।
৮। বায়ুমন্ডল পৃথিবীর তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করে।
৯. অক্সিজেন গ্যাস শ্বাসকার্যে সাহায্য করে এবং প্রাণীদেহে শক্তি ও উত্তাপ যোগায়।
১০। অক্সিজেন দহনকার্যে সহায়তা করে।
১১। কার্বন ডাইঅক্সাইড তাপশোষণ করে।
১২। নাইট্রোজেন প্রোটিন জাতীয় খাদ্য শোষণ করে।
১৩। জলীয় বাষ্প বৃষ্টিপাত, মেঘ, তৃষার ও কুয়াশা ইত্যাদি সৃষ্টি করে।
১৪। ধূলিকণা বায়ুমন্ডলের তাপশোষণে সাহায্য করে । তবে অতিরিক্ত ধূলিকণার জন্য ভূ-পৃষ্ঠের কাছাকাছি তাপ বৃদ্ধি করে।
১৫। ধূলিকণা ঘনীভবনে সহায়তা করে।
১৬৷ ওজোন অতিবেগুনী রশ্মি শোষণ করে।
১৭। বায়ুমন্ডল উল্কার আঘাত থেকে ভূ-পৃষ্ঠকে রক্ষা করে।
১৮। বাতাসের শক্তি উপযুক্ত পরিবেশে মানুষের শ্রম লাঘব করে। বায়ুশক্তির সাহায্যে দানাশস্য দেখাই, পানিসেচ, বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ বিভিন্ন কাজ করা যায়।
উচ্চতা , তাপমাত্রা ও রাসায়নিক পদার্থের ভিত্তিতে বায়ুমন্ডলের গঠন
তাপমাত্রা ও উচ্চতার ভিত্তিতে বায়ুমন্ডলকে নিম্নরূপ চারটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে । যেমনঃ
১। ক্ষুব্দ মন্ডল বা ট্রপোস্ফিয়ার (Troposphere);
২. শান্ত মন্ডল বা স্ট্রাটোস্ফিয়ার (Stratosphere);
৩। মেসোস্ফিায়ার (Masosphere);
৪। থার্মোস্ফিয়ার (Thermosphere)।
বায়ুমন্ডলর এ চারটি অঞ্চল সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলঃ
১। ক্ষুব্দ মন্ডল বা ট্রপোস্ফিয়ার (Troposphere);
২. শান্ত মন্ডল বা স্ট্রাটোস্ফিয়ার (Stratosphere);
৩। মেসোস্ফিায়ার (Masosphere);
৪। থার্মোস্ফিয়ার (Thermosphere)।
বায়ুমন্ডলর এ চারটি অঞ্চল সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলঃ
১। ক্ষুব্দ মন্ডল বা ট্রপোস্ফিয়ার (Troposphere): ভূ - পৃষ্ঠের নিকটবর্তী স্তরকে ক্ষুব্দ মন্ডল বা ট্রপোস্ফিয়ার ( Troposphere ) বলে।
উচ্চতাঃ ট্রপোস্ফিয়ার স্তরের সীমা সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে 11 কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত।
তাপমাত্রাঃ এই স্তরের তাপমাত্রা ভূ - পৃষ্ঠের উপর নির্ভরশীল। এ স্তরের তাপমাত্রা পরিসর হল +15°C থেকে -56°C পর্যন্ত এবং উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে তাপমাত্রা হ্রাস পায়।
রাসায়নিক পদার্থঃ এ অঞ্চলের রাসায়নিক উপাদানগুলো অক্সিজেন (O2), নাইট্রোজেন (N2) , কার্বনডাই অক্সাইড (CO2) ও জলীয় বাষ্প (H2O)।
সুতরাং বায়ুমন্ডলের যে স্তর সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে 11 কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত এবং + 15° C থেকে -56° C তাপমাত্রা অঞ্চল এবং অক্সিজেন (O2), নাইট্রোজেন (N2), কার্বনডাই অক্সাইড ( CO2) ও জলীয় বাষ্প (H2O) প্রভৃতি রাসায়নিক উপাদানবিশিষ্ট তাকে ট্রপোস্ফিয়ার (Troposphere) বলে। ট্রপোস্ফিয়ার এবং স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের মধ্যবর্তী সীমানাকে ট্রপোপজ (tropopause) বলে।
বৈশিষ্ট্যসমূহঃ
১. ক্ষুব্দ মন্ডল বা ট্রপোস্ফিয়ারে বায়ুমন্ডলের অধিকাংশ জলীয় বাষ্প থাকে। এ কারণেই এ স্তরে সমস্ত মেঘ, ঝড় বৃষ্টি প্রভৃতি পরিলক্ষিত হয়।
২. ক্ষুব্দ মন্ডল বা ট্রপোস্ফিয়ার অঞ্চলে উত্তাপের (সবচেয়ে বেশি) ব্যাতিক্রম দেখা যায়।
৩. এ স্তরে তাপ ও চাপের পার্থক্য দেখা যায় এ কারণে এ অঞ্চলে বায়ু প্রবাহের সৃষ্টি হয়।
৪. আবহাওয়া সৃষ্টিকারী প্রায় ৯৭% উপাদান ট্রপোস্ফিয়ার অঞ্চলে থাকে।
২। শান্ত মন্ডল বা স্ট্রাটোস্ফিয়ার (Stratosphere): ট্রপোপজ এর উপরের স্তরকে শান্ত মন্ডল বা স্ট্রাটোস্ফিয়ার (Strutosphere) বলে।
উচ্চতাঃ ট্রপোস্ফিয়ার স্তর থেকে 50 কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত।
তাপমাত্রাঃ এ স্তরের তাপমাত্রা পরিসর হল –56°C থেকে –2°C পর্যন্ত। এ স্তরে উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
রাসায়নিক পদার্থঃ এ অঞ্চলের রাসায়নিক উপাদানগুলো হলো অক্সিজেন (O2) , নাইট্রোজেন (N2) ও ওজোন ( O3)।
সুতরাং বায়ুমন্ডলের যে স্তর ট্রপোস্ফিয়ার থেকে 50 কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত এবং -56°C থেকে – 2°C তাপমাত্রা অঞ্চল এবং অক্সিজেন (O2), নাইট্রোজেন (N2) ও ওজোন (O3) প্রভৃতি রাসায়নিক উপাদানবিশিষ্ট তাকে শান্ত মন্ডল বা স্ট্রাটোস্ফিয়ার (Stratosphere) বলে। বায়ুমন্ডলের এই স্তর সূর্য থেকে আগত বিভিন্ন ক্ষতিকর রশ্মি শোষণ করে এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখে। স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার ও মেসোস্ফিয়ারের মধ্যবর্তী সীমানাকে স্ট্র্যাটোপজ (stratopause) বলে।
বৈশিষ্ট্যসমূহঃ
১। শান্ত মন্ডল বা স্ট্র্যাটেস্কিয়ার অঞ্চলে কোন জলীয় বাষ্প থাকে না।
২. শান্ত মন্ডল এর বায়ু অঅত্যন্ত হালকা প্রকৃতির হয়ে থাকে।
৩। এস্তরে কোনরূপ তাপ ও চাপের পার্থক্য দেখা যায় না।
৪। এ স্তরের বায়ুর উর্ধ্বগতি ও নিম্নগতি নেই।
৫। এ স্তরের বায়ুপ্রবাহ ক্ষীণ ও সমান্তরাল প্রকৃতির হয়ে থাকে।
৬৷ শান্ত মন্ডল বা স্ট্র্যাটেস্কিয়ারই হলো উর্ধ্ব আকাশ ৷
৩। মেসোস্ফিায়ার ( Masosphere):
উচ্চতাঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তর থেকে 85 কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত।
তাপমাত্রাঃ এ স্তরের তাপমাত্রা পরিসর হল - 2 ° C থেকে – 92 ° C পর্যন্ত । এ স্তরে উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে ও তাপমাত্রা হ্রাস পায়।
রাসায়নিক পদার্থঃ এ অঞ্চলের রাসায়নিক উপাদান বিভিন্ন ধরনের আয়ন।
সুতরাং বায়ুমন্ডলের যে স্তর স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার থেকে 85 কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত এবং – 2°C থেকে – 92°C তাপমাত্রা অঞ্চল এবং বিভিন্ন আয়নবিশিষ্ট তাকে মেসোস্ফিায়ার (Masosphere) বলে। থার্মোস্ফিয়ার ও মেসোস্ফিয়ারের মধ্যবর্তী সীমানাকে ' ম্যাসোপজ (mesopause)' বলে।
৪। থার্মোস্ফিয়ার (Thermosphere):
উচ্চতাঃ মেসোস্ফিয়ার স্তর থেকে 500 কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত।
তাপমাত্রা: এ স্তরের তাপমাত্রা পরিসর হয় -92°C থেকে 1200°C পর্যন্ত। এ স্তরে উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
রাসায়নিক পদার্থঃ এ অঞ্চলের রাসায়নিক উপাদান বিভিন্ন ধরনের আয়ন।সুতরাং বায়ুমন্ডলের যে স্তর স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার থেকে 500 কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত এবং – 92° C থেকে 1200° C তাপমাত্রা অঞ্চল এবং বিভিন্ন আয়নবিশিষ্ট তাকে থার্মোস্ফিয়ার (Thermosphere) বলে। থার্মোহিয়ারের শেষ সীমানাকে 'থার্মোপজ (thermopause) বলে। মেসোস্ফিয়ার ও থার্মোস্ফিয়ার স্তরকে একত্রে আয়নস্কিয়ার (fonosphere) বলে। কারণ এ স্তরদ্বয়ে রাসায়নিক উপাদান হিসেবে আয়ন থাকে।
বৈশিষ্ট্যসমূহঃ
১। আয়নস্ফিয়ার অঞ্চলে সামান্য পরিমাণে অক্সিজেন, নাইট্রোজেন হাইড্রোজেন ও হিলিয়ামসহ প্রভৃতি গ্যাস পাওয়া যায়।
২। এবারে বারে অবস্থান অস্বাভাবিক বলে মনে হয়।