সপ্তম শ্রেণি, ইসলাম ও নৈতিকশিক্ষা, চতুর্থ অধ্যায় (আখলাক) || Class Seven, Islam and Moral Education, Chapter 4

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন: 
১। আমানত বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: আমানত বলতে বোজায় কোনো ব্যক্তি অন্য কারো কাছে কোনো কিছু গচ্ছিত রাখা।

২। আল্লাহ কখন বান্দার প্রতি শান্তি বর্ষণ করেন?
উত্তর: যে ব্যক্তি সৃষ্টির প্রতি দয়া ও সহানুভূতি প্রদর্শন করে, আল্লাহ তখন ওই বান্দার প্রতি শান্তি বর্ষণ করেন।

৩। ক্ষমার আরবি প্রতিশব্দ কী?
উত্তর: ক্ষমার আরবি প্রতিশব্দ হলো 'আফউন’।

৪। শালীনতা অর্থ কী?
উত্তর: শালীনতা অর্থ - ভদ্রতা, নম্রতা ও লজ্জাশীলতা।
সপ্তম শ্রেণি, ইসলাম ও নৈতিকশিক্ষা, চতুর্থ অধ্যায় (আখলাক)

৫। “হাসাদুন" শব্দের অর্থ কী? 
উত্তর: ‘হাসাদুন' আরবি শব্দ। এর অর্থ হিংসা, ঈর্ষা, পরশ্রীকাতরতা ইত্যাদি।

৬। আখলাক অর্থ কী? 
উত্তর: আখলাক আরবি শব্দ। এর অর্থ চরিত্র, স্বভাব, আচার-আচরণ, ব্যবহার ইত্যাদি।

৭। আখলাক কাকে বলে? 
উত্তর: মানুষের দৈনন্দিন কাজকর্মের মাধ্যমে যেসব আচার-ব্যবহার, চালচলন এবং স্বভাবের প্রকাশ পায় সেসবের সমষ্টিই হলো আখলাক।

৮। মানুষের ইমানকে পূর্ণতা দান করে কী? 
উত্তর: উত্তম চরিত্র মানুষের ইমানকে পূর্ণতা দান করে।
 
৯। পরোপকার কী? 
উত্তর: অন্যের প্রয়োজনে বা উপকারে আসার নামই হলো পরোপকার।

১০। পরোপকারের আরবি প্রতিশব্দ কী? 
উত্তর: পরোপকারের আরবি প্রতিশব্দ হলো 'ইহসান', যার অর্থ অন্যের উপকার করা।

১১। মহান আল্লাহর একটি বড় গুণ কী? 
উত্তর: পরোপকার মহান আল্লাহর একটি বড় গুণ।

১২। শালীনতার আরবি প্রতিশব্দ কী ? 
উত্তর: শালীনতার আরবি প্রতিশব্দ 'তাহযিব'।

১৩। শালীনতা কাকে বলে? 
উত্তর: আচার-আচরণ, কথাবার্তায়, বেশভূষায় ও চালচলনে মার্জিত পন্থা অবলম্বন করাকে শালীনতা বলে।

১৪। কে নিজ হাতে যাঁতা ঘুরাতেন ? 
উত্তর : প্রিয়নবি (স) - এর কন্যা হযরত ফাতিমা (রা) নিজ হাতে যাঁতা ঘুরাতেন।

১৫। মহান আল্লাহর অন্যতম গুণ কী? 
উত্তর: মহান আল্লাহর অন্যতম গুণ ক্ষমা।

১৬। ক্ষমার আরবি প্রতিশব্দ কী? 
উত্তর: ক্ষমার আরবি প্রতিশব্দ ‘আউন’।

১৭। ‘আফ্‌উন’ এর অর্থ কী? 
উত্তর: ‘আউন' এর অর্থ মাফ করা, প্রতিশোধ গ্রহণ না করা ইত্যাদি।

১৮। ক্ষমার ব্যাপারে কার নীতি ও আদর্শ আমাদের অনুসরণ করা আবশ্যক? 
উত্তর: ক্ষমার ব্যাপারে মহান রাব্বুল আলামীনের নীতি ও আদর্শ আমাদের অনুসরণ করা আবশ্যক।

১৯। আখলাকে যামিমা বা নিন্দনীয় আচরণ কাকে বলে? 
উত্তর: এমন কিছু আচরণ বা কাজ যা মানুষকে হীন, নিচু ও নিন্দনীয় করে তোলে সেগুলোকে আখলাকে যামিমা বা নিন্দনীয় আচরণ বলে।

২০। হিংসা কাকে বলে? 
উত্তর: অন্যের সুখসম্পদ, মানসম্মান নষ্ট হওয়ার কামনা এবং নিজে এর মালিক হওয়ার বাসনা করাকে হিংসা বলে।

২১। হিংসা শব্দের আরবি প্রতিশব্দ কী? 
উত্তর: হিংসা শব্দের আরবি প্রতিশব্দ 'হাসাদুন'। যার অর্থ হিংসা, ঈর্ষা, পরশ্রীকাতরতা ইত্যাদি।

২২। মানব সৃষ্টির পর কী কারণে সর্বপ্রথম পাপ সংঘটিত হয়? 
উত্তর: মানব সৃষ্টির পর হিংসার কারণেই সর্বপ্রথম পাপ সংঘটিত হয়।

২৩। 'ক্রোধ' এর আরবি প্রতিশব্দ কী ? 
উত্তর: 'ক্রোধ’ এর আরবি প্রতিশব্দ ‘গাদাব’। যার অর্থ রাগ।

২৪। ক্ৰোধ কাকে বলে? 
উত্তর: স্বীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ন হওয়া বা কারও দ্বারা তিরস্কৃত হওয়ার কারণে প্রতিশোধ গ্রহণের ইচ্ছায় মানুষের মনের মধ্যে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় তাকে ক্রোধ বলে।

২৫। কিসের মাধ্যমে আল্লাহর গযব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়? 
উত্তর: ক্রোধ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আল্লাহর গযব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

২৬। ‘লোভ’ এর আরবি শব্দ কী? 
উত্তর: লোভ -এর আরবি প্রতিশব্দ 'হিরছুন'। এর অর্থ লালসা, লিপ্সা, মোহ, আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা ইত্যাদি।

২৭। লোভ কী? 
উত্তর: অধিক পাওয়ার ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষাকে লোভ বলে।

২৮। এখানে 'ইভ' বলতে কী বোঝানো হয়েছে? 
উত্তর: এখানে ‘ইভ' বলতে নারী সমাজকে বোঝানো হয়েছে।

২৯। 'Tease' অর্থ কী? 
উত্তর: 'Tease' অর্থ পরিহাস, জ্বালাতন করা, উত্ত্যক্ত করা, খেপানো ইত্যাদি।

৩০। ইভটিজিং বলতে কী বোঝায়? 
উত্তর: ইভটিজিং বলতে কথা, কাজ, আচরণ ইত্যাদির মাধ্যমে নারীদের উত্ত্যক্ত করাকে বোঝানো হয়েছে।

৩১ ৷ ছিনতাই কাকে বলে? 
উত্তর: জোরপূর্বক বা বলপ্রয়োগ করে অন্যের সম্পদ ছিনিয়ে নেওয়াকে ছিনতাই বলে।


অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১। আমানত রক্ষা করা প্রয়োজন কেন?
উত্তর: সমাজের প্রতিটি মানুষের নিজ নিজ দায়িত্ব তার নিকট পবিত্র আমানত। সামাজিক শান্তি রক্ষার জন্য আমানত রক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যিনি আমানত রক্ষা করেন তাকে সবাই বিশ্বাস করে এবং ভালোবাসে। সমাজের সবাই তাকে মর্যাদা দেয়। আমানত রক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে মহান আল্লাহ বলেন , “নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন যে, তোমরা যেন আমানতসমূহ তার মালিককে যথাযথভাবে ফেরত দাও।" (সূরা আল নিসা: ৫৮) আমানত রক্ষা করা ইমানের অঙ্গ। এ ব্যাপারে মহানবি (স) বলেন, “যার আমানতদারি নেই তার ইমানও নেই।” (বায়হাকি)।

২। পরোপকার বলতে কী বোঝ?
উত্তর: মানুষ সামাজিক জীব হিসেবে সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করে। আর সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে হলে একে অপরের সহযোগিতা প্রয়োজন। অন্যের প্রয়োজনে বা উপকারে আসার নামই হলো পরোপকার। পরোপকারের আরবি প্রতিশব্দ হলো 'ইহসান'। যার অর্থ অন্যের উপকার করা। আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি মানুষের যে দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে সেগুলোকে উত্তম বা যথাযথভাবে পালন করার নামই পরোপকার।

৩। শালীনতার গুরুত্ব এত বেশি কেন? 
উত্তর: শালীনতাবোধ মানুষকে অন্যায় ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে এবং আল্লাহর অনুগত বান্দা হতে সাহায্য করে। তাই শালীনতার গুরুত্ব এত বেশি।

৪। রক্তের সম্পর্ক ছিন্নকারী বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয় হলো—মা-বাবা , ভাইবোন , দাদা, চাচা, ফুফু ইত্যাদি । এদের সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক যে ছিন্ন করে , সে হলো রক্তের সম্পর্ক ছিন্নকারী।

৫। “ইসলামের দৃষ্টিতে প্রতারণা অতি গর্হিত কাজ” — ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: “ইসলামের দৃষ্টিতে প্রতারণা অতি গর্হিত কাজ।" কারণ প্রতারণা করা মুনাফিকের কাজ। রাসুল (স) বলেছেন, “যেব্যক্তি প্রতারণা করে সে “আমার উম্মত নয়।" সত্যিকার ইমানদার লোক কখনো প্রতারণা করেন না। মানুষকে ধোঁকা দেন না এবং ওয়াদা ভঙ্গ করেন না। মহান আল্লাহ তায়ালা প্রতারণার ব্যাপারে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন— “তোমরা সত্যের সাথে মিথ্যার মিশ্রণ করো না এবং জেনে বুঝে সত্যকে গোপন কর না।" তাই প্রতারণার মতো গর্হিত কাজ থেকে সকলের বেঁচে থাকা উচিত।

৬। আখলাকে হামিদার গুরুত্ব বুঝিয়ে লেখ। 
উত্তর: মানবজীবনে আখলাকে হামিদার (উত্তম চরিত্রের) গুরুত্ব অপরিসীম। মানবজীবনের সুখ-শান্তি আখলাকে হামিদা বা প্রশংসনীয় আচরণের ওপর নির্ভরশীল । প্রশংসনীয় আচরণের মাধ্যমেই উত্তম চরিত্র গড়ে ওঠে। আখিরাতের সুখ - দুঃখও আখলাকে হামিদার ওপর নির্ভর করে। যার স্বভাব-চরিত্র যত সুন্দর হবে সে ততই সৎকর্মশীল হবে এবং আল্লাহর কাছে প্রিয় হবে।

৭। পরোপকারের পাঁচটি সুফল লেখ। 
উত্তর: পরোপকার মহান আল্লাহর একটি বড় গুণ । পরোপকারের পাঁচটি সুফল নিম্নরূপ-
১. পরোপকারীদেরকে আল্লাহ তায়ালা ভালোবাসেন । পরোপকারের মাধ্যমে সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়।
২. পরম শত্রুকেও পরোপকারের মাধ্যমে আপন করা যায়।
৩. কঠোর হৃদয়বিশিষ্ট লোকের অন্তরকেও জয় করা যায়।
৪ . আল্লাহর কোনো সৃষ্টির প্রতি দয়া করলে তিনি দয়াকারী ব্যক্তির ওপর রহমত বর্ষণ করেন।
৫ . দয়া বা পরোপকারের মাধ্যমে মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যায় । সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়।

৮। 'শালীনতা মানুষের একটি মহৎ গুণ' কথাটি বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর: শালীনতা মানুষের একটি মহৎ গুণ। এটির গুরুত্ব অপরিসীম। শালীনতাবোধ মানুষকে অন্যায় ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে। শালীনতা আল্লাহর অনুগত বান্দা হতে সাহায্য করে। আচার - ব্যবহারে শালীন ব্যক্তিকে সবাই পছন্দ করে । শালীন পোশাক - পরিচ্ছদ সৌন্দর্যের প্রতীক । শালীন ও ভদ্র আচরণের মাধ্যমে বন্ধুত্ব ও হৃদ্যতা সৃষ্টি হয়। সমাজকে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল রাখতে শালীনতার প্রয়োজন সর্বাধিক। শালীনতাপূর্ণ আচার -ব্যবহার সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের চাবিকাঠি।

৯। আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি সহানুভূতিশীল দেখানো এবং এগুলোর যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ করা আমাদের অবশ্য কর্তব্য ব্যাখ্যা কর। 
উত্তর: ইসলামি পরিভাষায় আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি দয়া ও সহানুভূতিশীল হয়ে আদর-যত্ন করার নামই হলো সৃষ্টির সেবা। মহান আল্লাহ এ সুন্দর পৃথিবীতে মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত তথা সৃষ্টির সেরা করে সৃষ্টি করেছেন। আর সৃষ্টিকুলের সবকিছু যেমন— জীবজন্তু, পশুপাশি, কীটপতঙ্গ, পাহাড়-পর্বত, গাছপালা ইত্যাদি মানুষের উপকারের জন্য সৃষ্টি করেছেন। সুতরাং এ সকল সৃষ্টির প্রতি সহানুভূতি দেখানো এবং এগুলোর যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ করা আমাদের অবশ্য কর্তব্য।

১০। সৃষ্টির সেবা বলতে কী বোঝ? 
উত্তর: পৃথিবী ও এ মহাবিশ্বে যা কিছু আছে তা সবই আল্লাহর সৃষ্টি। সৃষ্টিজগতের সবকিছু নিয়ে আল্লাহর সৃষ্টি পরিবার। আল্লাহর সৃষ্টি পরিবারে মানুষই সেরা সৃষ্টি। পরিবারে যেমন পরিবার প্রধানের অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য থাকে তেমনি সৃষ্টিজগতের প্রতিও মানুষের অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে। সৃষ্টিকুলের প্রতি এ দায়িত্ব পালন করার নাম সৃষ্টির সেবা।

১১। জীবজন্তুর মতো উদ্ভিদের প্রতিও আমাদের সদয় হতে হবে কেন? 
উত্তর: জীবজন্তুর মতো উদ্ভিদের প্রতিও আমাদের সদয় হতে হবে। আমাদের অকারণে গাছ কাটা উচিত না। গাছের পাতা ছেঁড়া বা চারাগাছ উপড়ে ফেলাও উচিত নয়। গাছপালার যত্ন করা উচিত। কারণ বৃক্ষলতাও মহান আল্লাহর তাসবীহ পাঠ করে । পরিবেশ রক্ষায় ও নিজেদের প্রয়োজনে জীবজগৎ ও পরিবেশের প্রতি সদাচরণ করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

১২। আমানতের খিয়ানতকারীকে সমাজের সবাই ঘৃণা করে কেন? 
উত্তর: সমাজের প্রতিটি মানুষের নিজ নিজ দায়িত্ব তার নিকট পবিত্র আমানত । সামাজিক শান্তি রক্ষার জন্য আমানত রক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । যিনি আমানত রক্ষা করেন তাকে সবাই বিশ্বাস করে এবং ভালোবাসে। সমাজের সবাই তাকে মর্যাদা দেয় । আমানতের খিয়ানতকারীকে সমাজের কেউ পছন্দ করে না এবং বিশ্বাসও করে না। বরং তাকে সবাই ঘৃণা করে । তাই আমানত রক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে মহান আল্লাহ বলেন “নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন যে, তোমরা যেন আমানতসমূহ তার মালিককে যথাযথভাবে ফেরত দাও। "

১৩। মহানবি (স) ক্ষমার মূর্ত প্রতীক ছিলেন— বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর: মহানবি (স) ছিলেন ক্ষমার মূর্ত প্রতীক। কারণ একবার এক ইহুদি মহিলা প্রিয়নবি (স) - কে তার বাড়িতে দাওয়াত দেন এবং বিষ মিশ্রিত ছাগলের গোশত্ তাঁকে খেতে দেন। রাসুল (স) উক্ত গোশতের কিছু খেয়েই বিষক্রিয়া অনুভব করেন। পরে ঐ মহিলা গোশতে বিষ দেওয়ার কথা স্বীকার করে। কিন্তু প্রিয়নবি (স) তাকে ক্ষমা করে দেন। এমনিভাবে মক্কা বিজয়ের পর মহানবি (স) প্রাণের শত্রুদেরকেও ক্ষমা করে দেন । তাঁদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন , “আজ তোমাদের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। তোমরা মুক্ত স্বাধীন।” পৃথিবীর ইতিহাস এরূপ ক্ষমার উদাহরণ আর দ্বিতীয় নেই।

১৪। হিংসা একটি মারাত্মক ব্যাধি— বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর: হিংসা বহু কারণে সৃষ্টি হয়। যেমন— শত্রুতা, লোভ, অহংকার, নিজের অসৎ উদ্দেশ্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা, নেতৃত্বের লোড ইত্যাদি। এসব কারণে এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তির প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ করে থাকে । ইসলাম এ কাজগুলোকে হারাম ঘোষণা করেছে। হিংসার অপকারিতা সীমাহীন। হযরত আদম (আ) - এর পদমর্যাদা দেখে ইবলিস তার প্রতিহিংসা করে। ফলে সে অভিশপ্ত হয়। আল্লাহ তায়ালার দয়া থেকে বঞ্চিত হয়। তাই হিংসা একটি মারাত্মক ব্যাধি।

১৫। ক্রোধের ক্ষতিকর অবস্থা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ক্রোধ একটি নিন্দনীয় চরিত্র। এটি মানুষের মধ্যে ঝগড়াবিবাদ ও হিংসাবিদ্বেষ সৃষ্টি করে। আর হিংসা মানুষের সৎকর্মসমূহ শেষ করে দেয়। ক্রোধের সময় মানুষের হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। সে নিজেকে সংযত রাখতে পারে না। ক্রোধ মানুষের ইমানকে ধ্বংস করে দেয়। এ সম্পর্কে মহানবি (স) বলেন, “সিরকা মধুকে যেভাবে বিনাশ করে, ক্রোধও ইমানকে তদ্রূপ নষ্ট করে।” (বায়হাকি) 
মহানবি (স) বলেছেন , ক্রোধ শয়তানের পক্ষ থেকে আসে, শয়তান আগুনের তৈরি। আর আগুনকে পানি ঠাণ্ডা করে । যদি কারও রাগ হয় তবে তার উচিত ওযু করে নেওয়া। (বুখারি ও মুসলিম)।

১৬। সন্তানের কর্তব্য পিতামাতার বাধ্য থাকা বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর: পিতামাতার অবাধ্য হওয়া বলতে বোঝায় , তাঁদের শ্রদ্ধা ও সম্মান না করা। পিতামাতার কথামত না চলা। তাঁদের নির্দেশ অমান্য করা। আল্লাহর অনুগ্রহের পর সন্তানদের প্রতি পিতামাতার অনুগ্রহ সবচেয়ে বেশি। তাঁরা সন্তানের আপনজন। তাঁদের স্নেহ - মমতায় সন্তান লালিত - পালিত হয়। সন্তানের আরাম -আয়েসের জন্য তারা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেন। সন্তানের ভবিষ্যৎ উন্নতির জন্য তাঁরা সবরকম ব্যবস্থা করেন। কাজেই সন্তানের কর্তব্য হলো পিতামাতার বাধ্য থাকা।

সৃজনশীল প্রশ্ন:
১. শিল্পপতি জামিল সাহেব তাঁর গার্মেন্টসে কর্মচারীদের যথাসময়ে উপযুক্ত পারিশ্রমিক পরিশোধ করেন। তিনি সততার সাথে কাজ করতে এই বলে সতর্ক করে দেন, যেন তার কারখানায় তৈরি পোশাকে কোনোরকম সমস্যা না থাকে। কাপড় কম দেওয়া বা সেলাইয়ে সুতা যেন খারাপ না হয়। তারপরেও এক কর্মচারী ইচ্ছাকৃতভাবে কাপড় কম দিয়ে পোশাক তৈরি করে। ঐ কর্মচারী কাপড় কম দেওয়ার বিষয়টি গোপন রাখে। এতে জামিল সাহেবের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে জামিল সাহেব ঐ কর্মচারীর বেতন বন্ধ করে দেন। একপর্যায়ে সামান্য বেতনের ঐ কর্মচারীর পরিবারের সমস্যার কথা বুঝালে জামিল সাহেব কর্মচারীকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন।
ক. ক্ষমা এর আরবি প্রতিশব্দ কী?
খ. শ্রমের মর্যাদা বলতে কী বোঝায়?
গ. জামিল সাহেবের সর্বশেষ আচরণে যে গুণটি ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর কর্মকা- একটি সামাজিক অপরাধ’- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

২. জহির সাহেব একজন চরিত্রবান লোক। রজব মিয়া তাঁর বাড়িতে মাসিক দুই হাজার টাকা বেতনে কাজ করে টাকাগুলো জহির সাহেবের নিকটই জমা রাখেন। এভাবে দু’বছর কাজ করার পর ঢাকা শহরে বেড়াতে এসে নিখোঁজ হন। এ অবস্থায় জমানো টাকা দিয়ে জহির সাহেব তার এলাকায় এক বিঘা জমি ক্রয় করে রজব মিয়ার নামে কওলা করেন। দীর্ঘ দশ বছর পরে রজব মিয়া জহির সাহেবের বাড়িতে ফিরে আসলে, জহির সাহেব তাঁর জমির দলিল হাতে দিয়ে জমি বুঝিয়ে দেন। অপর দিকে আরমান সাহেবের ড্রাইভার রমিজ মিয়া বিদেশে যাওয়ার জন্য জমি বিক্রি করে আরমান সাহেবের নিকট দুই লাখ টাকা দেন। আরমান সাহেব তাকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে একটি জাল ভিসা তৈরি করে দেন। রমিজ মিয়া এর মাধ্যমে বিদেশে যেতে ব্যর্থ হয়ে টাকা ফেরত চাইলে আরমান সাহেব বলেন, তোমাকে ভিসা দেওয়া হয়েছে, কাজেই তুমি বিদেশে যেতে না পারার দায়ভার আমি বহন করব না।
ক. কিসে মনের শান্তি নষ্ট হয়?
খ. আখলাকে যামিমা বলতে কী বোঝায়?
গ. জহির সাহেবের কাজটির মাধ্যমে কোন বিষয়টি রক্ষা পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ড্রাইভার রমিজ মিয়ার সাথে আরমান সাহেবের আচরণ বিশ্লেষণ কর।

৩. মান্নানের অভ্যাস মিথ্যা বলা, গালি দেয়া, অন্যের গচ্ছিত রাখা সম্পদ আত্মসাৎ করা। মান্নানের পিতা তার এ ধরনের আচরণে ব্যথিত। তার পিতা তাকে একদিন ডেকে বলল- তোমার এরূপ কর্মকা- ঠিক নয়। এরপর এ হাদিসটি শুনান, “তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তিই আমার নিকট অধিক প্রিয়, যার চরিত্র সর্বোত্তম”।
ক. আমানত অর্থ কী?
খ. আখলাকে হামিদাহ কাকে বলে?
গ. মান্নানের আচরণ কীসের পরিপন্থী? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের হাদিসের আলোকে আখলাকে হামিদাহর তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।

৪. মক্কায় ইসলাম প্রচারকালীন আমাদের মহানবি (স.)-এর উপর কাফিররা অত্যাচারের স্টিমরুলার চালিয়ে দেয়। তারা মহানবি (স.)-এর নামে কুৎসা রটনা করে। তারা তাঁকে অত্যাচারী সাজায়। এসব কথা শুনে এক বুড়ি মহানবি (স.)-এর অত্যাচারের ভয়ে মক্কা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে মহানবি (স.)-এর সাথে তার দেখা হয়। তিনি তার বিরাট বোঝা নিজের মাথায় তুলে নেন।
ক. শালিনতা অর্থ কী?
খ. পরোপকার করতে হবে কেন?
গ. উদ্দীপকে কোন গুণটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উক্ত গুণটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।

৫. জামিল একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। তার কর্মদক্ষতার কারণে কোম্পানি অনেক লাভবান হয় এবং তাকে পদোন্নতি দেয়। এতে তার সহকর্মী এলিনা হিংসা করতে থাকে। তার বিরোধিতা করে মিথ্যা বদনাম রটিয়ে দেয়। জামিল অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে এ পরিস্থিতির মোকাবিলা করেন। পাশাপাশি এলিনার সাথে সুন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এতে এলিনা আরও ক্ষেপে যায়। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে এলিনাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়।
ক. ক্ষমা শব্দের অর্থ কী?
খ. প্রতারণা কাকে বলে?
গ. জামিলের আচরণে কোন গুণটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. এলিনার কর্মকা-ের পরিণতি পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বিশ্লেষণ কর।

৬. জুমার নামায আদায় করতে সজিব মসজিদে গেল। ইমাম সাহেব বললেন- এক পাপী মহিলা একটি বিড়াল ছানাকে বাঁচানোর কারণে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন। তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে যত প্রাণী ও জীব আছে প্রত্যেকের প্রতি আমাদের সদয় হতে হবে। কাউকে কোনো প্রকার কষ্ট দেওয়া যাবে না।
ক. ক্রোধ অর্থ কী?
খ. আমরা কেন সৃষ্টির সেবা করব?
গ. ইমাম সাহেবের আলোচিত বিষয়টি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তুমি কি মনে কর উক্ত বিষয়টির তাৎপর্য অপরিসীম? মতামত দাও।

৭. মহানবি (স.) হিজরতের রাতে ঘর থেকে বের হয়ে যান। ঘাতকবেষ্টিত বিছানায় হযরত আলি (রা.) কে রেখে বললেন, ‘‘আমার নিকট মানুষের গচ্ছিত সম্পদ রয়েছে। সেগুলো তাদের নিকট যথাযথভাবে পৌঁছে দিও।’’ হযরত আলি (রা.) মহানবি (স.)-এর অসিয়ত অনুযায়ী প্রকৃত মালিকদের নিকট গচ্ছিত অর্থ পৌঁছে দিয়েছিলেন।
ক. কার পূর্ণ ইমান থাকে না?
খ. আমানত রক্ষা করা প্রয়োজন কেন?
গ. উদ্দীপকে কোন বিষয়টি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে আলোচিত বিষয়টি ইসলামে গুরুত্ববহ। মতামতসহ বিশ্লেষণ কর।

৮. বাংলাদেশের জাতীয় গণমাধ্যমে মাঝে মাঝে সংবাদ আসে শ্রমিক অসন্তোষ। এর প্রকৃত কারণ হলো শ্রমিকরা তাদের প্রাপ্য ঠিকভাবে পায় না। এতে শ্রমিকরা কাজ থেকে বিরত থাকে। অথচ হাদিসে মহানবি (স.) বলেছেন- “মজুরের মজুরি তার ঘাম শুকানোর আগেই পরিশোধ করে দাও।”
ক. আমানত অর্থ কী?
খ. সৃষ্টির সেবা বলতে কী বোঝ?
গ. জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়বস্তু ইসলামের দৃষ্টিতে কীরূপ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত হাদিসটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।

৯. হারুন মিয়া ও সোহানুর রহমান একে অন্যের প্রতিবেশী। সোহানুর রহমানের গাভী হারুন মিয়ার বাগানের গাছপালা নষ্ট করে। এতে হারুন মিয়া ও সোহানুর রহমানের মধ্যে তুমুল ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি এলাকার বিজ্ঞ আলেম আবুল ফাতাহ জানতে পারলে, তিনি হারুন মিয়াকে বোঝান এবং বলেন, মহানবি (স.) ছিলেন ক্ষমার মূর্তপ্রতীক। অতঃপর হারুন মিয়া সোহানুর রহমানকে মাফ করে দেন।
ক. আমানত অর্থ কী?
খ. অপরাধীকে ক্ষমা করতে হবে কেন?
গ. হারুন মিয়ার আচরণে কোন গুণটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘মহানবি (স.) ছিলেন উক্ত গুণের মূর্তপ্রতীক’ বিশ্লেষণ কর।

১০. ফরমান প্রভাবশালী ব্যক্তি। বিদেশে পাঠানোর কথা বলে এক প্রতিবেশীর নিকট থেকে এক লক্ষ টাকা নেয়। পরে একটি জাল ভিসা তৈরি করে দেয়। ঐ ভিসা দিয়ে বিদেশে যেতে ব্যর্থ হয়ে প্রতিবেশী তার টাকা ফেরত চায়। এতে ফরমান তার প্রতি রাগ হয়ে তাকে গালি দেয়। অন্যদিকে তার ছেলে গার্লস স্কুলের সামনে গিয়ে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে। এ বিষয়ে তাকে বললে সে বলে এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে।
ক. কেমন স্বভাবের মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না?
খ. আমানত রক্ষা করা প্রয়োজন কেন?
গ. ফরমানের চরিত্রে কোন বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তুমি কি মনে কর ফরমানের এ আচরণগুলো মানুষের ব্যক্তি ও সমাজজীবনকে কলুষিত করবে? মতামত দাও।

১১. হাসিব সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। তার বাবা লেখাপড়া না জানা মানুষ। অপরের উন্নতি দেখে তার বাবা জ্বলেপুড়ে মরে এবং তার ক্ষতি সাধনে লেগে থাকে। এ কারণে তাকে কেউ ভালোবাসে না। সমাজের লোকেরা তাকে এড়িয়ে চলে।
ক. সন্তানের জান্নাত কীসের ওপর নির্ভর করে?
খ. পরোপকার করতে হবে কেন?
গ. হাসিবের বাবার আচরণে কোনটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ব্যক্তি ও সমাজজীবনে উক্ত বিষয়টির প্রভাব বিশ্লেষণ কর।

১২. একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক জ্যেষ্ঠ নার্সকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন একই হাসপাতালের এক শিক্ষানবিস চিকিৎসক। আহত নার্সকে ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে ওই চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্ত করে। 
ক. আল-হিরসু শব্দের অর্থ কী?
খ. প্রতারণা বলতে কী বোঝ?
গ. শিক্ষানবিস চিকিৎসকের আচরণে কীসের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. বর্তমান প্রেক্ষাপটের আলোকে উক্ত বিষয়ের কুফল বিশ্লেষণ কর।

১৩. তিনজন লোক এক পাহাড়ের গুহায় একটি গুপ্তধনের সন্ধান পায়। গুপ্তধন নিয়ে আসার সময় তারা ক্ষুধা অনুভব করলে একজনকে খাদ্য আনার জন্য দোকানে পাঠায়। তারপর তারা দুইজন যুক্তি করে যে, তৃতীয় ব্যক্তি খাদ্য নিয়ে আসার সাথে সাথে তাকে হত্যা করে তার গুপ্তধন আমরা দুইজনে নিয়ে নেব। তৃতীয়জন খাদ্য কিনে খাদ্যের মধ্যে বিষ মিশিয়ে নিয়ে আসামাত্র দুইজনে মিলে তৃতীয়জনকে হত্যা করে। বাকী দুইজনের মধ্যে যে বেশি শক্তিশালী সে দুর্বল ব্যক্তিকে হত্যা করে। এরপর সে খাদ্য একাই খেতে বসে পুরোটা খেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
ক. ক্রোধ শব্দের অর্থ কী?
খ. মানুষ হিংসা-বিদ্বেষ করে কেন?
গ. উদ্দীপকের তিন ব্যক্তির চরিত্রে কোনটি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মানবজীবনে উক্ত বিষয়ের কুফল বিশ্লেষণ কর।

১৪. রায়হান সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। একদিন তার মা হামিদাবানু দুধের মধ্যে পানি মিশিয়ে রায়হানকে বাজারে বিক্রির জন্য পাঠাতে চাইলে রায়হান তার মাকে বলল, দুধে পানি মিশিয়ে বিক্রি করলে গুনাহ হয়। এটি মিথ্যার শামিল এবং একটি সামাজিক অপরাধ।
ক. পিতামাতার অবাধ্য হওয়া কেমন অপরাধ।
খ. আখলাকে যামিমা কাকে বলে?
গ. উদ্দীপকে হামিদাবানুর কর্মকাণ্ডে কী প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘এটি মিথ্যার শামিল এবং একটি সামাজিক অপরাধ’- উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।

১৫. সুজার পিতা-মাতা বৃদ্ধ। সে তার পিতা-মাতাকে দেখা শুনা করে না। সুজার আর কোনো ভাই-বোন না থাকায় পিতা-মাতার ঠাঁই আর কোথাও হয় না। একদিন সুজার শ্বশুর-শাশুড়ি তার বাসায় বেড়াতে আসে। তাদের আপ্যায়নের জন্য সুজা ভালো খাবারের আয়োজন করে। সুজার মা বেড়ার ফাঁক দিয়ে দেখে সুজা নিজ হাতে ভালো খাবারগুলো শ্বশুর-শাশুড়ির প্লেটে উঠিয়ে দিচ্ছে। এ দৃশ্য দেখে সুজার মা চোখের পানি ফেলে মনে মনে বলে “ছেলে যদি জানতাম তুই এমন ব্যবহার করবি তাহলে তোকে পেটে বহন করতাম না”।
ক. খিদমতে খালক অর্থ কী?
খ. পরোপকার বলতে কী বোঝায়?
গ. সুজার আচরণে কোনটি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তুমি কি মনে কর সুজার পরকালীন পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ? মতামত দাও।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url