ভূগোল ২য় পত্র MCQ প্রশ্নের সাজেশন ১০০% কমন || Vugol 2nd patra MCQ prasner sajesan 100% Common
১ম অধ্যায়
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
১. বাংলাদেশ ক্রান্তীয় অঞ্চলের দেশ- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: যেসব অঞ্চল দিয়ে ক্রান্তীয় রেখা অতিক্রম করেছে তাকে ক্রান্তীয় অঞ্চলের দেশ বলে।
বাংলাদেশের উপর দিয়ে ২৩.৫° কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করেছে। তাই বাংলাদেশকে ক্রান্তীয় অঞ্চলের দেশ বলে।
২. নামীয় অঞ্চলের সীমানা সুনির্দিষ্ট নয়- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: যে সমস্ত রাজনৈতিক অঞ্চলের কেবল নামীয় পরিচিতি রয়েছে সেগুলোকে নামীয় অঞ্চল বলে।
মহাদেশ ও মহাদেশের অংশবিশেষ নামীয় অঞ্চলের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। যেমন- এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলইউরেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি এলাকাও নামীয় অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। নামীয় অঞ্চলের সীমানা সুনির্দিষ্ট নয় এবং এসব অঞ্চলের একক নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রও থাকে না; যেমন- এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকার কোনো রাজধানী নেই। তাই বলা যায়, নামীয় অঞ্চলের সীমানা সুনির্দিষ্ট নয়।
৩. মানব ভূগোলের ক্ষেত্র বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: মানুষ, পরিবেশ ও মানুষের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ এ তিনটি নিয়ে মানব ভূগোলের ক্ষেত্র রচিত।
মানুষ ও তার ক্রিয়াকলাপকে কেন্দ্র করেই মানব ভূগোল গড়ে ওঠে। আর মানুষ যে পারিপার্শ্বিক অবস্থার মধ্যে বসবাস করে তা হলো মানব পরিবেশ। এ মানুষই তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য যে সমস্ত কার্য সম্পাদন করে তাদের সমষ্টিকে মানুষের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ বলা হয়।
৪. বাংলাদেশের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থিত বাংলাদেশের জলবায়ু উষ্ণ, আর্দ্র ও সমভাবাপন্ন।
মৌসুমি জলবায়ু এ দেশের জলবায়ুর ওপর এত অধিক প্রভাববিস্তার করে যে সামগ্রিকভাবে এটি ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু নামে পরিচিত। মৌসুমি জলবায়ুর প্রভাবে এদেশে ভিন্ন ঋতুর আবির্ভাব ঘটে। শুষ্ক ও আরামদায়ক শীতকাল এবং উষ্ণ ও আর্দ্র গ্রীষ্মকাল বাংলাদেশের জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য।
৫. এশিয়ার ভৌগোলিক অবস্থান কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: এশিয়া মহাদেশ ইউরোপের পূর্ব এবং আফ্রিকার উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত। এশিয়া ১০° দক্ষিণ অক্ষরেখা থেকে ৮০° উত্তর অক্ষরেখা এবং ২৫০° পূর্ব থেকে ১৭০° পশ্চিম দ্রাঘিমারেখা ১৮০° দ্রাঘিমা অতিক্রম করে আরো ১০° দ্রাঘিমা পর্যন্ত বিস্তৃত।
৬. বাংলাদেশকে নদীমাতৃক দেশ বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: সুজলা, সুফলা, শস্য শ্যামলা আমাদের দেশ বাংলাদেশ, এদেশের বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে নদী এক বিশেষ স্থান দখল করে আছে। এদেশে অসংখ্য নদী জালের মতো ছড়িয়ে আছে। অধিক সংখ্যক নদী থাকার কারণে বাংলাদেশকে নদীমাতৃক দেশ বলা হয়।
৭. মানব ভূগোলের ধারণা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: মানব ভূগোলের ধারণা ব্যাখ্যা করতে ভূগোলবিদগণ দেখিয়েছেন মানুষের সাথে পরিবেশের সম্পর্ক দুটি পরস্পরবিরোধী মতবাদের ওপর নির্ভরশীল। যথা- ১. নিমিত্তবাদ ২. সম্ভাবনাবাদ।
নিমিত্তবাদ পরিস্থিতি সম্পর্কীয় মতবাদ, যেখানে প্রকৃতি নির্ধারণ করে মানুষ প্রকৃতির কোন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাবে। আর সম্ভবনাবাদ সেই পরিস্থিতি সম্পর্কীয় মতবাদ, যেখানে মানুষ নির্ধারণ করে প্রকৃতির কোন সম্ভাবনাকে সে কাজে লাগাবে।
৮. মানুষের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ বলতে কী বুঝ?
উত্তর: মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকা- বলতে পণ্যসামগ্রী ও সেবাকার্যের উৎপাদন, বিনিময় এবং ব্যবহারের সাথে সম্পর্কযুক্ত যেকোনো কাজকেই বোঝায়।
অর্থনৈতিক কার্যাবলিকে প্রথম পর্যায়, দ্বিতীয় পর্যায় ও তৃতীয় পর্যায় – এই তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকা- আসে সরাসরি প্রাকৃতিকভাবে। এরপর এই কর্মকা-কে ভিত্তি করে তথা ব্যবহার করে অন্যান্য কর্মকা- পরিচালিত হয়।
৯. সম্পদ ব্যবস্থাপনা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: যা কিছু নির্দিষ্ট প্রযুক্তি, অর্থনীতি এবং সামাজিক অবস্থায় ব্যবহার করা যায় তাকেই সম্পদ বলে। সম্পদ মানুষের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
সম্পদ ব্যবস্থাপনা হলো সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতের লক্ষ্যে কর্ম পরিকল্পনা। অর্থনীতির ভাষায় সম্পদ সসীম, তাই সম্পদের সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার সম্ভব। তাই বলা যায় সম্পদের সঠিক, সুন্দর ও মিতব্যয়ী ব্যবহারের মাধ্যমে সর্বোত্তম। ব্যবহারের প্রক্রিয়াই হলো সম্পদ ব্যবস্থাপনা।
১০. মানব ভূগোল বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: মানব ভূগোল হলো মানুষ ও স্থান সম্পর্কিত জ্ঞান।
মানুষের কর্মকা- ও গুণাবলির সাথে ভৌগোলিক পরিবেশের মধ্যকার সম্পর্কের প্রকৃতি ও বিন্যাস নিয়ে যে শাস্ত্র আলোচনা করে তাকে মানব ভূগোল বলে।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন:
১. শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা প্রভৃতি ভূগোলের কোন শাখার আলোচ্য বিষয়?
ক. নগর ভূগোল খ. বসতি ভূগোল
গ. রাজনৈতিক ভূগোল ● সাংস্কৃতিক ভূগোল
২. প্রাকৃতিক পরিবেশ নিয়ন্ত্রিত চিন্তাধারা কোনটি?
● নিমিত্তবাদ খ. সম্ভবনাবাদ
গ. পরিবেশবাদ ঘ. নব্য সম্ভবনাবাদ
৩. সমুদ্রবেষ্টিত দেশ কোনটি?
● জাপান খ. ভারত
গ. উত্তর কোরিয়া ঘ. দক্ষিণ কোরিয়া
৪. ব্রাজিল কোন দেশের উপনিবেশ ছিল?
ক. ফ্রান্স খ. স্পেন
● পর্তুগাল ঘ. গ্রেট ব্রিটেন
৫. বাংলাদেশের উত্তরে অবস্থিত ভারতের
ক. আসাম ও ত্রিপুরা খ. মেঘালয় ও ত্রিপুরা
● মেঘালয় ও আসাম ঘ. আসাম ও মনিপুর
৬. বাংলাদেশের উপর দিয়ে অতিক্রান্ত দ্রাঘিমা রেখা-
● ৮৮° পূ. খ. ৯০° পূ.
গ. ৮৮° পূ. ঘ. ৯০° পূ.
৭. বাংলাদেশের প্রশাসনিক বিভাগ কয়টি?
ক. ৫ খ. ৬
গ. ৭ ● ৮
৮. নিচের মহাদেশগুলোর মধ্যে আয়তনে ক্ষুদ্রতম কোনটি?
● ইউরোপ খ. এন্টার্কটিকা
গ. উত্তর আমেরিকা ঘ. দক্ষিণ আমেরিকা
৯. মানব ভূগোলের আলোচ্য বিষয় কোনটি?
ক খনিজ ● জলবায়ু
গ. ভূমিরূপ ঘ. হিমবাহ
১০. পৃথিবীর বৃহত্তম মহাদেশ কোনটি?
ক. আফ্রিকা ● এশিয়া
গ. ইউরোপ ঘ. অস্ট্রেলিয়া
১১. ভাষা, ধর্ম, বর্ণ ও সংস্কৃতি নিয়ে মানব ভুগোলের যে শাখা আলোচনা করে তার নাম-
ক. নগর ভূগোল ● সাংস্কৃতিক ভূগোল
গ. জনসংখ্যা ভূগোল ঘ. গ্রামীণ ভূগোল
১২. ভূগোলের প্রধান অংশ কয়টি?
● ২টি খ. ৩টি
গ. ৪টি ঘ. ৫টি
১৩. মানব ভূগোল পঠন-পাঠনের প্রণালিবদ্ধ রোডম্যাপ প্রস্তুত করেন কে?
● ফ্রেডরিক র্যাটজেল খ. ইলেন চার্চিল ম্যাম্পেল
গ. ভিদাল ডি লা ব্লাশ ঘ. জীন ব্রুনেস
১৪. ইলেন চার্চিল ম্যাম্পেলের শিক্ষক কে ছিলেন?
ক. পল ভিদাল ডি লা ব্লাশ খ. জীন ব্রুনেস
গ. কার্ল রিটার ● ফ্রেডরিক র্যাটজেল
১৫. পল ভিদাল ডি লা ব্লাশ কোন দেশের নাগরিক?
● ফ্রান্স খ. নেদারল্যান্ড
গ. রাশিয়া ঘ. জাপান
১৬. মানব ভূগোলে মানুষ ও প্রকৃতির আন্তঃসম্পর্ক উদঘাটন করেন কে?
ক. কার্ল রিটার খ. ফ্রেডরিক র্যাটজেল
গ. জীন ব্রুনেস ● ইলেন চার্চিল ম্যাম্পেল
১৭. বনজ সম্পদ সংগ্রহ ভূগোলের কোন ধরনের বিষয়বস্তু?
ক. উৎপাদনমূলক বিষয়বস্তু খ. নির্মাণমূলক বিষয়বস্তু
গ. পরিসেবামূলক বিষয়বস্তু ● সম্পদগত বিষয়বস্তু
১৮. কোনটি মানব ভূগোলের শাখা?
ক. অর্থনৈতিক ভূগোল খ. জনসংখ্যা ভূগোল
গ. পরিবহন ভূগোল ● সবগুলো
১৯. মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড কীভাবে পরিচালিত হচ্ছে তা কোন ভূগোলের আলোচ্য বিষয়?
ক. জনসংখ্যা ভূগোল ● অর্থনৈতিক ভূগোল
গ. কৃষি ভূগোল ঘ. বসতি ভূগোল
২০. কোনটি জনসংখ্যাবিষয়ক ভূগোলের অন্তর্ভুক্ত?
● জনসংখ্যা তত্ত্ব খ. নগরায়ণের ধারা
গ. মানুষের গঠন ঘ. পরিবেশ সংরক্ষণ
২১. কৃষি উপকরণের উৎপাদন ও বণ্টনবিষয়ক আলোচনা ভূগোলের কোন শাখার অন্তর্ভুক্ত?
ক. নৃ-ভূগোল ● কৃষি ভূগোল
গ. সম্পদ ভূগোল ঘ. অর্থনৈতিক ভূগোল
২২. সমুদ্রবন্দর গড়ে তোলা ভূগোলের কোন শাখার আলোচ্য বিষয়?
● পরিবহন ভূগোল খ. পরিবেশগত ভূগোল
গ. নৃ-ভূগোল ঘ. নগর ভূগোল
২৩. দেশের স্বাধীনতা, আইনকানুন প্রভৃতি দেশের আয়তন, ক্রমবিকাশ প্রভৃতি আলোচনা করা কোন ভূগোলের অন্তর্ভুক্ত?
ক. সাংস্কৃতিক ভূগোল খ. আঞ্চলিক ভূগোল
গ. শিল্প ভূগোল ● রাজনৈতিক ভূগোল
২৪. একটি অঞ্চলের নগর সভ্যতার উৎপত্তি নিয়ে আলোচনা করা ভূগোলের কোন শাখার কাজ?
ক. শিল্প ভূগোল খ. আঞ্চলিক ভূগোল
● নগর ভূগোল ঘ. কৃষি ভূগোল
২৫. শিল্পের কাঁচামাল, শক্তিসম্পদের প্রাচুর্যতা ইত্যাদি কোন ভূগোলের আলোচ্য বিষয়?
● শিল্প ভূগোল খ. অর্থনৈতিক ভূগোল
গ. রাজনৈতিক ভূগোল ঘ. নগর ভূগোল
২৬. মানব ভূগোলকে ভূদৃশ্য পরিবর্তনে মানুষের সৃজনশীলতার আলোকে বিবেচনা করেন-
i. ইলেন চার্চিল ম্যাম্পেল
ii. জীন ব্রুনেস
iii. পল ভিদালডি লা ব্লাশ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. ii ও iii
● ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
২৭. উত্তোলনবিষয়ক কর্মকান্ডের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-
i. মাটি খনন
ii. পাথর উত্তোলন
iii. খনিজ উত্তোলন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. ii ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
২৮. পরিসেবামূলক কর্মকান্ডের অন্তর্ভুক্ত নয়-
i. ব্যাংকিং ব্যবস্থা
ii. কৃষিকাজ
iii. ভবন নির্মাণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. ii ও iii
● ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২৯ ও ৩০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
মি. জলিল ঢাকার বাড্ডায় এলাকায় একটি বাসায় দুই বছর যাবৎ বসবাস করছেন। সে একজন ব্যবসায়ী। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী। দুই বছর আগে নদীভাঙনে তার বসত ভিটা বিলীন হয়ে যাওয়ায় সে ঢাকায় এসে বসবাস শুরু করে।
২৯. মি. জলিল ঢাকায় বসবাস ভূগোলের কোন শাখার আলোচ্য বিষয়?
ক. নৃ-ভূগোল খ. পরিবহন ভূগোল
● বসতি ভূগোল ঘ. নগর ভূগোল
৩০. উদ্দীপকে উল্লিখিত ঘটনাটি ভূগোলের যে শাখাটিকে প্রভাবিত করেছে তা হলো-
i. বসতি ভূগোল
ii. পরিবেশ ভূগোল
iii. অর্থনৈতিক ভূগোল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. ii ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৩১. কোন ভূগোল পাঠের মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের ভাষা, জাতি, বর্ণ প্রভৃতি সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞানলাভ করা যায়?
ক. আঞ্চলিক ভূগোল খ. সাংস্কৃতিক ভূগোল
গ. অর্থনৈতিক ভূগোল ● নৃ-ভূগোল
৩২. অর্থনৈতিক ভূগোল পাঠের মাধ্যমে কোনটি সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়?
● খনিজ সম্পদ খ. সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড
গ. দেশের আয়তন ঘ. ভৌগোলিক তথ্য
৩৩. কোন ভূগোল বিভিন্ন দেশের জনসংখ্যা বন্টন ধারা ও অধিবাসীদের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সম্পর্কে ধারণা দেয়?
ক. জনসংখ্যা ভূগোল ● অর্থনৈতিক ভূগোল
গ. বসতি ভূগোল ঘ. আঞ্চলিক ভূগোল
৩৪. পর্যাপ্ত কাঁচামাল ও সস্তা শ্রমিকের কারণে অধিক পরিমাণ পোশাক শিল্প গড়ে উঠেছে-
i. চীন
ii. রাশিয়া
iii. বাংলাদেশ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii ● ii ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
৩৫. দক্ষিণ এশিয়ার অন্তর্ভুক্ত দেশ হলো-
i. ভারত
ii. বাংলাদেশ
iii. চীন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. ii ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৩৬. ভারতের মোট আয়তন কত?
ক. ৩০,৮৫,২৬০ বর্গ কি.মি. খ. ৩২,৭৫,৫২৭ বর্গ কি.মি.
● ৩২,৮৭,২৬৩ বর্গ কি.মি. ঘ. ৩৫,৭২,৫৫৩ বর্গ কি.মি.
৩৭. মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কোনটি?
● কাতার খ. লাওস
গ. ভুটান ঘ. নেপাল
৩৮. কোনটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত নয়?
ক. সিঙ্গাপুর খ. ভিয়েতনাম
গ. ব্রুনাই ● কুয়েত
৩৯. ইউরেশিয়ার পশ্চিমে কোন মহাদেশ অবস্থিত?
ক. এশিয়া ● ইউরোপ
গ. আফ্রিকা ঘ. অস্ট্রেলিয়া
৪০. প্রতি বর্গ কি.মি. এ ইউরোপ মহাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব কত?
ক. ৭০.৫ জন খ. ৭১ জন
গ. ৭১.৫ জন ● ৭২.৯ জন
৪১. আফ্রিকা মহাদেশের মোট আয়তন কত?
ক. ৩ কোটি ৪ লক্ষ ৭০ হাজার ৫০০ বর্গ কি.মি.
● ৩ কোটি ২ লক্ষ ২১ হাজার ৫৩২ বর্গ কি.মি.
গ. ৩ কোটি ৫ লক্ষ ৭৫ হাজার ৪৪৪ বর্গ কি.মি.
ঘ. ৩ কোটি ৬ লক্ষ ৭৫ হাজার ৪৪৮ বর্গ কি.মি.
৪২. বিশ্বের মোট জনসংখ্যার কত শতাংশ আফ্রিকা মহাদেশে রয়েছে?
ক. ১০ শতাংশ ● ১৪ শতাংশ
গ. ১৫ শতাংশ ঘ. ১৭ শতাংশ
৪৩. মোট স্থলভাগের ২০.৪ ভাগ জুড়ে কোন মহাদেশ অবস্থিত?
ক. ইউরোপ খ. অস্ট্রেলিয়া
● আফ্রিকা ঘ. এশিয়া
৪৪. উত্তর আমেরিকা মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত স্বাধীন দেশ কয়টি?
ক. ২০টি খ. ২২টি
● ৩৩টি ঘ. ২৭টি
৪৫. দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ কোথায় অবস্থিত?
ক. অস্ট্রেলিয়ার পূর্বে ● উত্তর আমেরিকার দক্ষিণ-পূর্বে
গ. এশিয়ার উত্তর-পূর্বে ঘ. এন্টার্কটিকার দক্ষিণে
৪৬. দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত দেশ কয়টি?
ক. ১০টি ● ১৪টি
গ. ১৫টি ঘ. ১৭টি
৪৭. নিউজিল্যান্ড কোন মহাসাগরের দ্বীপ।
ক. আটলান্টিক মহাসাগর খ. ভারত মহাসাগর
● প্রশান্ত মহাসাগর ঘ. উত্তর মহাসাগর
৪৮. বিশ্বের ক্ষুদ্রতম মহাদেশ কোনটি?
● অস্ট্রেলিয়া খ. এশিয়া
গ. ইউরোপ ঘ. আফ্রিকা
৪৯. এন্টার্কটিকা মহাদেশটিকে পৃথিবীর কয়টি দেশ তাদের টেরিটোরিয়াল দেশ মনে করে?
ক. ১০টি খ. ১২টি
● ১৪টি ঘ. ১৬টি
৫০. ভারতের রাষ্ট্রীয় নাম কী?
ক. গণপ্রজাতন্ত্রী ভারত ● রিপাবলিক অব ইন্ডিয়া
গ. ইউনাইটেড কিংডম অব ইন্ডিয়া ঘ. ইউনাইটেড স্টেটস অব ইন্ডিয়া
২য় অধ্যায়
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১. জনসংখ্যার ঘনত্ব কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: জনসংখ্যার ঘনত্ব বলতে একটি দেশের প্রতি বর্গকিলোমিটারে যতজন লোক বাস করে তাকে ঐ দেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব বলে।
কোনো দেশের মোট জনসংখ্যাকে সে দেশের মোট আয়তন দ্বারা ভাগ করলেই প্রতি বর্গকিলোমিটারে বসবাসকারী লোকসংখ্যার ঘনত্ব পাওয়া যায়। অর্থাৎ জনসংখ্যার ঘনত্ব = মোট জনসংখ্যা/মোট আয়তন। জনসংখ্যার ঘনত্ব বলতে বিভিন্ন মানুষের সংবদ্ধতা তথা জনবসতির নিবিড়তা বোঝানো হয়ে থাকে।
২. জনমিতিক উপাদানের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: জনমিতি হলো জনসংখ্যার একটি বৈশিষ্ট্যগত জ্ঞান। জনসংখ্যার পরিবর্তন হয় জন্ম, মৃত্যু ও অভিগমনের মাধ্যমে। এ উপাদানগুলোকেই জনমিতিক উপাদান বলে।
জন্মহার, মৃত্যুহার, আকার, বয়স কাঠামো, নারী পুরুষ অনুপাত, মাথাপিছু আয় প্রভৃতি জনমিতিক উপাদান। এসব উপাদানগুলো জনসংখ্যা পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একটি দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক চিত্র ফুটে উঠে এ উপাদানগুলোর বিশ্লেষণের মাধ্যমে। মোটকথা একটি দেশের জনসংখ্যার সার্বিক পরিস্থিতি জানার জন্য জনসংখ্যার জনমিতিক উপাদানগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৩. বান্দরবানের জনবসতি অতি বিরল ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বান্দরবানর এলাকাটি পর্বতময় বলে জনসংখ্যায় বসতি কম।
যে অঞ্চলের জনবসতির ঘনত্ব ৫০০ জনের কম সে অঞ্চলের বসতি অতি বিরল জনবসতির অন্তর্গত। বান্দরবান জেলাটি পর্বতময় হওয়ায় সেখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কি.মি. ৮৭ জন যা অতি বিরল বসতির এর আওতাভুক্ত। তাই বলা যায় বান্দরবানের জনবসতি অতি বিরল।
৪. মানুষ কেন অভিগমন করে?
উত্তর: মানুষ বিভিন্ন কারণে অভিগমন করে থাকে।
মানুষ বিভিন্ন সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা ত কিংবা চিকিৎসাসংক্রান্ত কারণে এক স্থান হতে অন্যস্থানে অভিগমন করে যা আকর্ষণমূলক অভিগমনের অন্তর্ভুক্ত। এসব আকর্ষণজনিত কারণ ছাড়াও কোনো কোনো ক্ষেত্রে মানুষ অভাব, যুদ্ধ, দাঙ্গা প্রভৃতি বিকর্ষণজনিত কারণেও অভিগমন করে থাকে।
৫. খাগড়াছড়িতে জনসংখ্যার ঘনত্ব কম হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বন্ধুর ভূপ্রকৃতির জন্য খাগড়াছড়িতে জনসংখ্যা ঘনত্ব কম।
পার্বত্য অঞ্চল কৃষির অনুপযোগী ও যোগাযোগ কষ্টসাধ্য হওয়ায় সে অঞ্চলে জনবসতি কম। এছাড়া বন্ধুর ভূপ্রকৃতির জন্য এসব অঞ্চলে শিল্পায়ন ও সব ধরনের আধুনিক সুযোগ সুবিধাও কম হয়। খাগড়াছড়ি অল পর্বতময় হওয়ার কারণে সেখানে উপরোল্লিখিত সুযোগ-সুবিধা কম থাকায় জনসংখ্যার ঘনত্ব কম।
৬. ঘনত্বের বিচারে রাঙ্গামাটি কোন ধরনের জনবসতি অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ঘনত্বের বিচারে রাঙামাটি বিরল জনবসতি অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত।
বাংলাদেশে যেসব অঞ্চলে জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কি.মি. এ ১,০০০ জনের কম সেসব অঞ্চলকে বিরল জনবসতিযুক্ত অঞ্চল বলে। চট্টগ্রাম বিভাগের রাঙামাটি জেলার জনসংখ্যা প্রতি বর্গ কি.মি. এ ১,০০০ জনের কম। তাই বলা যায় রাঙামাটি জেলা বিরল জবসতির অন্তর্ভুক্ত।
৭. জনসংখ্যার ঘনত্ব কীভাবে নির্ণয় করা হয়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: জনসংখ্যার ঘনত্ব বলতে প্রতি বর্গকিলোমিটারে কতজন লোক বাস করে তাকে বোঝায়। কোনো দেশের জনবসতির ঘনত্ব জানতে হলে ঐ দেশের মোট জনসংখ্যা ও দেশের আয়তন জানতে হবে। জনসংখ্যার ঘনত্ব নির্ণয়ের সূত্রটি নি¤œরূপ:
জনসংখ্যার ঘনত্ব = মোট জনসংখ্যা/মোট আয়তন
৮. জনসংখ্যা পিরামিড বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: নারী-পুরুষের বয়সভিত্তিক বিন্যাস গ্রাফে প্রকাশ করলে ত্রিভুজ বা পিরামিড সদৃশ যে নকশা তৈরি হয় তাকে জনসংখ্যা পিরামিড বলে।
জনসংখ্যা পিরামিড হচ্ছে কোনো স্থানের জনমিতিক বৈশিষ্ট্য প্রকাশক গ্রাফচিত্র। পিরামিডের ভূমি অক্ষে নারী-পুরুষ সংখ্যা এবং লম্ব। অক্ষে বয়সভিত্তিক বিন্যাস যার বামপাশে পুরুষদের এবং ডানপাশে নারীদের বয়সভিত্তিক আয়তলেখ অঙ্কন করে দেখানো হয়।
৯. শরণার্থী বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: গৃহযুদ্ধ, সাম্প্রদায়িক বৈষম্যের কারণে বা যুদ্ধের কারণে কেউ যদি অভিগমন করে তাকে বলপূর্বক অভিবাসন বলে। বলপূর্বক অভিবাসনের ফলে যেসব ব্যক্তি কোনো স্থানে আগমন করে ও সাময়িকভাবে আশ্রয় গ্রহণ করে এবং সুযোগমতো স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় থাকে, তাদেরকে বলে শরণার্থী।
১০. অভিগমনের সামাজিক প্রভাব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: অভিগমনের ফলে উৎস (origin) ও গন্তব্যস্থলে (destination) সামাজিক প্রভাব পড়ে থাকে। অভিগমনের ফলে গন্তব্যস্থলের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি উন্নত হয়। মানুষ বিভিন্ন সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হয়। অন্যদিকে পরস্পরের মধ্যে সামাজিক বন্ধন কমে যায়, হতাশা বৃদ্ধি পায়। উৎসস্থলে সামাজিক কার্যক্রমে স্থবিরতা আসতে পারে। যেমন, স্বামী অন্যত্র অভিগমন করার ফলে গ্রামে নারীদের ওপর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক চাপ বৃদ্ধি পায়।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন:
১. জনসংখ্যায় বাংলাদেশ বিশ্বে কততম?
ক. ৬ষ্ট খ. ৭ম
● ৮ম ঘ. ৯ম
নিচের উদ্দীপকটি লক্ষ কর এবং ২ ও ৩নং প্রশ্নের উত্তর দাও: জনমিতিক ট্রানজিশনাল মডেলের ‘ক’ ধাপ যেখানে খাদ্য ও চিকিৎসার অভাব, যুদ্ধ ইত্যাদি বিদ্যমান। মায়ানমার এই ধাপের একটি দেশ। আবার বাংলাদেশ এই মডেলের ‘খ’ ধাপে রয়েছে যেখানে জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন, যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন দেখা যায়।
২. উদ্দীপকের ‘ক’ ধাপে রয়েছে নিচের কোন দেশ?
● ভুটান খ. ভারত
গ. মিশর ঘ. নাইজেরিয়া
৩. উদ্দীপকের উভয় ধাপেরই মিল রয়েছে-
i. উচ্চ জন্মহার
ii. উচ্চ মৃত্যুহার
iii. জীবনযাত্রার নি¤œমান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii ● i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
৪. জাতিসংঘের মতে অভিগমনের ক্ষেত্রে বাসস্থান পরিবর্তনের ন্যূনতম সময়কাল কত?
ক. ৬ মাস খ. ৮ মাস
গ. ১০ মাস ● ১২ মাস
৫. ঢাকা ও খাগড়াছড়ির জনসংখ্যার তারতম্যের কারণ-
i. ভূপ্রকৃতির ভিন্নতা
ii. কর্মসংস্থানের সুবিধা
iii. খনিজ সম্পদের প্রাপ্যতা
নিচের কোনটি সঠিক?
● i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
৬. জনসংখ্যার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জনমিতিক উপাদান হচ্ছে
ক. নৃ-গোষ্ঠী ● বয়স কাঠামো
গ. ভাষাগত বৈশিষ্ট্য ঘ. পেশাগত বৈশিষ্ট্য
৭. জনসংখ্যার ঘনত্ব বলতে বোঝায়-
ক. মোট জনসংখ্যা খ. নারী-পুরুষ অনুপাত
● জনবসতির নিবিড়তা ঘ. জনসংখ্যার অবস্থানগত বিস্তৃতি,
৮. অভিগমনের আকর্ষণমূলক কারণ কোনটি?
ক. জনসংখ্যা বৃদ্ধি খ. অর্থনৈতিক মন্দা
গ. প্রাকৃতিক দুর্যোগ ● সামাজিক নিরাপত্তা
৯. কোনো এলাকার জনসংখ্যার পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে-
i. জন্মহারা
ii. মৃত্যুহার
iii. অভিগমন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
১০. অভ্যন্তরীণ অভিগমনের কারণ হলো-
ক. সংস্কৃতির ভিন্নতা ● জনসংখ্যার চাপ
গ. জলবায়ু পরিবর্তন ঘ. ধর্মীয় কারণ
১২. মানচিত্রে জনসংখ্যার বণ্টন দেখানাের জন্য উপযুক্ত পদ্ধতি হলো-
i. স্তম্ভলেখ
ii. ছায়াপাত
iii. বিন্দু
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
১৩. অভিগমন নির্ভর করে-
i. সরকারের নীতি
ii. নিজের চাহিদা
iii. পরিবারের সুযোগ-সুবিধা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
১৪. জনমিতিক ট্রানজিশনাল মডেল কত সালে উপস্থাপন করা হয়?
ক ১৯০৯ খ. ১৯১৯
● ১৯২৯ ঘ. ১৯৩৯
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ১৫ ও ১৬নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
লিনজু নেত্রকোনার একটি গ্রামের কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে সাভারের একটি গার্মেন্টসে চাকরি নিয়েছে। সেখানেই সে বসতি গড়েছে।
১৫. উদ্দীপকে উল্লিখিত অভিগমনের ধরন কোনটি?
ক. পল্লি থেকে পল্লি ● পল্লি থেকে নগর
গ. নগর থেকে পল্লি ঘ. নগর থেকে নগর
১৬. লিনজুর অভিগমন হচ্ছে-
i. অভ্যন্তরীণ
ii. আকর্ষণজনিত
iii. বিকর্ষণজনিত
নিচের কোনটি সঠিক?
● i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
১৭. বাংলাদেশে সর্বশেষ আদমশুমারি হয় কত সালে?
ক. ২০০১ খ. ২০০৭
● ২০১১ ঘ. ২০১৫
১৮. কোনো এলাকার জনসংখ্যার পরিবর্তন নিচের কোন কোন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে?
i. জন্মহার
ii. মৃত্যুহার
iii. অভিগমন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
১৯. পৃথিবীর জনসংখ্যা ৩ বিলিয়ন ছিল কত সালে?
ক. ১৮০০ খ. ১৯০০
● ১৯৬০ ঘ. ১৯৮০
২০. সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার অবস্থান কোন মহাদেশে?
ক. আফ্রিকা ● এশিয়া
গ. ইউরোপ ঘ. ওশেনিয়া
২১. UN Data-২০১৯ এর হিসেবে বর্তমান পৃথিবীর জনসংখ্যা কত?
ক. ৭.১ বিলিয়ন খ. ৭.২ বিলিয়ন
গ. ৭.৩ বিলিয়ন ● ৭.৫ বিলিয়ন
২২. UN Data-২০১৯ এর হিসেবে চীনের জনসংখ্যা কত?
ক. ১.৩৫৭ বিলিয়ন ● ১.৪৩৫ বিলিয়ন
গ. ১.৬৭৫ বিলিয়ন ঘ. ১.৮০৫ বিলিয়ন
২৩. জনসংখ্যার বয়সভিত্তিক পরিমাপ করার জন্য কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে?
ক. ৪টি ● ৩টি
গ. ২টি ঘ. ৫টি
২৪. কোন ধরনের পরিবর্তনের জন্য মানুষ অভিবাসনে আগ্রহী হয়।
● অর্থনৈতিক খ. সামাজিক
গ. রাজনৈতিক ঘ. জনবৈশিষ্ট্যগত
২৫. জনমিতিক ট্রানজিশনাল মডেলে কী ব্যাখ্যা করা হয়?
ক. জন্মহার খ. মৃত্যুহার
গ. জনসংখ্যা বৃদ্ধি ● জন্মহার ও মৃত্যুহার
২৬. ১৯৯০ সালে সমগ্র পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা কত ছিল?
ক. ৫১২২ মিলিয়ন খ. ৫২৪৫ মিলিয়ন
● ৫২৫৫ মিলিয়ন ঘ. ৫১৩২ মিলিয়ন
২৮. কত বছর বয়স থেকে বৃদ্ধ জীবন শুরু হয়?
● ৬০ বছর খ. ৫৫ বছর
গ. ৫০ বছর ঘ. ৪৫ বছর
২৯. যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বাংলাদেশের মৃত্যুহার কত বেশি?
ক. ৬.০০ জন ● ৬.২ জন
গ. ৬.৪ জন ঘ. ৬.৬ জন
৩০. জনসংখ্যার ঘনত্বকে প্রভাবিত করে-
i. সমতল ভূমি
ii. উর্বর মাটি
iii. চিকিৎসা সেবা
নিচের কোনটি সঠিক?
● i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
৩১. জনসংখ্যায় লিঙ্গভিত্তিক গঠন নির্ভর করে-
i. মৃত্যুহার
ii. জন্মহার
iii. অভিগমন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৩২. মৃত্যুহারের ওপর প্রভাববিস্তারকারী উপাদান হলো-
i. মহামারী
ii. যোগাযোগ ব্যবস্থা
iii. চিকিৎসা ও সেবা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii ● i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
৩৩. “মৃত্যুহারের তুলনায় কম জন্মহার” এই ধরনের অবস্থা পরিলক্ষিত হয়-
i. অস্ট্রেলিয়া
ii. নিউজিল্যান্ড
iii. সুইডেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
● ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৩৪ ও ৩৫নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
জনাব কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিষয়ে অধ্যয়ন করছেন । তিনি বিভিন্ন দেশের মৃত্যুহার নিয়ে গবেষণা করার সময় দেখলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশের মৃত্যুহার অনেক বেশি। তবে ভারতের চেয়ে সামান্য কম। বেশ কিছু উপাদান এর জন্য প্রভাববিস্তার করে।
৩৪. যুক্তরাষ্ট্রের মৃত্যুহার কত?
● ১০.৮ জন খ. ১১.৮ জন
গ. ১১.৯ জন ঘ. ১২.০০ জন
৩৫. বাংলাদেশের মৃত্যুহার কত?
ক. ১৭.৮ জন খ. ১৭.৬ জন
গ. ১৭.৪ জন ● ১৭.০০ জন
৩৬. ল্যাটিন শব্দ Migrati -এর অর্থ কী?
● বাসস্থান পরিবর্তন খ. অভ্যাস পরিবর্তন
গ. স্থান পরিবর্তন ঘ. জনসংখ্যা পরিবর্তন
৩৭. Migration শব্দটি কোন শব্দ?
ক. জাপানি খ. ফারসি
● ইংরেজি ঘ. ল্যাটিন
৩৮. বাংলাদেশে ১৯৮১ সালে মৃত্যুহার কত ছিল?
ক. ১০.৫ ● ১১.৫
গ. ১২.৫ ঘ. ১৩.৫
৩৯. আন্তর্জাতিক অভিগমন প্রধানত কয়টি কারণে হয়?
● ২টি খ. ৩টি
গ. ৪টি ঘ. ৫টি
৪০. ধরন অনুযায়ী অভিগমনকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে?
ক. ৫ ভাগে খ. ৪ ভাগে
গ. ৩ ভাগে ● ২ ভাগে
৪১. আন্তর্জাতিক অভিগমনকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
● ২ ভাগে খ. ৩ ভাগে
গ. ৪ ভাগে ঘ. ৫ ভাগে
৪২. অভিগমনের ফলে মানুষের শারীরিক পরিবর্তনের জন্য দায়ী কোনটি?
ক. আর্থিক পরিবর্তন ● আবহাওয়ার পরিবর্তন
গ. জনসংখ্যার পরিবর্তন ঘ. আচরণগত পরিবর্তন
৪৩. নারী-পুরুষের অসামঞ্জস্যতার জন্য অভিগমনের কোন দিকটি দায়ী?
● নারীর তুলনায় পুরুষ অভিগমনে অধিক আগ্রহী
খ. পুরুষের তুলনায় নারী অভিগমনে অধিক আগ্রহী
গ. নারী-পুরুষ সমানভাবে অভিগমনে আগ্রহী
ঘ. নারী-পুরুষ অভিগমনে আগ্রহী নয়
৪৪. অভিগমনের জনবৈজ্ঞানিক কারণ হলো-
i. জন্মহার
ii. মৃত্যুহার
iii. নারী-পুরুষভেদ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. ● i, ii ও iii
৪৫. অভিগমনের অর্থনৈতিক কারণ হলো-
i. সরকারি খাস জমি প্রদান
ii. কৃষি জমি হ্রাস
iii. পর্যাপ্ত নিয়োগ সুবিধা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
● ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
৪৬. ২০২১ সালে অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা কত?
ক. ১৬,৫০,০০,০০০ জন খ. ১৬,৬২,০০,০০০ জন
● ১৬,৮২,০০,০০০ জন ঘ. ১৬,৯৫,০০,০০০ জন
৪৭. জনসংখ্যার জনমিতিক বৈশিষ্ট্য কোনটি?
ক. বসতবাড়ি তৈরি ● অভিগমন
গ. অর্থ উপার্জন ঘ. স্কুলে যাওয়া
৪৮. বাংলাদেশে কত সালে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২.৩১% ছিল?
ক. ১৯৭২ সালে ● ১৯৮১ সালে
গ. ১৯৯১ সালে ঘ. ২০০১ সালে
৪৯. ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী পেশাজীবী প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা কত?
● ৩৭৮ জন খ. ৩১০ জন
গ. ৩০৮ জন ঘ. ৩০৫ জন
৫০. ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী দক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা কত?
● ৬১,৭১৯ জন খ. ৬০,৪৫৫ জন
গ. ৬০,৪৮৫ জন ঘ. ৫৯,৫১৫ জন
৩য় অধ্যায়
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১. গ্রামীণ জীবনযাত্রায় হাটের ভূমিকা অসামান্য ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: গ্রামের কোনো নির্দিষ্ট স্থানে, নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট সময়ে নিজেদের উদ্বৃত্ত পণ্যদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করার জন্য ক্রেতা ও বিক্রেতাদের স্বীকৃত জনজমায়েতকে গ্রামীণ হাট বলে।
গ্রামীণ জীবনযাত্রায় হাটের ভূমিকা অসামান্য। বৃহত্তর অর্থে গ্রামীণ পরিসরে হাট হচ্ছে আর্থসামাজিক স্নায়ুকেন্দ্র। এ হাটের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী ভোগ্যসামগ্রী সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। স্থানীয় মানুষের উদ্বৃত্ত পণ্য বিক্রয় এবং চাহিদাসম্পন্ন পণ্য ক্রয় ও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকা- পরিচালনার ক্ষেত্রে গ্রামীণ হাটের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
২. বসতি গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে জলবায়ুর ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বসতি গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে জলবায়ুর ভূমিকা অপরিসীম।
শুষ্ক জলবায়ু অঞ্চলে এক ধরনের বসতি আবার শীতল জলবায়ু অঞ্চলে অন্য ধরনের বসতি গড়ে উঠতে দেখা যায়। উত্তর কানাডা ও গ্রীনল্যান্ডে শীতকালে এস্কিমোরা ইগলু নামক গম্বুজাকৃতির বরফের ঘরে বাস করে আবার, যখন গ্রীষ্মকাল আসে তখন তারা সীলমাছের চামড়া দিয়ে তাঁবু দ্বারা ঘরবাড়ি তৈরি করে বসবাস করে। এভাবে জলবায়ু বসতি স্থাপনে ভূমিকা রাখে।
৩. ভূপ্রকৃতি বসতি গঠনে কীভাবে প্রভাবিত করে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: জনবসতি গড়ে ওঠার পেছনে ভূপ্রকৃতি ব্যাপক প্রভাববিস্তার করে থাকে।
সমতলভূমিতে কৃষিকাজ করা যত সহজ অসমতল ভূমিতে ততটা নয়। এছাড়াও সমতল ভূমিতে যাতায়াতের সুবিধাও বসতি গড়ে ওঠার শতম কারণ। অন্যদিকে বন্ধুর ভূপ্রকৃতিতে খুব কমই বসতি গড়ে ওঠে। বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চল বন্ধুর প্রকৃতির হওয়ায় এখানে জনবসতি কম।
৪. গ্রামীণ হাটবাজার গড়ে ওঠার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বাংলাদেশের গ্রামীণ হাটবাজারগুলো গড়ে ওঠার পেছনে এ কারণগুলো হলো স্থানীয় চাহিদার উদ্বৃত্ত চালান, দূরবর্তী পরিব্রাজক সেবা প্রদান, অনুকূল যোগাযোগ ব্যবস্থা, চাহিদার তারতম্য প্রভৃতি।
যে অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি উর্বর, রাস্তাঘাট কাঁচাপাকা বা আধাপাকা এবং কয়েকটি অঞ্চলের সাথে ভালো যোগাযোগব্যবস্থা থাকে সেসব অঞ্চলে হাটবাজারগুলো গড়ে উঠেছে। বেশিরভাগ হাটবাজার গড়ে উঠে বাজারসংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোর মধ্যে উদ্বৃত্ত পণ্যসামগ্রী ও সেবাকর্মের মধ্যে তারতম্য হলে।
৫. নগরায়ণ বলতে কী বোঝ?
উত্তর: একটি নগরে বসবাসকারী জনগোষ্ঠী সেই নগরের নাগরিকে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াকে নগরায়ণ বলে।
নগরায়ণ বলতে নগরের উদ্ভব, বিকাশ ও বৃদ্ধিকে বোঝানো হয়ে থাকে। অর্থাৎ, গ্রামীণ কৃষিভিত্তিক কর্মকা- ব্যতীত কৃষিবিহীন অর্থনৈতিক কর্মকা-ের পুঞ্জীভবনের বিকাশসাধনই নগরায়ণ।
৬. পণ্য বিনিময়ের প্রাথমিক মাধ্যম হাট- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: হাট হচ্ছে এমন একটি নির্দিষ্ট স্থান যেখানে কিছুসংখ্যক ক্রেতা ও বিক্রেতা একটি নির্দিষ্ট দিনে এবং নির্দিষ্ট সময়ে মিলিত হয়।
পণ্য বিনিময়ের প্রাথমিক মাধ্যম হলো হাট। একজন মানুষের বেঁচে থাকার সব উপকরণ তার নিজের পক্ষে উৎপাদন করা সম্ভব নয়। ফলে তাকে অন্যের সাহায্য নিতে হয়। এভাবে মানুষ নিজের উদ্বৃত্ত্ব পণ্য অন্যের সাথে বিনিময় করে। আর এই বিনিময় প্রথার ওপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে গ্রামীণ হাট। এই হাটই পণ্য বিনিময়ের প্রাথমিক মাধ্যম।
৭. পুঞ্জীভূত বসতি বলতে কী বোঝ?
উত্তর: বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও সামাজিক কারণে যখন অনেকগুলো ঘরবাড়ি পরস্পর খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয়ে একটি সম্মিলিত রূপ লাভ করে তখন ঐ বসতিকে পুঞ্জীভূত বসতি বলে। এ ধরনের বসতি রৈখিক বসতির মতোও হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে রৈখিক ধরনের পুঞ্জীভূত বসতি খামার বাড়ি বা ভূমি দ্বারা মধ্যবর্তী স্থান থেকে পৃথক থাকে। যখন একই জনগোষ্ঠীভুক্ত পরিবার এক সাথে বসবা করে তখন পুঞ্জীভূত বসতির সৃষ্টি হয়।
৮. মাটি কীভাবে বসতি স্থাপনে সহায়তা করে?
উত্তর: মাটির উর্বরশক্তির ওপর নির্ভর করে বসতি স্থাপন করা হয়।
উর্বর মাটিতে পুঞ্জীভূত বসতি গড়ে ওঠে। মানুষ কৃষিজাসর পাশে বসতি গড়ে তোলে যাতে করে সহজে ও কম খরচে ফসল ফলিয়ে খাদ্যের চাহিদা মেটাতে পারে। যেমন, নদী তীরবর্তী অঞ্চল। কিন্তু মাটি অনুর্বর বা অসমতল হলে বিক্ষিপ্ত জনবসতি গড়ে ওঠে। পাহাড়ি অঞ্চলের মাটি অনুর্বর ও অসমতল বলে সে অঞ্চলে বিক্ষিপ্ত বসতি গড়ে উঠেছে।
৯. নগরায়ণ বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: একটি নগরে বসবাসকারী জনগোষ্ঠী সেই নগরের নাগরিকে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াকে নগরায়ণ বলে।
নগরায়ণ বলতে নগরের উদ্ভব, বিকাশ ও বৃদ্ধিকে বোঝানো হয়ে থাকে। অর্থাৎ গ্রামীণ কৃষিভিত্তিক কর্মকাণ্ড ব্যতীত কৃষিবিহীন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের পুঞ্জীভবনের বিকাশসাধনই নগরায়ণ। এক কথায় বলা যায়, কৃষিবিহীন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ক্রমবিকাশই হলো নগরায়ণ।
১০. পুঞ্জীভূত বসতির প্রধান কারণ শিল্পায়ন ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: যে অধিবাসীদের বসতবায়িগুলো খুব কাছাকাছি এবং ঘন বা নিবিড়ভাবে গড়ে ওঠে তাকে পুঞ্জীভূত বসতি বলে। কোনো স্থানে শিল্প স্থাপিত হলে সে অঞ্চলে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধার (যেমন-কর্মসংস্থানের পাশাপাশি শিক্ষা, বিনোদন, চিকিৎসা প্রভৃতি) কারণে মানুষ শিল্পালকে কেন্দ্র করে বসতি স্থাপন করতে চায়। উক্ত কারণে শিল্পাঞ্চলে পুঞ্জীভূত বসতি গড়ে ওঠে।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন:
১. স্থায়ী বসতি গড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন-
i. পানির সহজলভ্যতা
ii. অনুকূল জলবায়ু
iii. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি লক্ষ কর এবং ২ ও ৩নং প্রশ্নের উত্তর দাও: (চিত্রটি পিডিএফ উত্তরমালায় দেখানো হয়েছে)
২. উদ্দীপকের ‘ক’ স্থানটির বসতি কোন প্রকার?
● পুঞ্জীভূত খ. সারিবদ্ধ
গ. গােলাকার ঘ. বিচ্ছিন্ন
৩. উদ্দীপকে ‘খ’ স্থানের বসতির অনুকূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে-
i. অনুর্বর কৃষিজমি
ii. পলল সমৃদ্ধ মৃত্তিকা
iii. পার্বত্য ভূ-ভাগ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii ● i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
৪. বাংলাদেশের কোন গােষ্ঠী রাজশাহী অঞ্চলে বসবাস করে?
● সাঁওতাল খ. চাকমা
গ. গারাে ঘ. মারমা
৫. (চিত্রটি পিডিএফ উত্তরমালায় দেখানো হয়েছে)
উদ্দীপকে কোন ধরনের বসতি নির্দেশ করে?
● সারিবদ্ধ খ. পুঞ্জীভূত
গ. বিক্ষিপ্ত ঘ. বিচ্ছিন্ন
৬. ২০০ পরিবারের অধিক একসাথে বসবাস করে কোন বসতিতে?
ক. পল্লি খ. গ্রাম
গ. বিক্ষিপ্ত ● নিবিড়
৭. ‘ইগলু’ কাদের বাসগৃহ?
ক. মাউরি খ. নরম্যান
গ. ফ্রিম্যান ● এস্কিমো
৮. বাংলাদেশের কোন জেলায় সবচেয়ে কম বসতি দেখা যায়?
ক. রাজশাহী খ. টাঙ্গাইল
গ. ফরিদপুর ● বান্দরবান
৯. নদীগুলোর সক্রিয়তার অভাবে বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে সারিবদ্ধ বসতি গড়ে ওঠে?
ক. দক্ষিণাঞ্চল খ. দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল
● বরেন্দ্র অঞ্চল ঘ. দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১০ ও ১১নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
বৃষ্টির বাড়ি পাবনায়। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সুপ্তি চাকমার গ্রামের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে সেখানে ভিন্ন ধরনের বসতি দেখতে পেল।
১০. বৃষ্টি কোন ধরনের বসতি দেখতে পেয়েছিল?
ক. পুঞ্জীভূত খ. সারিবদ্ধ
● বিচ্ছিন্ন ঘ. অনুকেন্দ্রিক
১১. উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত এলাকার সাথে বৃষ্টির নিজ এলাকার বসতির ভিন্নতর হওয়ার কারণ-
i. মৃত্তিকার ভিন্নতার কারণে
ii. গৃহ নির্মাণের ধরনে
iii. সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
১২. মানুষের সামাজিকতার অন্যতম নিদর্শন কোনটি?
ক. ব্যবসায়-বাণিজ্য খ. বিবাহ
গ. বিনিময় প্রথা ● বসতি
১৩. জীবনধারণের জন্য কোনটি অপরিহার্য?
ক. খাদ্য ● পানি
গ. অর্থ ঘ. কর্মসংস্থান
১৪. বহুসংখ্যক পরিবার কোন বসতির প্রধান বৈশিষ্ট্য?
● নিবিড় বসতি খ. বিক্ষিপ্ত বসতি
গ. পুঞ্জীভূত বসতি ঘ. বিচ্ছিন্ন বসতি
১৫. গ্রামীণ বসতিকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
ক. ৫ ভাগে খ. ৪ ভাগে
● ৩ ভাগে ঘ. ২ ভাগে
১৬. কোন ধরনের বসতিতে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সুদৃঢ় হয়?
ক. বিচ্ছিন্ন বসতি ● পুঞ্জীভূত বসতি
গ. অনুকেন্দ্রিক বসতি ঘ. বিক্ষিপ্ত বসতি
১৭. বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে বিক্ষিপ্ত বসতি বিদ্যমান?
ক. সুন্দরবনে ● পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়িয়া অঞ্চলে
গ. মধুপুর অঞ্চলে ঘ. রাজশাহীর বরেন্দ্রভূমিতে
১৮. কোনটি গ্রামীণ হাটবাজারগুলো গড়ে ওঠার অন্যতম কারণ?
● স্থানীয় চাহিদার উদ্বৃত্ত চালান খ. দূরবর্তী পরিবাহক সেবা প্রদান
গ. নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের চাহিদা ঘ. শ্রমিক মজুরি বৃদ্ধি
১৯. ‘সোনারগাঁও’ কোন সময়ের নগরায়ণ?
ক. আটাশকালের নগরায়ণ ● মধ্যযুগের নগরায়ণ
গ. ইংরেজ আমলের নগরায়ণ ঘ. সাম্প্রতিককালের নগরায়ণ
২০. কোন অঞ্চলে প্রাচীনকালের নগরায়ণ ঘটেছে?
● বিক্রমপুর খ. সিলেট
গ. গোপালপুর ঘ. দর্শনা
২১. বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিভাগ কোনটি?
● ঢাকা খ. রাজশাহী
গ. বরিশাল ঘ. খুলনা
২২. বাংলাদেশের কোন নগরটি প্রশাসনিক নগর?
● ঢাকা খ. চট্টগ্রাম
গ. খুলনা ঘ. বরিশাল
২৩. যে-প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোনো জনগোষ্ঠীর পেশা কৃষি থেকে ক্রমশ অকৃষিতে পরিবর্তিত হয় সে প্রক্রিয়াকে কী বলে?
ক. শিল্পায়ন ● নগরায়ণ
গ. কৃষি রূপান্তর ঘ. পেশা
২৪. পাটশিল্পের জন্য বিশ্ববিখ্যাত ছিল কোন শহর?
ক. টাঙ্গাইল খ. ফরিদপুর
● নারায়ণগঞ্জ ঘ. নরসিংদী
২৫. ”Conerbation” শব্দের অর্থ কী?
ক. মহানগর খ. নগর
গ. নগরায়ণ ● নগরপুঞ্জ
২৬. এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম গ্রাম কোনটি?
● বানিয়াচং খ. দহগ্রাম
গ. সোনারগাঁও ঘ. জায়গীরজোত
২৭. ড্যানীর মতে, ঢাকায় বসতির সূত্রপাত হয় কখন?
● ১৬০০ খ্রিস্টাব্দে খ. ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে
গ. ১৭০০ খ্রিস্টাব্দে ঘ. ১৫০০ খ্রিস্টাব্দে
২৮. সপ্তদশ শতাব্দীর নিদর্শন কোনটি?
● সাত গম্বুজ মসজিদ খ. তারা মসজিদ
গ. লালবাগ দুর্গ ঘ. ঢাকেশ্বরী মন্দির
২৯. Urbs কোন শব্দ?
ক. ইংরেজি ● ল্যাটিন
গ. ফারসি ঘ. হিব্রু
৩০. সাম্প্রতিককালের নগরায়ণের ধারাকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায়?
● ২টি খ. ৩টি
গ. ৪টি ঘ. ৫টি
৩১. পাকিস্তান আমলের ১৯৫১ – ১৯৬১ এর মধ্যে কত সালে সামরিক শাসন জারি হয়?
ক. ১৯৫৩ সালে খ. ১৯৫৪ সালে
● ১৯৫৮ সালে ঘ. ১৯৬১ সালে
৩২. স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম কত সালে লোক গণনা শুরু হয়?
ক. ১৯৭২ সালে খ. ১৯৭৩ সালে
● ১৯৭৪ সালে ঘ. ১৯৭৫ সালে
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩৩ ও ৩৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
মেহেদী তার বাবার সাথে রাজশাহীর চলনবিলে বেড়াতে গেল। বিকালে নৌকা নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে লক্ষ করল বিলের পাশ দিয়ে ছোট ছোট বাড়িঘর রয়েছে।
৩৩. মেহেদীর বেড়াতে যাওয়া এলাকাতে কোন ধরনের বসতি বেশি দেখা যায়?
ক. পল্লি ● গোলাকার
গ. পুঞ্জীভূত ঘ. বিক্ষিপ্ত
৩৪. উদ্দীপকের বসতির প্রাধান্য বেশি-
i. বিল অঞ্চলে
ii. ডােবা এলাকায়
iii. পাহাড়ি জনবসতিতে
নিচের কোনটি সঠিক?
● i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩৫ থেকে ৩৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
বাশাররা তিন বন্ধু মিলে কক্সবাজারে বেড়াতে গেল। সেখানে গিয়ে প্রাকতিক বৈচিত্র্য ও সমুদ্রের অপরূপ সৌন্দর্য দেখে তারা মুগ্ধ হলো।
৩৫. কক্সবাজার নগরী কোনটির জন্য বিখ্যাত?
● পর্যটন শিল্প খ. খনিজ শিল্প
গ. চা শিল্প ঘ. কাগজ শিল্প
৩৬. কক্সবাজার জেলা কোন বিভাগের অন্তর্ভুক্ত?
ক. ঢাকা ● চট্টগ্রাম
গ. খুলনা ঘ. সিলেট
৩৭. কক্সবাজার নগরী কোনটিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে?
● সমুদ্রসৈকত খ. নাফ নদী
গ. পাহাড় ঘ. বনাঞ্চল
৩৭. বিক্ষিপ্ত বসতির বৈশিষ্ট্য হলো-
ক. বাসগৃহের একত্রে সমাবেশ খ. যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব উন্নত
● ক্ষুদ্রাকৃতির বসতি ঘ. বৃহৎ আকৃতির বসতি
৩৮. পুঞ্জীভূত বসতির বৈশিষ্ট্য নয় কোনটি?
ক. বাসগৃহের একত্রে সমাবেশ ● ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বসতি
গ. উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ঘ. বৃহৎ আকৃতির বসতি
৩৯. বাংলাদেশের অধিকাংশ শহরের অন্যতম সমস্যা কোনটি?
● বস্তি খ. অধিক যানবাহন
গ. স্বল্প আয়তন ঘ. রাস্তাঘাটের স্বল্পতা
৪০. জীবনধারণের জন্য মানুষের প্রথম ও প্রধান চাহিদা কী?
● বিশুদ্ধ পানীয় জল খ. বস্ত্র
গ. বাসস্থান ঘ. শিক্ষা
৪১. নগরে সাধারণত কোন ধরনের বাড়ির সংখ্যা বেশি থাকে?
ক. একতলা বাড়ি খ. টিনের ঘর
● বহুতলবিশিষ্ট বাড়ি ঘ. দোতলা বাড়ি
৪২. বিক্ষিপ্ত গ্রামীণ বসতির ধরন হলোÑ
i. ক্ষুদ্র পল্লি বসতি ও পৃথক বাসস্থান
ii. পথের ধারের চটি বসতি
iii. বিক্ষিপ্ত গুচ্ছায়ন বসতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৪৩ ও ৪৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
অপুর বাড়িটি ষোলোতলাবিশিষ্ট অট্টালিকা। অপু ও নিপুর বাড়ির মধ্যকার দূরত্ব প্রায় ১২০ কিলোমিটার। নিপুর বাড়িটিও খুব সুন্দর। তাদের উঠানের একদিকে তৈরি করা হয়েছে রান্নাঘর, শোয়ার ঘর এবং অন্যপাশে খনন করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন একটি পুকুর, যার পাশে রয়েছে একটি গোয়ালঘর।
৪৩. নিপুর বাড়ির ক্ষেত্রে নিচের কোনটি সঠিক হবে?
● গ্রামে অবস্থান খ. নগরে অবস্থান
গ. পৌর এলাকায় অবস্থান ঘ. পৌরসভায় অবস্থান
৪৪. অপুর বাড়িতে কীসের বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে?
ক. গ্রামীণ বসতির ● পৌর বসতির
গ. রৈখিক বসতির ঘ. বিক্ষিপ্ত বসতির
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৪৫ ও ৪৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
৪৫. ছকে ‘ক’ বলতে কোনটিকে নির্দেশ করে?
● প্রাকৃতিক পরিবেশ খ. সামাজিক পরিবেশ
গ. সাংস্কৃতিক পরিবেশ ঘ. রাজনৈতিক পরিবেশ
৪৬. ছকে উল্লিখিত বিষয় ছাড়াও আর যে বিষয়গুলাে প্রাকৃতিক পরিবেশের অন্তর্ভুক্ত-
i. পানি
ii. সূর্যালোক
iii. আবহাওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৪৭. ক্ষুদ্র পল্পি, গ্রাম, শহর ও নগরে মানুষ তাদের আবাসস্থলের সমষ্টি হচ্ছে বসতি সংজ্ঞাটি কার?
ক. Drunhes ● Dicken Pias
গ. Jen Brulnues ঘ. Stone
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৪৮ ও ৪৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
মুরং চাকমার গ্রামের বাড়ি বান্দরবানের লামায়। সেখানকার ঘরগুলো পরস্পর থেকে অনেক দূরে অবস্থান করে।
৪৮. বান্দরবানের লামার ঘরগুলো কোন ধরনের?
ক. পুঞ্জীভূত বসতি খ. সারিবদ্ধ বসতি
গ. বিক্ষিপ্ত বসতি ● বিচ্ছিন্ন বসতি
৪৯. বান্দরবানের উপজাতিরা সাধারণত কোনটিকে কেন্দ্র করে বসতি গড়ে তোলে?
ক. নদীকে খ. পাহাড়কে
গ. বাজারকে ● ঝরনাকে
৫০. বাংলাদেশের গ্রামীণ হাটবাজারগুলো গড়ে ওঠার কারণগুলো হলো-
i. স্থানীয় চাহিদার উদ্বৃত্ত চালান
ii. দূরবর্তী পরিব্রাজক সেবা প্রদান
iii. ভৌগোলিক কারণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৪র্থ অধ্যায়
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১. পৃথিবীর রুটির ঝুড়ি কোন অঞ্চলকে বলা হয়?
উত্তর: উত্তর আমেরিকার কানাডার দক্ষিণাংশ হতে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণে ওকলাহোমা ও মিসৌরি রাজ্য পর্যন্ত সমগ্র প্রেইরী অলকে পৃথিবীর রুটির ঝুড়ি বলা হয়।
রুটি প্রস্তুতের উপযোগী উন্নতমানের এত অধিক গম পৃথিবীর অন্য কোনো অঞ্চলে উৎপাদিত হয় না। প্রয়োজনের অতিরিক্ত গম উৎপন্ন হয় বলে এ অঞ্চলের অধিকাংশ গমই রুটি প্রস্তুতের জন্য দেশবিদেশের বাজারে রপ্তানি হয়ে থাকে। এ কারণে উত্তর আমেরিকার এ অঞ্চলকে পৃথিবীর রুটির ঝুড়ি বলা হয়।
২. বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: মৎস্য বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। এটি কেবল খাদ্যই নয়; বরং রপ্তানির মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন হয়। মৎস্য আমাদের প্রাণিজ আমিষের প্রায় ৬০ শতাংশ পূরণ করে থাকে।
দেশের সর্বত্রই প্রায় নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর, হাওর-বাওড়, সমুদ্র উপকূলের জলরাশিতে মৎস্য পাওয়া যায় ও সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে মৎস্য চাষ করা হয়ে থাকে। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে মোট অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের মাছ উৎপাদনের পরিমাণ ৩৮.৭৭ লক্ষ মে. টন। বাংলাদেশ মাছ রপ্তানিতে বিশ্বে সপ্তম। তবে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে চিংড়ির অবস্থান চতুর্থ।
৩. বাগিচা-কৃষি বলতে কী বুঝায়?
উত্তর: বাণিজ্যিক প্রয়োজনে বড় বড় বাগিচা তৈরি করে যে কৃষিকার্য করা হয় তাকে বাগিচা কৃষি বলে। বাগিচা কৃষির উল্লেখযোগ্য উদাহরণ বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার চা চাষ, মালয়েশিয়ার রবার চাষ, ঘানার কোকো চাষ ইত্যাদি। অধিকাংশ বাগিচাই বর্তমানে স্বদেশী মালিকানায় পরিচালিত হচ্ছে।
৪. বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে কেন সবচেয়ে বেশি চা উৎপাদন হয়?
উত্তর: সিলেট অঞ্চলের ভূমি ঢালু ও চা চাষের উপযোগী সর নিয়ামক উপস্থিত থাকায় এ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি চা উৎপন্ন হয়।
চা চাষের জন্য অপেক্ষাকৃত ঢালু জমি প্রয়োজন। সমুদ্রপৃষ্ঠের ৬০০ থেকে ১২০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত পার্বত্য ঢালু অঞ্চলে চা বাগান গড়ে তোলা হয়। পার্বত্য ঢালু অঞ্চল অপেক্ষাকৃত শীতল। সেখানে প্রবল বৃষ্টিপাত হলেও চা গাছের গোড়ার পানি জমে থাকে না। তাই বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে চা উৎপাদন বেশি হয়।
৫. হুনান প্রদেশকে পৃথিবীর চালের আঁধার বলা হয় ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: চীনের প্রায় সর্বত্রই ধানের চাষ হয়। তবে অধিকাংশ ধান দক্ষিণ ও ও মধ্য চীনে ইয়াংসিকিয়াং ও সিকিয়াং নদীর অববাহিকা; দক্ষিণপূর্বের উপকূলভাগ ও সেচুয়ান অববাহিকায় হয়ে থাকে। এছাড়া পার্বত্য অঞ্চলে ধাপ কেটেও ধানের চাষ হয়। চীনের হুনান প্রদেশ ধান উৎপাদনে প্রসিদ্ধ। হেক্টরপ্রতি এত অধিক ধান পৃথিবীর অন্য কোনো স্থানে উৎপন্ন হয় না বলে একে চালের আধার বলা হয়।
৬. প্রেইরী অলকে পৃথিবীর ‘রুটির ঝুড়ি’ কেন বলা হয়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: উত্তর আমেরিকার কানাডার দক্ষিণাংশ হতে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণে ওকলাহোমা ও মিসৌরি রাজ্য পর্যন্ত সমগ্র প্রেইরি অঞ্চলকে পৃথিবীর রুটির ঝুড়ি বলা হয়।
রুটি প্রস্তুতের উপযোগী উন্নতমানের এত অধিক গম পৃথিবীর অন্য কোনো অঞ্চলে উৎপাদিত হয় না। প্রয়োজনের অতিরিক্ত গম উৎপন্ন হয় বলে এ অঞ্চলের অধিকাংশ গমই আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি হয়ে থাকে। এ কারণে উত্তর আমেরিকার এ অঞ্চলকে পৃথিবীর রুটির ঝুড়ি বলা হয়।
৭. চা চাষের জন্য ঢালু ভূমি প্রয়োজন কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: চা গাছের গোড়ায় অধিক সময় পানি জমে থাকলে চা গাছ মরে যায়। তাই চা চাষের জন্য উঁচু ও ঢালু জমির প্রয়োজন।
সমুদ্রপৃষ্ঠের ৬০০ থেকে ১২০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত পার্বত্য ঢালু অঞ্চলে চা বাগান গড়ে তোলা হয়। পার্বত্য ঢালু অল অপেক্ষাকৃত শীতল। সেখানে প্রবল বৃষ্টিপাত হলেও চা গাছের গোড়ায় পানি জমে থাকে না। চা বাগান তৈরির জন্য এ ধরনের পরিবেশ আবশ্যক।
৮. কৃষি একটি প্রাচীন পেশা-ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: সৃষ্টির আদিলগ্ন থেকেই মানুষ কৃষির সাথে সম্পৃক্ত।
ফলমূল খেয়ে ফেলে দেওয়া বীজ থেকে নতুন গাছ হতে দেখে মানুষ কৃষিকাজের ধারণা পায়। তখন থেকেই মানুষ কৃষিভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলে। বর্তমান সভ্যতা প্রযুক্তির যুগ হলেও কৃষিই উৎপাদনের প্রধান অবলম্বন। মূলত প্রাচীনকাল হতে কৃষিকাজ মানুষের প্রধান পেশা।
সুতরাং নিঃসন্দেহে বলা যায় কৃষি একটি প্রাচীন পেশা।
৯. প্যালাজিক মৎস্য বলতে কী বোঝ?
উত্তর: সমুদ্রের যেসব মৎস্য দিনের বেলায় সমুদ্রের গভীর অংশে চলে যায় এবং রাতে সমুদ্রের উপরিভাগে ঝাঁকে ঝাঁকে বিচরণ করে এদেরকে প্যালাজিক মৎস্য বলে।
প্যালাজিক মৎস্য একটি সামুদ্রিক মৎস্য। এ শ্রেণির মাছ সমুদ্রের উপরের অংশে বাস করে। হেরিং, ম্যাকারেল, পিলচার্ড, সার্ডিন, ব্রিসলিং, অ্যানকোভিস, মেনহাডেন, কেপলিন ইত্যাদি প্যালাজিক মৎস্য।
১০. হুনান প্রদেশকে পৃথিবীর চালের আধার বলা হয় কেন?
উত্তর: বর্তমানে ধান উৎপাদনে চীন বিশ্বের প্রথম। চীনের বিভিন্ন অঞ্চলে ধান উৎপন্ন হয়। তবে সবচেয় বেশি ধান উৎপাদন হয় হুনান প্রদেশে। অত্যধিক ধান উৎপাদন হয় বলে চীনের হুনান প্রদেশকে ধানের আধার বলা হয়।
বহুনির্বাচনী প্রশ্ন:
১. ঢালু ভূমি ও পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত কোন ফসল চাষের সহায়ক?
● চা খ. আখ
গ. গম ঘ. ধান
২. কৃষিকাজের অর্থনৈতিক নিয়ামক কোনটি?
ক. জনসংখ্যা খ. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
● পরিবহন ঘ. সরকারি নীতি
৩. বিশ্বের দ্বিতীয় প্রধান খাদ্যশস্য কোনটি?
● ধান খ. গম
গ. যব ঘ. ভুট্রা
৪. গম চাষের জন্য প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাতের পরিমাণÑ
ক. ২০ – ৫০ সে.মি. খ. ৩০ – ৫০ সে.মি.
● ৩০ – ১০০ সে.মি. ঘ. ৬০ – ১৫০ সে.মি.
নিচের উদ্দীপকটি লক্ষ কর এবং ৫ ও ৬নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
৫. উদ্দীপকের ‘ই’ চিহ্নিত অঞ্চলে উৎপাদিত শীর্ষস্থানীয় ফসল কোনটি?
ক. ধান খ. গম
● আখ ঘ. চা
৬. উদ্দীপকের ‘A’ ও ‘B’ দেশে উৎপাদনের দিক থেকে শীর্ষস্থানীয় ফসলের ভৌগোলিক নিয়ামকের বৈসাদৃশ্য-
i. তাপমাত্রায়
ii. ভূপ্রকৃতিতে
iii. মৃত্তিকায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৭. বিশ্বে দ্বিতীয় প্রধান কৃষিখাত কোনটি?
ক. ফসল উৎপাদন ● পশুপালন
গ. বনায়ন ঘ. মৎস্য চাষ
৮. বিশ্বের শীর্ষ আখ উৎপাদনকারী দেশ কোনটি?
ক. থাইল্যান্ড খ. ভারত
● ব্রাজিল ঘ. চীন
৯. আখের আদিভূমি কোথায় অবস্থিত?
ক. ব্রাজিল খ. মেক্সিকেৎ
গ. থাইল্যান্ড ● ভারত
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ১০ ও ১১নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
একটি খাদ্যশস্যের বৈজ্ঞানিক নাম Triticum Sativum। এর প্রধান জাতগুলোর আদিভূমির একটি স্থান হলো উত্তর আমেরিকা। পরবর্তীকালে এ অঞ্চল থেকে শস্যটি সারা বিশ্বে বিস্তারলাভ করে।
১০. উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত শস্যটি কোনটি?
ক যব খ. ভুট্টা
গ. ধান ● গম
১১. উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত শস্যটি উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন
i. ১৫ ° – ২০ ° সে. তাপমাত্রা
ii. ৫০ সে.মি. – ১০০ সে.মি. বৃষ্টিপাত
iii. কর্দময় দোআঁশ মৃত্তিকা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
১২. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ১২ ও ১৩নং প্রশ্নের উত্তর দাও: ঐশী বাবার সাথে বেড়াতে গিয়ে দেখল পাহাড়ের ঢালে সবুজে আচ্ছাদিত ভূমি। বাবা বললেন ইহা এক ধরনের কৃষি পদ্ধতি।
১২. ঐশীর বাবা কোন ধরনের কৃষি পদ্ধতির ইঙ্গিত করেছেন?
ক. প্রগাঢ় খ. ব্যাপক
গ. মিশ্র ● বাগান
১৩. উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত কৃষি পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে—
i. নারী শ্রমিকের আধিক্য
ii. ছায়াদানকারী বৃক্ষ
iii. স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত
নিচের কোনটি সঠিক?
● i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
১৪. চা উৎপাদনে অনুকূল অবস্থা-
i. ঢালু ভূমি
ii. অপেক্ষাকৃত নিচু ভূমি
iii. প্রচুর বৃষ্টিপাত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii ● i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ১৫ ও ১৬নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
কাঁচামাল হিসেবে একটি ফসলকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে কিছু শিল্প গড়ে উঠেছে যা চট্টগ্রাম অঞ্চলে দেখা যায় না।
১৫. ফসলটি সবচেয়ে বেশি কোন দেশে উৎপন্ন হয়?
ক. চীন ● ব্রাজিল
গ. ভারত ঘ. মালদ্বীপ
১৬. উদ্দীপকের ফসলটি-
i. ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় এলাকায় জন্মে
ii. চাষের জন্য বৃষ্টিপাত দরকার হয়
iii. বেলে মাটিতে উৎপাদন ভালো হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
● ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
১৭. বসতি গড়ে ওঠার সাংস্কৃতিক নিয়ামক কোনটি?
ক. ভূপ্রকৃতি খ. জলবায়ু
● কৃষি ঘ. মাটি
১৮. বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল কোনটি?
ক. চা ● পাট
গ. আখ ঘ. তামাক
১৯. পৃথিবীর প্রধান গম উৎপাদনকারী দেশ কোনটি?
ক. রাশিয়া খ. যুক্তরাষ্ট্র
গ. ভারত ● গণচীন
২০. ঢালু ভূমি ও পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত কোন ফসল চাষের সহায়ক?
ক. গম খ. ধান
গ. আখ ● চা
২১. নিরক্ষীয় অঞ্চলে সাধারণত গম চাষ করা হয় না কেন?
i. তাপমাত্রার আধ্যিকের কারণে
ii. বৃষ্টিপাতের আধ্যিকের কারণে
iii. মৃত্তিকায় জৈব পদার্থের ঘাটতির কারণে
নিচের কোনটি সঠিক?
● ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ২২ ও ২৩নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
২০১৩ সালের হিসাব অনুযায়ী ‘অ’ ও ‘ই’ দেশ দুটি তাদের প্রধান খাদ্যশস্য উৎপাদনে বিশ্বে যথাক্রমে চতুর্থ ও ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। উক্ত খাদ্যশস্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ‘অ’ দেশের তেমন ভূমিকা না থাকলেও ‘ই’ দেশটি প্রায় শীর্ষ স্থানে রয়েছে।
২২. উদ্দীপকের দেশ দুটিতে যে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয় তার অনুকূল তাপমাত্রা কত ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড?
ক. ৮-১৭ ● ১৮-২৭
গ. ২৮-৩৭ ঘ. ৩৮-৪৭
২৩. উদ্দীপকে উল্লিখিত ‘অ’ দেশটি ইঙ্গিতপূর্ণ খাদ্যশস্যটির রপ্তানি বাণিজ্যে কম গুরুত্বপূর্ণ কেন?
i. অধিক জনসংখ্যা
ii. অভ্যন্তরীণ চাহিদা
iii. বাজারজাতকণের অসুবিধা
নিচের কোনটি সঠিক?
● ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
২৪. Agriculture কোন শব্দ?
● ল্যাটিন শব্দ খ. ফারসি শব্দ
গ. ইংরেজি শব্দ ঘ. গ্রিক শব্দ
২৫. কৃষি এক ধরনের-
ক. বৃহৎ শিল্প খ. কুটিরশিল্প
● জেনেটিক শিল্প ঘ. ক্ষুদ্র শিল্প
২৬. কৃষির নিয়ামক কয়টি?
ক. ৫টি খ. ৪টি
● ৩টি ঘ. ২টি
২৭. কাদা মাটির বুনন বৈশিষ্ট্য কোনটি?
● সুসম খ. পরিমিত
গ. মোটা ঘ. মধ্যম
২৮. পরিমিত ‘মোটা’ কোন মাটির বুনন বৈশিষ্ট্য?
ক. কাদা মাটি খ. দোআঁশ মাটি
গ. পলি মাটি ● বালি মাটি
২৯. মৃত্তিকায় pH মান কত হলে তা নিরপেক্ষ মাটি নির্দেশ করে?
ক. ৫ খ. ৬
● ৭ ঘ. ৮
৩০. মৃত্তিকায় মোটা পাথরের ব্যাস কত মিলিমিটার?
ক. ১< খ. <২
● >২ ঘ. ২
৩১. মৃত্তিকায় উপস্থিত কণার মধ্যে কোনটির ব্যাস <.০০২ মিলিমিটার?
ক. পলি ● কাদা
গ. চিকন বালি ঘ. চিকন পাথর
৩২. কোনটি বৃষ্টিপাত ঘটাতে সাহায্য করে?
● উদ্ভিদ খ. মাটি
গ. বাতাস ঘ. পাহাড়
৩৩. পৃথিবীর সর্বাধিক ধান উৎপাদনকারী মহাদেশ কোনটি?
● এশিয়া খ. ইউরোপ
গ. আফ্রিকা ঘ. উত্তর আমেরিকা
৩৪. ধান চাষে প্রভাববিস্তারকারী উপাদানগুলোকে কী বলা হয়?
● ভৌগোলিক অবস্থা খ. রাজনৈতিক অবস্থা
গ. প্রযুক্তিগত অবস্থা ঘ. সামাজিক অবস্থা
৩৫. খরিফ শস্য কোন ঋতুভিত্তিক ফসল?
ক. গ্রীষ্মকালীন খ. শীতকালীন
● বর্ষাকালীন ঘ. শরকালীন
৩৭. ধান উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ দেশ কোনটি?
ক. জাপান ● চীন
গ. ভারত ঘ. বাংলাদেশ
৩৬. ধান উৎপাদনে কোন দেশ তৃতীয় স্থানে রয়েছে?
ক. বাংলাদেশ খ. ভিয়েতনাম
গ. থাইল্যান্ড ● ইন্দোনেশিয়া
৩৭. ইন্দোনেশিয়ার কোন অঞ্চল ধান উৎপাদনে প্রসিদ্ধ?
● জাভা খ. সুমাত্রা
গ. বোর্নিও ঘ. সেলিবিস
৩৮. ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ কততম স্থানে রয়েছে?
ক. প্রথম খ. দ্বিতীয়
গ. তৃতীয় ● চতুর্থ
৩৯. পৃথিবীর ধান্যাগার (Rice Bowl) বলা হয় কোন দেশকে?
● চীন খ. ভারত
গ. বাংলাদেশ ঘ. মায়ানমার
৪০. জাপানিকা ও ইন্ডিকা প্রকৃতির ধান কোন অঞ্চলের উৎপাদিত ধান?
ক. তুন্দ্র ● মৌসুমি
গ. পার্বত্য ঘ. সামুদ্রিক
৪১. ধান চাষের অনুকূল তাপমাত্রা কত?
● ১৬° – ৩০° সেলসিয়াস খ. ১৬° – ২২° সেলসিয়াস
গ. ২০° – ৩৫° সেলসিয়াস ঘ. ১৯° – ৩০° সেলসিয়াস
৪২. গম রপ্তানিকারক দেশ কোনটি?
ক. মিশর খ. ইরান
গ. বাংলাদেশ ● কানাডা
৪৩. কোন জমিতে চা ভালো হয়?
ক. সমতল জমি খ. বন্ধুর জমি
● ঢালু জমি ঘ. নিচু জমি
৪৪. চা রপ্তানিতে চীন কততম?
● প্রথম খ. তৃতীয়
গ. চতুর্থ ঘ. পঞ্চম
৪৫. কোন মহাদেশে মহিষপালন করা হয় না?
ক. আফ্রিকা খ. ইউরোপ
● উত্তর আমেরিকা ঘ. দ. আমেরিকা
৪৬. চা চাষের জন্য কেমন জলবায়ু উপযোগী?
ক. উষ্ণ ● উষ্ণ ও আর্দ্র
গ. আর্দ্র ঘ. শীতল
৪৭. ছাগল উন্নয়ন ও পাঁঠাকেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?
ক. শরিয়তপুর খ. মাদারীপুর
গ. ফরিদপুর ● রাজবাড়ি
৪৮. বাংলাদেশ মাছ রপ্তানিতে বিশ্বে কততম স্থানে রয়েছে?
ক. চতুর্থ খ. পঞ্চম
গ. ষষ্ঠ ● সপ্তম
৪৯. বিশ্বে তুলা উৎপাদনে কোন দেশ শীর্ষে রয়েছে?
● চীন খ. ভারত
গ. যুক্তরাষ্ট্র ঘ. পাকিস্তান
৫০. বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
● ১৯৭০ সালে খ. ১৯৭৫ সালে
গ. ১৯৭৬ সালে ঘ. ১৯৭৮ সালে
৫ম অধ্যায়
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১. কয়লা কীভাবে গঠিত হয়?
উত্তর: উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষ থেকে কয়লার সৃষ্টি হয়। উদ্ভিদের কাণ্ড, পুঁড়ি, শাখা-প্রশাখা, পাতা, প্রাণীর দেহাবশেষ সবকিছু ভূঅভ্যন্তরে তাপ, চাপ ও রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় পরিবর্তিত হয়ে কয়লায় পরিণত হয়।
২. খনিজ এলাকার পরিবেশ সংরক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: খনিজ এলাকার পরিবেশ সংরক্ষণ খুবই জরুরি। খনিজ এলাকা পরিবেশ দূষণ বা বিপর্যযের মধ্যে থাকলে খনিজ উত্তোলন ব্যাহত হয়। অন্যদিকে পরিবেশ দূষণের ফলে খনি শ্রমিকদের নানাবিধ রোগব্যাধি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই খনিজ এলাকার পরিবেশ সংরক্ষণ প্রয়োজন।
৩. “উদ্ভিদের দেহাবশেষ হতে কয়লার উৎপত্তি হয়” ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: শক্তির অন্যতম উৎস হলো কয়লা।
উদ্ভিদের দেহাবশেষ হতে কয়লার উৎপত্তি। লক্ষ লক্ষ বছর ধরে উদ্ভিদের দেহাবশেষ মাটির নিচে চাপা পড়ে সমড়ের বিবর্তনে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় কয়লায় পরিণত হয়েছে। তাই বলা যায় উদ্ভিদের দেহাবশেষ হতে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় কয়লার উৎপত্তি।
৪. শক্তিসম্পদ বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: প্রকৃতি প্রদত্ত যে সকল পদার্থ হতে শক্তি পাওয়া যায় তাদের শক্তিসম্পদ বলে। বিভিন্ন প্রকার কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস প্রভৃতি ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার কাজ সম্পন্ন করা হয় বলে এদেরকে শক্তিসম্পদের উৎস বলা হয়। উদাহরণ হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাসের কথা বলা যায়, এটি পুড়িয়ে তাপবিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন করা হয় এবং বিদ্যুৎশক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
৫. পিট কয়লা কীভাবে সৃষ্টি হয়?
উত্তর: কয়লা গঠনের প্রথম অবস্থা হলো পিট। মাটির তলায় বনভূমি চাপা পড়ে প্রাথমিকভাবে পিট কয়লার সৃষ্টি হয়। এ কয়লা বাদামি রঙের এবং নিকৃষ্ট শ্রেণির হয়। এতে কার্বনের পরিমাণ থাকে ৩০-৩৫ ভাগ।
৬. তেল উৎপাদনে ভারতের অবস্থা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: খনিজ তেল উত্তোলনে ভারত তেমন প্রসিদ্ধ না হলেও দক্ষিণ এশিয়ায় মোটামুটি প্রসিদ্ধ। ভারতের আসাম ও গুজরাট রাজ্যে প্রচুর তেল উত্তোলিত হয়। ১৯৫০-৫১ সালে ভারতে খনিজ তেলের উৎপাদন ছিল মাত্র ২ লাখ মেট্রিক টন। নতুন নতুন খনি আবিষ্কারের ফলে ভারতের উৎপাদন যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৯১-৯২ সালে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ৩ লাখ মেট্রিক টন। ২০১১-১২ সালে এর পরিমাণ আরও হ্রাস পেয়ে – ২ কোটি মেট্রিক টনের মতো দাঁড়িয়েছে।
৭. শিল্প উৎপাদনে শক্তি সম্পদের ভূমিকাই প্রধান ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: শক্তি সম্পদ ব্যতীত শিল্প অচল বিধায় শিল্পের উৎপাদনে শক্তি সম্পদের ভূমিকাই প্রধান। শক্তিসম্পদ ব্যতীত শিল্পকারখানা চালনা করা সম্ভব নয়। বর্তমানে বড় বড় কারখানা চালানোর জন্য কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, পানিবিদ্যুৎ শক্তি, পারমাণবিক শক্তি প্রভৃতি ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই যেসব অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে শক্তিসম্পদ সরবরাহের ব্যবস্থা আছে, সেসব অঞ্চলেই সাধারণত বিভিন্ন ধরনের শিল্প কেন্দ্রীভূত হয়। তাই বলা যায়, শিল্প উৎপাদনে শক্তি সম্পদের ভূমিকাই প্রধান।
৮. অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর জন্য আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র কোন কোন দেশ হতে আকরিক লোহা আমদানি করে?
উত্তর: আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র লোহা ও ইস্পাত শিল্পে খুবই উন্নত। দেশে প্রচুর আকরিক লোহা থাকা সত্ত্বেও অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। তাই প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণে আকরিক লোহা আমদানি করে।
প্রচুর আকরিক লোহা উত্তোলন হওয়া সত্ত্বেও দেশের শিল্প চাহিদা মেটানোর জন্য আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছর চিলি, ব্রাজিল, ভেনেজুয়েলা, সুইডেন, কানাডা এবং উত্তর ও পশ্চিম আফ্রিকার দেশসমূহ থেকে প্রচুর আকরিক লোহা আমদানি করে।
৯. শিল্পকারখানায় কয়লার ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: শিল্প পরিচালনায় কয়লা কাঁচামাল ও শক্তি উভয় হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
শিল্প স্থাপন ও স্থানীয়করণের ওপর কয়লার প্রভাব সবচেয়ে বেশি। কয়লা পুড়িয়ে তাপশক্তি উৎপাদন করে শিল্পে ব্যবহার করা হয়। একটি শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে কয়লা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেসব শিল্পের নিকটস্থ অঞ্চলে কোনো প্রাকৃতিক গ্যাস নেই সেখানে কয়লার পর্যাপ্ততা থাকলে ঐ সকল শিল্পে কয়লা দিয়ে শক্তি উৎপন্ন করা হয়। কয়লার মূল্য কম হওয়ায় তা শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য সুবিধাজনক। তাছাড়া বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে কয়লার ব্যাপক ব্যবহার লক্ষণীয়।
১০. বাংলাদেশের খনিজ সম্পদ উত্তোলন করা যাচ্ছে না কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বাংলাদেশ খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান ও উত্তোলনের দিক দিয়ে তেমন অগ্রসর নয় বলে খনিজ সম্পদ উত্তোলন করা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খনিজ সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। কিন্তু এসব খনিজ সম্পদ উত্তোলনের জন্য উন্নতমানের আধুনিক যন্ত্রপাতির প্রয়োজন যা বাংলাদেশে নেই। এমনকি বাংলাদেশে দক্ষ শ্রমিক ও মূলধনের অনেক অভাব রয়েছে। এছাড়া প্রযুক্তি জ্ঞানের অভাব এবং বৈদেশিক সাহায্য ছাড়া উত্তোলন করা সম্ভব নয় বলে অনেক স্থানে খনিজ সম্পদ উত্তোলন করা যাচ্ছে না।
বহুনির্বাচনী প্রশ্ন:
১. কঠিন শিলা ব্যবহৃত হয়-
i. রাস্তাঘাট নির্মাণে
ii. সিমেন্ট প্রস্তুতে
iii. রেলপথ নির্মাণে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii ● i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
২. বর্তমানে আকরিক লৌহ উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষস্থানীয় দেশ কোনটি?
● অস্ট্রেলিয়া খ. ভারত
গ. ব্রাজিল ঘ. চীন
নিচের উদ্দীপকটি লক্ষ কর এবং ৩ ও ৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও: (চিত্রটি পিডিএফ উত্তরমালায় দেখানো হয়েছে)
৩. উদ্দীপকের ‘অ’ অঞ্চলের প্রধান খনিজ সম্পদ কোনটি?
ক. প্রাকৃতিক গ্যাস ● কয়লা
গ. কাচ বালি ঘ. খনিজ তেল
৪. উদ্দীপকের ‘অ’ ও ‘ই’ অঞ্চলে প্রাপ্ত প্রধান খনিজের মধ্যে বৈসাদৃশ্য-
i. যানবাহনের জ্বালানি
ii. সার শিল্পে ব্যবহার
iii. বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৫. বাংলাদেশের কোন জেলায় চীনামাটির সন্ধান পাওয়া গেছে?
● নওগাঁ খ. রংপুর
গ. পাবনা ঘ. নীলফামারী
নিচের উদ্দীপকটি লক্ষ কর এবং ৬ ও ৭নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
বাংলাদেশে একটি খনিজ প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় যা সার কারখানায় কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
৬. উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত খনিজটি বাংলাদেশের কোথায় সর্বপ্রথম আবিষ্কৃত হয়?
● হরিপুর খ. রশিদপুর
গ. তিতাস ঘ. বাখরাবাদ
৭. উদ্দীপকের খনিজটি আর কোন কোন কাজে ব্যবহৃত হয়?
i. রান্নার কাজে
ii. পরিবহনের জ্বালানি হিসেবে
iii. পারমাণবিক চুল্লিতে তাপ প্রশমক হিসেবে
নিচের কোনটি সঠিক?
● i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
৮. সিমেন্ট প্রস্তুতে ব্যবহৃত হয়-
ক. কাচ বালি খ. খনিজ বালি
গ. চীনামাটি ● চুনাপাথর
৯. লৌহ ও ইস্পাত উৎপাদনে এশিয়ার শীর্ষদেশ কোনটি?
ক. ভারত খ. জাপান
● চীন ঘ. দঃ কোরিয়া
১০. নিচের কোন খনিজ উৎপাদনে ভারত বিশ্বে প্রথম?
● অভ্র খ. বক্সাইট
গ. ম্যাঙ্গানিজ ঘ. ফেলসফার
১১. গ্রাফাইট উৎপাদনকারী দেশ কোনটি?
● ভারত খ. নেপাল
গ. মালদ্বীপ ঘ. ভুটান
১২. মধ্যপ্রাচ্যের সর্বাধিক তেল উৎপাদনকারী দেশ কোনটি?
ক. ইরান খ. ইরাক
● সৌদি আরব ঘ. কুয়েত
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ১৩ ও ১৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
ছাতক সিমেন্ট কারখানায় একটি খনিজ কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয় যা আমাদের দেশে পাওয়া গেলেও অপর্যাপ্ততার কারণে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।
১৩. খনিজটি আমদানি করা হয় কোন দেশ থেকে?
● ভারত খ. অষ্ট্রেলিয়া
গ. চীন ঘ. মালয়েশিয়া
১৪. খনিজটি বাংলাদেশে পাওয়া যায়Ñ
i. টেকেরহাট
ii. জয়পুরহাট
iii. বিজয়পুর
নিচের কোনটি সঠিক?
● i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
১৫. বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্র কোনটি?
● তিতাস খ. রশিদপুর
গ. হবিগঞ্জ ঘ. কৈলাসটিলা
১৬. যুক্তরাষ্ট্রের হ্রদ অঞ্চলে কোন শিল্প বেশি গড়ে উঠেছে?
ক. কার্পাস বয়ন ● লৌহ ও ইস্পাত
গ. তৈরি পোশাক ঘ. ঔষধ প্রস্তুতি
১৭. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অবস্থিত কোন জেলায়?
ক. নাটোর খ. যশোর
গ. খুলনা ● পাবনা
১৮. OPEC প্রতিষ্ঠার উদ্যোক্তা রাষ্ট্র কোনটি?
● ইরাক খ. ইরান
গ. ইন্দোনেশিয়া ঘ. ভেনিজুয়েলা
১৯. বাংলাদেশের প্রধান খনিজ সম্পদ কোনটি?
ক. কয়লা ● প্রাকৃতিক গ্যাস
গ. খনিজ তৈল ঘ. চুনাপাথর
২০. বাংলাদেশের বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে যে খনিজ সম্পদ পাওয়া যায় তার প্রধান উপাদান কোনটি?
ক. ক্লোরিন খ. ফ্লোরিন
● মিথেন ঘ. ব্রোমিন
২১. ২০১২ সালের তথ্যানুযায়ী বিশ্বের শীর্ষ লৌহ আকরিক উৎপাদনকারী দেশ কোনটি?
ক. ভারত খ. সুইডেন
● চীন ঘ. দক্ষিণ আফ্রিকা
২২. OPEC কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
ক. ১৯৫০ খ. ১৯৫৫
● ১৯৬০ ঘ. ১৯৬৫
২৩. খনিজ সম্পদকে মূলত কয়ভাগে ভাগ করা হয়েছে?
● ২ ভাগে খ. ৩ ভাগে
গ. ৪ ভাগে ঘ. ৫ ভাগে
২৪. কোনটি লৌহ সংকর ধাতু?
● নিকেল খ. তামা
গ. রূপা ঘ. দস্তা
২৫. প্রাথমিক অবস্থায় মানুষ কোন শক্তির ওপর নির্ভর করত?
● পেশিশক্তি খ. পশুশুক্তি
গ. বিদ্যুৎশক্তি ঘ. আলোকশক্তি
২৬. কানাডায় লৌহ আকরিক উৎপাদনের শতকরা হার কত?
● ১.৭৮% খ. ১.৬৮%
গ. ১.৫৮% ঘ. ১.৪৮%
২৭. কোন মহাদেশে পৃথিবীর অর্ধেকেরও বেশি লৌহ আকরিক উৎপাদিত হয়?
● এশিয়া খ. ইউরোপ
গ. আফ্রিকা ঘ. উত্তর আমেরিকা
২৮. কৃষ্ণ সিসা কী?
● গ্রাফাইট খ. ম্যাঙ্গানিজ
গ. লোহা ঘ. তামা
২৯. বর্তমানে কোন দেশ কৃত্রিমভাবে গ্রাফাইট তৈরি করছে?
ক. কানাডা খ. রাশিয়া
● মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘ. মেক্সিকো
৩০. নিচের কোনটি খনিজ সম্পদ?
ক. আলোকশক্তি খ. তাপশক্তি
● গ্রাফাইট ঘ. পানিবিদ্যুৎ
৩১. আকরিক লোহা উত্তোলনে কোন দেশ দুটি শীর্ষস্থানীয়?
ক. ভারত ও রূশ ফেডারেশন খ. দক্ষিণ আফ্রিকা ও আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র
● চীন ও অস্ট্রেলিয়া ঘ. কানাডা ও সুইডেন
৩২. লৌহ আকরিকের ভূমিকা অনস্বীকার্য হওয়ার ক্ষেত্রে কোনটি যোক্তিক?
ক. যাতায়াতের ক্ষেত্রে খ. অবকাঠামো তৈরিতে
গ. রাস্তা তৈরিতে ● যাতায়াত ও অবকাঠামো তৈরিতে
৩৩. খনিজ তেল উত্তোলনে বিশ্বের শীর্ষ দেশ কোনটি?
● রাশিয়া খ. সৌদি আরব
গ. যুক্তরাষ্ট্র ঘ. ভেনিজুয়েলা
৩৪. ‘ডিগবয়’ তেলক্ষেত্রটি ভারতের কোন রাজ্যে অবস্থিত?
ক. মেঘালয় ● আসাম
গ. মধ্যপ্রদেশ ঘ. কর্নাটক
৩৫. বর্তমান বিশ্বে সর্বাধিক ব্যবহৃত শক্তিসম্পদ কোনটি?
ক. কয়লা ● খনিজ তেল
গ. লোহা ঘ. স্বর্ণ
৩৬. খনিজ তেলের অপর নাম কী?
ক. স্বর্ণ খ. রৌপ
● তরল স্বর্ণ ঘ. তরল রৌপ্য
৩৭. প্রাকৃতিক গ্যাস ও খনিজ তেল অধিক ব্যবহারের ফলে একদিন ফুরিয়ে যাবে। কারণ-
● উপরের দুটিই অনবায়নযোগ্য সম্পদ
খ. উপরের দুটিই নবায়নযোগ্য সম্পদ
গ. প্রাকৃতিক গ্যাস নবায়নযোগ্য ও খনিজ তেল অনবায়নযোগ্য সম্পদ
ঘ. জনসংখ্যার অত্যধিক বৃদ্ধির কারণে
৩৮. ইরানে খনিজ তেল আবিষ্কৃত হয় কত সালে?
ক. ১৮৯৬ খ. ১৯৭২
গ. ১৯৩৫ ● ১৯০৮
৩৯. বিশ্বের প্রধান জ্বালানি শক্তির উৎস হিসেবে তুমি নিচের কোনটিকে যৌক্তিক মনে কর?
ক. বায়োগ্যাস ● ফসিল ফুয়েল
গ. সৌরশক্তি ঘ. কাঠ
৪০. সৌদি আরব বিশ্বে তেল উৎপাদনে কততম স্থানে রয়েছে?
ক. প্রথম ● দ্বিতীয়
গ. তৃতীয় ঘ. চতুর্থ
৪১. সৌদি আরবের কোন অঞ্চলে অধিকাংশ তেলের খনি রয়েছে?
● হাসা খ. জেদ্দা
গ. মদিনা ঘ. মক্কা
৪২. কোনটি কানাডাভিত্তিক তেল-গ্যাস কোম্পানি?
ক. বাপেক্স ● নাইকো
গ. পেট্রোবাংলা ঘ. ইউনোকল
৪৩. ইউনোকল কোন দেশভিত্তিক তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকারী প্রতিষ্ঠান?
● যুক্তরাষ্ট্র খ. কানাডা
গ. পােল্যান্ড ঘ. চীন
৪৪. পৃথিবীর প্রথম ও দ্বিতীয় প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনকারী দেশ দুটি হলো-
ক. চীন ও আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ● আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ও রূশ ফেডারেশন
গ. নরওয়ে ও নেদারল্যান্ডস ঘ. দক্ষিণ আফ্রিকা ও পোল্যান্ড
৪৫. খনিজ সম্পদ কমে গেলে কোন প্রভাবটি দেখা যাবে?
ক. চিকিৎসা সহায়তা কমে যাবে
● শিল্প ও বাণিজ্য হ্রাস পাবে
গ. মানুষের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ও সমাজের উন্নতি কমে যাবে
ঘ. রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেবে
৪৬. বিশ্বের শীর্ষ গ্যাস উৎপাদনকারী দেশ কোনটি?
● যুক্তরাষ্ট্র খ. ভারত
গ. রাশিয়া ঘ. চীন
৪৭. রাশিয়া কোন গ্যাস বলয়ে অবস্থিত?
● ইউরোপ গ্যাস বলয়ে খ. এশিয়া গ্যাস বলয়ে
গ. আফ্রিকা গ্যাস বলয়ে ঘ. অস্ট্রেলিয়া গ্যাস বলয়ে
৪৮. কয়লার প্রাথমিক পর্যায় কোনটি?
● পিট খ. বিটুমিনাস
গ. লিগনাইট ঘ. অ্যানথ্রাসাইট
৪৯. পৃথিবীতে মোট সঞ্চিত কয়লার কত ভাগ এশিয়া মহাদেশে রয়েছে?
ক. ৪৫ ভাগ ● ৪৬ ভাগ
গ. ৪৮ ভাগ ঘ. ৫০ ভাগ
৫০. কয়লা উৎপাদনে প্রথম স্থানে রয়েছে কোন দেশ?
● চীন খ. রাশিয়া
গ. পােল্যান্ড ঘ. কানাড়া
৬ষ্ঠ অধ্যায়
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১. বিনিয়োগ ছাড়া শিল্পায়ন সম্ভব নয়।-ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বিনিয়োগ ছাড়া শিল্পায়ন সম্ভব নয়। শিল্প স্থাপনের অন্যতম নিয়ামক হলো মূলধন। মূলধন বিনিয়োগ না হলে শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি, দক্ষ শ্রমিক নিয়োগ প্রভৃতি যোগান দেওয়া যাবে না। এছাড়া মূলধন শিল্প স্থাপনের যাবতীয় ব্যয় নির্বাহের হাতিয়ার। পর্যাপ্ত অর্থায়ন ছাড়া শিল্পকার্য চরমভাবে ব্যাহত হবে।
২. শিল্প ব্যবস্থাপনা বলতে কী বোঝ?
উত্তর: শিল্প ব্যবস্থাপনা বলতে শিল্পের কর্ম পরিবেশ, বাজারে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে পণ্য বা সেবার উন্নয়ন, মূল্য নির্ধারণ, বণ্টন ও প্রসারের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নসংক্রান্ত প্রক্রিয়াকে বোঝানো হয়। অর্থাৎ শিল্পের সার্বিক উন্নতি করার জন্য প্রয়োজনীয় কর্মপ্রক্রিয়াই শিল্প ব্যবস্থাপনা।
৩. শিল্পায়নের সাথে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: একটি দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ঐ দেশের শিল্পায়নকে ত্বরান্বিত করে। অস্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থা কোনা দেশের উন্নয়ন বয়ে আনতে পারে না।
শিল্পকারখানাগুলোর উৎপাদন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি করা, দেশীয় উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐ স্থিতিশীলতা একান্ত প্রয়োজন।
৪. লৌহ ও ইস্পাত শিল্পের চারটি ব্যবহার লেখ।
উত্তর: বর্তমানে যন্ত্রসভ্যতার এ যুগে লৌহ ও ইস্পাতের ব্যবহার অতীব গুরুত্বপূর্ণ। লৌহ ও ইস্পাত শিল্পের চারটি ব্যবহার নিম্নরূপÑ
১. যেকোনো ধরনের যন্ত্রপাতি নির্মাণে লৌহ ও ইস্পাতের প্রয়োজন হয়।
২. ঘরবাড়ির জানালা, দরজা, ছাদ ইত্যাদি নির্মাণে লৌহ ও ইস্পাত ব্যবহৃত হয়।
৩. জাহাজ, রেলগাড়ি, মোটরগাড়ি এবং লঞ্চ ইত্যাদি পরিবহন সামগ্রী নির্মাণে লৌহ ও ইস্পাত ব্যবহৃত হয়।
৪. গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন- থালাবাটি, দা, কুড়াল ইত্যাদি নির্মাণে লৌহ ও ইস্পাত ব্যবহৃত হয়।
৫. ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কার্পাস বয়নশিল্পকেন্দ্র্রগুলো কোথায় অবস্থিত? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কার্পাস বয়নশিল্পকেন্দ্রগুলো পশ্চিমাঞ্চল দক্ষিণাঞ্চল, উত্তরাঞ্জল এবং পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত।
বস্ত্র বয়নশিল্প ভারতের বৃহত্তম শিল্প। ভারতের প্রায় প্রতি রাজ্যেই বস্তু বয়নশিল্প আছে। ভারতের বস্ত্র বয়নশিল্পের অবস্থান অনুসারে একে চারটি বিশেষ অঞ্চলে বিভক্ত করা যায়। যথা : (ক) পূর্বাঞ্চল, (খ) পশ্চিমাঞ্চল, (গ) উত্তরাঞ্চল ও (ঘ) দক্ষিণাঞ্চল।কাপড়ের সেরা দোকান
৬. শিল্পের জন্য বাজার প্রয়োজন কেন?
উত্তর: শিল্পের জন্য বাজার প্রয়োজন। কারণ শিল্পজাত দ্রব্যের চাহিদার ওপর শিল্পের উন্নয়ন নির্ভর করে।
শিল্পজাত দ্রব্যের জন্য বাজার আবশ্যক। এজন্য বাজারের কাছে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গয়ে ওঠে। শীতপ্রধান দেশে পশমি বস্ত্রের চাহিদা বেশি বলে সেখানে পশম বয়নশিল্প বেশি এবং গ্রীষ্মপ্রধান দেশে কার্পাস বয়নশিল্পের চাহিদা বেশি বলে সেখানে কার্পাস বয়নশিল্প বেশি গড়ে উঠেছে।
৭. বাংলাদেশ সার শিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণ না হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশে কৃষিকাজের জন্য প্রচুর পার প্রয়োজন। কিন্তু সার শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি, দক্ষ শ্রমিকের অভাব, মূলধনের স্বল্পতা, অব্যবস্থাপনা, রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রভৃতি কারণে চাহিদামাফিক সার উৎপাদন করতে পারে না। যেটুকু সার উৎপাদন হয় তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। তাই বাংলাদেশ সার শিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়।
৮. ওসাকাকে জাপানের ম্যানচেস্টার বলা হয় কেন?
উত্তর: ব্রিটেনের ল্যাঙ্কাশায়ার এলাকায় ম্যানচেস্টার হলো প্রধান কার্পাস কেন্দ্র। এখানে সর্বপ্রকার সুযোগ-সুবিধা থাকায় উন্নতমানের বস্ত্র তৈরি হয়। যে কারণে এ অঞ্চলের উৎপাদিত বস্ত্রের প্রায় ৮০ ভাগ রপ্তানি হয়।
অপরদিকে, ওসাকা হলো জাপানের শ্রেষ্ঠ কার্পাস বয়নশিল্প কেন্দ্র। ব্রিটেনের ম্যানচেস্টারে বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধার অধিকাংশই জাপানের ওসাকাতেও বিদ্যমান। ওসাকা অঞ্চলে উৎপাদিত বস্ত্রের সিংহভাগই রপ্তানি করা হয়। এজন্য ওসাকাকে জাপানের ম্যানচেস্টার বলা হয়।
৯. পাট শিল্প গড়ে ওঠার একটি কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: পাট শিল্প গড়ে ওঠার একটি অন্যতম কারণ হলো জলবায়ুগত কারণ।
পাট উষ্ণ অঞ্চলের ফসল। পাট চাষের জন্য ২০° থেকে ৩৫° সেলসিয়াম তাপমাত্রা এবং ১৫০ থেকে ২৫০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত। যে সমস্ত অঞ্চলে এ ধরনের জলবায়ু বিদ্যমান সেখানে পাট শিল্প গড়ে উঠেছে।
১০. শিল্পায়নের জন্য একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক সরকার প্রয়োজন?
উত্তর: যেকোনো দেশের দ্রুত শিল্পায়নের ক্ষেত্রে একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক সরকার প্রয়োজন।
শিল্পকারখানাগুলোর উৎপাদন অব্যাহত রাখা, প্রস্তুতকৃত মালামাল যথাসময়ে ভোক্তার নিকট পৌঁছানো, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি, দেশীয় উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ উৎসাহিত করার জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। আর এ অবস্থা সৃষ্টির জন্য চাই একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক সরকার।
বহুনির্বাচনী প্রশ্ন:
১. সার শিল্পের অন্যতম কাঁচামাল হচ্ছে
ক চিনামাটি খ. চুনাপাথর
● প্রাকৃতিক গ্যাস ঘ. জিপসাম
২. কোন দেশটি লৌহ ও ইস্পাত শিল্পে প্রথম?
ক. রাশিয়া খ. ভারত
● চীন ঘ. ব্রাজিল
৩. বাংলাদেশে রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস কোনটি?
ক. পাটজাত দ্রব্য খ. কুটিরশিল্প
● পোশাক শিল্প ঘ. হিমায়িত চিংড়ি
৪. কার্পাস বয়নশিল্পে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশ কোনটি?
ক. যুক্তরাষ্ট্র খ. জাপান
গ. ভারত ● চীন
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৫ ও ৬নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
অনিক ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানায় চাকরি করে। ঐ কারখানায় ব্যবহৃত প্রধান কাঁচামাল সিলেটের হরিপুর থেকে সরবরাহ করা হয়।
৫. উদ্দীপকে উল্লিখিত কারখানায় কোন খনিজ ব্যবহার করা হয়?
ক. খনিজ তৈল খ. সিলিকা
গ. কয়লা ● প্রাকৃতিক গ্যাস
৬. উদ্দীপকের কারখানায় ব্যবহৃত কাঁচামাল আর কী কাজে ব্যবহার করা হয়?
i. যানবাহনের জ্বালানি হিসাবে
ii. তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানি হিসাবে
iii. সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানি হিসাবে
নিচের কোনটি সঠিক?
● i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
৭. বাংলাদেশের সিমেন্ট শিল্পের প্রধান কাঁচামাল কোনটি?
ক. বেলেপাথর খ. নুড়ি পাথর
● চুনাপাথর ঘ. কঠিন শিলা
৮. বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে চিনি শিল্প গড়ে না ওঠার কারণ-
ক. অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা খ. শক্তিসম্পদের অভাব
● কাঁচামালের অভাব ঘ. সস্তা শ্রমিকের অভাব
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৯ ও ১০নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের অবহেলিত নারীগোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়ে করিম সাহেব নতুন এক প্রকার শিল্প স্থাপনের পরিকল্পনা করেন। করিম সাহেবকে অনুসরণ করে পরবর্তীতে অনেকে এ শিল্পে এগিয়ে আসেন। যার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে এটি দেশের অন্যতম প্রধান শিল্প। এই শিল্পজাত পণ্যের প্রধান ক্রেতা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
৯. করিম সাহেব কী শিল্পজাত পণ্য রপ্তানি করেন?
ক. পাটজাত সামগ্রী ● তৈরি পোশাক
গ. চামড়া ঘ. হিমায়িত মাছ
১০. উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত শিল্পের অনুকূল নিয়ামক কোনটি?
i. আন্তর্জাতিক বাজার
ii. কাঁচামাল
iii. নারীশ্রমিক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
১১. কেন শীতলক্ষ্যা নদীতীরে সার কারখানা গড়ে উঠেছে?
i. প্রাকৃতিক গ্যাসের উপস্থিতি
ii. মিঠা পানির সান্নিধ্য
iii. সুষ্ঠু পরিবহন ব্যবস্থা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii ● i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
১২. পৃথিবীতে প্রস্তুতকারী শিল্পে ব্যবহৃত মোট শক্তির কত অংশ কয়লা হতে পাওয়া যায়?
ক. ১৩ অংশ ● ২৩ অংশ
গ. ২৪ অংশ ঘ. ৩৪ অংশ
১৩. বাংলাদেশের অধিকাংশ শিল্পে কোন খনিজ ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়?
ক. কয়লা ● প্রাকৃতিক গ্যাস
গ. খনিজ তেল ঘ. চুনাপাথর
১৪. কোন ধরনের দেশ কাপাস-বয়নশিল্পে উন্নত?
ক. শীতপ্রধান দেশ ● গ্রীষ্মপ্রধান দেশ
গ. বর্ষাপ্রধান দেশ ঘ. শরৎপ্রধান দেশ
১৫. আমেরিকার কোন অঞ্চল পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ইস্পাত উৎপাদনকারী অঞ্চল?
ক. বার্মিংহাম ● সেন্ট পিটার্সবার্গ
গ. ডুলথ অঞ্চল ঘ. মধ্য আটলান্টিক অঞ্চল
১৬. সেন্ট পিটার্সবার্গ অঞ্চলে আমেরিকার কত ভাগ লৌহ ও ইস্পাত উৎপাদন করা হয়?
● ২৫ ভাগ খ. ২৭ ভাগ
গ. ৩০ ভাগ ঘ. ৩৩ ভাগ
১৭. পাঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্য কোন অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত?
ক. পূর্বাঞ্চল খ. পশ্চিমাঞ্চল
● উত্তরাঞ্চল ঘ. দক্ষিণাঞ্চল
১৮. কার্পাস বয়নশিল্পে বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজার নিচের কোন দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?
ক. ভারত খ. পাকিস্তান
● চীন ঘ. জাপান
১৯. সুইজারল্যান্ডের ঘড়ি বিখ্যাত হওয়ার উপযুক্ত কারণ কোনটি?
ক. দেশটি বিখ্যাত বলে খ. ঘড়ি সুন্দর বলে
গ. বেশি ঘড়ি উৎপাদনের জন্য ● দক্ষ কারিগরের জন্য
২০. টাটা আয়রন অ্যান্ড স্টিল কো. লি. কত সালে প্রথম ইস্পাত তৈরি করে?
ক. ১৯১১ খ. ১৯১২
● ১৯১৩ ঘ. ১৯১৪
২১. রাজশাহী বিভাগে কয়টি চিনির কল আছে?
ক. ৩ খ. ৪
● ৫ ঘ. ৬
২২. দর্শনার কেরু এন্ড কোম্পানি চিনিকলটিতে চিনি ছাড়া আর কী কী উৎপন্ন হয়?
ক. গুড়, চকলেট খ. কোমল পানীয়
গ. বিস্কুট, মদ ● অ্যালকোহল, স্পিরিট
২৩. ছাতক সিমেন্ট কারখানা কোথায় অবস্থিত?
ক. মৌলভীবাজারে ● সিলেটে
গ. নারায়ণগঞ্জে ঘ. রংপুরে
২৪. বাংলাদেশের সিমেন্ট কারখানার মধ্যে কয়টি ছাতকে অবস্থিত?
● ১টি খ. ২টি
গ. ৩টি ঘ. ৪টি
২৫. কত সালে ছাতকে আসাম বেঙ্গল সিমেন্ট কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়?
ক. ১৯৪০ সালে ● ১৯৩৭ সালে
গ. ১৯৪২ সালে ঘ. ১৯৪৩ সালে
২৬. আসাম বেঙ্গল সিমেন্ট কারখানার উৎপাদন কত সাল থেকে শুরু হয়?
ক. ১৯৪০ সাল খ. ১৯৪১ সাল
গ. ১৯৪২ সাল ● ১৯৪৩ সাল
২৭. কত সাল থেকে চট্টগ্রাম সিমেন্ট কারখানার নির্মাণ কাজ শুরু হয়?
● ১৯৭২ সাল খ. ১৯৭৩ সাল
গ. ১৯৭৪ সাল ঘ. ১৯৭৫ সাল
২৮. মডার্ন সিমেন্ট কারখানাটি কোথায় অবস্থিত?
ক. ঢাকা খ. টাঙ্গাইল
● মুন্সীগঞ্জ ঘ. ফেনী
২৯. হুন্দাই সিমেন্টের বর্তমান নাম কী?
ক. আকিজ সিমেন্ট ● হোলসিম সিমেন্ট
গ. ফ্রেস সিমেন্ট ঘ. ডায়মন্ড সিমেন্ট
৩০. দর্শনা চিনিকলটি কোন বিভাগে অবস্থিত?
ক. ঢাকা খ. চট্টগ্রাম
● খুলনা ঘ. সিলেট
৩১, লাফার্জ সুরমা ফ্যাক্টরি লি. কোন নদীর তীরে?
ক. মেঘনা নদী ● সুরমা নদী
গ. যমুনা নদী ঘ. কর্ণফুলী নদী
৩২. শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে কোন কারখানা প্রবর্তিত হয়েছে?
ক. যমুনা সার কারখানা খ. ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানা
● পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা ঘ. চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানা
৩৩. বাংলাদেশে পোশাক শিল্প গড়ে ওঠার কারণ কোনটি?
● শ্রমিকের সহজলভ্যতা খ. স্থানীয় প্রচুর মূলধন
গ. শ্রমিকদের সর্বোচ্চ সুবিধা ঘ. সরকারি নীতি
৩৪. আশুগঞ্জ সার কারখানা কোন জেলায় অবস্থিত?
ক. সিলেট ● ব্রাহ্মণবাড়িয়া
গ. মৌলভীবাজার ঘ. সুনামগঞ্জ
৩৫. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা কীসের জন্য কাম্য?
ক. চাকরি খ. কৃষি
● শিল্পায়ন ঘ. খেলাধুলা
৩৬. শিল্প স্থাপনের সাথে কীসের গতিশীল সম্পর্ক বিদ্যমান?
ক. কৃষির খ. বাণিজ্যের
● উন্নয়নের ঘ. সরকারের
৩৭. বাংলাদেশে পোশাকশিল্পে কত ভাগ নারী কর্মী কর্মসংস্থানের সঙ্গে
ক. প্রায় ৪৫ ভাগ খ. প্রায় ৬০ ভাগ
● প্রায় ৮০ ভাগ ঘ. প্রায় ৯০ ভাগ
৩৮. বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প দেশীয় চাহিদার শতকরা কতভাগ পূরণ করে?
ক. ৯৫% খ. ৯৬%
● ৯৭% ঘ. ৯৯%
৩৯. পাকশী কাগজকল কোন জেলায় অবস্থিত?
ক. খুলনা খ. চট্টগ্রাম
● পাবনা ঘ. রাজশাহী
৪০. ভারতের সর্বপ্রথম পাটকল কোথায় স্থাপিত হয়?
ক. গুজরাট খ. আসাম
● বিষড়া ঘ. বরানগর
৪১. আদমজী পাটকল কত সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়?
ক. ২০০২ সালে খ. ২০০৩ সালে
● ২০০৪ সালে ঘ. ২০০৫ সালে
৪২. প্রথম কোন দেশ থেকে ভারতে রেশম শিল্পের বিকাশ ঘটে?
● চীন খ. জাপান
গ. কোরিয়া ঘ. নেপাল
৪৩. একটি দেশের শিল্পায়নের উন্নতির জন্য বড় বাধা কোনটি?
● রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা খ. মূলধনের স্বল্পতা
গ. যানজট সমস্যা ঘ. কাচামালের স্বল্পতা
৪৪. কোন স্থানে সিলিকা বালু সহজলভ্য হলে সেখানে কোন শিল্প বিকাশের সম্ভাবনা বেশি?
● কাঁচ শিল্প খ. মৃৎশিল্প
গ. সিমেন্ট শিল্প ঘ. সিরামিক শিল্প
৪৫. বার্মিংহাম কোন দেশের শিল্পাঞ্চল?
ক. জাপান খ. ইউক্রেন
গ. যুক্তরাজ্য ● যুক্তরাষ্ট্র
৪৬. কীসের সরবরাহ ছাড়া কোনাে শিল্প গড়ে ওঠতে পারে না?
● কাঁচামাল খ. জমি
গ. পানি ঘ. বাজার
৪৭. যুক্তরাজ্যের লৌহ ও ইস্পাত শিল্পাঞ্চলসমূহ হলো-
i. ব্লাক কানট্রি অঞ্চল
ii. সেফিল্ড অঞ্চল
iii. পশ্চিম উপকূলবর্তী অঞ্চল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৪৮. চীনের যে অঞ্চলগুলো বয়নশিল্পে উন্নতি লাভ করেছে তা হলো-
i. সাংহাই
ii. নানকিন
iii. হ্যাজ্ঞাও
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৪৯. দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত অঙ্গরাজ্য হলো-
i. ভার্জিনিয়া
ii. পেনসিলভানিয়া
iii. জর্জিয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii ● i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
৫০. জাপানের বন্দর হিসেবে অধিক উপযোগী-
i. ওসাকা
ii. টোকিও
iii. ইয়োকোহামা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৭ম অধ্যায়
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১. বন্দরের উন্নতি নির্ভর করে পশ্চাভূমির ওপর – ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: কানো একটি বন্দরে যে অঞ্চলের বহির্ঘায়ের কাজ করে সেই অঞ্চলকে উক্ত বন্দরের পশ্চাদভূমি বলে।
অন্যভাবে বলা যায় যেসব স্থানের রপ্তানি দ্রব্যসমূহ কোনো বন্দরের মধ্যদিয়ে বিদেশে প্রেরণ করা হয় এবং ঐসব অঞ্চলের আমদানি দ্রব্যসমূহ ঐ বন্দরের মধ্য দিয়ে বিদেশ হতে আনয়ন করা হয়। সে অঞ্চলটি হলো উক্ত বন্দরের পশ্চাদভূমি। তাই বন্দরের উন্নতি বহুলাংশে এর পশ্চাদভূমির বিস্তার ও সমৃদ্ধির ওপর নির্ভর করে। পশ্চাদভূমি যত বেশি বিস্তৃত, জনবহুল,শিল্পপ্রধান ও সম্পদশালী হবে বন্দর তত বেশি অগ্রগতি লাভ করবে।
২. বন্দর গড়ে উঠার পিছনে পশ্চাৎভূমির ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বন্দর গঠন ও এর উন্নতিতে পশ্চাদভূমির গুরুত্ব অপরিসীম।
বন্দরের মাধ্যমে যে অঞ্চলের পণ্যদ্রব্য রপ্তানি ও প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য আমদানি করা হয় তাকে ঐ বন্দরের পশ্চাদভূমি বলে।
পশ্চাদভূমি কোনো পণ্যের স্থানীয় চাহিদা মিটাতে সক্ষম হলে তাকে উদ্বৃত্ত অঞ্চল বলে। এতে করে রপ্তানি আর ঘাটতি অঞ্চল হলে আমদানি বাণিজ্য (যেমন, বাংলাদেশের খাদ্যশস্য) বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিকভাবেই পশ্চাদভূমি যদি অর্থনৈতিক দিক থেকে সমৃদ্ধ হয় তাহলে বন্দরের উন্নতি হয়।
৩. দেশের সার্বিক উন্নয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ সহজতর হয়। পণ্যসামগ্রী দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে স্থানান্তর, রপ্তানি বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক সম্পদ ও শিল্পের কাঁচামাল সরবরাহ, দ্রুততম সময়ে একস্থান থেকে অন্যস্থানে গমনাগমন প্রভৃতি উন্নত যোগাযোগের মাধ্যমে খুব সহজেই করা যায়। তাই উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর দেশের সার্বিক উন্নতি অনেকাংশেই নির্ভরশীল।
৪. বন্দরের উন্নতিতে পশ্চাদভূমির ভূমিকা কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বন্দর গঠন ও এর উন্নতিতে পশ্চাদভূমির গুরুত্ব অপরিসীম। বন্দরের মাধ্যমে যে অঞ্চলের পণ্যদ্রব্য রপ্তানি ও প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য আমদানি করা হয় তাকে ঐ বন্দরের পশ্চাদভূমি বলে।
পশ্চাদভূমি কোনো পণ্যের স্থানীয় চাহিদা মিটাতে সক্ষম হলে তাকে উদ্বৃত্ত অঞ্চল বলে। এতে করে রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধি পায় আর ঘাটতি অঞ্চল হলে আমদানি বাণিজ্য বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিকভাবেই পশ্চাদভূমি যদি অর্থনৈতিক দিক থেকে সমৃদ্ধ হয় তাহলে বন্দরের উন্নতি হয়।
সুতরাং বন্দর গড়ে ওঠার পিছনে পশ্চাদভূমির ভূমিকা অপরিসীম।
৫. সাব্বিরের এলাকা থেকে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ার পেছনে কোন নিয়ামকটি উল্লেখযোগ্য?
উত্তর: উদ্দীপকে উল্লেখ্য সাব্বিরের এলাকাটি সিরাজগঞ্জ।
সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ার পেছনে উল্লেখযোগ্য নিয়ামক হিসেবে ভূমিকা পালন করে যমুনা সেতু। যমুনা সেতু নির্মাণের পর সড়ক ও রেলপথে ঢাকার সাথে সিরাজগঞ্জসহ উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবসার উন্নতি ঘটে।
৬. পরিবহন ও যোগাযোগ বলতে কী বোঝ?
উত্তর: দেশের একস্থান থেকে অন্যস্থানে অথবা একদেশ থেকে অন্যদেশে পণ্যসামগ্রী, মালপত্র এবং যাত্রী চলাচলের মাধ্যমকে পরিবহন বলে। পরিবহন তিন ধরনের থাকে যথা- স্থল পরিবহন, জল পরিবহন ও আকাশ পরিবহন। পরিবহন ব্যবস্থা ও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পর্ক স্থাপন ও চলাচলের মাধ্যমকে যোগাযোগ ব্যবস্থা বলে। যোগাযোগ পরিবহন, ডাক, টেলিগ্রাম ও টেলিযোগ, বেতার ও টেলিভিশন, ই-মেইল, মোবাইল, ইন্টারনেট, ভূউপগ্রহ, ইলেকট্রনিক মাধ্যম, তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়।
৭. জাতীয় জনপথ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সাথে দেশের প্রধান শহর, বন্দর ও বাণিজ্য কেন্দ্রগুলোর সাথে সংযোগ স্থাপনকারী সড়কপথসমূহকে জাতীয় জনপথ বলে।
বাংলাদেশের পথগুলো বেশ চওড়া ও মসৃণ। এটা নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ বাংলাদেশ সরকারের সড়ক জনপথ সওজ বিভাগের ওপর ন্যস্ত রয়েছে। এ জাতীয় সড়কের পরিমাণ ২১,৫৯৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে জাতীয় মহাসড়ক ৩,৯০৬ কি.মি. এবং ১৩,২০৭ কি.মি. জেলা সড়ক। (বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৯)।
৮. বাংলাদেশে কত ধরনের রেলপথ রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বাংলাদেশে তিন ধরনের রেলপথ রয়েছে। যথা:
১. মিটারগেজ: রেলের দুটি পাটির মধ্যবর্তী ব্যবধান ১ মিটার।
২. ব্রডগেজ: রেলের দুটি পাটির মধ্যবর্তী ব্যবধান ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। যমুনা নদীর পশ্চিমাংশের জেলাগুলোতে এ রেলপথ চালু রয়েছে।
৩. ডুয়েলগেজ: মিটারগেজ ও ব্রডগেজ একই লাইনে থাকলে তা ডুয়েলগেজ। যমুনা নদীর পূর্ব ও পশ্চিমাংশের মধ্যে যোগাযোগ করার জন্য ডুয়েলগেজ রেলপথ চালু করা হয়েছে।
৯. বন্দর গড়ে ওঠার পিছনে পশ্চাদভূমির ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বন্দর গঠন ও এর উন্নতিতে পশ্চাদভূমির গুরুত্ব অপরিসীম। বন্দরের মাধ্যমে যে অঞ্চলের পণ্যদ্রব্য রপ্তানি ও প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য আমদানি করা হয় তাকে ঐ বন্দরের পশ্চাদভূমি বলে।
পশ্চাদভূমি কোনো পণ্যের স্থানীয় চাহিদা মিটাতে সক্ষম হলে তাকে উদ্বৃত্ত অঞ্চল বলে। এতে করে রপ্তানি আর ঘাটতি অঞ্চল হলে আমদানি বাণিজ্য (যেমন, বাংলাদেশের খাদ্যশস্য) বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিকভাবেই পশ্চাদভূমি যদি অর্থনৈতিক দিক থেকে সমৃদ্ধ হয় তাহলে বন্দরের উন্নতি হয়। তাই বলা যায় বন্দর গড়ে উঠার পেছনে পশ্চাদভূমির ভূমিকা রয়েছে।
১০. মিটারগেজ ও ব্রডগেজ লাইন বলতে কী বোঝ?
উত্তর: বাংলাদেশের তিন ধরনের রেল লাইনের মধ্যে অন্যতম হলো মিটারগেজ ও ব্রডগেজ রেললাইন।
যেসব রেললাইনের মধ্যবর্তী দূরত্ব ১ মিটার তাকে মিটারগেজ রেললাইন বলে। আর যেসব রেললাইনের মধ্যবর্তী দূরত্ব ১ মিটারের বেশি বা ১.৬৭ মিটার ঐসব রেললাইনকে ব্রডগেজ রেললাইন বলে।
বহুনির্বাচনী প্রশ্ন:
১. বাংলাদেশে সাশ্রয়ী পরিবহন ব্যবস্থা কোনটি?
ক. রেলপথ ● নৌপথ
গ. সড়কপথ ঘ. আকাশপথ
২. কোন বিভাগে ডুয়েল গেজ রেলপথ রয়েছে?
● ঢাকা খ. চট্টগ্রাম
গ. খুলনা ঘ. সিলেট
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৩ ও ৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
৩. ‘খ’ চিহ্নিত বিভাগীয় শহরটি কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
ক. ভদ্রা ● রূপসা
গ. মেঘনা ঘ. কীর্তনখোলা
৪. ‘ক’ ও ‘খ’ চিহ্নিত বিভাগীয় শহর দুটি কোন কোন পথ দ্বারা সংযুক্ত?
i. বিমান
ii. রেল
iii. নৌ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৫. নারায়ণগঞ্জ কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
ক. মধুমতি খ. মেঘনা
গ. বুড়িগঙ্গা ● শীতলক্ষ্যা
৬. স্বল্প ব্যয়ে অধিক পণ্য পরিবহনে কোনটি সুবিধাজনক?
ক. সড়কপথ খ. রেলপথ
● জলপথ ঘ. আকাশপথ
৭. চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সিলেটে জ্বালানি তেল পরিবহনে কোন রেলপথ ব্যবহার করা হয়?
● মিটারগেজ খ. ব্রডগেজ
গ. ন্যারোগেজ ঘ. ডুয়েলগেজ
৮. পরিবহন ব্যবস্থা সাধারণত কয় প্রকার?
ক. ২ প্রকার ● ৩ প্রকার
গ. ৪ প্রকার ঘ. ৫ প্রকার
৯. বাংলাদেশের নদীর কারণে যেসব সড়কপথ বিচ্ছিন্ন তাদের সংযোগ রক্ষার্থে কোন সার্ভিস চালু আছে?
ক. লঞ্চ ● ফেরি
গ. জাহাজ ঘ. নৌকা
১০. বাংলাদেশে কোন সড়কের মাধ্যমে একটি জেলার অধীনে বিভিন্ন উপজেলার মধ্যকার সংযোগ রক্ষা করা হয়?
ক. জেলা সড়ক খ. আঞ্চলিক সড়ক
● উপজেলা সড়ক ঘ. গ্রাম সড়ক
১১. বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে ব্রডগেজ রেললাইন চালু আছে? .
● খুলনা খ. সিলেট
গ. চট্টগ্রাম ঘ. ময়মনসিংহ
১২. বাংলাদেশে সর্বমোট রেলস্টেশন কয়টি?
● ৪৯৯টি খ. ৪৫৮টি
গ. ৪৬২টি ঘ. ৪৭০টি
১৩. বাংলাদেশে কত কি. মি. নাব্য জলপথ শুধু বর্ষাকালে ব্যবহার হয়?
● ৩০০০ কি. মি. খ. ৩২০০ কি. মি.
গ. ৩৪০০ কি. মি. ঘ. ৩৬০০ কি. মি.
১৪. নদীপথে চলাচলকারী যাত্রীদের মধ্যে কতভাগ টাবুরী নৌকা ব্যবহার করে?
ক. ৯০ ভাগ খ. ৯২ ভাগ
● ৯৪ ভাগ ঘ. ৯৬ ভাগ
১৫. নদীপথে স্টিমার ব্যবহারকারী যাত্রী শতকরা কতজন?
ক. ৫ জন ● ৬ জন
গ. ৭ জন ঘ. ৮ জন
১৬. বর্তমানে বাংলাদেশে কয়টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে?
ক. ২টি ● ৩টি
গ. ৪টি ঘ. ৫টি
১৭. নদীপথ কোন অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম?
ক. ময়মনসিংহ খ. পাবনা
গ. কুমিল্লা ● বরগুনা
১৮. জেলা বোর্ড সড়ক বলতে কী বোঝ?
ক. বিভিন্ন উপজেলার সাথে সংযোগ স্থাপনকারী সড়ক
● বিভিন্ন জেলার সাথে সংযোগ স্থাপনকারী সড়ক
গ. বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের সাথে সংযোগ স্থাপনকারী সড়ক
ঘ. রাজধানীর সাথে বিভিন্ন জেলার সংযোগ স্থাপনকারী সড়ক
১৯. বিভিন্ন গ্রামের সাথে সংযোগ স্থাপনকারী সড়ক কোনটি?
● ইউনিয়ন পরিষদের সড়কপথ
খ. উপজেলা সড়কপথ
গ. জেলা বোর্ড সড়ক
ঘ. জাতীয় জনপদ
২০. অল্প দূরত্ববিশিষ্ট স্থানের জন্য কোন বাহনটি বেশি কার্যকর?
ক. বাস খ. ট্রাক
গ. ট্রেন ● রিকশা
২১. ভারি পণ্য পরিবহনে কোনটি কার্যকর?
ক. বাস ● ট্রাক
গ. রিকশা ঘ. ভ্যান
২২. যুদ্ধ সরঞ্জাম প্রেরণে কোন পথ অধিক কার্যকর?
ক. বিমানপথ খ. নদীপথ
● সড়কপথ ঘ. সমুদ্রপথ
২৩. বাংলাদেশে কোন ধরনের সমুদ্রবন্দর দেখতে পাওয়া যায়?
ক. খাল বন্দর খ. উপসাগরীয় বন্দর
● নদী মুখের বন্দর ঘ. খাড়ি বন্দর
২৪. বাংলাদেশে কয়টি সমুদ্রবন্দর রয়েছে?
ক. ২টি ● ৩টি
গ. ৪টি ঘ. ৫টি
২৫. বড়াল ব্রিজ কোন জেলায় অবস্থিত?
ক. রংপুর খ. বগুড়া
● পাবনা ঘ. কুষ্টিয়া
২৬. যমুনা সেতু কোন দুটি জেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে?
ক. টাঙ্গাইল-জামালপুর খ. জামালপুর-গাইবান্ধা
● টাঙ্গাইল-সিরাজগঞ্জ ঘ. সিরাজগঞ্জ-বগুড়া
২৭. সমুদ্রগামী জাহাজকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করার পূর্বে কোন মহাসাগর পাড়ি দিতে হয়?
ক. ভারত মহাসাগর ● আটলান্টিক মহাসাগর
গ. প্রশান্ত মহাসাগর ঘ. উত্তর মহাসাগর
২৮. ‘সুবর্ণভূমি’ বিমানবন্দরটি কোন দেশে অবস্থিত?
ক. কাতার খ. দুবাই
গ. সৌদি আরব ● থাইল্যান্ড
২৯. ‘কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর’ সৌদি আরবের কোন শহরে অবস্থিত?
ক. জেদ্দা ● দাম্মাম
গ. রিয়াদ ঘ. মদিনা
৩০. সৌদি আরবের রিয়াদের বিমানবন্দরের নাম কী?
ক. কি. আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
● কি. খালিদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
গ. কি. ফাহাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
ঘ. মাসকাট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
৩১. বাংলাদেশে কতটি স্থলবন্দর রয়েছে?
ক. ১০ খ. ১৫
● ১৯ ঘ. ২৪
৩২. বাংলাদেশের কোন জেলায় রেলপথ নাই?
ক. যশোর খ. রাজশাহী
● বরিশাল ঘ. জামালপুর
৩৩. বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রধান সড়ক রুট কয়টি?
● ২টি খ. ৩টি
গ. ৪টি ঘ. ৬টি
৩৪. ব্রিটিশ আমলে সমগ্র বাংলাদেশ কোন বন্দরের পশ্চাদভূমি ছিল?
ক. মুম্বাই ● কলকাতা
গ. মংলা ঘ. চট্টগ্রাম
৩৫. বাংলাদেশে কয়টি রেলওয়ে ফেরী আছে?
ক. ১টি ● ২টি
গ. ৩টি ঘ. ৪টি
৩৬. মংলা সমুদ্রবন্দর কোন জেলায় অবস্থিত?
ক. খুলনা খ. বরগুনা
● বাগেরহাট ঘ. পটুয়াখালী
৩৭. বাংলাদেশে কয় ধরনের বিমান সার্ভিস রয়েছে?
● ২ ধরনের খ. ৩ ধরনের
গ. ৪ ধরনের ঘ. ৬ ধরনের
৩৮. ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কোথায় অবস্থিত?
ক. চট্টগ্রাম ● সিলেট
গ. ঢাকা ঘ. সৈয়দপুর
৩৯. বর্তমানে বাংলাদেশ বিমান বহরে মোট কয়টি উড়োজাহাজ রয়েছে?
ক. ১০ খ. ১২
● ১৩ ঘ. ২০
৪০. বাংলাদেশের উন্নয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভাব কোনটি?
● অর্থনৈতিক উন্নতি খ. সম্পদের সুসম বন্টন
গ. বাজার ব্যবস্থার অবনতি ঘ. শ্রমের গতিশীলতা
৪১. বাংলাদেশে সর্বপ্রথম রেলপথের সূচনা হয় কোন সালের কত তারিখে?
ক. ১৮৬২ সালের ১৪ নভেম্বর
● ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর
গ. ১৯৬২ সালের ১৪ নভেম্বর
ঘ. ১৯৬২ সালের ১৫ নভেম্বর
৪২. ইংল্যান্ডে সর্বপ্রথম কত সালে রেল পরিবহন চালু হয়?
ক. ১৮০৫ ● ১৮১৫
গ. ১৮২৫ ঘ. ১৮৩০
৪৩. বাংলাদেশের কোন দিক হতে কোন দিকে ক্রমান্বয়ে ঢালু?
● উত্তর হতে দক্ষিণ খ. দক্ষিণ হতে পশ্চিম
গ. পশ্চিম হতে পূর্ব ঘ. উত্তর হতে পূর্ব
৪৪. বাংলাদেশের কোন দিক হতে কোন দিকে ক্রমান্বয়ে ঢালু?
● উত্তর হতে দক্ষিণ খ. দক্ষিণ হতে পশ্চিম
গ. পশ্চিম হতে পূর্ব ঘ. উত্তর হতে পূর্ব
৪৫. বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সাথে দেশের সমুদ্রবন্দর, বিভাগীয় ও জেলা সদর এবং প্রধান বন্দর ও শহরের সাথে সংযোগ স্থাপনকারী সড়কপথসমূহকে কী বলে?
● জাতীয় জনপথ খ. জেলাবোর্ড সড়ক
গ. থানা পরিষদের রাস্তা ঘ. পৌরসভার সড়কপথ
৪৬. বাজারব্যবস্থার উন্নতির জন্য কোন পথ থাকায় খুবই সুবিধা হয়েছে?
ক. রেল ● সড়ক
গ. আকাশ ঘ. নদী
৪৭. ঢাকাকে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানীর সাথে কোন মহাসড়কটি সংযুক্ত করেছে?
● ঢাকা-চট্টগ্রাম খ. ঢাকা-সিলেট
গ. ঢাকা-খুলনা ঘ. ঢাকা-বরিশাল
৪৮. বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে নদীপথ যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম?
● দক্ষিণাঞ্চলে খ. পূর্বাঞ্চলে
গ. উত্তরাঞ্চলে ঘ. পশ্চিমাঞ্চলে
৪৯. বাংলাদেশে যোগাযোগের ক্ষেত্রে কোন মাধ্যমটির দ্রুত প্রসার ঘটছে?
ক. বেতার খ. টেলিভিশন
গ. টেলিফোন ● মোবাইল
৫০. বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান নদীবন্দর ও শিল্পকেন্দ্র কোনটি?
ক. চাদপুর ● নারায়ণগঞ্জ
গ. টঙ্গী ঘ. সদরঘাট
৮ম অধ্যায়
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১. শিল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: শিল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক।
যেকোনো দেশের শিল্প স্থাপিত হলে সেখানে প্রচুর জনবল নিয়োগ একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে প্রচুর শ্রমিক কাজ করে। বিভিন্ন বিভাগে বিভিন্ন যোগ্যতার জনবল শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকে। অর্থাৎ যে “শিল্পপ্রতিষ্ঠান বেশি সে অঞ্চলে কাজের সুযোগও বেশি থাকে। তাই যায় শিল্প কর্মসংস্থানের সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
২. যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যকে, ত্বরান্বিত করে ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যকে ত্বরান্বিত করে।
দেশর একস্থান হতে অন্যস্থানে স্থানান্তরের জন্য উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা আবশ্যক। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে ব্যবসায় সম্প্রসারণ হয়। শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, জ্বালানি, কৃষিজাত ও শিল্পজাত সব বিনিময় স্থানে আনা-নেওয়ার জন্য উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রয়োজন। এককথায় দেশের সার্বিক অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য পরিচালনায় পরিবহন ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই। তাই বলা যায় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যকে ত্বরান্বিত করে।অর্থনৈতিক খবরের সাবস্ক্রিপশন
৩. বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের ব্যাখ্যা দাও।
উত্তর: অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বলতে একই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে সংঘটিত বিনিময় ব্যবস্থাকে বোঝায়। বাংলাদেশের ভেতরে যে বাণিজ্যগুলো হয়, সেগুলোকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বলে। এক্ষেত্রে গ্রাম পর্যায় থেকে শুরু করে শহর, নগর এমনকি মহানগরী পর্যন্ত বাণিজ্য হয়ে থাকে। যে অঞ্চলে উদ্বৃত্ত শস্য বা অন্যকোনো পণ্যদ্রব্য থাকে সেই অঞ্চল থেকে ঘাটতি অঞ্চলের মধ্যে বিনিময় হয় যা অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের অন্তর্ভুক্ত।
৪. মুক্তবাজার অর্থনীতির কুফল ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: মুক্তবাজার অর্থনীতির কতিপয় সুফল এবং কুফল বিদ্যমান থাকলেও বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এর কুফলই বেশি পরিলক্ষিত হয়।
মুক্তবাজার অর্থনীতির ফলে অনেক সময় বিভিন্ন প্রকার বিলাসদ্রব্য যেমন- কসমেটিকস সামগ্রী যা একেবারেই প্রয়োজন নয় তা দেশে আমদানি করা হয়ে থাকে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার অপব্যবহার করা হয়। আবার মুক্তবাজার অর্থনীতির আওতায় দেশের ব্যবসায়ীগণ লাভের আশায় দেশের মূল্যবান কাঁচামাল, খনিজ সম্পদ, শক্তি সম্পদ ইত্যাদি অন্য দেশে রপ্তানি করে দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো দুর্বল করে ফেলে।
৫. রেমিটেন্স বলতে কী বোঝ?
উত্তর: দেশে প্রেরিত প্রবাসীদের উপার্জিত অর্থই হলো রেমিটেন্স।
বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতির এক বড় অংশ রেমিটেন্স থেকে আসে। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার একটা অংশ দেশের বাইরে থেকে অর্থ উপার্জন করছে। যাদের উপার্জিত অর্থ দেশের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।
৬. WTO এর সদর দপ্তর, প্রতিষ্ঠাকাল এবং তার সদস্য সংখ্যা কত?
উত্তর: WTO হচ্ছে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা বিশ্বের বাণিজ্যসংক্রান্ত নীতি প্রবর্তন করে। ডঞঙ এর সদর দপ্তর জেনেভার সুইজারল্যান্ড। এটি ১৯৯৫ সালের ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এর সদস্যসংখ্যা ১৬৪।
৭. রপ্তানি বাণিজ্যের দুটি সুবিধা লেখ।
উত্তর: যখন কোনো দেশ তার উৎপাদিত পণ্য অর্থের বিনিময়ে বিদেশে প্রেরণ করে তখন তাকে রপ্তানি বাণিজ্য বলে। যেমন- বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়।
রপ্তানি বাণিজ্যের দুটি সুবিধা হলো- মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি এবং শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটে।
৮. আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন প্রয়োজন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্যের ভারসাম্যের জন্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রয়োজন।
সাধারণত, কোনো দেশই প্রাকৃতিক সম্পদে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। আবার, কোনো দেশই ভৌগোলিকভাবে একরকম নয়। এক এক দেশে এক এক ধরনের পণ্যসামগ্রী উৎপাদিত হয়। যে দেশে উদ্বৃত্ত পণ্য থাকে সেই উদ্বৃত্ত পণ্য ঘাটতি অঞ্চল বা দেশে তা রপ্তানি করা হয়। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সৃষ্টি হয়। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ফলে প্রতিটি দেশই পণ্যসামগ্রীতে সাম্যাবস্থায় চলে আসে।
৯. বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প গড়ে ওঠার কারণ কী?
উত্তর: বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্প গড়ে ওঠার কারণ হচ্ছে-
মূলধনের প্রাপ্যতা, বৈদেশিক বিনিয়োগ, অনুকূল জলবায়ু, কাঁচামালের সহজলভ্যতা, সস্তা ও দক্ষ শ্রমিক, পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং অনুকূল জলবায়ু। এসব উপাদানসমূহ বাংলাদেশে সহজেই পাওয়া যায় বলে এ অঞ্চলে তৈরি পোশাক শিল্প গড়ে উঠেছে।
১০. বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের ব্যাখ্যা দাও।
উত্তর: অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বলতে একই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে সংঘটিত বিনিময় ব্যবস্থাকে বোঝায়। বাংলাদেশের ভেতরে যে বাণিজ্যগলো হয় সেগুলোকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বলে। এক্ষেত্রে গ্রাম পর্যায় থেকে শুরু করে শহর, নগর এমনকি মহানগরী পর্যন্ত বাণিজ্য হয়ে থাকে। যে অঞ্চলে উদ্বৃত্ত শস্য বা অন্যকোনো ও পণ্যদ্রব্য থাকে সেই অঞ্চল থেকে ঘাটতি অঞ্চলের মধ্যে বিনিময় হয় যা অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের অন্তর্ভুক্ত।
বহুনির্বাচনী প্রশ্ন:
১. বাণিজ্যসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক বিরোধ নিষ্পত্তি করে কোন সংস্থা?
● WTO খ. APTA
গ. SAPTA ঘ. NAFTA
২. বাংলাদেশের প্রচলিত রপ্তানি পণ্য কোনটি?
ক. তৈরি পোশাক ● পাটজাত দ্রব্য
গ. হিমায়িত চিংড়ি ঘ. পাকা চামড়া
৩. বহির্বিশ্বের সাথে বাণিজ্য সংঘটিত হওয়ার প্রধান কারণ-
i. সম্পদের ঘাটতি
ii. পরিবেশগত পার্থক্য
iii. উৎপাদিত উদ্বৃত্ত পণ্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii ● i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
৪. বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার কোথায়?
ক. মালয়েশিয়া খ. লিবিয়া
● সৌদি আরব ঘ. ইন্দোনেশিয়া
৫. বাংলাদেশের অধিকাংশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কোন পথে সংঘটিত হয়ে থাকে?
● জলপথে খ. সড়কপথে
গ. রেলপথে ঘ. আকাশপথে
৬. জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য কোনটির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে না?
ক. জনস্বাস্থ্য খ. বাসস্থান
● জনশক্তি রপ্তানি ঘ. আবাদযােগ্য জমি
৭. নিচের অপ্রচলিত পণ্য কোনটি?
● তৈরি পোশাক খ. কাচাপাট
গ. কাগজ ঘ. বিটুমিন
৮. বাংলাদেশের শ্রমশক্তি বিদেশে প্রেরণ করা হয় কোন সাল থেকে?
ক. ১৯৭৩ খ. ১৯৭৪
গ. ১৯৭৫ ● ১৯৭৬
৯. বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য কোনটি?
ক. চা খ. চামড়া
গ. হিমায়িত মাছ ● তৈরি পোশাক
১০. নিচের কোনটি বৃহত্তম বাণিজ্যিক সংগঠন?
ক. নাফতা খ. সাফটা
গ. আসিয়ান ● ইউরোপীয় ইউনিয়ন
১১. আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কয় প্রকার?
ক. এক ● দুই
গ. তিন ঘ. চার
১২. গ্রামের হাটবাজারে ক্রয়-বিক্রয় কোন ধরনের বাণিজ্য?
ক. আমদানি খ. রপ্তানি
গ. আন্তর্জাতিক ● অভ্যন্তরীণ
১৩. বাংলাদেশের আমদানি বাণিজ্যে শীর্ষ দেশ কোনটি?
● চীন খ. ভারত
গ. সিঙ্গাপুর ঘ. জাপান
১৪. বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে তৈরি পোশাকের শতকরা হার কত?
ক. ৩৮.৫% খ. ৪০.১%
● ৪৩.০২% ঘ. ৩৯.৫%
১৫. বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসে-
● তৈরি পোশাক থেকে খ. হিমায়িত খাদ্য থেকে
গ. পাট ও পাটজাত পণ্য থেকে ঘ. চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে
১৬. বিশ্বের কোন দেশের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক সবচেয়ে বেশি ও ঘনিষ্ঠ?
ক. ভারত ● যুক্তরাষ্ট্র
গ. জাপান ঘ. সৌদি আরব
১৭. জাইকা কোন দেশের উন্নয়ন সংস্থা?
ক. জার্মানি ● জাপান
গ. রাশিয়া ঘ. চীন
১৮. বাণিজ্যিক ও ব্যবসায়ী বিষয়গুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা কোনটি?
ক. WHO খ. IMF
● WTO ঘ. GDP
১৯. বাণিজ্যের ধরন ও প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে বাণিজ্যকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
● ২ খ. ৩
গ. ৪ ঘ. ৫
২০. মেলা শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দের উৎপত্তি কোন ভাষা থেকে?
ক. জার্মানি ● ফ্রেঞ্চ
গ. ল্যাটিন ঘ. রোমান
২১. বিশ্বের শীর্ষ পাট রপ্তানিকারক দেশ কোনটি?
● বাংলাদেশ খ. ভারত
গ. পাকিস্তান ঘ. চীন
২২. জি-টু-জি-এর আওতায় মালয়েশিয়ায় কতজন কর্মী প্রেরণ করা হয়েছে?
● ১৯৮ জন খ. ২৯৮ জন
গ. ২০০ জন ঘ. ২৫০ জন
২৩. দুই বা ততোধিক সার্বভৌম দেশের মধ্যে দ্রব্য ও সেবাকর্ম আদানপ্রদানকে কী বলে?
ক. রপ্তানি বাণিজ্য খ. আমদানি বাণিজ্য
● আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ঘ. বাণিজ্য
২৪. আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মূল ভিত্তি কোনটি?
● ভৌগোলিক শ্রমবিভাগ খ. আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি
গ. অর্থনৈতিক অবস্থার ভিন্নতা ঘ. পরিবেশগত পার্থক্য
২৫. ইন্দোনেশিয়া কোনটি রপ্তানিতে শীর্ষে রয়েছে?
ক. গম খ. তেল
● রবার ঘ. চা
২৬. বর্তমানে আমাদের রপ্তানি আয়ের শতকরা কত ভাগ পোশাক খাত থেকে আসে?
ক. ৭৫ ভাগ ● ৮০ ভাগ
গ. ৮৫ ভাগ ঘ. ৯০ ভাগ
২৭. বাংলাদেশে মোট রপ্তানি আয়ের শতকরা কতভাগ ইতালি থেকে আসে?
● ৩.৭৪ ভাগ খ. ৪.৬৭ ভাগ
গ. ৫.৪৪ ভাগ ঘ. ৬.২৮ ভাগ
২৮. বাংলাদেশে আমদানিকৃত প্রাথমিক পণ্য কোনটি?
ক. ভোজ্য তেল খ. সার
● গম ঘ. ক্লিংকার
২৯. বাংলাদেশের সাথে কোন দেশের বাণিজ্য ঘাটতি বেশি?
● চীন খ. জাপান
গ. কোরিয়া ঘ. যুক্তরাষ্ট্র
৩০. বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স এসেছে কোন দেশ থেকে?
ক. ওমান খ. কুয়েত
গ. সিঙ্গাপুর ● সৌদি আরব
৩১. কোন কারণে প্রতিযোগী দেশগুলোর ব্যবসায়ীদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে?
● অসম প্রতিযোগিতা খ. রাজনৈতিক সমস্যা
গ. অর্থনৈতিক বৈষম্য ঘ. ভৌগোলিক কারণ
৩২. কোন দেশের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি সবচেয়ে বেশি?
ক. জাপান খ. কুয়েত
গ. রাশিয়া ● চীন
৩৩. বাংলাদেশের মোট জনশক্তির মধ্যে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে কোন অঞ্চলে?
ক. দুরপ্রাচ্য খ. ইউরোপ
● মধ্যপ্রাচ্য ঘ. আফ্রিকা
৩৪. OPEC-এর পূর্ণরূপ কী?
● Organization of Petroleum Exporting Countries
খ. Organization of Polaneum Exporting Countries
গ. Organization of Petroleum Extracting Countries
ঘ. Organization of Polar Enhance Company
৩৫. এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে নিচের কোনটি রপ্তানি বাণিজ্যে শীর্ষে?
ক. ভারত ● চীন
গ. জাপান ঘ. পাকিস্তান
৩৬. পোশাক শিল্পের বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে কী স্থাপন করেছে?
● EPZ খ. BCIC
গ. EPG ঘ. EPI
৩৭. আমদানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সাথে সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক কোন দেশের?
ক. কুয়েত খ. ভারত
● চীন ঘ. জাপান
৩৮. বাংলাদেশের অপ্রচলিত দ্রব্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয় নিচের কোনটি?
● চামড়া খ. হিমায়িত খাদ্য
গ. কৃষি দ্রব্য ঘ. রাসায়নিক দ্রব্য
৩৯. বাংলাদেশের জনশক্তি আমদানিকারক প্রধান দেশ কোনটি?
ক. ওমান খ. জাপান
● সৌদি আরব ঘ. লিবিয়া
৪০. বিশ্বের শীর্ষ গম রপ্তানিকারক দেশ কোনটি?
● ব্রাজিল খ. কানাডা
গ. চীন ঘ. ভরত
৪১. বাংলাদেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (EPZ)-এর বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ কোনটি?
ক. উত্তর কোরিয়া ● দক্ষিণ কোরিয়া
গ. জাপান ঘ. চীন
৪২. শিল্পজাত রপ্তানি পণ্য নিচের কোনটি?
ক. হিমায়িত খাদ্য খ. কৃষিজাত দ্রব্য
গ. কাঁচাপাট ● তৈরি পোশাক
৪৩. যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ
i. শীর্ষস্থানীয়
ii. মোট রপ্তানির ১৮.১৬% শতাংশ
iii. ৬২২০.৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৪৪. বৈদেশিক বাণিজ্যভুক্ত দেশে বাংলাদেশের বাণিজ্যের অসুবিধা কী?
i. রপ্তানি পণ্যের ওপর কোটা আরোপ
ii. ক্রেতা কর্তৃক মূল্য নির্ধারণ
iii. পাটের বিকল্প আবিষ্কার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৪৫. OPEC-এর মূল উদ্দেশ্য-
i. খনিজ তেলসংক্রান্ত বাণিজ্য নীতি প্রণয়ন
ii. সদস্য দেশগুলোর খনিজ তেল উত্তোলন নীতির সমন্বয়সাধন
iii. তৈলসংক্রান্ত স্বার্থ সুরক্ষা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৪৬. চীন লৌহ ও ইস্পাত শিল্প থেকে উৎপাদিত দ্রব্য রপ্তানি করে-
i. দক্ষিণ কোরিয়ায়
ii. যুক্তরাষ্ট্রে
iii. ইতালিতে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৪৭. জাপান বাংলাদেশ থেকে আমদানি করে
i. চামড়াজাত পণ্য
ii. তৈরি পোশাক
iii. চিংড়ি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৪৮ ও ৪৯নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিভিন্ন দেশের বাণিজ্যনীতি, পৃথক বাজার ব্যবস্থা, পৃথক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ইত্যাদি কারণে ভিন্ন প্রকৃতির হয়। সবকিছু বিবেচনা করে মোবাশ্বের সাহেব ইউরোপে পোশাক রপ্তানি করার সিদ্ধান্ত নেন।
৪৮. মোবাশ্বের সাহেবের বাণিজ্য সংঘটিত হবে কীসের মধ্যে?
● সার্বভৌম দেশে খ. বিভিন্ন অঞ্চলে
গ. উপনিবেশে ঘ. বৃহৎ দেশের মধ্যে
৪৯. উক্ত বাণিজ্যে অসুবিধার সৃষ্টি করে-
i. কর ব্যবস্থা
ii. আর্থিক নীতি
iii. শ্রম নীতি
নিচের কোনটি সঠিক?
● i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৫০ থেকে ৫২নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
চীন অর্থনৈতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ। বর্তমান বিশ্বে শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে চীন অন্যতম। বাংলাদেশ চীন থেকে বহু পণ্য আমদানি করে।
৫০. এশিয়া মহাদেশের মধ্যে রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে চীনের অবস্থান কততম?
● প্রথম খ. দ্বিতীয়
গ. তৃতীয় ঘ. চতুর্থ
৯ম অধ্যায়
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১. দরিদ্রতা অর্থনৈতিক দূষণের ফল- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: দরিদ্রতা অর্থনৈতিক দূষণের ফল। অর্থনৈতিক দূষণের প্রত্যক্ষ ফল হলো দরিদ্রতা। যেকোনো দেশের সার্বিক উন্নয়নের চাবিকাঠি হলো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। বিভিন্ন কারণে যখন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হয় অর্থাৎ দূষণের সম্মুখীন হয় তখন উন্নয়ন থমকে দাঁড়ায় আর উন্নয়ন থমকে দাড়ালে একটি দেশে দরিদ্রতা নেমে আসে। কারণ অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে সামগ্রিক উন্নয়ন সাধিত হয় এবং দারিদ্রতা দূরীকরণ হয়। তাই বলা যায়, দরিদ্রতা অর্থনৈতিক দূষণের ফল।
২. মানবসৃষ্ট দূষণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: মানুষের কর্মকাণ্ডের ফলে পরিবেশের স্বাভাবিক অবস্থা থেকে অস্বাভাবিক অবস্থার রূপান্তর ঘটে যে দূষণ সৃষ্টি হয়, তাই মানবসৃষ্ট দূষণ। কলকারখানা নির্মাণ, অপরিকল্পিত বাসস্থান, বন উজাড়, ইটভাটা তৈরি, অবৈজ্ঞানিক কৃষিব্যবস্থা, মাইকিং, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাত্রাতিরিক্ত শব্দে গান-বাজনা প্রভৃতি মানবসৃষ্ট দূষণের কারণ।
৩. শিল্পবর্জ্য বুড়িগঙ্গার পানিদূষণের অন্যতম কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: শিল্পবর্জ্য বুড়িগঙ্গার পানিদূষণের অন্যতম কারণ।
ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন শিল্প-কারখানা যেমন- রং ও প্লাস্টিক শিল্প, বস্ত্র শিল্প, লৌহজাতীয় ধাতু, ওষুধ প্রভৃতি শিল্প হতে নির্গত বর্জ্যসমূহ পয়ঃনিষ্কাশন লাইনের মাধ্যমে বুড়িগঙ্গার পানিতে মিশেছে। ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদানে গঠিত এসব শিল্পবর্জই বুড়িগঙ্গার পানিকে দূষিত করছে।
৪. বায়ুদূষণের কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: পৃথিবীকে সর্বদা আবৃত করে রাখা বিরাজমান কতিপয় গ্যাসীয় উপাদানকে বায়ু বলে। বায়ুম-লের মধ্যে যখন দূষিত ধোঁয়া, গ্যাস, বাম্প ইত্যাদি অনিষ্টকর উপাদানের সমাবেশ ঘটে এবং যার দরুন মানুষ, জীবজন্তু ও উদ্ভিদজগতের ক্ষতি হয়, তখন তাকে বায়ুদূষণ বলে।
মানবসৃষ্ট কতিপয় কর্মকাণ্ডে বায়ু দূষিত হয়। যেমন মোটর যানবাহন, শিল্পকারখানা, পাওয়ার প্লান্ট, ক্লোরো ফ্লোরো কার্বন (CFC), আবর্জনাসমূহ; মোটর যানবাহন থেকে হাইড্রোকার্বন, নাইট্রোজেন অক্সাইড উৎপন্ন; শিল্পকারখানা থেকে উৎপন্ন বিভিন্ন বিষাক্ত গ্যাস যা বায়ুর সাথে মিশে বায়ুকে দূষিত করে। এছাড়া রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার প্রভৃতি ব্যবহারের কারণে কার্বন মনোঅক্সাইড উৎপন্ন হয় যা বায়ুকে মারাত্মকভাবে দূষিত করে।
৫. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সাড়াদান কথাটি বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর: সাড়াদান বলতে নিরাপদ স্থানে অপসারণ, তল্লাশি ও উদ্ধার, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রভৃতি কার্যক্রমকে বোঝায়। সাড়াদান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার একটি অংশমাত্র। দুর্যোগের পর পরই উপযুক্ত সাড়াদানের প্রয়োজন হয়। এ চক্রটি মূলত দুর্যোগ আরম্ভ হওয়ার পর পরই শুরু হয়। এটি দুর্যোগ ব্যবস্থার ৩য় ধাপ।
৬. মাটি দূষিত হয় কীভাবে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: প্রাকৃতিক অথবা মানবসৃষ্ট কারণে মাটির স্বাভাবিক কার্যকারিতা যখন নষ্ট হয় তখন তাকে মাটিদূষণ বলে।
মাটিদূষণ বিভিন্ন কারণে হতে পারে। যেমন- পশুপাখির খামারের মলমূত্র, কীটনাশক ও রাসায়নিক সার, মৃতজীবের ধ্বংসাবশেষ, তাপবিদ্যুৎ ও পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্রের প্রভাব, ভূগর্ভস্থ পানির ঘাটতি প্রভৃতি উপাদানগুলো দ্বারা মাটি দূষিত হয়। এসব উপাদানগুলো মাটির সাথে মিশে মাটির স্বাভাবিক কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয় বলে মাটিদূষণ ঘটে।
৭. কৃষি ক্রিয়াকলাপ কীভাবে পানি দূষণ করে?
উত্তর: কৃষি ক্রিয়াকলাপের ফলে পানি দূষিত হয়।
কৃষি জমিতে যে রাসায়নিক সার ও কীট-পতঙ্গ নাশক ব্যবহার করা হয় তা বৃষ্টির পানিতে মিশে নদীতে পড়ে এবং নদীর পানি দূষিত করে। পরে নদীর দূষিত পানি সমুদ্রে পড়ে সমুদ্রের পানিও দূষিত করে। এভাবে কৃষিকাজের ফলে পানি দূষিত হয়।
৮. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা হচ্ছে এরূপ একটি ব্যবহারিক বিজ্ঞান যার আওতায় পড়ে যথাযথ পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে দুর্যোগ প্রতিরোধ, দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং দুর্যোগে সাড়াদান ও পুনরুদ্ধার ইত্যাদি কার্যক্রম।
সার্বিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় দুর্যোগপূর্ব, দুর্যোগকালীন এবং দুর্যোগপরবর্তী সময়ের কার্যক্রমকে বোঝায়।
৯. দুর্যোগ পূর্ব প্রস্তুতি বলতে কী বোঝ?
উত্তর: দুর্যোগপূর্ব প্রস্তুতি বলতে দুর্যোগপূর্ব সময়ে ঝুঁকি কমানোর ব্যবস্থাসমূহকে বোঝায়।
আগে থেকে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ও জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিতকরণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ, ড্রিল বা ভূমিকা অভিনয় এবং যানবাহন, বেতার যন্ত্র ইত্যাদি দুর্যোগের পূর্বে প্রস্তুত রাখা দুর্যোগ প্রস্তুতির অন্তর্গত।
১০. দ্রুত শিল্পায়নের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রয়োজন কেন?
উত্তর: দ্রুত শিল্পায়নের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রয়োজন রয়েছে।
শিল্পায়নের জন্য প্রয়োজন একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক সরকার। কোনো দেশই রাজনৈতিক হানাহানির মাধ্যমে শিল্পায়নে অগ্রসর হতে পারে না। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে একটি দেশে দাঙ্গা, ফ্যাসাদ, হরতাল, অবরোধ লেগেই থাকে যা শিল্পায়নের প্রধান বাধা। তাই যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম হাতিয়ার শিল্পায়নের জন্য প্রয়োজন একটি সুষ্ঠু ও স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ।
বহুনির্বাচনী প্রশ্ন:
১. মানষের সম্পূর্ণ বধিরতা সৃষ্টির মাত্রা কত ডেসিবল?
ক. ৬০ খ. ৮০
গ. ১০০ ● ১২০
২. গ্রিনহাউস গ্যাস কোনটি?
ক. অক্সিজেন খ. নাইট্রোজেন
গ. হিলিয়াম ● কার্বন-ডাইঅক্সাইড
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৩ ও ৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
হারুন ও তার বন্ধুরা ঈদের পর দিন নৌকা বাইচের আয়োজন করে ফলে সারাদিন নদী ঘাটে লাউড স্পিকারে মিউজিক এবং ঢাকঢোল বাজিয়ে আনন্দ স্ফুর্তি করে।
৩. উদ্দীপকের কর্মকান্ডটি কোন ধরনের দূষণ সৃষ্টি করে?
ক. বায়ু খ. পানি
গ. মাটি ● শব্দ
৪. উদ্দীপকের কর্মকান্ডের প্রভাবে হতে পারে-
i. মাথা ব্যথা
ii. হৃদরােগ
iii. স্নায়ুবিক বৈকল্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৫. CFC তৈরির জন্য দায়ী-
i. এয়ারকন্ডিশনার
ii. রেফ্রিজারেটর
iii. ওয়াশিং মেশিন
নিচের কোনটি সঠিক?
● i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৬ ও ৭নং প্রশ্নের উত্তর দাও : পুলক সাহেবের বয়স খুব বেশি নয়। তবে তিনি দূষিত পরিবেশে বসবাস করার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসের প্রদাহজনিত রোগে ভুগছেন।
৬. উদ্দীপকে ইঙ্গিতপূর্ব দূষণ কোন ধরনের?
ক. শব্দ ● বায়ু
গ. পানি ঘ. মাটি
৭. উদ্দীপকে দূষণের কারণ হচ্ছে-
i. জমিতে রাসায়নিক সার ব্যবহার
ii. জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার
iii. রেফ্রিজারেটরের ব্যাপক ব্যবহার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
● ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৮ ও ৯নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
শফিকুল বাংলাদেশের উপকূলীয় একটি জেলায় ব্যাংকে চাকরি করে। একদিন সে বিকালে বেড়াতে গিয়ে নিচে উন্মুক্ত তিন তলাবিশিষ্ট বিল্ডিং দেখতে পায়। যা মানুষ ও প্রাণিকুল একটি বিশেষ দুর্যোগে নিরাপদত্থান হিসেবে ব্যবহার করে।
৮. উদ্দীপকে উল্লিখিত উপকূলীয় এলাকা পৃথিবীর অন্যতম দুর্যোগপূর্ণ অঞ্চল হবার কারণ হচ্ছেÑ
i. পার্শ্ববর্তী সাগরের ফানেল আকৃতি
ii. ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থান
iii. সমুদ্র সমতল হতে স্বল্প উচ্চতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৯. উদ্দীপকে উল্লিখিত দুর্যোগ নিচের কোনটি?
ক. কালবৈশাখী ● ঘূর্ণিঝড়
গ. সুনামি ঘ. টর্নেডো
১০. আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাচক্রের কোন ধাপের সাথে সংশ্লিষ্ট?
ক. প্রস্তুতি ● প্রতিরোধ
গ. সাড়াদান ঘ. পুনরুদ্ধার
১১. দুর্যোগ প্রশমনের জন্য কোনটি গুরুত্বপূর্ণ?
i. অবকাঠামোগত উন্নয়ন
ii. দুর্যোগ হ্রাসের কৌশল নির্ধারণ
iii. শস্য বহুমুখীকরণ
নিচের কোনটি সঠিক?
● i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ১২ ও ১৩নং প্রশ্নের উত্তর দাও: অভি জলপথে ঢাকা হতে নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছিল। সে লক্ষ্য করল, যাত্রাপথের দুই পার্শ্বের কলকারখানার বর্জ্য সেখানকার প্রবাহমান ধারায় এসে মিশছে?
১২. অভির দেখা সমস্যাটি নিচের কোনটি দূষিত করে?
ক. মাটি খ. পানি
গ. বায়ু ঘ. শব্দ
১৩. উদ্দীপকে উল্লিখিত সমস্যাটি নিচের কোনটি নির্দেশ করে?
i. প্রাকৃতিক দূষণ
ii. মানবসৃষ্ট দূষণ
iii. পরিবেশ দূষণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
● ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
১৫. কিয়োটো প্রটোকল অনুসারে বিশ্বের সর্বোচ্চ কার্বন নিঃসরণকারী দেশসমূহকে কত সালের পূর্বের কার্বন নিঃসরণ অবস্থায় ফিরে যেতে হবে?
ক. ১৯৭০ খ. ১৯৮০
● ১৯৯০ ঘ. ২০০০
১৬. এসিড বৃষ্টির সৃষ্টি হয় কেন?
● বায়ুমণ্ডলে সালফার ডাই-অক্সাইড বৃদ্ধির কারণে
খ. বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইড বৃদ্ধির কারণে
গ. বায়ুমণ্ডলে CFC গ্যাস বৃদ্ধির কারণে
ঘ. বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেন গ্যাস বৃদ্ধির কারণে
১৭. সম্প্রতি হিমালয়ে খুব দ্রুত বরফ গলছে এর প্রভাবে বাংলাদেশের কোনটি হতে পারে?
ক. ঘূর্ণিঝড় খ. নিম্নচাপ
● বন্যা ঘ. সাইক্লোন
১৮. প্রকৃতির দিক থেকে ঘূর্ণিঝড় দুর্যোগের কোন অবস্থা?
ক. মৌসুমি খ. স্থায়ী
গ. স্থির ● সাময়িক
১৯. শিল্পকারখানায় ঊঞ্চচস্থাপনের যথার্থ কারণ হলো-
ক. মৃত্তিকার ক্ষতিসাধন করা খ. বর্জ্য সংরক্ষণ করা
● বর্জ্য যত্রতত্র নিক্ষেপ না করা ঘ. বর্জ্য পুনরুদ্ধার করা
২০. বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক পরিবেশ সম্পর্কিত নীতিমালা প্রণয়ন হয় কত সালে?
● ১৯৯২ খ. ১৯৯০
গ. ১৯৯৬ ঘ. ২০০০
২১. প্রতিবেদন তৈরি কত রকম হতে পারে?
ক. ৬ খ. ৪
● ৩ ঘ. ৫
২২. “পরিবেশ সংরক্ষণ নীতিমালা, পরিবেশ উন্নয়ন, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ” এটি কোন আইনে প্রমাণিত হয়?
ক. জাতীয় পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, ১৯৯৫
খ. বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ নীতিমালা, ১৯৯৭
● বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫
ঘ. বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ২০০০
২৩. বায়ুর উপাদান কোনটি?
● নাইট্রোজেন খ. মারকারি
গ. সিসা ঘ. লোহা
২৪. বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় আইলা কখন সংঘটিত হয়?
ক. ২০০৭ সালে খ. ২০০৪ সালে
● ২০০৯ সালে ঘ. ২০১৩ সালে
২৫. গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়া প্রতিরোধের জন্য করণীয় কী?
ক. জমিতে জৈব সার ব্যবহার খ. সৌরশক্তির ব্যবহার
গ. বেশি করে গাছ লাগানো ● উপরের সব কয়টি সঠিক
২৬. কুয়াশা আর তেল কয়লা দহনের ফলে কী সৃষ্টি হয়?
● ধোঁয়াশা খ. মেঘ
গ. তুষারপাত ঘ. এসিড বৃষ্টি
২৭. ধোঁয়াশা সৃষ্টির ফলে মানুষ কোন রোগে আক্রান্ত হয়?
ক. কলেরা খ. এইডস
● হাঁপানি ঘ. আমাশয়
২৮. বায়ুদূষণের ফলে কোন রোগটি হওার সম্ভাবনা নেই?
ক. হাঁপানি খ. শ্বাসকষ্ট
গ. ফুসফুসের ক্যান্সার ● চর্মরোগ
২৯. CFC বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরকে ধ্বংস করছে?
ক. ট্রপোস্ফিয়ার খ. স্ট্রাটোস্ফিয়ার
● ওজনোস্ফিয়ার ঘ. এক্সোস্ফিয়ার
ভূগোল ২য় পত্র ৯ম অধ্যায় বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর
৩০. গাছপালা নিধনের ফলে বাতাসে কোন উপাদানটির মাত্রা বেড়ে গিয়ে বাতাস দূষিত করছে?
ক. CH4 খ. CO
গ. O2 ● CO2
৩১. নিচের কোনটি গ্রিনহাউস গ্যাস?
ক. হাইড্রোজেন সায়ানাইড খ. কার্বন মনোক্সাইড
● ক্লোরো ফ্লুরো কার্বন ঘ. অ্যামোনিয়া
৩২. পানিদূষণের জন্য প্রধানত দায়ী হলো-
ক. কল-কারখানার নির্গত গ্যাস খ. যানবাহনের নির্গত গ্যাস
● কৃষি বর্জ্য ও জলযান নির্গত বর্জ্য ঘ. তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ধোঁয়া ও হাই
৩৩. পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য কোনো দেশের মোট আয়তনের শতকরা কতভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন?
ক. ১৫ খ. ২০
● ২৫ ঘ. ৩০
৩৪, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন কত সালে পাস হয়?
ক. ১৯৮৯ ● ১৯৯৫
গ. ২০০০ ঘ. ২০০৫
৩৫. মৃত্তিকা দূষণের ফলাফল কোনটি?
ক. লবণাক্ততা বৃদ্ধি ● উৎপাদন দক্ষতা হ্রাস
গ. মরুকরণ ঘ. উর্বরতা হ্রাস
৩৬. বাংলাদেশের পানিদূষণ রোধে কোন প্রতিষ্ঠান মুখ্য ভূমিকা পালন করে?
ক. পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় খ. শিল্প মন্ত্রণালয়
গ. ইউএনডিপি ● পরিবেশ অধিদপ্তর
৩৭. পারমাণবিক বিপর্যয়ের উদাহরণ কোনটি?
● ভূপাল দুর্ঘটনা খ. মিলামাটা দুর্ঘটনা
গ. চের্নোবিল দুর্ঘটনা ঘ. মেক্সিকো দুর্ঘটনা
৩৮. উত্তর গােলার্ধের গড় তাপমাত্রা কত ডিগ্রি বৃদ্ধি পেলে বরফ গলে সাগরের পানি উঁচু হয়ে উপরে উঠবে?।
ক. ১° সে. ● ২° সে.
গ. ৩° সে. ঘ. ৪° সে.
৩৯. কোনটি অদৃশ্য দূষণ?
ক শব্দদূষণ ● তেজস্ক্রিয়তার দূষণ
গ. পানিদূষণ ঘ. বায়ুদূষণ
৪০. তেজস্ক্রিয়তার মূল উৎস কোনটি?
● সূর্য খ. চন্দ্র
গ. ধূমকেতু ঘ. উষ্কা
৪১. দেশে পরিবেশ আদালত গঠনের মূল লক্ষ্য কোনটি?
ক. পরিবেশ ভালো রাখা খ. বিভিন্ন পরিবেশবিষয়ক সম্মেলন করা
গ. জনগণকে সচেতন করা ● পরিবেশ অপরাধের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা
৪২. সার্বিকভাবে দুর্যোগ মোকাবিলার পর্যায়গুলোকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
ক. ২ ভাগে ● ৩ ভাগে
গ. ৪ ভাগে ঘ. ৫ ভাগে
৪৩. পুনরুদ্ধার বলতে নিচের কোনটিকে বোঝানো হয়েছে?
ক. দুর্যোগপূর্বকালীন পর্যায় খ. দুর্যোগকালীন পর্যায়
● দুর্যোগ পরবর্তী পর্যায় ঘ. দুর্যোগ পরবর্তী ছয় মাসের পর্যায়
৪৪. নিচের কোনটি দুর্যোগকালীন পর্যায় কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত?
ক. কৃষিঋণের চাহিদা নিরূপণ খ. শিল্পকারখানা পুনর্নিরমাণ
● তল্লাশিও উদ্ধার ঘ. বাঁধ নির্মাণ
৪৫. নিচের কোনটি সার্বিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার উপাদান?
● ত্রাণকার্য খ. কৃষিজমি বন্টন
গ. পশুপালন প্রশিক্ষণ ঘ. খাল খনন
৪৬. ঢাকা বিভাগের কোন অঞ্চলে অধিক শিল্প গড়ে উঠেছে?
ক. টাঙ্গাইল ● গাজীপুর
গ. ময়মনসিংহ ঘ. ফরিদপুর
৪৭. টিপাইমুখে বাঁধ নির্মিত হলে বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে কৃষিকাজে ব্যাপক ক্ষতি হবে?
ক. চট্টগ্রাম ● সিলেট
গ. কুমিল্লা ঘ. নোয়াখালী
৪৮. অবকাঠামোগত দুর্যোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উদাহরণ কোনটি?
ক. বেড়িবাধ তৈরি ● প্রশিক্ষণ
গ. আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ ঘ. নদী খনন
৪৯. দুর্যোগের ঝুঁকি কমানোর ব্যবস্থাকে কী বলে?
ক. প্রশমন ● পূর্বপ্রস্তুতি
গ. সাড়াদান ঘ. পুনরুদ্ধার
৫০. নিচের কোনটি ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা যায়?
ক. অনবায়নযোগ্য শক্তি ● নবায়নযোগ্য শক্তি
গ. পারমাণবিক শক্তি ঘ. নিউক্লিয়ার শক্তি
১০ম অধ্যায়
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১. বিভিন্ন প্রকার স্কেলের নাম লেখ।
উত্তর: মানচিত্রের যেকোনো দুটি স্থানের মধ্যে দূরত্ব এবং ভূপৃষ্ঠে বা ভূমিভাগে ঐ দু’টি স্থানের মধ্যে প্রকৃত দূরত্বের যে অনুপাত বা সম্পর্ক, তাকে মাপনী বা স্কেল বলে। বিভিন্ন প্রকার স্কেল হচ্ছে-
i. সরল স্কেল,
ii. কর্ণীয় স্কেল,
iii. তুলনামূলক স্কেল,
iv. বিশেষ ধরনের স্কেল ও
v. ভার্নিয়ার স্কেল।
২. রৈখিক স্কেলের সুবিধাগুলো ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: রৈখিক স্কেলে মানচিত্রের দূরত্ব ভূমিভাগের দূরত্বের পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্যক্ষভাবে অতি সহজেই পরিমাপ করা যায়।
মানচিত্রে রৈখিক স্কেলের সুবিধা হলো এই যে, মানচিত্রটিকে ছবিতে ছোট বড় করলে স্কেলটিও সে অনুপাতে ছোট বা বড় হয়ে সঠিকভাবেই মাপ নির্দেশ করে থাকে, যা অন্য ধরনের স্কেলে সম্ভব হয় না।
৩. বর্গ পদ্ধতিতে মানচিত্রকে কীভাবে সম্প্রসারণ করা যায়?
উত্তর: ছোট ও বড় ছক বা বর্গ, অঙ্কনের সাহায্যে যখন মানচিত্র ছোট ও বড় করা হয়, তখন তাকে ছক বা বর্গ পদ্ধতি বলে।
বর্গ পদ্ধতিতে সর্বপ্রথম মানচিত্রকে নির্দিষ্ট মাপের বাহুবিশিষ্ট কতিপয় বর্গক্ষেত্রে বিভক্ত করা হয়। এরপর প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন মানচিত্রের স্কেল অনুসারে অন্য কাগজে তুলনামূলকভাবে বৃহৎ আকৃতির বাহুবিশিষ্ট সমপরিমাণ বর্গক্ষেত্র অঙ্কন করা হয়। এ পদ্ধতিতে মানচিত্রের সম্প্রসারণ করতে হলে সর্বপ্রথম নির্ণয় করতে হবে মানচিত্রটিকে কতগুণ সম্প্রসারণ করতে হবে। নতুন মানচিত্রের স্কেলকে পুরাতন (মূল মানচিত্র) মানচিত্রের স্কেল দিয়ে ভাগ করলেই মানচিত্র কতগুণ বড় করতে হবে তা পাওয়া যাবে।
৪. মানচিত্রে স্কেল কীভাবে প্রকাশ করা যায় ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: মানচিত্রে স্কেল নিম্নোক্তভাবে প্রকাশ করা যায়-
১. সরল স্কেল,
২. কর্ণীয় স্কেল,
৩. তুলনামূলক স্কেল,
৪. বিশেষ ধরনের স্কেল ও
৫. ভার্নিয়ার স্কেল।
৫. প্রতিভূ অনুপাত কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ভূপৃষ্ঠের দুইটি স্থানের মধ্যবর্তী দূরত্ব এবং মানচিত্রে ঐ দুইটি স্থানের মধ্যবর্তী দূরত্বকে যে ভগ্নাংশ দ্বারা প্রকাশ করা হয়, তাকে প্রতিভূ অনুপাত বলে। অর্থাৎ মানচিত্রের দূরত্ব/ভূমির দূরত্ব।
প্রতিভূ অনুপাত = মানচিত্রে দূরত্ব (লব-এর একক সংখ্যাটি মানচিত্রের দূরত্ব বোঝায়) ভূপৃষ্ঠের দূরত্ব (হর-এর সংখ্যাগুলো ভূমির প্রকৃত দূরত্ব বোঝায়)।
৬. মৌজা মানচিত্র কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: যে মানচিত্রে গ্রামের ভূমি জরিপ করে বিভিন্ন ভূসম্পত্তি, কৃষিক্ষেত্র, দালানকোঠা, পুকুর ইত্যাদির সীমানা অঙ্কন করা হয়, তাকে মৌজা মানচিত্র বলে।
এ মানচিত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন জমির মালিকানা নথিভুক্ত করা হয়। মৌজা মানচিত্র ১৬” = ১ মাইল এবং ২৫” = ১ মাইল; বাংলাদেশের ১৬” = ১ মাইল থেকে ৬৪” = ১ মাইল স্কেলে এবং অন্যান্য দেশে ১ : ২০,০০০ ধরে অঙ্কন করা হয়।
৭. মানচিত্রের স্কেল বলতে কী বোঝ?
উত্তর: মানচিত্রে ব্যবহৃত মাপনী, অর্থাৎ মানচিত্রের দুটি স্থানের দূরত্বের সঙ্গে প্রকৃত দূরত্বের সম্পর্ককে স্কেল বলে।
সাধারণত মানচিত্রে দুটি স্থানের দূরত্বের সাথে প্রকৃত দূরত্বের সম্পর্ককে অনুপাতে বোঝানো হয়। যেমন : মানচিত্রের স্কেল যদি ১= ১০ মাইল হয় তবে এর অর্থ হলো মানচিত্রের দুই স্থানের দৈর্ঘ্য বা দূরত্ব যেখানে তার প্রকৃত দূরত্ব হলো ১০ মাইল। রেখা অঙ্কন করে, প্রতিভূ অনুপাতের মাধ্যমে মানচিত্রের স্কেল নির্দেশ করা হয়।
৮. কণীয় মাপনী বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: যখন কোনো চতুর্ভুজ বা বহুভুজ ক্ষেত্রের পরস্পর বিপরীত কোণদ্বয় সংযোজক সরলরেখার সাহায্যে পরিমাপ করা যায়, তখন তাকে কর্ণীয় মাপনী বলা হয়।
সাধারণত সরল মাপনী মুখ্য ও গৌণ এ দুটি অংশে বিভক্ত। কিন্তু কর্ণ মাপনীতে গৌণ বিভাগগুলো অপেক্ষা আরও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগ থাকে। এ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগগুলো মাপনীর উপরের দিকে থাকে যার সাহায্যে দশমিক বা একই জাতীয় দুই বা তিন প্রকার এককের (যেমন- গজ, ফুট, ইঞ্জি ইত্যাদি) মাপ সহজেই গ্রহণ করা সম্ভব হয়। ফলে এ ধরনের মাপনীর সাহায্যে নিখুঁতভাবে মানচিত্র অঙ্কন করা যায়।
৯. স্কেল প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: মাপনী বা স্কেলের প্রয়োজনীয়তা নিচে উল্লেখ করা হলো-
নকশা বা মানচিত্র তৈরির সময় মাপনী বা স্কেল প্রকাশের প্রয়োজন। সমগ্র পৃথিবী বা তার অংশবিশেষ স্বল্প পরিসর কাগজে অঙ্কন করতে স্কেল এর প্রয়োজন হয়। কোনো মানচিত্রের আয়তন একস্থান থেকে অন্যস্থানের দূরত্ব জানার জন্য স্কেল প্রকাশের প্রয়োজন রয়েছে। জরিপকার্যের জন্য স্কেল প্রকাশের প্রয়োজন রয়েছে।
১০. মানচিত্র ছোট ও বড় করার পদ্ধতিগুলো কী কী?
উত্তর: মানচিত্রের সম্প্রসারণ ও সংকোচনের জন্য যেসব পদ্ধতি প্রচলিত আছে সেগুলোর মধ্যে সচরাচর ব্যবহৃত পদ্ধতি হলো ছক বা বর্গ পদ্ধতি, সম-ত্রিভুজ পদ্ধতি এবং যান্ত্রিক পদ্ধতি।
ছোট ও বড় ছক বা বর্গ অঙ্কনের সাহায্যে যে মানচিত্র ছোট ও বড় করা হয় তাকে ছক বা বর্গ পদ্ধতি বলে। একই প্রকার ছোট বা বড় ত্রিভুজ অঙ্কন করে যখন মানচিত্রকে ছোট বা বড় করা হয় তখন তাকে সম-ত্রিভুজ পদ্ধতি বলে। আবার বিভিন্ন যন্ত্রের সাহায্যে যেমন- পেন্টোগ্রাফ, এইডোগ্রাফ, ক্যামেরা ইত্যাদির সাহায্যে যখন মানচিত্রকে ছোট বা বড় করা হয় তখন তাকে যান্ত্রিক পদ্ধতি বলে।
বহুনির্বাচনী প্রশ্ন:
১. পৃথিবীর আকৃতি কেমন?
● গোলাকার খ. আয়তাকার
গ. ত্রিভুজাকার ঘ. বহুভূজাকার
২. বেলনাকার অভিক্ষেপকে অন্য কী নামে ডাকা হয়?
ক. শঙ্কব অভিক্ষেপ খ. মেরুদেশীয় অভিক্ষেপ
গ. সাধারণ অভিক্ষেপ ● নলাকার অভিক্ষেপ
৩. যথন আলোকরশ্মি ভূগোলকের কেন্দ্রে অবস্থান করে তখন তাকে কী বলে?
● নমোনিক অভিক্ষেপ খ. স্টেরিওগ্রাফিক অভিক্ষেপ
গ. অর্থোগ্রাফিক অভিক্ষেপ ঘ. গলের অভিক্ষেপ
৪. আলোকরশ্মির অবস্থানের প্রেক্ষিতে মেরুদেশীয় অভিক্ষেপকে কত ভাগে ভাগ করা যায়?
● ৩ ভাগে খ. ৪ ভাগে
গ. ৫ ভাগে ঘ. ৬ ভাগে
৫. নিচের কোনটি নলাকার অভিক্ষেপ?
● যে অভিক্ষেপ কাগজের নলের মধ্যে স্থাপন করা হয়
খ. যে অভিক্ষেপ শাঙ্কবের মধ্যে স্থাপন করা হয়
গ. যে অভিক্ষেপ সমতল কাগজে স্থাপন করা হয়
ঘ. যে অভিক্ষেপ বাক্সের মধ্যে স্থাপন করা হয়
৬. অভিক্ষেপ অঙ্কনের জন্য স্কেলে সাধারণত কোন অনুপাত ব্যবহার করা হয়?
ক. রিকটার স্কেল অনুপাত ● প্রতিভূ অনুপাত
গ. নটিক্যাল মাইল অনুপাত ঘ. বর্গমাইল অনুপাত
৭. পৃথিবীর প্রকৃত ব্যাসার্ধ কত?
● ৩৯৫০ মাইল খ. ৩৯৫০ মাইল
গ. ৩৯৪০ মাইল ঘ. ৩৯৩০ মাইল
৮. অঙ্কনের তারতম্য অনুসারে বেনাকার অভিক্ষেপ কত প্রকার?
ক. ৩ প্রকার খ. ৪ প্রকার
● ৫ প্রকার ঘ. ৬ প্রকার
৯. আলোকরশ্মির ছায়ার ওপর ভিত্তি করে যে নলাকার অভিন্সে তৈরি হয় তাকে কী বলে?
ক. গলের অভিক্ষেপ ● দৃশ্যানুগ বেলনাকার অভিক্ষেপ
গ. মার্কেটরস অভিক্ষেপ ঘ. প্রকৃত বেলনাকার অভিক্ষেপ
১০. কোন ধরনের বেলনাকার অভিক্ষেপের দ্রাঘিমারেখা ও অক্ষরেখাগুলো পরস্পর সমান দূরত্বে অবস্থান করে?
ক. প্রকৃত বেলনাকার অভিক্ষেপ
● সরল বেলনাকার অভিক্ষেপ
গ. সমআয়তনিক বেলনাকার অভিক্ষেপ
ঘ. মার্কেটরস অভিক্ষেপ
১১. যখন শাঙ্কবে ভূগোলকের একটিমাত্র অক্ষরেখায় স্পর্শ করিয়ে অভিক্ষেপ অঙ্কন করা হয় তখন তাকে কী বলে?
ক. সরল বেলনাকার অভিক্ষেপ খ. মেরুদেশীয় অভিক্ষেপ
গ. নমোনিক অভিক্ষেপ ● সরল শাঙ্কব অভিক্ষেপ
১৪. সরল শাঙ্ক অভিক্ষেপে দুটি অক্ষরেখাকে কয়টি পৃথক পরিমিত অক্ষরেখা হিসেবে গণ্য করা হয়?
● ২টি খ. ৩টি
গ. ৪টি ঘ. ৫টি
১৫. সরল শাঙ্ক অভিক্ষেপ কয়টি অক্ষরেখা স্পর্শ করে ভূগোলকের ওপর অবস্থান করে?
● ১টি খ. ২টি
গ. ৩টি ঘ. ৪টি
১৬. মানচিত্র অভিক্ষেপ বলতে কোনো সমতলের উপর সৃষ্ট গ্র্যাটিকুলকেই বোঝায় এ গ্র্যাটিকুল কী?
● কতকগুলো হুক-এর সমষ্টি খ. কতিপয় ত্রিভুজের সমষ্টি
গ. কতিপয় রেখার সমষ্টি ঘ. কতকগুলো চতুর্ভুজের সমন্বয়
১৭. মানচিত্র অভিক্ষেপ কত প্রকার?
ক. তিন ● চার
গ. পাঁচ ঘ. ছয়
১৮. মানচিত্র অভিক্ষেপের উস্তাবক বলা হয় কাকে?
ক. ডেমোক্রিটাসকে খ. টলেমীকে
গ. স্ট্রাবোকে ● ইরাটোসথেনিসকে
১৯. মানচিত্র অভিক্ষেপের বৈশিষ্ট্য কয়টি?
● ৩টি খ. ৪টি
গ. ৫টি ঘ. ৬টি
২০. ভূগোলকটিকে কোনো কাগজের শাঙ্কবের ভিতর স্থাপন করে অভিক্ষেপ অঙ্কন করলে তাকে বলা হয়-
ক. সরল বেলন অভিক্ষেপ ● সরল শাঙ্কব অভিক্ষেপ
গ. মেরুদেশীয় অভিক্ষেপ ঘ. এর কোনোটাই সঠিক নয়
২১. সাধারণত ৫০° থেকে ৯০° অক্ষাংশের মধ্যবর্তী অঞ্চলের মানচিত্র অঙ্গনে কোন অভিক্ষেপ শ্রেয়?
ক. সরল বেলন খ. সরল শাঙ্কব
● মেরুদেশীয় ঘ. কোনোটিই নয়
২২. ভূগোলকে অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখা দ্বারা সৃষ্ট জালের ন্যায় বিন্যস্ত ছককে কী বলে?
ক. গ্রাটিচিউড ● গ্র্যাটিকুল
গ. গ্রানলার ঘ. গ্র্যাটিফাইড
২৩. সর্বপ্রথম মার্কেটরস অভিক্ষেপের পরিকল্পনা করেন কে?
ক. Galilio ● Gerhard Kramer Flemish
গ. Adam Smith ঘ. Widro Wilson
২৪. অভিক্ষেপ অঙ্কনের জন্য স্কেল বা মাপনী কোন অনুপাতে দেওয়া হয়?
● প্রতিভূ অনুপাত খ. অসম অনুপাত
গ. সমানুপাত ঘ. চিত্রানুপাত
২৫. পৃথিবীর স্থানীয় বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের জন্য কোন ধরনের অভিক্ষেপ ব্যবহৃত হয়?
ক. শীর্ষদেশীয় ● আন্তর্জাতিক
গ. বহুশাঙ্কব ঘ. বোন এর
২৬. সাধারণত ৫০ক্ক থেকে ৯০ক্ক অক্ষাংশের মধ্যবর্তী অঞ্চলে মানচিত্র অঙ্কনে কোন অভিক্ষেপ ব্যবহৃত হয়?
ক. শাকব খ. মার্কেটরস
গ. সরল বেলনাকার ● শীর্ষদেশীয়
২৭. যেকোনো মানচিত্র বা ইমেজকে জ্যামিতিক আকৃতিতে পরিবর্তন করতে সাহায্য করে কোনটি?
ক. র্যার্স্টার ● ভেক্টর
গ. পিক্সেল ঘ. অটোক্যাড
২৮. কত সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে GIS ল্যাব চালু করে?
ক. ১৯৯১ খ. ১৯৯২
● ১৯৯৩ ঘ. ১৯৯৪
২৯. রাস্টার স্কেল কীভাবে বিভক্ত?
ক. বড় বড় পিক্সেল-এ ● ছোট ছোট পিক্সেল-এ
গ. ছোট বড় পিক্সেল-এ ঘ. মাঝারি পিক্সেল-এ
৩০. মানচিত্র অভিক্ষেপে কোন বিষয়টি আবশ্যক?
● সমতল কাগজ খ. আয়তনের সঠিকতা
গ. আকারের সঠিকতা ঘ. সঠিক বিয়ারিং
৩১. মানচিত্রের অভিক্ষেপ North line দেখানোর প্রয়োজন হয় না কেন?
ক. অক্ষরগুলো Tree direction নির্দেশ করে
খ. দরকার হয় না
গ. অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখা ছক থাকে বলে
● কোনো নির্দিষ্ট দেশ বা পৃথিবীর সীমানা থাকে না বলে
৩২. GIS = ?
● Geobal Information System
খ. Geological Information System
গ. Geographic Information System
ঘ. Geography & Information Service
৩৩. “GIS is a computer system that can hold and use date describing places on the earth’s surface.” .” কে বলেছেন?
ক. Han and Kim ● D.W. Rhind
গ. P.A. Burrough ঘ. Gerhard Flemish
৩৪. সারা বিশ্বে GIS ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতে থাকে কত সাল থেকে?
ক. ১৯৮৫ ● ১৯৮০
গ. ১৯৭৮ ঘ. ১৯৬৩
৩৫. ISPAN (Irrigation Support Project for Asia and the Near Fast) সর্বপ্রথম কোন প্রকল্পে বাংলাদেশে জিআইএস ব্যবহার করে-
ক. ফ্লাড অ্যাকসন প্লান-১৭ খ. ফ্লাড অ্যাকসন প্লান-১৮
● ফ্লাড অ্যাকসন প্লান-১৯ ঘ. ফ্লাড অ্যাকসন প্লান-২০
৩৬. বাংলাদেশ ও এর আশপাশের এলাকা দেখানোর জন্য কোন অভিক্ষেপ অধিক উপযোগী?
ক. D:M ● BTM
গ. CTM ঘ. ATM
৩৭. কোন প্রযুক্তির অন্যতম উপাদান হলো মানুষ?
ক. GCS ● GIS
গ. LCC ঘ. BTM
৩৮. আকৃতির তারতম্য অনুসারে অভিক্ষেপ কত প্রকার?
ক. দুই প্রকার ● তিন প্রকার
গ. চার প্রকার ঘ. পাঁচ প্রকার
৩৯. কত সালে জিআইএস-এর সূচনা হয়?
ক. ১৭৮৪ সালে ● ১৮৫৪ সালে
গ. ১৯৬০ সালে ঘ. ২০০১ সালে
৪০. CGIS কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
ক. ১৯৬০ সালে ● ১৯৬৩ সালে
গ. ১৯৬৫ সালে ঘ. ১৯৬৮ সালে
৪১. কাকে GIS জনক বলা হয়?
ক. Otto SchmiD খ. Kuiper
গ. Rossgun ● Roger Tomlinson
৪২. GIS-এর প্রয়োজনীয়তাকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
ক. ২ ভাগে ● ৫ ভাগে
গ. ৭ ভাগে ঘ. ৯ ভাগে
৪৩. উঅচ-এর পূর্ণরূপ কোনটি?
ক. Dhaka Area Plan খ. Dhaka Area Plot
● Detailed Area Plan ঘ. Detailed Arina Plan
৪৪. CAD-এর পূর্ণরূপ কী?
● Computer Aided Desing খ. Complete Aided Desing
গ. Computer Aria Desing ঘ. Complete Aria Desing
৪৫. কোনো এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে তার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি নির্ণয়ে কার্যকরী পদ্ধতি কোনটি?
ক. GPS ● GIS
গ. DBMS ঘ. CAD
৪৬. ভূমি জরিপ ক্ষেত্রে কোন প্রযুক্তি অধিক কার্যকর?
● GIS খ. GPS
গ. DBMS ঘ. CAS
৪৭. GIS কীসের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে?
ক. CAD ● Computer
গ. GPS ঘ. Remote Semino
৪৮. কোনো দেশের অল্প স্থানের মানচিত্র অঙ্গনের ক্ষেত্রে অনুপযোগী অভিক্ষেপ-
i. বেলন অভিক্ষেপ
ii. শাংকব অভিক্ষেপ
iii. মেরুদেশীয় অভিক্ষেপ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৪৯. জিআইএস ব্যবহার করে মানচিত্রের উপযোগিতা বৃদ্ধি করা হয়-
i. মানচিত্রে উপাত্তের উপস্থাপন ঘটিয়ে
ii. মানচিত্রের উপাত্তগুলোর বিশ্লেষণ করে
iii. মানচিত্রে সংকেত ব্যবহার করে
নিচের কোনটি সঠিক?
● i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
৫০. GISএর সফটওয়্যারসমূহ
i. ARC-info
ii. GIS
iii. ARC-View
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii ● i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii