এইচ.এস.সি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র সাজেশন, ৬ষ্ঠ অধ্যায় (রাজনৈতিক দল, নেতৃত্ব ও সুশাসন) || HSC Civics and Good Governance 1st Paper Suggestion, Chapter 6 (Political Party, Leadership and Good Governance)

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন:
১ রাজনৈতিক দল কী?
উত্তর : রাজনৈতিক দল হলো এমন এক জনসমষ্টি , যারা একই রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী , যারা সংগঠিত হয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সাধারণ নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে সরকারি ক্ষমতা অর্জনের জন্য তৎপর থাকে।

২. রাজনৈতিক দলব্যবস্থা কত প্রকার?
উত্তর :
রাজনৈতিক দলব্যবস্থা তিন প্রকার।

৩. বাংলাদেশে কী ধরনের দলব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে?
উত্তর :
বাংলাদেশে বহুদলীয় দলব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে।

৪. একনায়কতান্ত্রিক নেতৃত্বের উদাহরণ দাও। 
উত্তর :
একনায়কতান্ত্রিক নেতৃত্বের উদাহরণ হলো হিটলার এবং মুসোলিনী।

৫. একদলীয় ব্যবস্থা বলতে কী বোঝ?
উত্তর :
রাষ্ট্রের মধ্যে যখন সাংবিধানিকভাবে একটিমাত্র রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব থাকে এবং যাবতীয় রাজনৈতিক কর্মকান্ড একটি রাজনৈতিক দল দ্বারা পরিচালিত হয় তখন তাকে একদলীয় ব্যবস্থা বলে।
এইচ.এস.সি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র সাজেশন, ৬ষ্ঠ অধ্যায় (রাজনৈতিক দল, নেতৃত্ব ও সুশাসন)

৬. উপদল কী?
উত্তর: দলের কিছু সদস্য দলীয় নীতি ও কর্মসূচির কোনো ক্ষেত্রে দ্বিমত পোষণ করে; কিংবা ক্ষুদ্র ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থ উদ্ধারে ঐক্যবদ্ধ হলে তাকে উপদল বলে।

৭. গণতন্ত্র সম্পর্কে অধ্যাপক ফাইনার কী বলেছেন? 
উত্তর: গণতন্ত্র সম্পর্কে অধ্যাপক ফাইনার বলেন , আধুনিক গণতান্ত্রিক শাসন কার্যত রাজনৈতিক দলের শাসন।

৮. রাজনৈতিক দল কাদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে? 
উত্তর: রাজনৈতিক দল সরকার ও জনগণের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে।

৯. রাজনৈতিক দলের মূলধন কী? 
উত্তর: জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ই হলো রাজনৈতিক দলের মূলধন।

১০. চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী কাকে বলে? 
উত্তর: সরকারি কাঠামোর বাইরে থেকে যে স্বেচ্ছামূলক সুসংগঠিত গোষ্ঠী সরকারি কর্মকর্তাগণের মনোনয়ন ও নিয়োগ, সরকারি নীতি নির্ধারণ, পরিচালনা বা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তারে সচেষ্ট হয় তাকে চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী বলে।

১১. কোন গোষ্ঠীকে স্বার্থগোষ্ঠী, সংগঠিত গোষ্ঠী, মনোবৃত্তিবাহী গোষ্ঠী বলা হয়? 
উত্তর:
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীকে স্বার্থগোষ্ঠী , সংগঠিত গোষ্ঠী , মনোবৃত্তিবাহী গোষ্ঠী বলা হয়।

১২. চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী কীরূপ ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে গড়ে ওঠে?
উত্তর: চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী বেসরকারি ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে গড়ে ওঠে।

১৩. চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর অপর নাম কী? 
উত্তর: চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর অপর নাম হলো স্বার্থগোষ্ঠী।

১৪. চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী কী বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখছে? 
উত্তর: চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী কর্পোরেট গভর্নো বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখছে।

১৫. সম্পদের সুষম বণ্টনের মাধ্যমে চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীগুলো কী প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করছে? 
উত্তর: সম্পদের সুষম বণ্টনের মাধ্যমে চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীগুলো সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করছে।

১৬. কোন গোষ্ঠী দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে? 
উত্তর: চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

১৭. চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর উন্নয়নমূলক কার্যক্রমকে কী নামে আখ্যায়িত করা হয়? 
উত্তর:
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর উন্নয়নমূলক কার্যক্রমকে ওয়াচ ডগ নামে আখ্যায়িত করা হয়।

১৮. নেতৃত্ব কী?  
উত্তর: নেতৃত্ব এক প্রকার সামাজিক গুণ যার প্রভাবে নেতা নাগরিকদের অনুপ্রাণিত করে বিশেষ দিকে ধাবিত করে।

১৯. নেতৃত্বের ইংরেজি প্রতিশব্দ কী? 
উত্তর:
নেতৃত্বের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো 'Leadership.

২০. সম্মোহনী নেতৃত্ব কী?
উত্তর:
কোন বিশেষ নেতা যখন তার বক্তব্য ও কাজ দ্বারা জনগণকে ভীষণভাবে সম্মোহিত, অনুপ্রাণিত ও উদ্বুদ্ধ করতে সক্ষম হন, তখন সেই নেতৃত্বকে সম্মোহনী নেতৃত্ব বলে।

২১. শিক্ষকতা কোন ধরনের নেতৃত্ব? 
উত্তর: শিক্ষকতা বিশেষজ্ঞসুলভ নেতৃত্ব।

২২. কোন নেতৃত্বে একজন আমলাকে নেতা হিসেবে ধরা হয়? 
উত্তর: প্রশাসনিক বা ব্যবস্থাপক নেতৃত্বে একজন আমলাকে নেতা হিসেবে ধরা হয়।

২৩. সম্মোহনী নেতৃত্বের ধারণা দেন কে? 
উত্তর: সম্মোহনী নেতৃত্বের ধারণা দেন জার্মান সমাজবিজ্ঞানী ম্যাক্স ওয়েবার।

২৪. জনমত গঠনের একটি আধুনিক মাধ্যমের নাম লেখো।
উত্তর:
 জনমত গঠনের একটি আধুনিক মাধ্যমের নাম হচ্ছে ফেসবুক।

২৫. নেতৃত্বের বৈধতা কী ? 
উত্তর: নেতৃত্বের প্রতি রাষ্ট্রের নাগরিকদের আস্থাই নেতৃত্বের বৈধতা।

২৬. রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, না মন্দ শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে তা কীসের ওপর নির্ভর করে? 
উত্তর: রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, না মন্দ শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে তা নেতৃত্বের ওপর নির্ভর করে।

২৭. সুশাসন প্রতিষ্ঠা সহজ হবে কী থাকলে? 
উত্তর: সুশাসন প্রতিষ্ঠা সহজ হবে নেতৃত্বের বৈধতা থাকলে।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন:
১. রাজনৈতিক দলের প্রধান লক্ষ্য কোনটি?
ক. আদর্শ বাস্তবায়ন                খ. কর্মসূচি ঘোষণা
গ. জাতীয় ঐক্য সাধন            ● সরকার গঠন করা
২. গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় কোনটির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ?
ক. চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী           ● রাজনৈতিক দল
গ. উপদল                              ঘ. কুচক্রী দল
৩. প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রে ‘বিকল্প সরকার’ বলা হয় কাকে?
ক. সরকারি দলকে             খ. সামরিক বাহিনীকে
● বিরোধী দলকে                ঘ. সচিবালয়কে
৪. কোন দেশে রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব নেই?
ক. ভারত                 খ. কেনিয়া
গ. আমেরিকা          ● সৌদি আরব
৫. ‘রাজনৈতিক দল হচ্ছে কোনো নীতির সমর্থনে সংগঠিত সংঘবিশেষ, যা নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সরকার পরিচালনায় প্রয়াসী হয়’- উক্তিটি কার?
ক. যোসেফ এম সুম্পিটারের         খ. এডমন্ড বার্কের
● অধ্যাপক ম্যাকাইভারের            ঘ. আর্নেস্ট বার্কারের
৬. দ্বিদল ব্যবস্থার দেশ হলো-
● মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র                খ. বাংলাদেশ
গ. পাকিস্তান                        ঘ. ভারত
৭. কোনটি ব্রিটেনের রাজনৈতিক দল?
ক. বাথ পার্টি                       খ. ন্যাশনাল কংগ্রেস
গ. রিপাবলিকান পার্টি        ● কনজারভেটিভ পার্টি
৮. ‘গণতন্ত্রের জন্য রাজনৈতিক দল স্বাভাবিক ও অপরিহার্য’ –কে বলেছেন?
ক. A. R. Ball               খ. W. B. Munro
গ. Devourer               ● Maclver
৯. বাংলাদেশে কোন ধরনের রাজনৈতিক ব্যবস্থা বিদ্যমান?
ক. একদলীয় ব্যবস্থা            খ. দ্বি-দলীয় ব্যবস্থা
● বহুদলীয় ব্যবস্থা               ঘ. নির্দলীয় ব্যবস্থা
১০. বিশ্বে প্রধানত কয় ধরনের দলীয় ব্যবস্থা প্রত্যক্ষ করা যায়?
ক. ২ ধরনের             ● ৩ ধরনের
গ. ৪ ধরনের              ঘ. ৫ ধরনের
১১. ‘রাজনৈতিক দল কোনো নীতি বা আদর্শের সমর্থনে সংগঠিত সংঘ বিশেষ যা নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সরকার গঠনের চেষ্টা করে’ -উক্তিটি কার?
ক. যোসেফ এম সুম্পিটার              খ. এডমন্ড বার্ক
● অধ্যাপক ম্যাকাইভার                ঘ. আর্নেস্ট বার্কার
১২. গণতন্ত্রের প্রাণ বলা হয় নিচের কোনটিকে?
ক. চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী              খ. আমলাতন্ত্র
● রাজনৈতিক দল                     ঘ. গণ-মাধ্যম
১৩. কোন দেশের বিরোধী দলকে রাজা ও রানির বিরোধী দল বলা হয়?
ক. বাংলাদেশের             খ. চীনের
● ইংল্যান্ডের                  ঘ. ইন্দোনেশিয়ার
১৪. নিম্নের কোন রাষ্ট্রে দ্বি-দলীয় ব্যবস্থা বিদ্যমান?
ক. ফ্রান্স               ● ইউকে
গ. ভারত               ঘ. ইতালি
১৫. বহুদলীয় ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে কোন দেশটিতে?
ক. ফ্রান্স               খ. ইউকে
● ভারত                ঘ. ইতালি
১৬. নিয়মতান্ত্রিকভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে কোন সংগঠন?
● রাজনৈতিক দল                খ. উপদল
গ. সামরিক বাহিনী                ঘ. আমলাতন্ত্র
১৭. সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কয়টি রাজনৈতিক দল থাকে?
● একটি                 খ. তিনটি
গ. দুইটি                  ঘ. চারটি
১৮. রাজনৈতিক শিক্ষা বলতে বোঝায়-
● জনগণের রাজনৈতিক সচেতনতা                খ. দলসমূহের অভ্যন্তরীণ শিক্ষা
গ. নেতৃত্বের সচেতনতার শিক্ষা                       ঘ. ঐক্যবদ্ধ হওয়ার শিক্ষা
১৯. জনগণের ভোটের মাধ্যমে গঠিত সরকারকে কী বলে?
ক. একনায়কতান্ত্রিক              খ. পুঁজিবাদী
● গণতান্ত্রিক                          ঘ. রাজতান্ত্রিক
২০. উগান্ডা কোন মহাদেশে অবস্থিত?
ক. ইউরোপ               ● আফ্রিকা
গ. আমেরিকা              ঘ. এশিয়া
২১. রাজনৈতিক দলের বৈশিষ্ট্য হলো-
i. ক্ষমতা লাভের চেষ্টা
ii. জনমত গঠন
iii. দক্ষ ও পেশাদার জনশক্তি তৈরি করা
নিচের কোনটি সঠিক?
● i ও ii                খ. i ও iii
গ. ii ও iii            ঘ. i, ii ও iii
২২. রাজনৈতিক দলকে আধুনিক গণতন্ত্রের প্রাণ বলা কারণ-
i. জনগণ পছন্দ করে
ii. দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করে
iii. ক্ষমতা দখল করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii            খ. i ও iii
গ. ii ও iii          ● i, ii ও iii
২৩. জামাল একজন শ্রমিক নেতা। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার লক্ষ্য না থাকলেও তার সংগঠন শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি দাওয়া আদায়ে সবসময় সচেষ্ট থাকে। জামাল যে ধরনের সংগঠনের নেতা-
i. রাজনৈতিক দল
ii. উপদল
iii. চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii              খ. i ও iii
গ. ii ও iii            ● iii
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ২৪ ও ২৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
‘ক’ রাষ্ট্রে অনেকদিন যাবৎ সামরিক শাসন বিদ্যমান রয়েছে। এক পর্যায়ে দেশটিতে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দেশের সুশীল সমাজ একত্রিত হয়ে একটি দল গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। আলাপ-আলোচনা শেষে এক পর্যায়ে তারা একটি দল প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ হয়।
২৪. উদ্দীপকের নবগঠিত দলটির প্রধান উদ্দেশ্য কী?
● শাসনভার গ্রহণ করা                    খ. অর্থনৈতিক সুবিধা অর্জন
গ. রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা                  ঘ. সরকারকে সহযোগিতা করা
২৫. উদ্দীপকের দলটির কর্মসূচির মধ্যে থাকছে-
i. সমস্যা নির্ণয় ও জনগণের নিকট উপস্থাপন
ii. রাজনৈতিক কর্মী সংগ্রহ
iii. দলীয় নীতি বা মতাদর্শ প্রচার করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii                খ. i ও iii
● ii ও iii               ঘ. i, ii ও iii
২৬. জনগণকে তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সচেতন করার ক্ষেত্রে কোনটি প্রয়োজন?
● রাজনৈতিক শিক্ষা                     খ. প্রশাসনিক দক্ষতা
গ. সরকারের সমালোচনা             ঘ. সামাজিক ঐক্য
২৭. জনগণ ও সরকারের মধ্যে সেতু বন্ধে কোনটি?
ক. চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী           ● রাজনৈতিক দল
গ. সরকার                              ঘ. জনগণ
২৮. রাজনৈতিক দলের অন্যতম প্রধান কাজ কী?
ক. অন্য দলের বিরোধিতা করা                         ● নির্বাচনের জন্য প্রার্থী মনোনয়ন
গ. শুধুই নিজের দলের প্রশংসা করা                 ঘ. দলীয় নেতাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা
২৯. নির্বাচনের পূর্বে কোনটি রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ কাজ?
ক. সরকার গঠন                         খ. কর্মসূচি প্রণয়ন
● প্রার্থী মনোনয়ন ও প্রচারণা      ঘ. গঠন
৩০. নিচের কোনটির মাধ্যমে স্বার্থের একত্রীকরণ হয়ে থাকে?
ক. চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী            ● রাজনৈতিক দল
গ. সরকার                                ঘ. জনগণ
৩১. রাজনৈতিক দলের প্রধানকে কী বলে?
● নেতা                          খ. সংগঠক
গ. চেয়ারম্যান              ঘ. কর্মী
৩২. নিচের কোনটি রাজনৈতিক দলের কাজ নয়?
ক. সরকার গঠন                  খ. জনমত গঠন
● গোষ্ঠী স্বার্থ উদ্ধার              ঘ. প্রার্থী মনোনয়ন
৩৩. গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা লাভের জন্যে কোন পন্থা অবলম্বন করে?
ক. বিপ্লব                                  ● জনসমর্থন আদায়
গ. সামরিক অভ্যুত্থান            ঘ. বিদেশি হস্তক্ষেপ
৩৪. বর্তমানে গণতন্ত্র বলতে বোঝায়-
i. সংসদীয় গণতন্ত্র
ii. রক্ষণশীল গণতন্ত্র
iii. প্ৰতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii                ● i ও iii
গ. ii ও iii               ঘ. i, ii ও iii
৩৫. রাজনৈতিক দলের কাজ হচ্ছে—
i. জনগণকে তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সচেতন করা
ii. তাদের আদর্শ ও কর্মসূচি জনগণের মাঝে প্রচার করা
iii. জনগণকে প্রত্যক্ষ ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii                খ. i ও iii
গ. ii ও iii              ● i, ii ও iii
অনুচ্ছেদটি পড়া এবং ৩৬ ও ৩৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
‘ক’ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। জাতীয় নির্বাচনে করিম তার দলের পক্ষে কাজ করে। দলটি অন্য দলটির চেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জয়লাভ করে এবং সরকার গঠন করে।
৩৬. উদ্দীপকের ‘ক’ রাষ্ট্রে কী ধরনের দলীয় ব্যবস্থা।বিদ্যমান?
ক. একদলীয়              ● দ্বি-দলীয়
গ. নির্দলীয়                 ঘ. বহুদলীয়
৩৭. উদ্দীপকের করিম কী ধরনের দলের সদস্য?
ক. চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী             ● রাজনৈতিক দল
গ. সরকার                                ঘ. জনগণ
৩৮. ‘স্বার্থ একত্রীকরণকারী’ বলা হয় কাকে?
ক. চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীকে              ● রাজনৈতিক দলকে
গ. সরকারকে                                  ঘ. জনগণকে
৩৯. চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীকে ‘Interest Group’ বলে আখ্যায়িত করেছেন কে?
ক. এস. ই. ফাইনার                   ● এইচ. জিগলার
গ. মাইরন ওয়েনার                   ঘ. এইচ ও ডানেল
৪০. ক্ষমতায় না গিয়েও নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে-
ক. রাজনৈতিক দল                খ. উপদল
গ. আমলাতন্ত্র                      ● স্বার্থগোষ্ঠী
৪১. Miller চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীকে কী হিসেবে অভিহিত করেছেন?
● Organised Group              খ. Pressure Group
গ. Interest Group                  ঘ. Influence Group
৪২. ‘নির্দিষ্ট স্বার্থের বন্ধনে সংযুক্ত এবং এই সংযোগ সম্পর্কে সিজাগ ব্যক্তি সমষ্টিকে চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী বলে’— এটি কার উক্তি?
● গ্যাব্রিয়েল অ্যালমন্ড ও পাওয়েল           খ. ম্যাকাইভার ও পেজ
গ. এইচ জিগলার                                      ঘ. সামনার
৪৩. চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর প্রধান লক্ষ্য—
i. জাতীয় কল্যাণ সাধন
ii. সরকারি সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করা
iii. কর্মীদের পক্ষে কাজ করা
নিচের কোনটি সঠিক?
● i ও ii                খ. i ও iii
গ. ii ও iii             ঘ. i, ii ও iii
৪৪. সংসদে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ কাজ কোনটি?
● সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করা         খ. স্পিকারের কথা শুনা
গ. নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করা                    ঘ. বিতর্কে জড়িয়ে পড়া
৪৫. গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা সুসংহত হয় কীভাবে?
ক. সরকারের সাফল্য দ্বারা            খ. বিরোধী দলের ভূমিকা দ্বারা
● জনগণের ভূমিকার দ্বারা            ঘ. রাজনৈতিক দলের ইতিবাচক ভূমিকা দ্বারা
৪৬. চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর অপর নাম কী?
ক. সতর্কগোষ্ঠী                     ● স্বার্থগোষ্ঠী
গ. সমতা রক্ষা গোষ্ঠী               ঘ. অধিকার রক্ষা গোষ্ঠী
৪৭. সমাজের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চাহিদা পুরণের দায়বদ্ধতা নিচের কোনটির?
ক. নিয়ন্ত্রণের                  খ. প্রশিক্ষণের
● সুশাসনের                   ঘ. উন্নয়নের
৪৮. সরকার ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন কাজ করে নিচের কোনটি?
ক. পুলিশ প্রশাসন                 খ. পৌরসভা
গ. বিরোধী দল                    ● চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী
৪৯. সুশাসন নিশ্চিত করার দায়িত্ব-
i. সরকারের
ii. জনগণের
iii. বিচারপতিদের
নিচের কোনটি সঠিক?
● i ও ii                 খ. i ও iii
গ. ii ও iii             ঘ. i, ii ও iii
৫০. সুযোগ্য নেতার জন্য কোনটি অপরিহার্য?
● জনগণের আনুগত্য            খ. সীমাহীন ক্ষমতা
গ. আকর্ষণীয় চেহারা             ঘ. উচ্চশিক্ষা

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১. কুচক্রি দল বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: রাজনৈতিক দলের মধ্যেই যখন কিছু সদস্য দলীয় নীতি ও কর্মসূচির বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে দ্বিমত পোষণ করে কিংবা বৃহৎ স্বার্থের কথা ভুলে ক্ষুদ্র ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারে ঐক্যবদ্ধ হয় তখন তাকে কুচক্রি দল বা উপদল বলে। কুচক্রি দল রাজনৈতিক দলের একটি খণ্ডিত রূপ। এদের কাঠামো, কর্মসূচি ও লক্ষ্য সংকীর্ণ। এরা ব্যক্তিগত স্বার্থ সাধনে কাজ করে।

২. দ্বি - দলীয় ব্যবস্থা বলতে কী বোঝ?
উত্তর: যখন কোনো দেশে প্রধানত দুটি রাজনৈতিক দলের উপস্থিতি লক্ষ করা যায় এবং অন্য দলগুলোর কার্যকলাপ চোখে পড়ে না তখন তাকে দ্বি-দলীয় ব্যবস্থা বলে। দ্বি - দলীয় ব্যবস্থায় সাধারণত রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা দুটি দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। এরূপ ব্যবস্থায় প্রধান দুটি দলের মধ্যে ক্ষমতার হাত বদল হতে দেখা যায়। ফলে জনগণ খুব সহজেই দুটি দলের মতাদর্শ থেকে যেকোনো একটিকে বেছে নিতে পারে।

৩. রাজনৈতিক দল বলতে কী বোঝ?
উত্তর: রাজনৈতিক দল (Political Party) হলো নীতি বা আদর্শের সমর্থনে সংগঠিত সংঘ বিশেষ, যা সাংবিধানিক উপায়ে সরকার গঠন ও পরিচালনার চেষ্টা করে। আধুনিক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় রাজনৈতিক দল অপরিহার্য জনপ্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রের মূল ভিত্তিই হলো রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক দল জনসাধারণকে সংঘবদ্ধ করার মাধ্যমে দলের নীতি বাস্তবায়ন করে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রণয়ন করে। রাজনৈতিক দলের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহণ, পরিচালনা নিজেদের নির্বাচনি কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সকল ধর্ম - বর্ণ - শ্রেণি, নারী - পুরুষ নির্বিশেষে সকলের মঙ্গলের জন্য কাজ করা।

৪. একদলীয় ব্যবস্থা বলতে কী বোঝ?
উত্তর: রাষ্ট্রের মধ্যে যখন সাংবিধানিকভাবে একটিমাত্র রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব থাকে এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড একটি রাজনৈতিক দলের দ্বারা পরিচালিত হয়, তখন তাকে একদলীয় ব্যবস্থা বলা হয়। একদলীয় ব্যবস্থায় কোনো প্রকার বিরোধী দল ও বিরোধী মতামতকে স্বীকার করা হয় না। এখানে দলের বিরোধিতা আর সরকার বিরোধিতাকে একই মনে করা হয়। নির্বাচনে ঐ নির্দিষ্ট দলেরই একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। একদলীয় ব্যবস্থায় দলীয় আদর্শ বা কর্মসূচির প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকে না। বর্তমানে চীনের সংবিধানে মাত্র একটি রাজনৈতিক দল স্বীকৃত।

৫. বহুদলীয় ব্যবস্থা বলতে কী বোঝ?
উত্তর: যে রাষ্ট্র ব্যবস্থায় দুই - এর অধিক রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম দেখা যায়, তাকে বহুদলীয় ব্যবস্থা বলে। বহুদলীয় ব্যবস্থায় প্রতিটি দল নিজ নিজ দলীয় কর্মসূচির মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে । যে দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে, সেই দল সরকার গঠন করে। ভারত, পাকিস্তান, ইতালি, ফ্রান্স এবং বাংলাদেশে বহুদলীয় ব্যবস্থা বিদ্যমান। বহুদলীয় ব্যবস্থায় সমাজের বিভিন্নমুখী চিন্তাধারা সহজে প্রকাশ পায়।

৬. কেন একনায়কতন্ত্র জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য সরকার নয়? 
উত্তর: একনায়কতন্ত্র জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য সরকার নয়। কেননা, এতে স্বৈরতন্ত্রের আবির্ভাব ঘটে। একনায়কতন্ত্রে একজন শাসকের হাতে সকল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ন্যস্ত থাকে রাষ্ট্রের সকল মন্ত্রী, আমলা ও জনগণকে এই শাসকের হুকুম মেনে চলতে হয়। একনায়কতন্ত্রে শাসকের আদেশই আইন বলে বিবেচিত হয়। এতে একটিমাত্র রাজনৈতিক দল থাকে তাই রাষ্ট্রীয় কাজে জনগণের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকে না । এসব কারণেই একনায়কতন্ত্র জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য সরকার নয়।

৭. উপদল ও রাজনৈতিক দলের মধ্যে পার্থক্য কী? 
উত্তর: রাজনৈতিক দল ও উপদলের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য বিদ্যমান। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে প্রায় একই ধরনের দৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিগণ নির্দিষ্ট কিছু কর্মসূচি ও আদর্শের ভিত্তিতে একত্রিত হয় তখন তাকে রাজনৈতিক দল বলে। অপরদিকে, দলের মধ্যেই যখন কিছু কিছু সদস্য দলীয় নীতি কর্মসূচির বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে দ্বিমত পোষণ করে কিংবা সাধারণ স্বার্থের কথা ভুলে গিয়ে ক্ষুদ্র ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারে ঐক্যবদ্ধ হ্যা, তখন তাকে উপদল বলে। রাজনৈতিক দল একটি সামগ্রিক রাজনৈতিক সংগঠন। কিন্তু উপদল রাজনৈতিক দলের একটি খন্ডিত রূপ। রাজনৈতিক দলের কাঠামো শক্তিশালী, এর উদ্দেশ্য ও কর্মসূচি ব্যাপক। অপরদিকে, উপদলের কাঠামো, কর্মসূচি ও লক্ষ্য সংকীর্ণ। রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্য হলো জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণ। কিন্তু উপদলের লক্ষ্য হলো ক্ষুদ্র ব্যক্তিস্বার্থ সংরক্ষণ।

৮. জনমত গঠনে রাজনৈতিক দলের ভূমিকা লেখো।
উত্তর:
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজনৈতিক দলই জনমত গঠন ও প্রচারের শ্রেষ্ঠতম বাহন বলে স্বীকৃত। রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রের নানাবিধ সমস্যা জনগণের সম্মুখে তুলে ধরে এবং এ সকল ব্যাপারে জনমত গড়ে তোলে। তাছাড়া রাজনৈতিক দল বিভিন্ন সভা - সমিতি এবং সংবাদপত্রের মাধ্যমে বক্তৃতা - বিবৃতি প্রদান করে এবং দলীয় পুস্তক পত্রিকার মাধ্যমে প্রচারকার্য পরিচালনা করে জনমত গঠন করে।

৯. রাজনৈতিক দল গণতান্ত্রিক শাসনের স্বরূপ বজায় রাখে।— ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: রাজনৈতিক দল গণতান্ত্রিক শাসনের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। আধুনিক গণতন্ত্র হলো প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র। আর প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রের মূল ভিত্তিই হলো রাজনৈতিক দল। গণতন্ত্রকে সফল করতে হলে প্রয়োজন সক্রিয়, সচেতন ও সদাজাগ্রত জনমত। রাজনৈতিক দল বক্তৃতা - বিবৃতি, সভা - সমাবেশ ও প্রচারের মাধ্যমে জনমত গঠন করে সাংবিধানিক উপায়ে জনসমর্থন লাভ করে সরকার গঠন করে গণতান্ত্রিক ধারায় শাসনকার্য পরিচালনা করে । তাই বলা যায়, রাজনৈতিক দল গণতান্ত্রিক শাসনের স্বরূপ বজায় রাখে।

১০. রাজনৈতিক দল কীভাবে জনগণ ও সরকারের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে? বর্ণনা করো।
উত্তর: প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রে রাজনৈতিক দল জনগণ ও সরকারের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে। জনগণের অভাব - অভিযোগ, দাবি - দাওয়া ও সমস্যার কথা রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে সরকারের নিকট পৌছে। রাজনৈতিক দলের প্রদেয় তথ্য অনুযায়ী সরকার জনগণের সমস্যা সমাধানে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। আবার সরকার যে সব নীতি প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তা জনগণের নিকট পৌঁছে দেয় রাজনৈতিক দল। ফলে সরকারের গৃহীত এসব নীতি ও সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জনমত গড়ে ওঠে। এই জনমত আবার রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়ে সরকারের নিকট পৌঁছায় । আর এভাবেই রাজনৈতিক দল জনগণ ও সরকারের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে।

১১. কীভাবে রাজনৈতিক দল স্বৈরাচার রোধে সক্রিয় ভূমিকা রাখে? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: দেশে স্বৈরতান্ত্রিক প্রবণতা রোধের প্রধান রক্ষাকবচ হলো রাজনৈতিক গণতন্ত্র হলো জনগণের শাসনব্যবস্থা। এখানে রাজনৈতিক দল নির্বাচনের মাধ্যমে জনসম্মতি লাভ করে ক্ষমতা লাভ করে। গণতন্ত্রে জনসম্মতির প্রাধান্য থাকে বলে সরকারি দল এবং বিরোধীদল সকলেই জনমতকে সমীহ করে চলে। রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত দল বিরোধী দলের সমালোচনার হয়ে পদবিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকে। বিরোধী দল সরকারের স্বেচ্ছাচারীতা জনসম্মুখে তুলে ধরে বলে সরকার তার নিজের খেয়ালখুশি মতো কিছু করতে পারে না। আর এভাবেই রাজনৈতিক দলের কারণে সরকার স্বৈরাচারী হতে পারে না।

১২. চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী বলতে কী বোঝায়?  
উত্তর: চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী (Pressure Group) হচ্ছে কোনো সংগঠিত সামাজিক গোষ্ঠী যারা নিজেদের স্বার্থরক্ষা নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের আচরণকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে। চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী কোনো রাজনৈতিক দল নয় এদের কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে না। এরা সরকারি নীতিকে প্রভাবিত করে নিজেদের স্বার্থকে যথাযথভাবে আদায় করতে সর্বদা সচেষ্ট থাকে। এরা সাধারণত নির্দিষ্ট শ্রেণি বা গোষ্ঠীর পক্ষে সরকারের নীতিকে দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমানভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে। শিক্ষক সমিতি, বণিকসংঘ, শ্রমিক ইউনিয়ন, ব্যাংক কর্মচারী ফেডারেশন, সুশীল সমাজ প্রভৃতি চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর উদাহরণ।

১৩. চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী কীভাবে সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে? 
উত্তর: চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী (Pressure Group) হচ্ছে কোনো সংগঠিত সামাজিক গোষ্ঠী যারা নিজেদের স্বার্থরক্ষা নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের আচরণকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে। চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে না। এরা সরকারের কাছে তাদের দাবি-দাওয়া উত্থাপন করে। দাবি-দাওয়া আদায় না হলে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে। আবার সরকারের নীতিবহির্ভূত কাজের বিরুদ্ধে জনসমর্থন গড়ে তোলে । গোষ্ঠীগুলো নানা বিষয়ে সরকারকে যৌক্তিক পরামর্শ প্রদান করে। চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর সক্রিয় ভূমিকার ফলে সরকার জনকল্যাণমুখী সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধ্য হয়।

১৪. গণতন্ত্রে চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর ভূমিকা আলোচনা করো।
উত্তর: চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী এমন একটি জনসমষ্টি, যার সদস্যগণ সমজাতীয় মনোভাব এবং স্বার্থের বন্ধনে আবদ্ধ। চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর মূল লক্ষ্য হলো নিজেদের স্বার্থোদ্ধার। তবে চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীগুলো সরকারের গণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের প্রতিও সতর্ক দৃষ্টি রাখে। সরকারের নীতি অগণতান্ত্রিক বা স্বৈরাচারী ভূমিকায় অবতীর্ণ হলে তারা গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে সরকারকে সতর্ক করে দেয়। এতে সংশোধিত না হলে তারা আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে গণতান্ত্রিক রীতি - নীতি পালনে বাধ্য করে।

১৫. গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব বলতে কী বোঝ? 
উত্তর: সিদ্ধান্ত গ্রহণে জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে যে নেতৃত্ব গড়ে ওঠে তাকে গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব বলে গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব জনগণের অংশগ্রহণ ও স্বাধীনতার ওপর আস্থা স্থাপন করে। গণতান্ত্রিক নেতা মানুষের মুক্তি ও স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব একজনের নিয়ন্ত্রণে না থেকে অনেক মানুষের নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী সংগঠনের একজন মূল্যবান সদস্য হিসেবে গুরুত্ব অনুভব করে।

১৬. সম্মোহনী নেতৃত্ব বলতে কী বোঝায়? 
উত্তর: কোনো বিশেষ নেতা যখন তার বক্তব্য ও কাজ দ্বারা জনগণকে ভীষণভাবে সম্মোহিত, অনুপ্রাণিত ও উদ্বুদ্ধ করতে সক্ষম হন, তখন সেই নেতৃত্বকে সম্মোহনী নেতৃত্ব বলা হয়। সম্মোহনী নেতৃত্বের ভূমিকা জনগণকে যুদ্ধ, আবেগাপ্লুত এবং অল্প অনুকরণে অনুপ্রাণিত করে। সম্মোহনী নেতৃত্ব প্রকৃতপক্ষে এক যাদুকরী নেতৃত্ব। এ ধরনের নেতৃত্বের মাধ্যমে কোনো নেতা তার বক্তব্য, নিপুণতা, চারিত্রিক দৃঢ়তা, সাহসিকতা ও মোহনীয় ব্যক্তিত্বের প্রবন যাদুকরী স্পর্শে জনগণকে তার প্রতি আনুগত্য প্রকাশে অনুপ্রাণিত ও উদ্বুদ্ধ করতে পারেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহাম্মা গান্ধী, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী প্রমুখ সম্মোহনী নেতৃত্বের প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

১৭. ‘গণতান্ত্রিক শাসনের মূল ভিত্তিই হলো জনমত – উক্তিটি বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর: গণতন্ত্র হলো জনগণের ও জনমতের শাসন। গণতন্ত্রকে সফল করতে হলে প্রয়োজন সক্রিয়, সচেতন ও সদাজাগ্রত জনমত। রাজনৈতিক দল বক্তৃতা - বিবৃতি ও প্রচারের মাধ্যমে জনমত সৃষ্টি করে। ম্যাকাইভার তার “The Web of Government' গ্রন্থে বলেছেন, দল হলো এমন এক সংগঠন যার মাধ্যমে জনমত জননীতিতে রূপান্তরিত হয়। তাই বলা হয় , গণতান্ত্রিক শাসনের মূল ভিত্তিই হলো জনমত।

১৮. চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী কীভাবে শাসন বিভাগের কার্যক্রমে সজাগ দৃষ্টি রাখে? 
উত্তর: চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী শাসন বিভাগের কার্যক্রমকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে। চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী শাসন বিভাগকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তথ্য দিয়ে সাহায্য করে। শাসন বিভাগের কার্যক্রমে যাতে স্বচ্ছতা, দায়িত্বশীলতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয় সে ব্যাপারেও চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী সজাগ দৃষ্টি রাখে। ফলে শাসন বিভাগের দুর্নীতি হ্রাস পায়। অর্থাৎ চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী স্বচ্ছতা, দায়িত্বশীলতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ ও দুর্নীতি প্রতিরোধের মাধ্যমে শাসন বিভাগের কার্যক্রমে সজাগ দৃষ্টি রাখে।
Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url