ষষ্ঠ শ্রেণি, আইসিটি, প্রথম অধ্যায় || Class Six ICT prothom chapter
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন:
১ . তথ্য দেওয়া - নেওয়া কিংবা সংরক্ষণ করার প্রযুক্তিই— তথ্য প্রযুক্তি।২. পরীক্ষার ফলাফল দ্রুত পেতে অধিক কার্যকর – মোবাইল ফোন।
৩. তথ্য বিনিময় নতুন জগতে প্রবেশ করার কারণ- টেলিফোন আবিষ্কার।
৪. ওয়েবসাইট থেকে সহজেই তথ্য নেওয়ার মাধ্যম— ইন্টারনেট।
৫. পৃথিবী মানুষের হাতের মুঠোয় আসার কারণ— বেতার আবিষ্কার।
৬. SMS- এর পূর্ণরূপ — Short Message Service
৭. প্রথম কাগজ আবিষ্কার করে— চীনারা।
৮. মনিটরের পর্দা বড় করার যন্ত্র— মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর।
৯. বর্তমান যুগকে বলা হয়— ডিজিটাল যুগ।
১০. পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটার হলো- এনিয়াক।
১১. যোগাযোগ সহজ করার জন্য ব্যবহার হচ্ছে- অপটিক্যাল ফাইবার।
১২. গ্লোবাল ভিলেজ অর্থ হলো- বৈশ্বিক গ্রাম।
১৩. ICT বাস্তবে রূপদান করার প্রযুক্তি— ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স।
১৪. ডিজিটাল বাংলাদেশ বলতে বোঝায়— আধুনিক বাংলাদেশ।
১৫. তথ্য দেওয়া ও নেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছে— ইনফরমেশান সুপার হাইওয়ে।
১৬. পৃথিবীর আমূল পরিবর্তনে সর্বাধিক অবদান রেখেছে— ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স।
১৭. কম্পিউটারের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার জন্য তৈরি হচ্ছে— সফটওয়্যার।
১৮. ভয়েজার -১ হচ্ছে— মহাকাশ যান।
১৯. পৃথিবীতে বিশাল পরিমাণ উপাত্ত প্রেরণ করে– ভয়েজার -১।
২০. সৌরজগতের ভিত্র দিয়ে গমন করার সময় পৃথিবীতে উপাত্ত প্রেরণ করে– ভয়েজার -১।
২১. উপাত্ত আর প্রেক্ষাপট মিলে তৈরি হয়— তথ্য (Information)।
২২. তথ্যকে বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায়— জ্ঞান।
২৩. তথ্যের মৌলিক একক হলো- উপাত্ত।
২৪. ৯৮ , ১০০ , ৯৬ এবং ৯৫ হচ্ছে— উপাত্ত।
২৫. Data অর্থ হচ্ছে- উপাত্ত।
২৬. CPU এর পূর্ণরূপ হলো— Central Processing Unit.
২৭. মোবাইল দিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে— ইন্টারনেট।
২৮. এসএমএস , ই - মেইল , চ্যাটিং হচ্ছে— সামাজিক যোগাযোগ।
২৯. মোবাইল ফোনে ব্যবহার করা যায়— ইন্টারনেট।
৩০. নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের প্রিয় বিষয় হলো– কম্পিউটার গেম।
৩১. কম্পিউটারের বাক্সের মতো জিনিসটিকে বলা হয়— সিপিইউ।
৩২. তথ্য ভান্ডার বলা হয়— ইন্টারনেটকে।
৩৩. পূর্বে টেলিভিশনের মতো বড় মনিটর ছিলো– কম্পিউটারের।
৩৪. বর্তমান বিশ্বে অসাধারণ বিপ্লব ঘটার কারণ হচ্ছে— আইসিটি।
৩৫. তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ও বিশ্লেষণ করা হয়- কম্পিউটার দিয়ে।
৩৬. অসাধারণ যন্ত্র হচ্ছে— কম্পিউটার।
৩৭. কম্পিউটারের সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে— স্মার্টফোন।
৩৮. ICT- র পূর্ণনাম- Information and Communication Technology.
৩৯. বাংলাদেশে প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় হয়- ১৯৭০ সালে।
৪০. ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে লোক মারা গিয়েছিল- প্রায় ৫ লক্ষ।
৪১. আইসিটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় – বিজ্ঞান ও গবেষণায়।
৪২. ঘূর্ণিঝড়ের ছবি পাওয়ার মাধ্যম— উপগ্রহ।
৪৩. দূর থেকে টেলিফোন (Telephone) ব্যবহার করে স্বাস্থ্য সেবা দেয়াকে বলা হয়— Telemedicine.
৪৪. আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন— পাটের জিনোম।
৪৫. ই - বুক কে বলা হয় – ইলেকট্রনিক বুক।
৪৬. লেখাপড়ার অসংখ্য চমকপ্রদ বিষয় দেখানো যায়— মাল্টিমিডিয়াতে।
৪৭. কৃষি নিয়ে সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়— ইন্টারনেটে।
৫০. ATM এর পূর্ণনাম- Automated Teller Machine.
৫১. ATM কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্র হচ্ছে- ব্যাংকিং।
৫২. অনলাইনে বেচাকেনা করাকে বলা হয়- ই - কমার্স।
৫৩. সফটকপি বা ই - বুক ভার্সন পাওয়া যায়— এনসিটিবি ওয়েবসাইটে।
৫৪. প্রচার ও গণমাধ্যম বলা হয়- রেডিও , খবরের কাগজ , টেলিভিশনকে।
৫৫. এনসিটিবির ওয়েবসাইট হচ্ছে- www.nctb.gov.bd.
৫৬. এক সেকেন্ডের কার্টুন তৈরি করতে ছবির দরকার হতো— ২৬ টি।
৫৭. বাংলাদেশে প্রতিবছর নতুন বই প্রকাশনার সংখ্যা প্রায়— পঁয়ত্রিশ কোটি।
৫৮. নিরাপত্তা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে মনিটর করতে ব্যবহার হয়— সিসিটিভি।
৫৯. যে দেশ তথ্য সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করে সেই দেশকে বলা হয়— সম্পদশালী দেশ।
৬০. GPS এর পূর্ণরূপ হচ্ছে- Global Positioning System.
৬১. অবস্থানে নির্ণয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়— GPS.
৬২. টাকা তোলার যন্ত্রের নাম— এটিএম বুথ।
৬৩. গাড়ি চালাতে সাহায্য করে— জিপিএস।
৬৪. রোগ নির্ণয়ে ব্যবহার হয়— সিটিস্ক্যান।
৬৫. কাপড় ধোয়ার প্রযুক্তি হলো— ওয়াশিং মেশিন।
৬৬. রান্নার কাজে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হচ্ছে— মাইক্রোওয়েভ।
৬৭. দেশ - বিদেশের খবর পাওয়া যায়— টেলিভিশনে। দ্রুত যোগাযোগের মাধ্যম হলো- মোবাইল।
৬৮. পৃথিবীর সম্পদ হচ্ছে— জ্ঞান (Knowledge)।
১১. যোগাযোগ সহজ করার জন্য ব্যবহার হচ্ছে- অপটিক্যাল ফাইবার।
১২. গ্লোবাল ভিলেজ অর্থ হলো- বৈশ্বিক গ্রাম।
১৩. ICT বাস্তবে রূপদান করার প্রযুক্তি— ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স।
১৪. ডিজিটাল বাংলাদেশ বলতে বোঝায়— আধুনিক বাংলাদেশ।
১৫. তথ্য দেওয়া ও নেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছে— ইনফরমেশান সুপার হাইওয়ে।
১৬. পৃথিবীর আমূল পরিবর্তনে সর্বাধিক অবদান রেখেছে— ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স।
১৭. কম্পিউটারের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার জন্য তৈরি হচ্ছে— সফটওয়্যার।
১৮. ভয়েজার -১ হচ্ছে— মহাকাশ যান।
১৯. পৃথিবীতে বিশাল পরিমাণ উপাত্ত প্রেরণ করে– ভয়েজার -১।
২০. সৌরজগতের ভিত্র দিয়ে গমন করার সময় পৃথিবীতে উপাত্ত প্রেরণ করে– ভয়েজার -১।
২১. উপাত্ত আর প্রেক্ষাপট মিলে তৈরি হয়— তথ্য (Information)।
২২. তথ্যকে বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায়— জ্ঞান।
২৩. তথ্যের মৌলিক একক হলো- উপাত্ত।
২৪. ৯৮ , ১০০ , ৯৬ এবং ৯৫ হচ্ছে— উপাত্ত।
২৫. Data অর্থ হচ্ছে- উপাত্ত।
২৬. CPU এর পূর্ণরূপ হলো— Central Processing Unit.
২৭. মোবাইল দিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে— ইন্টারনেট।
২৮. এসএমএস , ই - মেইল , চ্যাটিং হচ্ছে— সামাজিক যোগাযোগ।
২৯. মোবাইল ফোনে ব্যবহার করা যায়— ইন্টারনেট।
৩০. নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের প্রিয় বিষয় হলো– কম্পিউটার গেম।
৩১. কম্পিউটারের বাক্সের মতো জিনিসটিকে বলা হয়— সিপিইউ।
৩২. তথ্য ভান্ডার বলা হয়— ইন্টারনেটকে।
৩৩. পূর্বে টেলিভিশনের মতো বড় মনিটর ছিলো– কম্পিউটারের।
৩৪. বর্তমান বিশ্বে অসাধারণ বিপ্লব ঘটার কারণ হচ্ছে— আইসিটি।
৩৫. তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ও বিশ্লেষণ করা হয়- কম্পিউটার দিয়ে।
৩৬. অসাধারণ যন্ত্র হচ্ছে— কম্পিউটার।
৩৭. কম্পিউটারের সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে— স্মার্টফোন।
৩৮. ICT- র পূর্ণনাম- Information and Communication Technology.
৩৯. বাংলাদেশে প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় হয়- ১৯৭০ সালে।
৪০. ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে লোক মারা গিয়েছিল- প্রায় ৫ লক্ষ।
৪১. আইসিটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় – বিজ্ঞান ও গবেষণায়।
৪২. ঘূর্ণিঝড়ের ছবি পাওয়ার মাধ্যম— উপগ্রহ।
৪৩. দূর থেকে টেলিফোন (Telephone) ব্যবহার করে স্বাস্থ্য সেবা দেয়াকে বলা হয়— Telemedicine.
৪৪. আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন— পাটের জিনোম।
৪৫. ই - বুক কে বলা হয় – ইলেকট্রনিক বুক।
৪৬. লেখাপড়ার অসংখ্য চমকপ্রদ বিষয় দেখানো যায়— মাল্টিমিডিয়াতে।
৪৭. কৃষি নিয়ে সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়— ইন্টারনেটে।
৫০. ATM এর পূর্ণনাম- Automated Teller Machine.
৫১. ATM কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্র হচ্ছে- ব্যাংকিং।
৫২. অনলাইনে বেচাকেনা করাকে বলা হয়- ই - কমার্স।
৫৩. সফটকপি বা ই - বুক ভার্সন পাওয়া যায়— এনসিটিবি ওয়েবসাইটে।
৫৪. প্রচার ও গণমাধ্যম বলা হয়- রেডিও , খবরের কাগজ , টেলিভিশনকে।
৫৫. এনসিটিবির ওয়েবসাইট হচ্ছে- www.nctb.gov.bd.
৫৬. এক সেকেন্ডের কার্টুন তৈরি করতে ছবির দরকার হতো— ২৬ টি।
৫৭. বাংলাদেশে প্রতিবছর নতুন বই প্রকাশনার সংখ্যা প্রায়— পঁয়ত্রিশ কোটি।
৫৮. নিরাপত্তা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে মনিটর করতে ব্যবহার হয়— সিসিটিভি।
৫৯. যে দেশ তথ্য সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করে সেই দেশকে বলা হয়— সম্পদশালী দেশ।
৬০. GPS এর পূর্ণরূপ হচ্ছে- Global Positioning System.
৬১. অবস্থানে নির্ণয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়— GPS.
৬২. টাকা তোলার যন্ত্রের নাম— এটিএম বুথ।
৬৩. গাড়ি চালাতে সাহায্য করে— জিপিএস।
৬৪. রোগ নির্ণয়ে ব্যবহার হয়— সিটিস্ক্যান।
৬৫. কাপড় ধোয়ার প্রযুক্তি হলো— ওয়াশিং মেশিন।
৬৬. রান্নার কাজে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হচ্ছে— মাইক্রোওয়েভ।
৬৭. দেশ - বিদেশের খবর পাওয়া যায়— টেলিভিশনে। দ্রুত যোগাযোগের মাধ্যম হলো- মোবাইল।
৬৮. পৃথিবীর সম্পদ হচ্ছে— জ্ঞান (Knowledge)।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
১. প্রসেসরের উপর ফ্যান লাগানোর প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: প্রসেসর প্রতি মুহূর্তে লক্ষ কোটি হিসাব-নিকাশ করে বলে প্রসেসরের মধ্যে দিয়ে অনেক বিদ্যুৎ প্রাবহিত হয়। ফলে প্রসেসর এত গরম হয়ে ওঠে যে তাকে আলাদাভাবে ফ্যান দিয়ে ঠাণ্ডা না করলে সেটা জ্বলে পুড়ে যেতে পারে। তাই প্রসেসরের উপরে ফ্যান লাগানো থাকে।
২. প্রসেসরকে কম্পিউটারের ব্রেইন বলা হয় কেন?
উত্তর: কম্পিউটারের কেন্দ্রীয় বা মূল অংশ হলো প্রসেসর। কখন কী করতে হবে, কীভাবে করতে হবে, কোন কাজটি আগে বা পরে করতে হবে ইত্যাদি নির্দেশ প্রসেসর কম্পিউটারকে দিয়ে থাকে। কম্পিউটারের প্রসেসর মেমোরি থেকে তথ্য দেওয়া-নেওয়া করে এবং সেগুলো প্রক্রিয়া করে। এটি প্রতি মুহূর্তে অসংখ্য হিসাব-নিকাশ করে থাকে। প্রসেসর হচ্ছে কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি কম্পিউটারের পরিচালক হিসেবে কাজ করে থাকে। তাই প্রসেসরকে কম্পিউটারের ব্রেইন বলা হয়।
৩. মাদারবোর্ড সম্পর্কে লেখ।
উত্তর: আমরা যদি একটা কম্পিউটারকে খুলে ফেলি তাহলে সাধারণত একটা বোর্ডকে দেখতে পাব যেখানে অসংখ্য ইলেকট্রনিক্স খুঁটিনাটি লাগানো আছে। এই বোর্ডটার নাম মাদারবোর্ড এবং এটি কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোর মধ্যে অন্যতম। মা যেভাবে সবাইকে বুকে আগলে রাখে, এই বোর্ডটাও কম্পিউটারের সবকিছু সেভাবে বুকে আগলে রাখে। তাই এর নাম দেওয়া হয়েছে মাদারবোর্ড। মাদারবোর্ডের সবগুলো ডিভাইসের মাঝে একটা বেশ বড় ডিভাইস থাকে। সেটি হচ্ছে প্রসেসর। প্রসেসর ছাড়াও র্যাম, বিভিন্ন ডিস্ক ড্রাইভ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কার্ড মাদারবোর্ডের সাথে যুক্ত থাকে।
৪. ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে?
উত্তর: যে ডিভাইসগুলো দিয়ে কম্পিউটারে ইনপুট দেওয়া হয় তাদেরকে ইনপুট ডিভাইস বলে। যেমন : কী-বোর্ড, মাউস, স্ক্যানার ইত্যাদি। আর যে সমস্ত ডিভাইসগুলো কম্পিউটারের কাজ শেষ হলে তার ফলাফল প্রদর্শন করে তাদেরকে আউটপুট ডিভাইস বলে। যেমন: মনিটর, প্রিন্টার ইত্যাদি।
৫. গ্লোবাল ভিলেজ বলতে কী বোঝ?
উত্তর: একটা গ্রামে যে রকম একজন মানুষ আরেকজনের সাথে যখন খুশি যোগাযোগ করতে পারে, ঠিক সে রকম তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষের ফলে পুরো পৃথিবীটাই যেন একটা গ্রামে পরিণত হয়েছে। সবাই সবার সাথে যখন খুশি যোগাযোগ করতে পারছে। আর এটা বোঝাবার জন্যেই নতুন একটি শব্দের জন্ম হয়েছে আর তা হলো গ্লোবাল ভিলেজ বা বৈশ্বিক গ্রাম। সত্যিকার অর্থেই আমরা এখন বৈশ্বিক গ্রাম বা গ্লোবাল ভিলেজে বসবাস করছি। কারণ তথ্য ও যোগাযোগে প্রযুক্তি সব মানুষকে বাস্তবে না হলেও ‘কার্যত’ (Virtually) কাছাকাছি নিয়ে এসেছে।
৬. “বাস্তবে পাশাপাশি না থাকলেও কার্যত আমরা সবাই পাশাপাশি”— কথাটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ভার্চুয়ালী পাশাপাশি বলতে আমরা বুঝি সার্বক্ষণিক একজন অন্যজনের সাথে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্সের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারা। তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষের কল্যাণে পৃথিবী যেন আমাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। সমগ্র পৃথিবীটা এখন আমাদের কাছে একটি গ্রামের মতো পরিণত হয়েছে। একটি গ্রামে একজন মানুষ যে রকম অন্যজনের সাথে যখন খুশি যোগাযোগ করতে পারে, ঠিক সেরকম তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে ভার্চুয়ালী জগতের মাধ্যমে পৃথিবীটাও আমাদের কাছে একটি গ্রামের মতো হয়ে উঠেছে। এখন চোখের পলকে মানুষ এক দেশ থেকে আরেক দেশে চিঠি পাঠাতে পারে। চিঠির সাথে ছবি, কথা, ভিডিও সবকিছু পাঠানো সম্ভব। ফলে যোগাযোগ অনেক সহজ হয়েছে। আর এই গ্রামে বাস্তবে পাশাপাশি না হলেও ‘কার্যত’ এখন আমরা সবাই পাশাপাশি।
৭. বর্তমান যুগকে ডিজিটাল যুগ বলা হয় কেন?
উত্তর: বর্তমানে প্রযুক্তি সকল মানুষের হাতে পৌছে গেছে। সর্বস্তরের মানুষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে উপকৃত হচ্ছে। আমাদের দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমেই বেড়ে চলছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি, অপটিক্যাল ফাইবার, ইন্টারনেট ইত্যাদি যোগাযোগ ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়েছে বহুদূর। এতে করে যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সকল ক্ষেত্রে কাজের গতি যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিক তেমনি সকল ক্ষেত্রের কাজগুলো এখন আগের তুলনায় অনেক সহজ হয়ে গেছে। বিশেষ করে এখন শিক্ষা ব্যবস্থায় তথ্য প্রযুক্তির প্রভাব লক্ষ করার মতো। এছাড়া ব্যবসা বাণিজ্য, ব্যাংক-বিমা, সরকারি ও আধা সরকারি সব অফিসেই তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। সারা পৃথিবীটাই মানুষের হাতের মুঠোয় চলে আসতে শুরু করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির জন্য। এসব কারণে বর্তমান যুগকে বলা হচ্ছে ডিজিটাল যুগ।
