সপ্তম শ্রেণি, বাওবি ত্রয়োদশ অধ্যায় (টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট) || Class Seven, BGS Chapter 13 (Sustainable Development Aims)

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন:
১। UNDP- এর পূর্ণরূপ লেখ ।
উত্তর: UNDP- এর পূর্ণরূপ হলো United Nations Development Programme .

২। টেকসই উন্নয়ন কী?
উত্তর:
টেকসই উন্নয়ন হলো ওই ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড যার মাধ্যমে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা নিশ্চিত হয় এবং প্রকৃতিতেও এর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না।

৩. বিশ্বের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক সংস্থার নাম কী?
উত্তর:
বিশ্বের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক সংস্থাটির নাম হলো জাতিসংঘ।

৪। জাতিসংঘ কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর:
জাতিসংঘ ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

৫. জাতিসংঘের মূল উদ্দেশ্য কী?
উত্তর:
জাতিসংঘের মূল উদ্দেশ্য হলো বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।

৬. UNDP কী?
উত্তর:
UNDP হলো জাতিসংঘের একটি অঙ্গ সংস্থা।

৭. MDG- এর পূর্ণরূপ কী?
উত্তর:
MDG এর পূর্ণরূপ হলো Millennium Development Goals.

৮. কোন দেশ এমডিজির বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছে?
উত্তর:
বাংলাদেশ এমডিজির বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছে।

৯. টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টকে ইংরেজিতে কী বলা হয়?
উত্তর:
টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টকে ইংরেজিতে 'Sustainable Development Goals' বলা হয়।

১০. কোনটি সমগ্র বিশ্বের উন্নয়নের স্বার্থে প্রণীত হয়েছে?
উত্তর:
এসডিজি সমগ্র বিশ্বের উন্নয়নের স্বার্থে প্রণীত হয়েছে।

১১. ক্ষুধা ও দারিদ্র্য নির্মূল করা কোন পরিকল্পনার উদ্দেশ্য?
উত্তর:
ক্ষুধা ও দারিদ্র্য নির্মূল করা এসডিজির উদ্দেশ্য।

১২. কোনটির মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে?
উত্তর:
টেকসই কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

১৩. উন্নয়নকে স্থায়ী বা টেকসই করার জন্য জাতিসংঘের কতটি দেশ একমত হয়?
উত্তর:
উন্নয়নকে স্থায়ী বা টেকসই করার জন্য জাতিসংঘের ১৯৩ টি দেশ একমত হয়।

১৪. টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্য কয়টি ?
উত্তর:
টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্য হলো ১৭ টি।

১৫. জাতিসংঘ কত সালে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য ঘোষণা করে?
উত্তর:
জাতিসংঘ ২০০০ সালে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য ঘোষণা করে।

১৬. সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য-এর ইংরেজি কী ?
উত্তর:
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য-এর ইংরেজি হলো Millennium Development Goals.

১৭. এমডিজিতে কয়টি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়?
উত্তর:
এমডিজিতে ৮ টি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।

১৮. জাতিসংঘের ১৯৩ টি সদস্যরাষ্ট্র কত সালের মধ্যে এমডিজির লক্ষ্য বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করে?
উত্তর:
জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্যরাষ্ট্র ২০১৫ সালের মধ্যে এমডিজির লক্ষ্য বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করে।

১৯. এমডিজির মূল বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর:
এমডিজির মূল বৈশিষ্ট্য হলো ক্ষুধা, দারিদ্র্য, বৈষম্য, ব্যাধি ও পরিবেশ বিপর্যয়মুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলা।

২০. কত সালে এমডিজি অর্জনের মেয়াদ শেষ হয়?
উত্তর:
২০১৫ সালে এমডিজি অর্জনের মেয়াদ শেষ হয়।

২১. জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ঘোষণা করে কখন?
উত্তর:
জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ঘোষণা করে ২০১৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর।

২২. কিসের জন্য বিশুদ্ধ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা খুবই জরুরি?
উত্তর:
সুস্বাস্থ্যের জন্য বিশুদ্ধ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা খুবই জরুরি।

২৩. আয়-বৈষম্য হ্রাস করা কিসের অন্যতম লক্ষ্য?
উত্তর:
আয়-বৈষম্য হ্রাস করা এসডিজির অন্যতম লক্ষ্য।

২৪. বাংলাদেশ কত সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের জন্য, কাজ করে যাচ্ছে?
উত্তর:
বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

২৫. পৃথিবীতে উন্নয়ন ও সহযোগিতার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে কিসের মাধ্যমে?
উত্তর:
পৃথিবীতে উন্নয়ন ও সহযোগিতার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে এসডিজির মাধ্যমে।

২৬. টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে কী নিশ্চিত হবে?
উত্তর:
টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে সর্বাধিক মানবকল্যাণ নিশ্চিত হবে।

২৭. এসডিজি কিসের সম্প্রসারিত রূপ?
উত্তর:
এসডিজি এমডিজির সম্প্রসারিত রূপ।

২৮. এমডিজি প্রণীত হয়েছিল কী ধরনের দেশের জন্য?
উত্তর:
এমডিজি প্রণীত হয়েছিল অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের জন্য।

২৯. জাতিসংঘ কী নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ?
উত্তর:
জাতিসংঘ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সবার সম্ভাবনা, মর্যাদা ও সমতা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

৩০. কিসের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে?
উত্তর:
টেকসই কৃষি ব্যবস্থার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

৩১. স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে কেন?
উত্তর: সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে ।

৩২. শিক্ষার মাধ্যমে কী গড়ে ওঠে?
উত্তর:
শিক্ষার মাধ্যমে জ্ঞান , দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে ওঠে।

৩৩. প্রতিটি ক্ষেত্রে কী রক্ষা করা প্রয়োজন?
উত্তর:
প্রতিটি ক্ষেত্রে নারী - পুরুষ সমতা রক্ষা করা প্রয়োজন।

৩৪. সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি কী?
উত্তর:
সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি হলো বিশুদ্ধ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা।

৩৫. অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে কী করতে হবে?
উত্তর:
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে যোগ্যতা অনুযায়ী সকলের জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

৩৬. ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য যে সম্পদ আমাদের রেখে যাওয়ার কথা সেটা আমরা কী করছি?
উত্তর:
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য যে সম্পদ আমাদের রেখে যাওয়ার কথা সেটা আমরা অপচয় করছি।

৩৭. উৎপাদন ও ভোগের মধ্যে ভারসাম্য আনতে না পারলে কী হবে?
উত্তর:
উৎপাদন ও ভোগের মধ্যে ভারসাম্য আনতে না পারলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হুমকির মুখে পড়বে।

৩৮. সাগর-মহাসাগরে কী রয়েছে?
উত্তর:
সাগর-মহাসাগরে সামুদ্রিক প্রাণী, তেল, গ্যাসসহ বহু খনিজ সম্পদ রয়েছে ।

৩৯. Eco system মানে কী?

উত্তর: Eco system মানে হলো বাস্তুতন্ত্র।


অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১। MDG- এর লক্ষ্যগুলো লেখ।
উত্তর: MDG বা Millennium Development Goals হলো সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য। এতে মোট ৮ টি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষণগুলো হচ্ছে-
১. চরম দারিদ্র্য ও ক্ষুধা থেকে মুক্তি,
২. সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা,
৩. সর্বক্ষেত্রে নারী - পুরুষের সমতা এনে নারীর ক্ষমতায়ন,
৪. শিশুমৃত্যু হার কমানো,
৫. মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নয়ন,
৬. এইচআইভি / এইডস, ম্যালেরিয়া ও অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ,
৭. টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করা ও
৮. উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করা।

২। জেন্ডার সমতা বলতে কী বোঝায় ? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: জেন্ডার সমতা বলতে নারী-পুরুষের সমঅধিকারকে বোঝায়। পরিবার, সমাজ, কর্মক্ষেত্রসহ জীবনের সবক্ষেত্রে নারী কর্তৃক পুরুষদের সমপরিমাণ অধিকার ভোগ করাই হচ্ছে জেন্ডার সমতা। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার অর্ধেক হচ্ছে নারী। তাই পুরুষদের পাশাপাশি ' নারীদেরকেও তাদের অধিকার প্রদান করতে হবে। আর নারী - পুরুষের এই সমঅধিকার প্রাপ্তিই হলো জেন্ডার সমতা।

৩। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য বলতে কী বোঝায় ?
উত্তর: জাতিসংঘের অন্যতম সংস্থা ইউএনডিপি কর্তৃক বিশ্বের সকল দেশের সার্বিক উন্নয়নে ২০০০-২০১৫ সাল মেয়াদি যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে তাকেই সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য' বলা হয় । ইংরেজিতে একে বলা হয় Millennium Development Goals (এমডিজি)। আটটি লক্ষ্য নিয়ে এমডিজির কার্যক্রম শুরু হয় এবং তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সফলভাবে সম্পন্ন হয়।

৪ সহস্রাব্দ উন্নয়নের লক্ষ্যগুলো উল্লেখ কর ।
উত্তর: সহস্রাব্দ উন্নয়নের লক্ষ্য হলো আটটি। সেগুলো হলো -
১. চরম দারিদ্র্য ও ক্ষুধা থেকে মুক্তি,
২. সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা,
৩ . সর্বক্ষেত্রে নারী - পুরুষের সমতা এনে নারীর ক্ষমতায়ন,
৪ . শিশুমৃত্যুর হার কমানো,
৫. মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নয়ন,
৬. এইচআইভি এইডস , ম্যালেরিয়া ও অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ ,
৭. টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করা ও
৮. উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করা।

৫. এমডিজির বৈশিষ্ট্যগুলো ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বিশ্বের সার্বিক এবং সর্বজনীন উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০০০ সালে যে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য ঘোষণা করা হয় তার বেশকিছু বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। সব ধরনের দারিদ্র্যের অবসান ঘটিয়ে ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলা এমডিজির লক্ষ্যের অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও বৈষম্য , ব্যাধি ও পরিবেশ বিপর্যয়মুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলাও এমডিজির বৈশিষ্ট্যের মধ্যে পড়ে।

৬. এসডিজি বলতে কী বোঝায় ?
উত্তর: ২০১৫ সালে এমডিজি অর্জনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার জন্য ২০১৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ঘোষণা করে সেটিকেই এসডিজি বলে। এসডিজির পূর্ণরূপ হলো Sustainable Development Goals। এসডিজির মাধ্যমে পৃথিবীতে উন্নয়ন ও সহযোগিতার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।

৭। এসডিজির মাধ্যমে কীভাবে টেকসই উন্নয়ন হবে?
উত্তর: এসডিজিতে ১৭ টি সুনির্দিষ্ট অভীষ্ট নির্ধারণ করা হয়। এ ১৭ টি অভীষ্ট অর্জনে পৃথিবীর সকল দেশ একযোগে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে টেকসই উন্নয়নকে নিশ্চিত করবে। এর মাধ্যমে পৃথিবী যেমন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হবে, তেমনি উৎপাদিত কার্বনের পরিমাণ হ্রাস পেয়ে সকলের জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর জীবনধারণ নিশ্চিত হবে। নারী - পুরুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সকল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবে। নিশ্চিত হবে নারী - পুরুষের সমঅধিকার । এভাবে সকলের অংশগ্রহণে যে উন্নয়ন হবে তা হবে টেকসই উন্নয়ন। এ টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে সর্বাধিক মানবকল্যাণ নিশ্চিত হবে।

৮. এসডিজি ও এমডিজির মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় কর।
উত্তর: এসডিজির পরিধি এমডিজির তুলনায় অনেক বেশি সুনির্দিষ্ট এবং এমডিজির সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করাই হচ্ছে এর লক্ষ্য। এমডিজি প্রণীত হয়েছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূরীকরণের উদ্দেশ্য নিয়ে, আর এসডিজির উদ্দেশ্য হলো এগুলো নির্মূল করা। এমডিজি প্রণীত হয়েছিল অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের জন্য, অন্যদিকে এসডিজি হলো সর্বজনীন। বিশেষ করে এসডিজিতে স্থলজ ও জলজ সম্পদ সংরক্ষণ ও ব্যবহার, সাশ্রয়ী নবায়নযোগ্য জ্বালানি সংরক্ষণ, শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সকলকে সাথে নিয়ে এবং সকলের জন্য সামগ্রিক উন্নয়নসহ বেশকিছু অভীষ্ট গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়েছে।

৯. কীভাবে দারিদ্র্য বিলোপ করে টেকসই উন্নয়ন করা যায়?
উত্তর: পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এখনও কোটি কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। তারা বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। তাই দারিদ্র্য বিলোপে সর্বাগ্রে প্রয়োজন মানুষের মৌলিক অধিকারসমূহ প্রতিষ্ঠা করা। পাশাপাশি সব ধরনের দারিদ্র্যের অবসান করে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায়।

১০. সর্বাধিক মানব কল্যাণ নিশ্চিত হবে কীভাবে?
উত্তর: টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে সর্বাধিক মানব কল্যাণ নিশ্চিত হবে। টেকসই উন্নয়নের যে ধারণা বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত তাতে সুস্পষ্ট যে, এ ধরনের উন্নয়ন কাজে নারী-পুরুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সব কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবে। শুধু তাই নয়, টেকসই উন্নয়নের কাজে সব ধরনের শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেবে। আর যখন সব ধরনের মানুষ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে যুক্ত হবে তখন স্বাভাবিকভাবেই সর্বাধিক মানব কল্যাণ নিশ্চিত হবে।

১১. ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গড়ে তুলতে হবে কেন?
উত্তর: পেটে ক্ষুধা নিয়ে কোনো কাজ করা যায় না। তাই আমাদের ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গড়ে তুলতে হবে। এজন্য পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য নিরাপদ, পুষ্টিকর , পছন্দমাফিক ও প্রয়োজনীয় খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকা প্রয়োজন। তাই টেকসই কৃষি ব্যবস্থার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলে ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলা যাবে।

১২. টেকসই উন্নয়নে গুণগত শিক্ষার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: শিক্ষার মাধ্যমে জ্ঞান, দক্ষতা ও উন্নত দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে ওঠে। শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ যেকোনো পরিবেশে খাপ খাওয়ানোর কৌশল অর্জন করে। সকলের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং জীবনব্যাপী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে পারলে তা টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাই টেকসই উন্নয়নে গুণগত শিক্ষার বিকল্প নেই।

১৩. বিশুদ্ধ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা জরুরি কেন? 
উত্তর: সুস্বাস্থ্যের জন্য বিশুদ্ধ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা খুবই জরুরি। কারণ এগুলোর সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবেই নানা সংক্রামক ব্যাধি আমাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। এজন্য প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত পানি সংরক্ষণ, শোধন ও পুনর্ব্যবহার এবং দেশীয় পদ্ধতিতে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যগত অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে।

১৪. সাশ্রয়ী ও দূষণমুক্ত জ্বালানির সাথে টেকসই উন্নয়নের সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: সাশ্রয়ী নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে প্রাধান্য দিয়ে দূষণমুক্ত জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিত করা না গেলে টেকসই উন্নয়ন অসম্ভব। এ কারণে সাশ্রয়ী ও দূষণমুক্ত জ্বালানির সাথে টেকসই উন্নয়নের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। গোবর, কচুরিপানা ও গৃহস্থালির জলীয়জাত আবর্জনা এবং সৌরশক্তি ইত্যাদি ব্যবহার করে সাশ্রয়ী নবায়নযোগ্য জ্বালানি তৈরি করা যায়।

১৫. উৎপাদন ও ভোগের মধ্যে ভারসাম্য আনতে হবে কেন?
উত্তর: ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য যে সম্পদ আমাদের রেখে যাওয়ার কথা সেটা আমরা অপচয় করছি। তাই উৎপাদন ও ভোগের মধ্যে ভারসাম্য আনতে না পারলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হুমকির মুখে পড়বে। এজন্য বিদ্যুৎ, পানি ও জ্বালানি এবং সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের ব্যবহারে সাশ্রয়ী হলে উৎপাদন ও ভোগের মধ্যে ভারসাম্য আনয়ন করা যাবে।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url