সপ্তম শ্রেণি, বাওবি দশম অধ্যায় (বাংলাদেশের সামাজিক সমস্যা) || Class Seven, BGS Chapter 10 (Social problems of Bangladesh)
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন:
১. যৌতুক কী?
উত্তর: বিয়ের সময় বর বা কনে বিপরীত পক্ষের কাছ থেকে যে অর্থ বা সম্পত্তি দাবি করে ও গ্রহণ করে তাকেই যৌতুক বলা হয়।
২. সামাজিক সমস্যার ফলে কী বাধাগ্রস্ত হয়?
উত্তর: সামাজিক সমস্যার ফলে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়।
৩. বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন কত সালে হয়?
উত্তর: বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন হয় ১৯২৯ সালে।
উত্তর: বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন হয় ১৯২৯ সালে।
৪. কুসংস্কার বাংলাদেশের কোন ধরনের সমস্যা?
উত্তর: কুসংস্কার বাংলাদেশের সামাজিক সমস্যা।
উত্তর: কুসংস্কার বাংলাদেশের সামাজিক সমস্যা।
৫. সামাজিক সমস্যার ফলে কী বাধাগ্রস্ত হয়?
উত্তর: সামাজিক সমস্যার ফলে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক -উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়।
উত্তর: সামাজিক সমস্যার ফলে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক -উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়।
৬. কোন সামাজিক সমস্যা প্রাচীন প্রথা হিসেবে পরিচিত?
উত্তর: যৌতুক প্রথা প্রাচীন প্রথা হিসেবে পরিচিত।
৭. কত সালে বাংলাদেশে যৌতুকনিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়?
উত্তর: ১৯৮০ সালে বাংলাদেশে যৌতুক নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়।
উত্তর: ১৯৮০ সালে বাংলাদেশে যৌতুক নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়।
৮. কত সালে বাংলাদেশে যৌতুক নিরোধ আইন সংশোধন করা হয়?
উত্তর: ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশে যৌতুক নিরোধ আইন সংশোধন করা হয়।
উত্তর: ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশে যৌতুক নিরোধ আইন সংশোধন করা হয়।
৯. কত সালে যৌতুক নিরোধ আইন সংশোধন করা হয়েছে?
উত্তর: ১৯৮৬ সালে যৌতুক নিরোধ আইন সংশোধন করা হয়েছে।
উত্তর: ১৯৮৬ সালে যৌতুক নিরোধ আইন সংশোধন করা হয়েছে।
১০. ১৯৮৬ সালের যৌতুক নিরোধ সংশোধিত আইনে যৌতুকের জন্য কী শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে?
উত্তর: ১৯৮৬ সালের সংশোধিত আইনে যৌতুক প্রদান বা গ্রহণ করলে অপরাধীর সর্বনিম্ন ১ বছর এবং সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড হবে।
উত্তর: ১৯৮৬ সালের সংশোধিত আইনে যৌতুক প্রদান বা গ্রহণ করলে অপরাধীর সর্বনিম্ন ১ বছর এবং সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড হবে।
১১. কোথায় যৌতুক গ্রহণকে সামাজিক মর্যাদা হিসেবে দেখা হতো?
উত্তর: এথেন্সে যৌতুক গ্রহণকে সামাজিক মর্যাদা হিসেবে দেখা হতো।
উত্তর: এথেন্সে যৌতুক গ্রহণকে সামাজিক মর্যাদা হিসেবে দেখা হতো।
১২. বিয়ের সময় কত টাকা পর্যন্ত উপহার দিলে তা যৌতুক হিসেবে গণ্য হবে না?
উত্তর: বিয়ের সময় ৫০০ টাকা পর্যন্ত উপহার দিলে তা যৌতুক হিসেবে গণ্য হবে না।
উত্তর: বিয়ের সময় ৫০০ টাকা পর্যন্ত উপহার দিলে তা যৌতুক হিসেবে গণ্য হবে না।
১৩. মুসলিম পারিবারিক আইনে কোনটিকে যৌতুক হিসেবে গণ্য করা হয় না?
উত্তর: মুসলিম পারিবারিক আইনে মোহরানাকে যৌতুক হিসেবে গণ্য করা হয় না।
উত্তর: মুসলিম পারিবারিক আইনে মোহরানাকে যৌতুক হিসেবে গণ্য করা হয় না।
১৪. বাংলাদেশে ছেলে ও মেয়ের বিয়ের বয়স কত?
উত্তর: বাংলাদেশে ছেলের বিয়ের বয়স ২১ বছর এবং মেয়ের বিয়ের বয়স ১৮ বছর।
উত্তর: বাংলাদেশে ছেলের বিয়ের বয়স ২১ বছর এবং মেয়ের বিয়ের বয়স ১৮ বছর।
১৫. কোথায় বিয়ের পর কনে স্বামীর ঘরে নিয়ে যেত অর্থ সম্পত্তি?
উত্তর: এথেন্সে বিয়ের পর কনে স্বামীর ঘরে নিয়ে যেত অর্ধসম্পত্তি।
উত্তর: এথেন্সে বিয়ের পর কনে স্বামীর ঘরে নিয়ে যেত অর্ধসম্পত্তি।
১৬. প্রাচীন চীনে যৌতুক প্রথা কেমন ছিল ?
উত্তর : প্রাচীন চীনে বিয়ের পর কনে স্বামীর ঘরে যৌতুক সঙ্গে নিয়ে যেত।
উত্তর : প্রাচীন চীনে বিয়ের পর কনে স্বামীর ঘরে যৌতুক সঙ্গে নিয়ে যেত।
১৭. মুসলিম পারিবারিক আইনে কোনটিকে যৌতুক হিসেবে গণ্য করা হয় না?
উত্তর: মুসলিম পারিবারিক আইনে মোহরানাকে যৌতুক হিসেবে গণ্য করা হয় না।
উত্তর: মুসলিম পারিবারিক আইনে মোহরানাকে যৌতুক হিসেবে গণ্য করা হয় না।
১৮. বিবাহিত নারীর প্রতি অত্যাচার ও সহিংসতার মূল কারণ কী?
উত্তর: বিবাহিত নারীর প্রতি অত্যাচার ও সহিংসতার মূল কারণ যৌতুক।
উত্তর: বিবাহিত নারীর প্রতি অত্যাচার ও সহিংসতার মূল কারণ যৌতুক।
১৯. সামাজিক আন্দোলন কী?
উত্তর: সামাজিক আন্দোলন হচ্ছে সংগঠিত সামাজিক প্রতিরোধ।
উত্তর: সামাজিক আন্দোলন হচ্ছে সংগঠিত সামাজিক প্রতিরোধ।
২০. বাল্যবিবাহ কাকে বলে?
উত্তর: যে বিয়েতে বর কনে উভয়ই শিশু বা বর ও কনের মধ্যে যেকোনো একজন শিশু সে বিয়েকে বাল্যবিবাহ বলে।
উত্তর: যে বিয়েতে বর কনে উভয়ই শিশু বা বর ও কনের মধ্যে যেকোনো একজন শিশু সে বিয়েকে বাল্যবিবাহ বলে।
২১. বিয়ের ক্ষেত্রে ছেলেদের ন্যূনতম বয়স কত?
উত্তর: বিয়ের ক্ষেত্রে ছেলেদের ন্যূনতম বয়স ২১ বছর।
উত্তর: বিয়ের ক্ষেত্রে ছেলেদের ন্যূনতম বয়স ২১ বছর।
২২. বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়েদের ন্যূনতম বয়স কত?
উত্তর: বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়েদের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর।
উত্তর: বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়েদের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর।
২৩. বাল্যবিবাহের প্রধান কারণ কী?
উত্তর: বাল্যবিবাহের প্রধান কারণ দারিদ্র্য।
উত্তর: বাল্যবিবাহের প্রধান কারণ দারিদ্র্য।
২৪. দরিদ্র পিতা কেন তার মেয়েকে কম বয়সে বিয়ে দেয়?
উত্তর: জীবনযাপনের ব্যয়ভার বহন করতে পারে না বলে।
উত্তর: জীবনযাপনের ব্যয়ভার বহন করতে পারে না বলে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১. যৌতুক একটি প্রাচীন প্রথা , বুঝিয়ে বল।
উত্তর: যৌতুককে একটি প্রাচীন প্রথা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ প্রাচীন চীনে বিয়ের পর কনে স্বামীর ঘরে যৌতুক সঙ্গে নিয়ে যেত। এথেন্সেও বিয়ের পর কনে স্বামীর ঘরে নিয়ে যেত অর্থসম্পত্তি। সেখানে যৌতুক গ্রহণকে সামাজিক মর্যাদা থেকে দেখা হতো। কিন্তু বর্তমানে যৌতুক আর প্রথা নয় বরং তা কুপ্রথায় পরিণত হয়েছে।
২. সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা কীভাবে বাল্যবিবাহের জন্য দায়ী?
উত্তর: সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার কারণে অনেক মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হয় অল্প বয়সে। বিশেষ করে সুন্দরী মেয়ে হলে চারদিকে বখাটেদের উৎপাতে অতিষ্ট হয়ে অনেক বাবা-মা মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেন বখাটেদের উৎপাত থেকে রক্ষার জন্য। তাছাড়া অনেক বাবা - মা এ নিয়ে শঙ্কায় ভুগতে থাকেন। আবার ভালো পাত্র পেলে অনেক বাবা মা তা হাতছাড়া করতে চান না। যার কারণে তারা মেয়েকে অল্প বয়সেই বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগেন। তাই বলা যায়, সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা বাল্যবিবাহের একটি অন্যতম প্রধান কারণ।
৩. যৌতুক বিরোধী সামাজিক আন্দোলন কীভাবে গড়ে তোলা যায়?
উত্তর: অশিক্ষা, নারী নির্যাতন , নারী অপহরণ ও বিবাহ বিচ্ছেদ— এসব ঘটনা আমাদের চারপাশে প্রতিদিন ঘটে চলেছে । এসব ঘটনার অধিকাংশের পিছনে রয়েছে যৌতুকের দাবি । আমাদের প্রতিবেশী এবং পাড়া - মহল্লা - গ্রামের মানুষকে যৌতুকের কুফল সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে হবে। এ কুপ্রথা প্রতিরোধ করার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাতে হবে । সমাজের সব মানুষের মধ্যে সৃষ্টি করতে হবে যৌতুকবিরোধী মনোভাব । এভাবে যৌতুক বিরোধী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা যায়।
৪. বাংলাদেশে যৌতুকের কুফল ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বিবাহিত নারীর প্রতি অত্যাচার ও সহিংসতার মূল কারণ হচ্ছে যৌতুক। যৌতুকের কারণে স্ত্রীকে নানামুখী নির্যাতন সহ্য করতে হয়। এমনকি কখনো কখনো যৌতুককে কেন্দ্র করে স্ত্রীর প্রাণহানি পর্যন্ত ঘটে থাকে।
উত্তর: বিবাহিত নারীর প্রতি অত্যাচার ও সহিংসতার মূল কারণ হচ্ছে যৌতুক। যৌতুকের কারণে স্ত্রীকে নানামুখী নির্যাতন সহ্য করতে হয়। এমনকি কখনো কখনো যৌতুককে কেন্দ্র করে স্ত্রীর প্রাণহানি পর্যন্ত ঘটে থাকে।
৫. যৌতুকবিরোধী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন কেন?
উত্তর: যৌতুকবিরোধী সামাজিক আন্দোলনই পারে যৌতুকের এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে। সবার সহযোগিতায় একটি সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। যার মূলমন্ত্র হবে নির্যাতিত অসহায় মানুষের সাহায্য করা এবং সব ধরনের আইনি পরামর্শ দেওয়া। তাছাড়াও এই সংগঠন যৌতুকবিরোধী সভা, পথযাত্রা এবং র্যালির মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করতে পারে। এতে করে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হবে এবং যৌতুকের ভয়াবহ থাবা থেকে সমাজকে মুক্ত করা সম্ভব হবে।
৬. যৌতুক থেকে কীভাবে মুক্তি পাওয়া যায়?
উত্তর: যথাযথ আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে যৌতুক থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ১৯৮০ সালে যৌতুক বন্ধ করার জন্য যৌতুক নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এ আইন অনুযায়ী যৌতুক প্রদান বা গ্রহণ করলে সর্বোচ্চ ১ বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করতে পারেন। আবার ১৯৮৬ সালের যৌতুক নিরোধ আইন সংশোধন করে বলা হয়েছে, যৌতুক গ্রহণ বা প্রদান করলে সর্বনিম্ন এক বছর ও সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে।
৭. যৌতুক প্রথাকে সামাজিক কুপ্রথা বলা হয় কেন?
উত্তর: আমাদের দেশের নানা সামাজিক সমস্যার অন্যতম হচ্ছে যৌতুক প্রথা। এটি একটি অমানবিক ও অত্যন্ত বেদনাদায়ক সমস্যা। এদেশের বিবাহসংক্রান্ত আইনে যৌতুক আদান প্রদান নিষিদ্ধ হলেও অধিকাংশ বিয়েতে বরপক্ষ কনেপক্ষের কাছ থেকে যৌতুক গ্রহণ করে। এর নানাবিধ নেতিবাচক দিক থাকা সত্ত্বেও এ প্রথা বিলুপ্ত হচ্ছে না। এ কারণে তাই এটি একটি সামাজিক কুপ্রথায় পরিণত হয়েছে।
৮. বিয়েতে উপহার গ্রহণের সীমা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: মুসলিম পারিবারিক আইনে বিয়ের মোহরানাকে যৌতুক হিসেবে গণ্য করা হয় না। তাছাড়া বিয়েতে যৎসামান্য উপহারও যৌতুক বলে গণ্য হবে না । তবে এ উপহারের পরিমাণ হবে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা পর্যন্ত।
৯. ১৯৮০ সালের যৌতুক নিরোধ আইন বর্ণনা কর।
উত্তর: বাংলাদেশ সরকার ১৯৮০ সালে যৌতুক নিরোধ আইন প্রণয়ন করে। এ আইন অনুযায়ী যৌতুক প্রদান বা গ্রহণ করলে সর্ব্বোচ্চ ১ বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড হতে পারে। বিচারক অপরাধীকে একসঙ্গে উভয় দণ্ড দিতে পারেন। যৌতুক আদান-প্রদানে সহায়তাকারীও একই শাস্তি পাবে।
১০. সংশোধিত যৌতুক নিরোধ আইন বর্ণনা কর।
উত্তর: ১৯৮৬ সালে যৌতুক নিরোধ আইন সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধিত আইন অনুযায়ী যৌতুক প্রদান বা গ্রহণ করলে অপরাধী সর্বনিম্ন ১ বছর এবং সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে।
১১. দেনমোহর বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: ইসলাম ধর্মের রীতি অনুযায়ী দেনমোহর হলো বিয়ের সময় স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে প্রদেয় নগদ অর্থ কিংবা অলঙ্কার কিংবা অন্যকোনো সম্পদ । দেনমোহর বিয়ের সময় নির্ধারণ করে নিতে হয় । এটি সাধারণত কনের পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থান অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়ে থাকে । দেনমোহর স্ত্রীর নিজস্ব সম্পদ। এতে অন্য কারও কোনো অধিকার নেই ।
১২. বাল্যবিবাহ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: যে ছেলেমেয়ের মধ্যে বিয়ে হয় তাদের মধ্যে যদি ছেলের বয়স ২১ বছর এবং মেয়ের বয়স ১৮ বছরের কম হয় অর্থাৎ বিয়ের জন্য আইন অনুমোদিত বয়সের চেয়ে উভয়ই যদি কম বয়সী হয় তাহলে সে বিয়েকে বাল্যবিবাহ বলে । শুধু ছেলের বয়স ২১ বছরের কম বা শুধু মেয়ের বয়স ১৮ বছরের কম হলে সে বিবাহ ও বাল্যবিবাহ বলে গণ্য হবে।
১৩. বাল্যবিবাহের কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বাল্যবিবাহের বহুবিধ কারণ রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান কারণ হচ্ছে দারিদ্র্য। দরিদ্র পিতা তার কন্যা সন্তানের জীবনযাপনের ব্যয়ভার বহন করতে না পেরে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেয়। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক কারণে বাল্যবিবাহের প্রবণতা দেখা যায়। যেমন- বখাটেদের উৎপাত থেকে রক্ষা পেতেও কম বয়সে বিয়ে দেওয়া হয়। বাল্যবিবাহের অন্যতম আরেকটি কারণ যৌতুক। যৌতুকের লোভে ছেলের বাবারা কিশোরী মেয়েকে বউ হিসেবে গ্রহণ করে।
১৪. বাল্যবিবাহের প্রভাব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বাল্যবিবাহের ফলে ছেলেমেয়েদের মানসিক ও শারীরিক পরিপক্বতা আসার পূর্বেই বাবা-মা হয়ে যায়। এতে দেখা যায় কিশোরী মেয়েটি শারীরিক পুষ্টিহীনতার স্বীকার হয়ে দুর্বল ও পুষ্টিহীন শিশুর জন্ম দেয়। মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পায়। অনেক ক্ষেত্রে বিবাহ বিচ্ছেদ হতে পারে।
১৫. বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে করণীয় ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বাল্যবিবাহ রোধের জন্য অন্যতম প্রধান উপায় হলো সচেতনতা। সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে কিশোর-কিশোরীদের উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। বাল্যবিবাহ একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ— এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন করতে হবে। ছেলেমেয়ে প্রত্যেককেই আত্মনির্ভরশীল হতে হবে। একটি আত্মনির্ভরশীল জাতি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।