অসহযোগ আন্দোলন কেন শুরু হয়? || Asahayog andolan keno suru haẏ?

অসহযোগ আন্দোলন কি?

অসহযোগ আন্দোলন হলো এমন একটি আন্দোলন যেখানে লোকজন সরকার বা অন্য কোনো সংস্থা বা ব্যক্তির সাথে সহযোগিতা করতে অসমর্থ থাকে। এই ধরনের আন্দোলনে লোকজন মূলত প্রতিষ্ঠান, নীতি, বা কোনো নির্দিষ্ট কারণে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি করে এবং তাদের আইনতান্ত্রিক অধিকার বা অধিকারবহির্ভুক্তি নয়। অসহযোগ আন্দোলনে সাধারিতভাবে অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক অস্তরের আদালতে প্রতিবাদ জানাতে, ধর্মগুলির কাছে শাস্তি চাওয়ার জন্য লোকজনের একগুচ্ছ প্রচুর প্রতিস্থান নেয়। অসহযোগ আন্দোলনে অবশ্যই একটি কারণ থাকতে হয়, এটি যেন একটি নীতিশীল অথবা আইনিক বা সমাজের কোন সমস্যা সম্পর্কে হোক।

অসহযোগ আন্দোলনের কারণ কী?

অসহযোগ আন্দোলনের কারণ বিভিন্ন হতে পারে। একটি সামাজিক বা রাজনৈতিক প্রস্তুতির অভাব, সরকারের অসহযোগ বা সামাজিক ন্যায়ের অভাব, পরিবেশের অবস্থানের অসুবিধা, বা একটি বিশেষ কারণের জন্য অসন্তোষ অনুভব হতে পারে।
অসহযোগ আন্দোলনের একটি মৌলিক কারণ হলো সামাজিক অসমতা এবং অযথা বিভাজন। এটি হতে পারে আর্থিক, সামাজিক, বা রাজনৈতিক সময়ের অসমতা থেকে উদ্ভূত হতে পারে। সমাজের এক বা একাধিক শ্রেণির মধ্যে অসমতা অনুভব করা, যেটি যদি প্রবৃদ্ধি না করে বা বৃদ্ধি না করে তাহলে অসহযোগ আন্দোলন উত্তীর্ণ হতে পারে।

এটার পাশাপাশি, সরকারের দিকে থেকে নিষ্কলঙ্ক অথবা ভয়ানক নীতি, কোনও সময়ে বা ক্ষণে আসতে পারে, এবং তা সমাজে আগ্রহ উত্তীর্ণ করতে পারে। অত্র অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম কারণ এ হতে পারে এই নীতির বিরুদ্ধে তাদের স্বতন্ত্র মন্তব্য এবং অধিকারের অভাব অনুভব করা।
একে অপরকে অসহযোগ আন্দোলনে সহযোগিতা অনুরোধ করতে সহায়ক করা হতে পারে এবং এটি বিশেষভাবে একটি সক্ষম এবং শক্তিশালী আন্দোলন তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে।

অসহযোগ আন্দোলনের উদ্দেশ্য কি?

অসহযোগ আন্দোলনের উদ্দেশ্য হলো সরকারের বিরুদ্ধে বা কোনও অসুবিধা বা অবস্থা বিষয়ক আগ্রহের সাথে ব্যক্তিবর্গ বা সম্প্রদায়ের একত্রিত আবাধ সহযোগিতা দেওয়ার জন্য চালিত হয়। এই ধরনের আন্দোলনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো সামাজিক বা রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান করা এবং একইসঙ্গে লোকদের একত্রিত ভাবে তাদের অধিকার ও মানবাধিকার প্রতি সচেতন করা।
এই ধরনের আন্দোলন অধিকাংশই শান্তিপূর্ণ ও গাড়িহত্যা ছাড়া সমাজের মধ্যে সহযোগিতা ও একত্রিত ভাবে প্রতিস্থাপনের কাজ করতে চেষ্টা করে।

অসহযোগ আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য
অসহযোগ আন্দোলনের বৈশিষ্ট্যগুলি হলো:
1. সংস্থা অভাগগ্রহণ: অসহযোগ আন্দোলনের ক্ষেত্রে অনেকসময় সংস্থা করা থাকে না বা সংস্থা এবং অন্যান্য আন্দোলনকে একত্রিত হতে পারে না।
2. আপাতকালীন কার্যক্রম: এই ধরনের আন্দোলনে আপাতকালীন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়, যা যাতে দ্রুত ফলাফল দেখার লক্ষ্যে থাকে।
3.পোষ্ট-মডার্ন অমুক সংগঠন: অসহযোগ আন্দোলন সাধারণভাবে পোষ্ট-মডার্ন অমুক সংগঠন হয়, অর্থাৎ এটি অমুক সংগঠনের অনুকরণ করে নতুন সংগঠন তৈরি করে না।
4. অবৈচারিক স্বরূপ: অসহযোগ আন্দোলন সাধারণভাবে অবৈচারিক স্বরূপে থাকে এবং অধিকাংশই শাসনপ্রতি অভিযোগ করে।
5. বিস্তারিত আদৃশ্য: এই আন্দোলনের লক্ষ্য বা আদৃশ্য অসহযোগ হওয়া সহজবোধ্য নয়, অনেকসময় এটি অস্পষ্ট থাকে বা বিস্তারিত নির্দেশ করা হয়নি।
6. বিশিষ্ট নেতৃত্ব: অসহযোগ আন্দোলনে সাধারণভাবে একজন বিশিষ্ট নেতা থাকে না বা একজন নেতার উপস্থিতিতে আন্দোলনটি চলতে থাকে না।
7. সামাজিক বিপ্লবে অধীন: এই ধরনের আন্দোলন সাধারণভাবে সামাজিক বিপ্লবের অধীনে হয়, তার লক্ষ্য হয়তো একটি পরিস্থিতির প্রতি প্রতিসাদ হিসেবে বুঝানো।

অসহযোগ আন্দোলনের পটভূমি

"অসহযোগ আন্দোলনের পটভূমি" এটি একটি বহুসংখ্যাত্মক অভিযান বা আন্দোলনের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে আমি আপনার সম্মতি বা অসম্মতি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকছি না। আমি এই বিষয়ে কোনও ব্যাক্তিগত মতামত বা স্বদেশী অবস্থান প্রকাশ করতে প্রস্তুত নই। তবে, আমি যদি আপনাকে এই আন্দোলন বা প্রতিবাদের সম্পর্কে কিছু বৃত্তান্ত বা বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করতে পারি, তাদের জন্য আপনার একাধিক আগ্রহ প্রদান করতে পারি।

অসহযোগ আন্দোলনের ভূমিকা

অসহযোগ আন্দোলন একটি সমাজতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন, যা অসহযোগ বা সহায়হীনতা মোকাবিলা করার লক্ষ্যে প্রবৃদ্ধি করে। এই ধারাবাহিক আন্দোলনগুলির মূল উদ্দেশ্য হ'ল সামাজিক অসমানতা, অদলিক মৌলিক অধিকার অস্বীকৃত করা, সরকারের অস্বতন্ত্রতা ও কর্মক্ষমতা বিরোধ করা, এবং ব্যক্তিগত এবং সামাজিক ন্যায়ের জন্য লড়ানো।এই ধরাবাহিক আন্দোলনগুলি সামাজিক পরিবর্তনের দিকে মোকাবিলা করতে পারে এবং অধিকার ও মৌলিক সমর্থন চায়ে। এটি সামাজিক ন্যায়, সামাজিক সমানতা, এবং মানবাধিকার উন্নত করতে লড়ায় এবং অধিকার ও সমাজতন্ত্র নির্মাণের দিকে অগ্রগতি করতে চায়।এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে লোকবল সামাজিক পরিবর্তনের দিকে দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং সরকারের প্রতি অসন্মান বা অসন্মতির প্রতি বিস্মিত হতে পারে। এটি একটি পৌরাণিক উদাহরণ, যেমন গান্ধীবাদী আন্দোলন, বেলেজিয়াম নাগরিক অসহযোগ আন্দোলন, ভোগানী আন্দোলন ইত্যাদি রয়েছে।

অসহযোগ আন্দোলন কেন শুরু হয়?

অসহযোগ আন্দোলন বা অসহায়তা বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হতে পারে একাধিক কারণের সমন্বয়ে। এই কারণগুলির মধ্যে কিছু হতে পারে:
১. সরকারের অসতন্ত্র বা অস্বাভাবিক নীতি বা কার্যক্রম:সরকারের নীতি বা কার্যক্রম যদি মানুষের সাধারণ সুবিধা ও সুস্থিতির দিকে অবগতি করে না এবং এটি অসতন্ত্রভাবে বা অস্বাভাবিকভাবে প্রচুর অসুবিধা তৈরি করতে লাগে, তবে মানুষের মধ্যে অসহযোগ আন্দোলনের সৃষ্টি হতে পারে।

২. সামাজিক অসমানতা বা অবিচ্ছিন্নতা:যদি সমাজে বা সমাজের নিয়ন্ত্রণে কিংবা বিভাজনে অসমানতা ও অবিচ্ছিন্নতা দেখা যায়, তাতে ব্যক্তিগুলির মধ্যে অসহযোগ ভাবনা উদ্ভাবন হতে পারে।

৩. বৃদ্ধি ও কর্মশীলতা অভাব:একটি সুস্থ সমাজের জন্য বৃদ্ধি ও কর্মশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি কোনও কারণে এই দুটি অভাব হয়, তবে সামাজিক অসহযোগ আন্দোলন হতে পারে।
এই সমস্যার সমাধানের জন্য অসহযোগ আন্দোলন একটি প্রযোজ্যমূলক মাধ্যম হতে পারে, যাতে সমাজের মধ্যে সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তন সাধন করা হতে পারে।

১৯৭১ সালের অসহযোগ আন্দোলন বলতে কি বুঝায়?

১৯৭১ সালের অসহযোগ আন্দোলনের প্রস্তুতি ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের মুক্তির দিকে একটি সূচনা দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। ১৯৭১ সালে, পাকিস্তান সামরিক শাসনের একটি দুর্নীতি ও উপদ্রবদশক্তি ছিল, এবং বাঙালি জাতির মধ্যে উত্তরাধিকার ও ভাষার অধিকার অস্বীকৃত হয়েছিল। বাঙালি জনগণ এই অসহযোগ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে চায়। তাই ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের মুক্তির দিকে একটি সামরিক ও আন্দোলন চালানো হয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে ভারতীয় সেনা ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায় এবং বাংলাদেশের মুক্তির লড়াইয়ে সাহায্য করে। এই আন্দোলনের ফলে পাকিস্তান সেনার হারের পর ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে ঘোষণা করে।
অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি জনগণ তাদের স্বাধীনতা ও অধিকারের জন্য লড়ে, যা চূড়ান্তভাবে বাংলাদেশের মুক্তির উদ্দীপনা করে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url