ব্যক্তি জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার || Use of ict in personal life

  ১ . ব্যক্তি জীবনে আইসিটির ব্যবহার লেখো।
উত্তর : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কোনো না কোনো ভাবে সহায়তা করছে । নিম্নে কয়েকটি ব্যবহার দেওয়া হলো: 
১. মোবাইলের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে যোগাযোগ করা যায়। 
২. ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘরে বসেই পাবলিক পরীক্ষার আবেদন ও ফলাফল জানা যায়। 
৩. জিপিএস ব্যবহার করে অজানা গন্তব্যে সহজে পৌঁছানো যায়। 
৪. ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই পণ্যের অর্ডার করা যায়। 
৫. ই - মেইল করে দ্রুতগতিতে যেকোনো জায়গায় চিঠি পাঠানো যায়। 
৬. ইন্টারনেট শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধান করা যায়।

২. Mobile  phone কে বুদ্ধিমান যন্ত্র বলার কারণ বর্ণনা করো।
উত্তর :
 মোবাইল টেলিফোনকে বুদ্ধিমান যন্ত্র বলার কারণ হলো এটিতে কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা সম্পর্কিত প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করে মানুষের ন্যায় কাজ করানো যায়। এমন অনেক গেম রয়েছে যেগুলো মোবাইলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে খেলা যায় , এক্ষেত্রে কোনো প্রতিপক্ষ দরকার হয় না। বর্তমানে মোবাইল টেলিফোনের মাধ্যমে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে অনায়াসে ভিডিও কলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যায়। এছাড়াও এটির মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন , গান শোনা, ছবি তোলা , ভিডিও করা , খুঁদে বার্তা পাঠানোসহ বিভিন্ন কাজ করা যায়। প্রতিনিয়ত এর উন্নতির ফলে কম্পিউটারের এমন অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো মোবাইল। টেলিফোনের মাধ্যমে সহজে করা যায়। এ জন্যই মোবাইল টেলিফোনকে একটি বুদ্ধিমান যন্ত্র বলা হয়।

৩. জিপিএস বলতে কী বুঝ? সংক্ষেপে বর্ণনা করো।
 উত্তর:
 জিপিএস - এর পূর্ণনাম হচ্ছে Global Positioning System নিখুঁতভাবে পৃথিবীর কোনো স্থানের অবস্থান সম্পর্কে জানতে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় তার নাম জিপিএস। আজকাল নতুন সব গাড়িতেই জিপিএস লাগানো থাকে। ফলে কেউ যদি পথঘাট চিনতে না পারে তাহলে সে জিপিএস এ নির্দিষ্ট জায়গার ম্যাপকে জুড়ে দিতে পারলেই সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারবে। জিপিএস এই কাজটি করে কৃত্রিম উপগ্রহ এর সাহায্যে। পৃথিবীকে ঘিরে অনেক উপগ্রহ ঘুরছে। তারা পৃথিবীতে সংকেত পাঠায়, জিপিএস সেই সংকেতকে কাজে লাগিয়ে গন্তব্যস্থান বা জায়গার লোকেশন বের করে। 

৪ . বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ সম্পর্কে লেখো। 
উত্তর:
 বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ হলো বাংলাদেশের প্রথম জিও - স্টেশনারি স্যাটেলাইট। এটি পৃথিবী থেকে ৩৬,০০০ কিলোমিটার উপরে অবস্থান করে বলেই একে জিও স্টেশনারি স্যাটেলাইট বলা হয়। ১২ মে ২০১৮ তারিখে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ কে যুক্তরাষ্ট্রের কেনেডি মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। এভাবেই নিজস্ব স্যাটেলাইটের অধিকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ পৃথিবীর ৫৭ তম দেশ হিসেবে গৌরব অর্জন করে।
ব্যক্তি জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার

৫. "E-book reader"  বলতে কী বোঝ? 
উত্তর : 
ইলেকট্রনিক বুক রিডার এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে ই - বুক রিডার। সাধারণ ই - বুক হচ্ছে ছবি ও লেখা সমৃদ্ধ একটি ডিজিটাল সিস্টেম বা সফটওয়্যার যেটি কম্পিউটার বা অন্যান্য ডিভাইস দিয়ে পড়া যায়। ই বুক রিডারে সহস্রাধিক বই ডাউনলোড করে রাখা যায়। পরবর্তীতে ইচ্ছানুযায়ী যে কোনো বই ওপেন করে সাধারণ বইয়ের মতো পড়া যায়। প্রয়োজনে যে কোনো পৃষ্ঠায় চলে যাওয়া যায়। 

৬. ই - চিকিৎসা কেন্দ্র সম্পর্কে বর্ণনা করো।
উত্তর:
 ই - চিকিৎসা হচ্ছে ইন্টারনেট বা মোবাইল টেলিফোনে কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সেবা বা পরামর্শ নেওয়া। ই - চিকিৎসা কেন্দ্রের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের নামের লিস্ট, তাদের মোবাইল নাম্বার এবং চেম্বারের ঠিকানা থাকে। ইন্টারনেট বা মোবাইল টেলিফোন থাকলে অতি সহজেই যেকোনো স্থান থেকে ই - চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে তথ্য নিয়ে চিকিৎসা সেবা নেওয়া যায়। ই - চিকিৎসা অনেক দ্রুত ও কম ব্যয়ে নেওয়া যায়। 

৭. ইভিএম (EVM) কী? ভোট প্রদানের প্রক্রিয়া সংক্ষেপে লেখো। 
উত্তর:
 EVM এর পূর্ণরূপ হলো Electronic Voting Machine। এটি কাগজবিহীন ভোট গ্রহণের যন্ত্র। এই যন্ত্রের মাধ্যমে একজন ভোটার নির্দিষ্ট বোতাম চেপে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করতে পারে। এক্ষেত্রে ভোটিং মেশিনের স্ক্রিনে প্রার্থীর মার্কার ডানপাশে বোতাম থাকে। যে প্রার্থীকে পছন্দ করা হয়। তার মার্কার পাশের বোতামটি চাপা হয় এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটটি গণনা হয়ে যায়। ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের ফলাফল দেওয়া যায়। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন যন্ত্রচালিত হওয়ায় ভোট চুরি করার কোনো সুযোগ থাকে না। 

৮ . কাগজবিহীন ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে লেখো।  
উত্তর:
 কাগজবিহীন ভর্তি প্রক্রিয়া বলতে অনলাইন পদ্ধতিতে ভর্তির আবেদন করার প্রক্রিয়াকে বোঝায়। এক্ষেত্রে মোবাইল, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। সর্বপ্রথম শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৯ সালে কাগজবিহীন ভর্তি প্রক্রিয়াটি শুরু করেন। শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই শুধুমাত্র মোবাইল টেলিফোন ব্যবহার করে ভর্তি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে পারে। এছাড়াও ইন্টারনেট সংযোগযুক্ত কম্পিউটারেও ভর্তির আবেদন তথ্য অনলাইনে পূরণ করে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে পারে। যা পূর্বের পদ্ধতির চেয়ে অনেক সহজ ও ব্যয় কম। এভাবেই একজন শিক্ষার্থী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে কাগজবিহীন ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে পারে। পাঠ কর্মক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url